ক্রনিক কিডনি ডিডিজ ও ১৫ মম কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট
প্রিয় পাঠক ক্রনিক কিডনি ডিডিজ ১৫ মম কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট এর বিস্তারিত
জানতে আপনারা ইতিমধ্যে খোঁজাখুঁজি করে দেখছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি।কিডনি পাথর
হওয়া কিডনি ভালো রাখতে চাইলে কি করবেন এর লক্ষণ আরও কিছু জানতে আমার আর্টিকেলটি
পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, আশা করি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
কিডনি মানুষের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি ছাড়া মানুষ প্রায় অচল। কিডনির অনেক
কঠিন ও জটিল সমস্যা হতে পারে। তুমি ভয় পাইলে হবে না বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।
ভূমিকা
কিডনি আসলে শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রত্যেক মানুষের শরীরের দুটি
করে কিডনি থাকে। কিডনি আসলে শরীরের যে রক্ত থাকে সেটি ফিল্টারিং করে মূএ
দিয়ে তৈরি করে। এছাড়া আমাদের শরীরে অতিরিক্ত পানি ও বজ্র পদার্থ থাকে
সেটি বের করে দেয় কিডনি।
এছাড়া আমরা যে খাবার খাই সেটি থেকে লবণ ও খনিজ পদার্থ রক্তে মিশে যেতে
সাহায্য করে কিডনি। এছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, হাড়ের গঠন মজবুত
করে, কিডনি নতুন রক্ত কণিকা তৈরি করে । ক্রনিক কিডনি ডিডিজ ও ১৫ মম কিডনি
স্টোন ট্রিটমেন্ট
যে কিডনি ফাউন্ডেশন নাম একটি বেসরকারি সংস্থা আছে তাদের এক জরিপে বলেছেন
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ কোটি মানুষের কিডনি রোগে আক্রান্ত। আর
প্রতি বছর অন্তত ৪০ হাজার কিডনি নষ্ট হয়।
কিডনিতে কি কি সমস্যা হয়
কিডনি ফেইলর: কিডনি ফেইলরের কথা আমরা সবাই শুনেছি। তবে নাম আছে এটি
হচ্ছে ক্রনিক কিডনি ডিজিস। ক্রনিক কিডনি হলো কিডনি এমন একটি অবস্থা যখন
কিডনি দীর্ঘমেয়াদে ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন না কাজ করা অনেক কমে
যায়।
সব বয়স মানুষের মধ্যে ক্রনিক কিডনি ডিজিস দেখা যায়। তবে যারা
একটু বেশি বয়স্ক তাদের মধ্যে আশঙ্কায় বেশি যা অল্প বয়সে সমস্যা কম
দেখা দেয়। ক্রনিক কিডনি ডিডিজ ও ১৫ মম কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট।
কিডনি সংক্রমণের উপসর্গ কি
- জ্বর জ্বর ভাব বা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
- অসুস্থতা অনুভব করা।
- শরীরের পেছনের দিকে ব্যথা করা।
- প্রসবের জ্বালাপোড়া বা দুর্গন্ধ হওয়া।
- ঘন ঘন প্রস্রাব করা। এসব উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করা।
ক্রনিক কিডনি ডিজিসের লক্ষণ
- ক্লান্তি অনুভব করা।
- অসুস্থতা বোধ করা।
- শ্বাসকষ্ট হওয়া।
- পায়ের গোড়ালি ভাব হাত ফুলে যাওয়া।
- প্রসবের সাথে রক্ত পড়া।
এসব উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।যারা মূএ
রোগের সমস্যায় ভুবন তাদেরকে সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে তার মানে এই নয় যে
আপনি যদি মূত্রাশয়ের সংক্রমণ হন তাহলে আপনার কিডনি সংক্রমণ হবে।ক্রনিক কিডনি
ডিডিজ ও ১৫ মম কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট।
এটি তখনই হয় যখন ব্যাকটেরিয়া মাত্রা ফ্রি থেকে কিডনি পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
অর্থাৎ যদি কিডনিতে একবার ব্যাকটেরিয়া পৌঁছে যায় তবে সেক্ষেত্রে কিডনিতে
সংক্রমণ হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।
কিডনিতে পাথর হওয়া কি
কিডনিতে পাথর আসলে যে হতে পারে। কিডনির কথা শুনলে প্রথমে রক্ত কথা মনে আসে।
তবে যাদের বয়স ৩০ থেকে ৬০ বছরের মাঝামাঝি তাড়াতাড়ি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা
বেশি থাকে। ক্রনিক কিডনি ডিডিজ ও ১৫ মম কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট রয়েছে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার বিষয়টা আমাদের দেশে এত দেখা যায়, যে প্রতি ১০ জনের
অন্তত একজনের মধ্যে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশংকা থাকে। যার ফলে সাধারণত কিডনি
বা মূত্রনালী
অর্থাৎ যে নালিটি মূত্রাশয়ের কে কিডনির সাথে যুক্ত করে রাখে সে মূত্রনালীতে
পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কিডনিতে পাথরের উপসর্গ কি বিস্তারিত জেনে নিন
কিডনিতে পাথর হয় তাহলে তিনটি উপসর্গ অবশ্যই থাকবে । তল পেটের একপাশে ব্যাথা
থেমে থেমে তীব্র আকার ব্যথায় এবং অসুস্থতা বোধ করা আর সেই সাথে বমি হওয়া।
এই লক্ষণ গুলোর সাথে যদি শুনলে তাপমাত্রা বেশি হয় কাপ প্রসাবের সাথে রক্ত
বের হয় ।
তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে
হবে। ক্রনিক কিডনি ডিডিজ ও ১৫ মম কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ নিদ্রাহীনতা হলে কিভাবে চিকিৎসা করবেন?
কিডনিতে পাথর হলে কি ডাব খাওয়া যাবে কিনা
পানি বেশি বেশি পান করলে আমাদের রক্তের ভলিউম (আয়তন) বৃদ্ধি পায় ফলে ব্লাড
প্রেসার বৃদ্ধি পায় আবার পানি কম পান করলে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায় আয়তন
কমে যায়। এ ব্যাপার গুলো নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস ও
কিডনি দুইজন মিলে।
পানি কম পান করলে আপনার মূত্রের রং হবে হলুদ (ইউরোক্রোমিয়াম এর কারণে) আর
পানি বেশি পান করলে ঘন ঘন মূএ সৃষ্টি হয় যেটাকে পলিইউরিয়া বলা হয়।
তাহলে তো বোঝা যাচ্ছে পানি বেশি পান করলেও বিপদ আবার কম পান করলেও বিপদ।
আরো পড়ুনঃ Select plus শ্যাম্পুর গুনাগুণ অপকারিতা
তাহলে আমরা কতটুকু পানি পান করব? সে ক্ষেত্রে একেকজনের একেক পরিমাণ পানি পান
করতে হয় সেটা মানুষের দৈনন্দিন জীবন ধারার উপর নির্ভর করে।তবে মোটামুটি একটা
স্বাভাবিক হিসেবে থেকে বলা যায় শরীরের ওজনকে ৩০ দ্বারা ভাগ করে যে পরিমাণ
হয় সে পরিমাণ (তত লিটার) পানি পান করা উচিত।
এখন কথা হলো, পানির এই চাহিদাটা আপনি চাইলে ডাব কিংবা মিনারেল ওয়াটার পূরণ
করতে পারেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে ডাবের পানি পান করার ব্যাপারে
কোন প্রতিবন্ধকতা নেই।
কিডনি কি সুস্থ রাখার জন্য পানি পানি কেন জরুরী
কিডনি সুস্থ রাখার জন্য পানি পানি খুবই জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ। এটির কিছু
কারণ নিম্নলিখিত:
- কিডনির পরিষ্কারক ও ক্রিয়া-কলাপ: পানি কিডনি পরিষ্কার ক্রিয়াকলাপ সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। কিডনির মাধ্যমে শরীরে যত বজ্র পদার্থ রয়েছে তা সরিয়ে দেয় এবং মূত্রের মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থ বিসর্জন করে। এক প্রক্রিয়া কিডনি স্বাভাবিক পুরস্কার ক্রিয়া বজায় রাখে এবং মডিউলেশনের স্তর স্থায়ী রাখে
- কিডনির ফাংশন সঠিকভাবে চালিত রাখা: পানি উৎপাদন সমূহ কিডনির ক্ষমতাস্থায় রাখতে সাহায্য করে। যদি শরীরে প্রতিদিনের প্রয়োজন মত পানি পান না করা হয় তবে কিডনি সঠিকভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হতে পারে।
- কিডনি স্বাস্থ্যকর রাখতে ব্যক্তির সারবে স্বাস্থ্য উন্নত করা: প্রাকৃতিক খাবার খাওয়া নিয়মিত ব্যাঙ শরীরের সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ব্যক্তি সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নত করা গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রকারের স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনকে দিনের কার্যক্রম সঠিকভাবে চালিত রাখতে সাহায্য করে এবং কিডনি স্বাভাবিক ফাংশন বজায় রাখে।
