সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার হুকুম কি জানুন

সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার হুকুম ও সাওম পালনে কি কি সুফল রয়েছে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা ইতিমধ্যে অনেক ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করে দেখেছেন কিন্তু  এ বিষয়ে সঠিক তথ্য কোন ওয়েব সাইটে পাননি।

আমার আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এছাড়া আরো জানতে পারবেন যে সাওমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ও সাওম কিভাবে পালন করতে হয়।

পোস্ট সূচিপত্র: সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করলে

সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার হুকুম কি জানুন 

একজন মুসলিমের উপর ফরজ হলো সাওম পালন করা। কারণ সাওমের  উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর আনুগত্য করা, আল্লাহর নিষিদ্ধ বিষয় প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা। সাওমের উদ্দেশ্যে শুধু খাওয়া পান করা যাবতীয় ভঙ্গ করে বিশ্লেষণ থেকে বিরত থাকা নয়। সাওম পালনকারি তার সিয়াম ও কিয়াম কবুল হওয়ার আশা করতে পারেন।

সাওম মাস নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক স্বপ্ন থাকে। এ মাসের কারণে আল্লাহ্ তায়ালা  মুসলিম জাতির উপর রহমত নাজাত দিয়েছেন খুশি হয়ে। আত্মা, রুহ, বলেন ,পানি দিতে গিয়ে যদি তার কন্ঠে ঢুকে যায়, আর সে ফিরাতে সক্ষম না হয় তাহলে কোন দোষ নেই। 

হাসান রহ. বলেন, সাওম পালনকারী ব্যক্তি যদি ভুলবশত স্ত্রী সহবাস করে ফেলে তবে তার কিছু করতে হবে না। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা  করেন তিনি বলেছেন, সাওমদার ভুলক্রমে যদি আহার করে বা পান করে ফেলে তাহলে সে যেন তার সাওম করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাকে পানাহার করেছেন"[সহি বুখারী, হাদিস নং ১৯৩৩]

সাওম পালনে কি কি সুফল রয়েছে

সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার হুকুম রয়েছে আমাদের জন্য। এবং সাওম পালনে যেগুলো সুফল রয়েছে সেগুলোর নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:

রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের জন্য এ রোজা খুবই উত্তম। কারণ এতে তাদের রক্তের সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনে। সামান্য সময় সব ধরনের খাবার খাওয়া পানি ও পান করা থেকে বিরত থাকায় রক্তের সরকারের মাত্রা কমায়, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়। রক্ত থেকে শরীরের বিভিন্ন কোষের শর্করা পৌঁছানোর প্রক্রিয়া আরো কার্যকর হয় এ প্রক্রিয়ায়।

সার্বিক সুস্বাস্থ্য: দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ একটি মারাত্মক শারীরিক সমস্যা যা ধীরে ধীরে হলে একজন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্ব হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। হৃদরোগ,ক্যান্সার, বাইক তাদের দুরারোগ্য টিকে ঢেলে দেয় সংক্রমণ। আর এই সংক্রমণকে কিছু মাত্রই দূরে রাখে রোজা বা সাওম নির্দিষ্ট সময় অবভুক্ত থাকা পর্যন্ত।

হৃদপিন্ডের জন্য ভালো: বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একটি বড় কারণ হৃদরোগ আর এই হৃদরোগে যোগী কমাতে পারে রোজা বা সাওম রাখা। রক্তচাপ এবং ট্রাইগ্লিসারাইড মাত্রা কমানোর মাধ্যমে বিদ্রোহ প্রতিরোধ ভূমিকা রাখে রোজা বা সাওম পালন করা।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন কমাতে অনেক নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকার পদ্ধতি অনুসরণ। এতে বিপাক ক্রিয়ার গতি বাড়ে এবং ওজন কমার প্রক্রিয়ার দ্রুততর হয়। যার ফলে অনাকাঙ্খিত ওজন কমাতে ক্যালারি গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের চারটে কার্যকর উপায় রোজা বা সাওম পালন করা।

বয়সের প্রভাব: এই ওপর বয়সের প্রভাব কে বিলম্বিত করতে পারে রোজা বা সাওম রাখার অভ্যাস বাড়াতে পারে। রোজা বা সাওম রাখলে আয়ু বাড়ে।

সাওমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

সাওম পালন করা আমাদের জন্য ফরজ। তাই আমাদের কাছে সাওমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:

  • সংযম অর্জন: সাওমের ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই যে বিষয়টি বেরিয়ে আসে তা হচ্ছে সংযম। মূলত সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে যুগে যুগে বিভিন্ন ধর্ম ও সমাজে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য সাওমের প্রচলন ছিল। ইসলামী শরীয়তের ফরয কৃত সাওম সেই লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সহায়ক।

তাই প্রতিটি মুমিনের জন্য কর্তব্য হলো সাওমের মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্য করা। আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেন, রমজান মাস হল ধৈর্যের মাস ধৈর্যের প্রতিদান হলো জান্নাত। এ মাসে আমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে ধৈর্যের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। যাতে রমজানের পরবর্তী সময়ে প্রতিটি মুহূর্তে কথায় কাজে জীবনের সকল ক্ষেত্রে বাস্তব প্রতিফলন ঘটানোর জন্য সাওম।

  • তাকওয়া অর্জন: সাওম থেকে থাকো শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। তাকওয়া অর্জন করার ক্ষেত্রে সাওমের কোন বিকল্প নেই। স্বামী শিক্ষা নিয়ে তাকওয়ার গুণাবলী অর্জনের মধ্য দিয়ে মানুষেরও কালীন কল্যাণ পরকালীন মুক্তি লাভ করতে পারে। 

ঈমান ও আত্মা বিশ্লেষণের সঙ্গে সাওম রাখলে জীবনে সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়। এই শিক্ষা যদি বাকি ১১ মাস কাজে লাগানো যেত তাহলে পৃথিবীতে এত অশান্তি অনাচার থাকতো না পবিত্র কুরআনে এসেছে, "যে সংশোধিত হলো সে সফলকাম হলো"।[সূরা আল- আ'লা আয়াত: ১৪] 

  • আর্থিক ও দৈহিক সুস্থতা অর্জন: সাওম মানুষের ভিতর ও বাহির দুই দিকে সংশোধন করে। মানুষের ভেতরের অবস্থা পরিবর্তন করা অর্থাৎ আলোকিত করা এবং তার স্বভাব চরিত্র আচার-আচরণ সংশোধন পূর্বক প্রকাশ্যভাবে সুন্দর করে গড়ে তোলা সাওমের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। 

এ পরিপ্রেক্ষিতে সাওম মানুষকে লোভ লালসা হিংসা বিদ্বেষ পরনিন্দা মিথ্যাচার প্রতারণা অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনে আকাঙ্ক্ষা প্রভৃতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখে আত্মসংযম শিক্ষা দেয়। মানুষের শারীরিক অবকাঠামো ঠিক রাখতে বর্তমানে চিকিৎসকরা ‌সাওম রাখা আছে। ইবন সিনা সাওমকে দুরারোগ্য সব রোগের চিকিৎসা বলতেন। 

  • সুন্দর সমাজ গঠন: সাওম পালনের দ্বারা মানুষের মধ্যে পারস্পরিক স্নেহ ভালবাসা মায়া মমতা আন্তরিকতা দানশীলতা উদারতা ক্ষমা সেনাপতি সমবেদনা সদাচরণ জন্মায়। সাওমের এ মহান শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের সমাজ ও পারিবারিক জীবনের শান্তি সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। 

রমজান মাস আসলে রাসুলুল্লাহ সাঃ  বেশি বেশি দান-সদকা করতেন। যেমন হাদিসে এসেছে, ইবন আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, "নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ধন সম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে সকলের চেয়ে দানশীল ছিলেন। 

রমজানে  জিব্রাইল আলাইহিস সাল্লাম যখন তার সাথে দেখা করতেন, তখন তিনি আরো অধিক দান করতেন। রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতে জিব্রাইল আলাইহিস সালাম তার সাথে একবার সাক্ষাৎ করতেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কোরআন শুনাতেন। 

জিব্রাইল আলাইহিস সালাম যখন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি রহমত প্রেরিত বায়ুর চেয়ে অধিক ধন সম্পদ দান করতেন"[1] তাই সাওম পালনের দ্বারা সমাজের দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

