১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত টাকা
প্রিয় পাঠক ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত টাকা ও ৫ বছর মেয়াদী
৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত টাকা এ বিষয়ে আপনারা অনেক ওয়েবসাইটে খোঁজাখুঁজি
করছেন। কিন্তু আপনার মনের মত বা সঠিক কোন তথ্য পাননি।
আপনি আরো খোঁজ করেছেন পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কত দিন পর হয়। সকল ওয়েব
সাইটের তথ্যের কোনো না কোনো ঘাটতি রয়েছে। আমাদের আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন, আশা করি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
পোস্ট সূচিপত্র:১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট
১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত টাকা
দশ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর রেগুলার কি ৮০৫০ টাকা যে আপনি ২১ কর্ম
দিবসের মধ্যে পেয়ে থাকবেন। আর আপনি এটা যদি ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে পেতে চান
তাহলে ১০৩৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। আর আপনার খুব জরুরী অর্থাৎ দুই কর্মজীবের
মধ্যে পেতে চান ১৩৮০০ টাকা ফ্রি প্রদান করতে হবে।
৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত টাকা
পাঁচ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর রেগুলার ফ্রি ৬৩২৫ টাকা যা
আপনি ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে পেয়ে থাকবেন। এছাড়া যদি আপনি দশ কর্ম দেশের
মধ্যে পাসপোর্টটি হাতে পেতে চান তাহলে ৮৬২৫ টাকা ফ্রি প্রদান। আর আপনি যদি
খুব জরুরী হয় অথবা ২ কর্ম দিবসের মধ্যে হাতে পেতে চান ১২০৭৫ টাকা ফি প্রদান
করতে হবে।
৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত টাকা
৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠায় পাসপোর্ট এর রেগুলার ফ্রি ৬৩২৫ টাকা যা ২১
কর্ম দিবসের মধ্যে পেয়ে থাকবেন। যদি আপনি এটা দশ কর্ম দিবসের মধ্যে নিতে চান
তাহলে ৮৬২৫ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। আরে পাসপোর্টটি যদি আপনি দুই কর্ম দিবস
মধ্যে পেতে চান তাহলে ১০৩৫০ একা ফি দিতে হবে।
বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট এর নাম, ছবি, জন্মের তারিখ, স্বাক্ষর এবং বিভিন্ন রকম চিহ্নিতকরণ
করা তথ্য দেওয়া থাকে। পাসপোর্ট এক ধরনের চিপ রেট থাকে, যার মাধ্যমে সহজে
একজন পাসপোর্ট ভাবে সকল তথ্যের স্টোর করা যাবে সংগ্রহ করা যায়। সরকারি
চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট এবং প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট Spouse Name যুক্ত করতে
চাইলে অবশ্যই স্বামী-স্ত্রীর NID কার্ড ও কাবিননামার প্রয়োজন হবে।
পাসপোর্ট কত প্রকার ও কি কি
প্রিয় পাঠক আপনারা জানতে চেয়েছেন যে ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট
এর ফি কত টাকা ও পাসপোর্ট কত প্রকার ও কি কি এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা
হলো:
সাধারণত পাসপোর্ট দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমটা হল সাধারণ পাসপোর্ট এবং দ্বিতীয় টা হল দাপ্তরিক পাসপোর্ট বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট।
- সাধারণ পাসপোর্ট: এ পাসপোর্টটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাইরে দেশে ব্যবসা, ভ্রমন ,হজ ,ওমরা পালন ইত্যাদি ক্ষেত্রে।
- দাপ্তরিক পাসপোর্ট: এই এমন লোকদের দেওয়া হয় যারা সরকারি কোনো কাজে দেশে বিদেশে ভ্রমণ করে থাকে। এছাড়া দেশ বা বিদেশে কোন সরকারি কাজে যায় তাদের এই পাসপোর্ট দেওয়া হয়।
বাচ্চাদের পাসপোর্ট করার নিয়ম কি
পাসপোর্ট এর জন্য শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক সকলের জন্য অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে
একই রকম। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তারপরে পাসপোর্ট এর
যেটা ফ্রি সেটা প্রথমে আপনাকে অনলাইনে প্রদান করতে হবে।আবেদন ফি-চালান কপি এবং
প্রয়োজনীয় যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া হলে আপনার আবেদন সম্পন্ন হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে
পাসপোর্ট এর আবেদন দুই ভাবে করা যায়।শিশুর বাবা-মার যখন পাসপোর্ট তৈরি করা হয়
তখন সিসির পাসপোর্ট এর আবেদন একই সাথে করা যায়।
এবং আপনি চাইলে আলাদাভাবে এবং শিশুর পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া
যদি শিশুর বাবা-মার সঙ্গে শিশুর পাসপোর্ট এর আবেদন করে তাহলে কোন ঝামেলা
সম্মুখীন হয় না কিন্তু দুই ভাবেই ফি একই।
পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
প্রিয় পাঠক আপনারা জানতে চেয়েছেন যে ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি
কত টাকা ও পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে এই নিয়ে নিম্নলিখিত পদ্ধতি
অনুসরণ করা হলো:
- আপনি অনলাইনে যে ফর্ম পূরণ করেছেন সে ফর্মটির সিডিউল পত্র অথবা প্রিন্ট কপি।
- পাসপোর্ট এর আবেদন করার সময় অনলাইনে যে ফ্রি প্রদান করেছেন সে ফ্রি ব্যাংক চালান কপি।
- যদি আপনার বয়স ২০ বছরের ঊর্ধ্বে হয় তাহলে জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি অবশ্যই দিতে হবে।
- জন্ম নিবন্ধন এর অনলাইন কপি (ইংরেজি ভার্সন) যদি আপনার বয়স ১৮ বছরের কম হয় তাহলে পিতা মাতার এনআইডি কার্ড বাধ্যতামূলক।
- আপনার বয়স যদি ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হয় তাহলে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি অবশ্যই প্রয়োজন।
- একটি টেকনিক্যাল সনদ বা অন্যান্য দেখি ট্রে পেশাগত সনদ লাগবে যা সরকারি/ আধা সরকারি/ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা /বিভাগ/ অধিদপ্তর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে NOC/Go অবশ্যই প্রয়োজন।
- NOC/Go থেকে আবেদনকারী গণেশ নিয়ে যদি দপ্তর ওয়েবসাইট থেকে NOC/Go আপলোড করতে হবে
- যদি কোন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী আবেদন করেন তাহলে অবসর গ্রহণের যে কাগজটি রয়েছে সেটা দিতে হবে।
- ৬ বছরের কম শিশুদের আবেদন করার ক্ষেত্রে 3R সাইজের ০১ কপি ল্যাব প্রিন্ট ছবি চাই ব্যাকগ্রাউন্ড থাকবে ব্রে রঙ্গিন।
- আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা প্রমাণ দিতে আপনার বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল,যে কোন একটি বিলের কাগজের কপি প্রয়োজন।
স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আপনারা জানতে চেয়েছেন যে ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর
ফি কত টাকা ও স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা
করা হলো:
বাংলাদেশে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশের বাইরে গিয়ে অর্ডার করার
প্রবণতা ব্যাপক। একটা সময়ের পর উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে অধ্যায়নের
চিন্তাভাবনা করে থাকে। আর যেহেতু একটু দেশ থেকে অন্য দেশে ভিজিট করতে
পাসপোর্ট এর প্রয়োজন ।
তাই শিক্ষার্থীরা যখন উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যায় তখন তাদের পাসপোর্ট
করাতে হয় যাকে স্টুডেন্ট পাসপোর্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।অনেকেই আছে যারা
দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করেছেন।এ পর্যায়ে জানাবো
স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ Select plus শ্যাম্পুর গুনাগুণ অপকারিতা
সাধারণত পাসপোর্ট দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি ৪৮ পৃষ্ঠা এবং অন্যটি ৬৪ পৃষ্ঠার।