- বিশেষ অবস্থায় পানি পান করা: যখন আপনি অতিরিক্ত গরমে বা কাজে বা শারীরিকভাবে প্রচুর ঘাম শরীর থেকে বের হয়ে যায়, কি অবস্থায় পানি পান করার গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় আপনি পানি পান বৃদ্ধি করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় অধিক পানি পান করতে পারেন।
- কিছু ওষুধের পারিভাষিক প্রভাব: কিছু ওষুধ কিনে প্রক্রিয়া প্রভাবিত করতে পারে এবং পানি সংক্রমন বা জমার কারণ হতে পারে।
মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ব্যক্তি স্বাস্থ্য অবস্থা, কিডনির সামন্ত ফাংশন
এবং অন্যান্য সম্পর্কিত সাধারণ স্বাস্থ্য বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ
নির্দেশনা মেনে চলো গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো সমস্যার সম্মুখ হওয়ার ক্ষেত্রে,
প্রথমে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
উপরে উল্লেখিত সব উপকারিতা গুলো সহজে অর্জন করা সম্ভব না। তাই সুস্থ
রক্তচাপ সুস্থ ওজন সুস্থ করে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিন শারীরিক
ব্যায়াম অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে, কিডনি সুস্থ রাখার জন্য
প্রতিদিনে পানির বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্যকর আহার গ্রহণ করা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
কি সমস্যা সাথে মোকাবেলা করা বা পানি জমানোর সমস্যার সাথে সম্পর্কিত
অন্যান্য সাধারণ কিছু প্রাথমিক সতর্কতা আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে। যদি
সমস্যা বা লক্ষণ গুলো দীর্ঘদিন থাকে বা গুরুত্বপূর্ণ হয়, তবে একজন
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন।
মনে রাখতে হবে যে, উপরে উল্লেখিত পরামর্শ গুলো শুধুমাত্র সাধারণ অবস্থায়
সামান্য কিডনি সমস্যার জন্য প্রয়োজন। যদি কোন অস্বাভাবিক কিডনি সমস্যা
থাকে বা পানি জমার মত অবশ্যই সৃষ্টি হয় তবে অবশ্যই একটি বিশেষজ্ঞের সাথে
পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কিডনি ছোট হওয়ার কারণ কি
কিডনি দেখতে ছোট কিন্তু তার কাজ শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
শরীর থেকে দূষিত হরিজন পদার্থ বার করে দেওয়া এবং রক্ত পরিষ্কার রাখার কাজ
করে বৃক্ক। কিডনির অসুখের বড় বিভ্রান্তি হল এর সমস্যা ধরা পড়তে সময় নেয়।
যখন ধরা পড়ে তখন হয়তো অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে।
কিডনিতে পানি জমলে করণীয়
মানুষের শরীরে প্রাথমিক বা মূল্যবান অঙ্গ, যা মূএ উৎপাদন এবং শরীরটাকে অপসারণ
কাজ করে থাকে। কিডনি কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে বা অন্যান্য কারণে কাজ
সঠিকভাবে করতে অসমাপ্ত হলে কিডনিতে পানি জমে যেতে পারে। এ সময় কিছু প্রাথমিক
করণীয় আমাদের সুস্থ রাখতে পারে।
কিডনিতে পানি জমলে কি করতে হবে
কিডনিতে পানি জমা বেশ কয়েকটি কারণের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিচে
আলোচনা করা হলো:
অল্প পানি পান করা: যদি আপনি প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে পানি পান না করে
থাকেন তবে কিডনির পরিষ্কার ক্রিয়া-কলাপ কিভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হতে পারে।
এটা কি জিনিস স্বাভাবিক আমার একটি প্রধান কারণ বলা যেতে পারে।
কিডনি সমস্যা: বিভিন্ন ধরনের রোগ এবং সমস্যা থাকতে পারে যা কৃমি
পরিষ্কার ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিডনি স্টোন
,কিডনি ইনফেকশন, কিডনি অস্তিত্বের সমস্যা , কিডনি অসুখ ইত্যাদির কারণে চলতে
পারে।
মধ্যবর্তী রোগ: মধ্যবর্তী রোগ হলো এমন রোগ যার লক্ষণ বা প্রভাব সঙ্গে
ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করে এবং ধীরে ধীরে গভীর হয়ে যায়। এই রোগের লক্ষণ গুলো
