CYBER SECURITY তে ক্যারিয়ার কীভাবে গড়বেন?


 বারবার নিজের জীবনকে দোষারোপ করার চেয়ে,
একবার নিজেকে বদলে ফেলতে ভালো সিদ্ধান্ত নিন।
গতকাল আমাকে বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া থেকে একজন মেসেজ করেছেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি আইবিএ (IBA) থেকে বিবিএ(BBA) করেছেন, কোন সাইবার সিকিউরিটি ক্যারিয়ার গড়তে চান।
যেহেতু আমি জীবনে কখনো  তেঁতুলিয়া  যায়নি, আর ছোটবেলায় পড়েছি "টেকনাফ টু তেঁতুলিয়া সবাই বলো....."আর তাই করতো বল নিয়ে তার সাথে ফোন ৪৫ মিনিট গল্প করলাম। উনার প্রশ্নটি ছিল কম্পিউটার সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যাচেলর ডিগ্রী ছাড়া সাইবার সিকিউরিটি কিভাবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন?
ঠিক তেমনি আরেকজন জানতে চেয়েছেন মানবিক বিষয়ে পড়াশোনা করে সাইবার সিকিউরিটি কিভাবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন? আর তাই এই পোস্টটি লেখা,আশা করে মনোযোগ দিয়ে পড়লে অনেকের উপকার আসবে।
সমাজ বিজ্ঞান বা ব্যবসা বা মানবিক বা অন্য কোন বিষয় থেকে ডিপ্লোমা বা অনার্স করা যে কেউ চাইলে সিকিউরিটি ক্যারিয়ার করতে পারে। আর আপনি যদি মাস্টার্স করে থাকেন তাহলে আরো ভালো। একটা ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা জাস্ট একটা এন্ট্রি টিকিট টু এ কম্পিটিশন। কিন্তু সেই কম্পিটিশনে জিতবেন কিনা বা সারভাইব করবেন কিনা সেটা নির্ভর, করে নিজের উপর।
যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে সাইবার সিকিউরিটি তে ক্যারিয়ার করতে পারবেন সাইবার সিকিউরিটির
ক্যারিয়ার গড়তে প্রধান যে জিনিস দরকার সেটা হল সাইবার সিকিউরিটি কিছু প্রফেশনাল কোর্স ও সার্টিফিকেশন করা সেইগুলি ইন্টারন্যাশনালি রিকোগনাইজ।
যেমন:
  1. Certifiled Ethical Hacker (CEH)
  2. Security Certified Practitioner (SSCP)or Security+or CySA+ 
  3. Certified Information Security Manager (CISM)or GSEC
  4.  Certified Information Systems Security Professional (CISSP)
তবে যারা কম্পিউটার সাইন্সে পড়াশোনা করেছেন তাদের জন্য কিছুটা সহজ আর বাকিদের জন্য একটু বেশি কষ্ট করতে হয় বা একটু বেশি স্টাডি করতে হয় অনেক বিষয়ে।
একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন: 
সাইবার সিকিউরিটিতে কাজ করতে আপনাকে সার্ভার, বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম, ডাটাবেস,ক্লাউড, নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি, এপ্লিকেশন ও কিছু কোডিং সম্বন্ধে ভালো ধারণা থাকতে হবে। আর যারা (CSH) চার বছর ভালোভাবে পড়াশোনা করে তারা এই চার বছরে অনেক কিছু শিখে। কিছু শিখে as part of academic Module আর কিছু শিখে নিজে নিজে।
এইবার বলি কেন এই জ্ঞানের দরকার হয়? 
ধরেন সিঙ্গাপুরের কোন কোম্পানি আপনাকে সাইবার সিকিউরিটি এনালিস্ট হিসেবে হায়ার করল। তারা আপনাকে কোন সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে পাঠালো as ethical hacker. এখন আপনার ওই কাস্টমার সাইটে গিয়ে assessment and penetration  testing (VAPT) করতে হবে। তবে আপনাকে অবশ্যই certificate pen tester (CPENT) আপনার কোম্পানিকে অবশ্যইCREST Certified হতে হবে। ধরেন আপনিCPENT ট্রেনিং এবং সার্টিফিকেশন করেছেন। এখন আপনাকে তাদের সার্ভার, অপারেটিং সিস্টেমস, ডাটাবেস , নেটওয়ার্ক, এপ্লিকেশন গুলির হ্যাক করার চেষ্টা করে, সকল দুর্বল দিকগুলোই খুঁজে বের করে, রিপোর্ট দিতে হবে। এখন আপনার যদি ওই সকল নলেজ না থাকে তাহলে আপনার জন্য এই কাজটি অনেক কষ্টসাধ্য হবে। 
অনেকে জিজ্ঞাসা করছেন সিঙ্গাপুরের সাইবার সিকিউরিটি Job এ বেতন কত?
যেমন:
>একটা ডিগ্রী পাঁচ দুই তিন বছর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন-HR বা মার্কেটিং বা এডমিনের বেতন মাসে$2,500 থেকে $3,500 ডলার হয়ে থাকে।
>একটা ডিগ্রী পাশ দুই তিন বছর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সাইবার সিকিউরিটি সার্টিফিকেট বেতন মাসে$3,500-$5,500।
>আমার পরিচিত অনেক বন্ধু সিঙ্গাপুরে ৮-১০ বছরে অভিজ্ঞ সাইবার সিকিউরিটি তে কাজ করে যাদের বেতন মাসে$8,000-$15,000 ডলার। 
যত বেশি আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করব বা সরকার বা কোম্পানিগুলো ডিজিটাল হবে, সাইবার সিকিউরিটি চাকুরীর ডিমান্ড তত বাড়তে থাকবে। আর তাই আপনি বা আপনার পরিবার বা কাছের কারো জন্য এখন থেকে ক্যারিয়ার গড়তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। 
তবে আবারো বলছি, 
যে কেউ যেকোনো ট্রাক থেকে এসে উপরের চার ট্রেনিং ও সার্টিফিকেশন করে থাকলে সিঙ্গাপুরে বা বিশ্বের অন্য কোন দেশের তার চাকরির গ্যারান্টি ৯৯%। 
আশা করি এ তথ্যগুলি আপনার বা আপনার পরিবারের কেউ সাইবার সিকিউরিটি ক্যারিয়ার গঠনে কাজে আসবে। 
Thank you,
Suraiya Yesmin 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url