সাময়িক পাসপোর্ট করার নিয়ম আর স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম আলাদা কিছু
নয় বরং অনেকটা একই কার্যক্রম সম্পাদন করতে হয়। স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করার
ক্ষেত্রে যে সকল ধাপগুলো অতিক্রম করে যেতে হবে সেগুলো নিম্নের সংক্ষেপে
জানিয়ে দেওয়া হলো:
স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
পাসপোর্ট তৈরি করতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলোর পাশাপাশি যদি স্টুডেন্ট
পাসপোর্ট করা দরকার হয় তবে শিক্ষার্থীদের যাবত সকল সার্টিফিকেট বা
সনদপত্রের প্রয়োজন হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সেই সনদটির পরবর্তী
ধাপে দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাচ্ছে।
যেমন আপনি যদি বিবিএ করতে দেশের বাইরে যেতে চান তবে এইচএসসির সার্টিফিকেট এর
প্রয়োজন রয়েছে।আবেদনকারী শিক্ষা তোর বয়স ১৮ উপর হলে তার জাতীয় পরিচয়
পত্রের ফটোকপি সাবমিট করতে হবে তাছাড়া জন্ম নিবন্ধন কপি দিতে হবে এক্ষেত্রে
জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই ইংরেজি ভার্সন হতে হবে। তাছাড়া আবেদনকারী শিক্ষার্থীর
সদ্য তোলা চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে।
একটা সময় ছিল যখন পাসপোর্ট করার জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে বারবার ঘুরে আসতে
হতো সেখানে গিয়ে একটি পাসপোর্ট করার জন্য প্রচুর সময় নষ্ট করতে হতো। কিন্তু
বর্তমানে চিত্র তুই একদম ভিন্ন বর্তমান আপনি নিজে নিজে পাসপোর্ট করতে পারেন
ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করে।
প্রাথমিক আবার যেন অনলাইনে করার পরবর্তী ধাপে প্রয়োজনে ডকুমেন্টস ও অন্যান্য
কার্যসম্পাদনা করার জন্য আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে অবশ্যই যেতে হবে। অনলাইনে ঘরে
বসে পাসপোর্ট এর আবেদন এবং তার পরবর্তী কার্যক্রম গুলো নিম্ন উপস্থাপনা করা
হচ্ছে।
অনলাইনে স্টুডেন্ট পাসপোর্টের জন্য কিভাবে টাকা জমা দিতে হয়
অনেকে ভাবছেন প্রথমে ধাপে টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টি আসছে কেন মূলত অনলাইনে
পাসপোর্ট করতে হলে আপনাকে প্রথমে টাকা পরিশোধ করে দিতে হবে এর কারণ হলো যখন
আপনি অনলাইনে ফরম পূরণ করবেন তখন সেখানে টাকা জমা দেওয়ার তারিখ উল্লেখ্য করে
দিতে হবে।
তাই সমস্যার এত প্রথমে পাসপোর্ট এর অর্থ জমা দেওয়ার বুদ্ধিমানের
কাজ।বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্লাটফর্ম বিকাশ, রকেট, শিওর ক্যাশ এর
মাধ্যমে পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়া হয়। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে
খুব সহজে পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন।
পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে রেগুলার যে পাসপোর্ট ফ্রি সেটা হল ৩৪৫০ টাকা। এবং
আপনি যদি জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট করাতে চান তবে আপনার খরচ হবে ৬৯০০টাকা।
টাকা জমা দেওয়া হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপের জন্য কার্যক্রম শুরু করতে পারেন।
অনলাইনে স্টুডেন্ট পাসপোর্টের জন্য কিভাবে ফরম পূরণ করতে হবে
মূলত পাসপোর্ট করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো অনলাইনে ফরম পূরণ করা কারণ
এখানে ছোট একটি ভুল আপনার পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের যে
রকম ইনফরমেশন দেওয়া হয়েছে এবং আপনার একাডেমিক সার্টিফিকেট গুলোতে যে সকল
ইনফরমেশন দেওয়া আছে সেগুলোর সাথে সমন্বয় রেখে তথ্য প্রদান করতে হবে।
যেকোনো নাম ঠিকানা তারিখ সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে
হবে।আবেদন করার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদনের ড্রেস পড়ে চলে গিয়ে আবেদন করার