প্রাথমিক অবস্থায় খুবই স্পষ্ট নয় বা সাধারণ সময়ে কয়েক বছরের জন্য গোপন
থাকতে পারে। কিছু মধ্যবর্তী ও কিডনি পরিষ্কার ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে
পারে যার ফলে কিডনিতে পানি জমতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ হরমোনের সমস্যা: কিছু হরমোন কিডনির প্রক্রিয়া
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যেমন এন্ট্রিডায়বেটিক হরমোন । যদি এই হরমোন
কোন সমস্যা থাকে তবে তুমি প্রভাবিত করতে পারে।
কিডনিতে পানি জমার করণীয় সমূহ
ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করো: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ
করতে হবে এবং আপনার সমস্যা বা লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
ডাক্তার আপনার সমস্যা নির্ধারণ করবেন এবং উপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করবেন।
অধিক পরিমাণ পানি পান করুন: প্রথম আপনি অধিক পানি পান করতে পারবেন।
দেখতে ধ্বনি প্রাণের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে কিডনি পরিষ্কার ও ক্রিয়া-কলাপ
সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
প্রয়োজন অধিক বিশ্রাম নিন: আপনার কিডনি সঠিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য
করতে বিশেষ বিশ্রাম প্রয়োজন হয়। তাই প্রয়োজন মতো নিয়মিত ঘুমানো এবং আরাম
করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার কিন্তু চেষ্টা করুন
।স্বাভাবিক খাবার পাশাপাশি প্রয়োজনের সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার মাধ্যমে আপনি
আপনার পুষ্টির প্রয়োজন পূরণ করতে পারেন।
ডাক্তার পরামর্শ মেনে চলুন: জীবন নির্দেশিত কাজ বা প্রেসক্রিপশন
অনুসরণ করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি সমস্যা বা পানির জমাতে যে কোন
প্রকার ওষুধ প্রয়োজন হলে ,ডাক্তারের কাছে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।
কিডনিতে পানি জমলে ঘরোয়া চিকিৎসা সমূহ
কিনতে পানি জমলে বা হাইড্রেশনের সময় ঘরোয়া চিকিৎসা বা সাধারণ প্রাথমিক
যত্নের মাধ্যমে অনেক উপকার পেতে পারেন চলুন এবার কিডনি পানির জমলে ঘরোয়া
চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়:
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা:কমপক্ষে চার গ্লাস পানি পান করার
প্রয়োজন ।আপনি আপনার সাথে অথবা পাশে একটি পানির বোতল রাখতে পারেন যাতে
প্রতিদিন সময় মতো পানি পান করতে পারেন।
পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করুন: পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করার জন্য ফটকা পানি বা
নীল পানি পান করা উচিত। এটি আপনার কিডনি পরিষ্কার ও ক্রিয়াকলাপ সঠিকভাবে কাজ
করতে সাহায্য করতে পারে।
স্বাস্থ্যকর আহার গ্রহণ করুন: পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার
গুরুত্বপূর্ণ এতে করে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং আপনার ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য
করে। প্রাকৃতিক খাবার যেমন ফল সবচেয়ে পুষ্টিকর প্রোটিনের সোর্স যেমন মাছ
মাংস ডাল খান। সবজি খাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন মিষ্টি আলু গাজর ফুলকপি পালং শাক
এবং অন্যান্য সবজি খেতে পারবেন।
পুষ্টিকর সাপ্লিমেন্ট নিন: কিছু শুনে আপনি ডাক্তার পরামর্শ অনুসারে
পুষ্টিকর সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার মাধ্যমে আপনার পুষ্টিকর প্রয়োজন পূরণ করতে
পারেন। এতে কিডনির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করতে
পারে।
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম: নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম ও ব্যায়াম করার