প্রাথমিক ধাপগুলো সম্পন্ন করতে হবে। শুরুতে আপনার জেলা এবং বর্তমান ঠিকানা
নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনের নাম দেওয়া মাত্র স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসের নাম
দেখাবে।
আর আপনাদের কি শুধুমাত্র এখানে ই পাসপোর্ট এর আবেদন জমা দিতে হবে। তাছাড়া
আপনারা এখান থেকে এ পাসপোর্ট সরাসরি আপনার হাতে পাবেন। আবেদনের সময়
আবেদনকারীর নাম জন্ম তারিখ, বর্তমানে এবং স্থায়ী ঠিকানা, পেশা, জাতীয়
পরিচয় পত্র নাম্বার, পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এর তথ্য, আপনার পিতা মাতার নাম এবং
পেশা, যোগাযোগ নাম্বার এবং জরুরী ক্ষেত্রে আপনার যোগাযোগ নাম্বার দিতে হবে।
তারপর আপনাকে পেমেন্টের সেকশনে আবেদন জমা দিয়েছেন এর সম্বন্ধে কিছু তথ্য
প্রদান করতে হবে। আপনাকে সবকিছু ঠিকঠাক করে দিতে হবে কেননা একবার আবেদনপত্র
জমা দেওয়ার পর আর কিছু ঠিক করতে পারবেন না। কেননা আপনি এক্ষেত্রে একটি
জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে শুধুমাত্র একটি আবেদন পত্র জমা দিতে পারবেন।
তাই অবশ্য একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আবেদনের সময় সবকিছু যেন
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী হয়ে থাকে কোন কিছু ভুল না হয়।
চূড়ান্তভাবে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করার পর সর্বশেষ সেকশনে পাসপোর্ট অফিসে
নির্ধারিত দিনপঞ্জি থেকে বায়োমেট্রিক্স এর জন্য সাক্ষাতের দিনক্ষণ ঠিক করে
নিতে হবে এভাবে।
তারপর অনলাইনে আবেদন শেষ হয়ে গেলে পূরণ কিন্তু আবেদন ফরমটি বায়োমেট্রিক্স
এর জন্য সাক্ষাতের সবাই সহ আবেদনের সামারি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
স্টুডেন্ট পাসপোর্ট অনলাইন প্রিন্ট করা ও ছবি তোলা হয় কিভাবে
ডাউনলোড করার ফ্রম কে প্রিন্ট করে দুই কপি রাখতে হবে। আবেদনকারী ফর্মে যথাযথ
স্থানে স্বাক্ষর প্রদান করবে এবং নিজের চার কপি ছবিসহ জরুরি ডকুমেন্ট
শিক্ষার্থীদের সনদ গুলো নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের সত্যায়িত করবে এবং জমা দিতে
যাবে। প্রথম শ্রেণী যে কর্মকর্তার কাছ থেকে কাগজগুলো সত্যায়িত করাবেন তার
নাম, মোবাইল নাম্বার , জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার ,ফর্মে লিখে দিতে হবে।
সর্বশেষে আরেকবার সবকিছু ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে। কারণ একবার সাবমিট করলে
সেগুলো সংশোধন করার সুযোগ থাকবে না। মূলত অনলাইনে ফরম পূরণে ১৫ দিনের মধ্যে
প্রিন্ট কপি,সত্যায়িত ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ও শিক্ষার্থীর সনদ ও
স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের কপি অফিসে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখানে ছবি তুলতে হবে।
যেদিন ছবি তুলবেন সেদিন কোনোভাবে সাদা রঙ্গের কোনো পোশাক পড়ে যাবেন না।
সবশেষে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হবে আপনার কাছে থেকে। এ পর্যায়ে পাসপোর্ট
রিসিভের একটি রশিদ দিয়ে দেওয়া হবে আপনাকে এবং আপনার আবেদন পুলিশ
ভেরিফিকেশনের জন্য চলে যাবে। সব কিছু ঠিক থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে আপনার
পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন।
স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করার পরে কি ওয়ার্কিং ভিসা দেশের বাইরে যাওয়া যাবে
আপনার বয়স যত ১৮ উপর হয়ে থাকে তাহলে কোন সমস্যা হবে না আপনি এ পাসপোর্ট এর
মাধ্যমে ওয়ার্কিং ভিসার জন্য আবেদন সেই বিষয়ে দেশের বাইরে যেতে পারবেন।
স্টুডেন্ট পাসপোর্টে আপনার প্রদান করা একাডেমিক সনদ গুলোর সাথে রাখবেন যদি
ইমিগ্রেশন এর সময় দেখতে চাই তবে দেখাতে হবে।
বর্তমান ডিজিটাল যুগ। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে। তেমনি ই পাসপোর্ট এমন একটি পাসপোর্ট যা সুবিধা হল খুবই দ্রুত সময়ে এই গেট ব্যবহার করে ভ্রমণকারীর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা থেকে খুব সহজে যাইতে পারে।
আপনারা অনেকেই জানেন না পাসপোর্ট কি? পাসপোর্ট হল এক ধরনের ভ্রমণ করার বৈধ কাগজ বা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেওয়া হয়। এটি একটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নথিপত্র। এই নথিপত্রে ভ্রমণকারীর জাতীয়তা এবং পরিচয় উল্লেখ্য করা থাকে।
স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কত সময় লাগে
প্রিয় পাঠক আপনারা সবাই জানতে চেয়েছেন যে ১০ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার
পাসপোর্ট এর ফি কত টাকা ও স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কত সময় লাগে এই নিয়ে সকল
তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হলো:
রেগুলার: ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে
এক্সপ্রেস: ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে
সুপার এক্সপ্রেস: ২ কর্ম দিবসের মধ্যে
আবেদন করার পর পাসপোর্ট পেতে কতদিন সময় লাগে
প্রিয় পাঠক আপনারা জানতে চেয়েছেন যে ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর
ফি কত টাকা ও আবেদন করার পর পাসপোর্ট পেতে কতদিন সময় লাগে এই নিয়ে সকল তথ্য
দিয়ে সহায়তা করা হলো:
শিশু অথবা প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই পাসপোর্ট আবেদন ও ডেলিভারির কার্যক্রম একই
রকমের। প্রযুক্তিগত কারণে পাসপোর্ট হাতে হাতে কিছুটা সময় বেশিও লাগতে পারে।
তবে ধরা যে ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার পাসপোর্ট আপনি হাতে পেয়ে যাবেন।
যদি এক থেকে পনেরো বছরের বাচ্চা পাসপোর্ট করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজনে
কাগজপত্র লাগবে সেই শিশুর জন্ম নিবন্ধন এর সত্যায়িত ফটোকপি, শিশু পিতা মাতার
এনআইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, শিশুর কোন আপন জনের ফোন নাম্বার ঠিকানা
ইত্যাদির দিতে হবে যাতে জরুরি প্রয়োজন তার সাথে যোগাযোগ করা যায়।
এছাড়া ছবি,NOC বা অনাপত্তি পত্র এটা লাগবে যাদের পিতা বা মাতা সরকারি ,আধা
সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে তাদের। এছাড়াও
লাগবে পাসপোর্ট এর ফ্রি প্রদানের চালান কপি।
পাসপোর্ট তৈরি করতে কত টাকা ফি প্রদান করতে হয়
পাসপোর্টে মেয়াদ অনুযায়ী এর ফি প্রদান করা হয়ে থাকে। যত বেশি মেয়াদির
পাসপোর্ট নেয়া হবে তত একটু বেশি খরচ হবে। বাংলাদেশের পাসপোর্টোর আসলে দুটি
মেয়াদ থাকে। একটি হলো দশ বছর মেয়াদি রয়েছে পাসপোর্ট এবং পাঁচ বছর মেয়াদি
রয়েছে পাসপোর্ট।
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কত দিন পর হয়
সাধারণত নতুন একটি পাসপোর্ট এবং আপনি যদি আপনার পাসপোর্ট পুনরায় আবার ইস্যু
করতে চান তাহলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন আছে। এই পুলিশ ভেরিফিকেশনের
প্রক্রিয়াটি ৩০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ এক মাস সময় নিয়ে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
এক দেশে নাগরিক যদি অন্য দেশে ভ্রমণ, কোন কাজ, হজ বা উমরা হজ পালনে এছাড়া
সরকারি কোন কাজে যায় তাহলে অবশ্যই পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। পাসপোর্ট
ছাড়া কোন নাগরিক এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারবে না।
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত টাকা নিয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে
আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাদেরকে জানার সুযোগ করে দিন।
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url