গুরুত্বপূর্ণ । এতে করে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং কিডনি সঠিক ভাবে কাজ করতে
সাহায্য করবে।
কিডনি কি সুস্থ রাখতে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম কতটা গুরুত্বপূর্ণ
কিডনি সুস্থ রাখতে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শারীরিক ব্যায়াম কিডনি স্বাভাবিক ফাংশন বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং কিডনির
স্বাভাবিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। এটার কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকারের তা নিচে
দেওয়া হলো:
রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে: আপনিও তো ব্যায়াম করা কিডনি সার্কুলেশন
বৃদ্ধি করে এবং রক্তের প্রয়োজনীয় পানি পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং এটি হাইপারটেনশন সম্পর্কে জনপ্রিয় একটি
অনুশীলন বিধি।
কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে: নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম কিডনির ক্ষমতা
স্থায়ী রাখতে সাহায্য করেন এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিবেচনা কম
করে যা কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে: ব্যায়াম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে
পারে, যা কিডনি সুস্থ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস এবং টিমের
সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
ডায়াবেটিসে নিয়ন্ত্রণ করে: ব্যায়াম স্ট্রেস।
কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে
কিডনি রোগীদের জন্য দুধ খুবই ক্ষতিকারক দুধ তাই এড়িয়ে চলতে পারলেই ভালো।
কিডনি সমস্যায় ভুক্তভোগীদের ডায়েটে সীমিত থাকে।
আরো পড়ুনঃ চিরতার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কিডনি পরিষ্কার করার ঘরোয়া উপায়
চুন ,লেবু বা কমলা খেলে তা হাইড্রেটেড রাখতে কাজ করে এবং কিডনি থেকে টক্সিন
বের করে দিতে সাহায্য করে। এই ফলগুলোতে উচ্চমাত্রার সাইট্রেটের উপস্থিত থাকে,
নিতে পাথর গঠন প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। আপনার প্রস্রাবকে অম্লীয় করে
তুলতে পারে, যা কিডনি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শসার পানির পরিমাণ বেশি থাকে।
১৫ মম কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট
কিডনির কিছু কিছু জায়গা আছে যেখান থেকে পাথর অপসারণ এর জন্য ওপেন সার্জারি
করাই ভালো। কিংবা অনেক সময় কিড করতে হয়নির এমন জায়গায় পাথর আটকে থাকে যে
তাকে কি-হোল সার্জারি সাহায্যে বের করতে গেলে কিডনির ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি
হয়।
সুতরাং এইসব চোখেই এড়াতে ওপেন করা ভালো। তাছাড়া কিডনিতে যদি জন্মগত কোনো
অস্বাভাবিকতা থাকে তাহলে ওপেন সার্জারি করতে হয়।
লেখকের মন্তব্য
ক্রনিক কিডনি ডিডিজ ও ১৫ মম কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট সম্পর্কে জানতে পারলেন।
নিজেকে ভালো রাখার জন্য অবশ্যই কিডনি ভালো রাখতে হবে। মানুষের শরীরের
প্রত্যেকটা অঙ্গ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভালো থাকতে হলে নিজের শরীরের যত্ন নিতে
হবে। যদি আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনার উপকারে আসে তাহলে আপনার প্রিয়জনদের
সাথে শেয়ার করে তাদেরকে উপকৃত করুন।
প্রিয় পাঠক আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার
প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাদেরকে জানার সুযোগ করে দিন। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentit ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url