প্রকৃতপক্ষে সাওম প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে পারিবারিক সামাজিক অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক জীবনসহ সর্বস্তরের অনুশীলনের শিক্ষা দিয়ে থাকে। তাই আসুন সাওমের প্রকৃতির শিক্ষা ও উদ্দেশ্যের প্রতি যত্নবান হয়ে সাওম পালন করি।

সাওম কিভাবে পালন করতে হয়

সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার হুকুম রয়েছে । সাওম কিভাবে পালন করতে হয় সেগুলো আমাদের ইসলামী শরীয়ত সম্মত ভাবে সাওম পালন করতে হবে।আমরা সাওম পালনের সময় কিছু উপদেশ অনুসরণ করতে পারে এগুলো নিচে দেওয়া হলো:

  • সেহরি এবং ইফতারের সময় নির্ধারণ করুন এবং সেগুলো মেনে চলুন। এই সময় নিরাপদ থাকুন এবং একটি সম্মানজনক পরিমাণ খাদ্য পানীয় নিন। ইফতারের সময় অনেক লোক দাওয়াত দিয়ে সময় কাটিয়ে থাকেন।
  • সাওমের সময় ধরে খাদ্য পানিও সেখান থেকে বিরত থাকুন। সাওম পালন করার সময় নিজেকে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • সাওম পালনের সময় দাওয়াত দিয়ে অনেক অন্যদেরকে সাহায্য করুন। সাওম পালনে আল্লাহ তায়ালার নিকট আপনার দোয়া কবুল হয়ে যাবে এবং আপনি সদকা বন্ধুদের সহায়তা করতে পারেন।
  • সাওম পালনের সময় আল্লাহ তায়ালার নিকট নিজেকে আত্মশুদ্ধির চেষ্টা করুন। অন্যান্য কিছু উপদেশ হতে পারে।
  • কাজের সময় সাওম পালন করার জন্য নির্ধারিত সময় এবং সুযোগ না থাকলে সাওম পালন না করা উচিত। সাওম পালন করতে বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত করা যেতে পারে।
  • সাওম পালন করতে সময় এবং উপস্থিতি না থাকলে কাজের সময় সাওম ভঙ্গ করে সেহরি খাওয়া উচিত।

সাওম কি ও সাওমের পারিভাষিক সংজ্ঞা কি 

সাওম কি ও সাওমের পারিভাষিক সংজ্ঞা কি এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:আল কামসুল ফিকির গ্রন্থে বলা হয়েছে, 

"সাওম হলো, নির্দিষ্ট সময় সুনির্দিষ্ট কার্যাবলী থেকে নিয়ত সহ সাওম ভঙ্গকারী হাকিকী ও হুকুম (খাওয়া পান করে এবং যৌন সমগ্র) বিষয় থেকে বিরত থাকা"[2] কারো কারো মতে, সাওম হচ্ছে মুকাল্লাফ তথা শরীয়তের নির্দেশনা প্রযোজ্য এমন লোকের পক্ষ থেকে নিয়ত সহ  রাত থেকে খাবারটা থেকে বিরত থাকা।

যুরযানী রহ. বলেন,"সুবহে সাদিক থেকে মাগরিব পর্যন্ত খাদ্যগ্রহণ এবং যৌনাচার থেকে নিয়ত এর সাথে বিরত থাকার নাম হলো সাওম।"[3] বদরুদ্দিন আইনী বলেন,"খাওয়া পান করা এবং যৌনাচার তিনটি কাছ থেকে নিয়ত সহ বিরত থাকার নাম হলো সাওম।"[4]

শরীয়াতের দৃষ্টিতে সুবহে সাদিক  থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার যৌনাচার শরীয়ত নির্ধারিত বিধি নিষেধ থেকে নিয়ত সহ বিরত থাকাকে সাওম বলে। শরীয়াতে ঈমান সালাত ও যাকাতের পরে সাওমের স্থান। জয় ইসলামের চতুর্থ রুকন। সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার হুকুম রয়েছে কেননা আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবার জন্য সাওম ফরয করেছেন।

সাওমের পরিচয় কি

সাওম শব্দটি আরবি , এক বচন ,এর বহুবচন হলো সাওম। সাওম পালনকারীকে সায়েম বলা হয়। ফার্সিতে বলা হয় রোজা এবং রোজা পালনকারীকে বলা হয় রোজাদার। এর শাব্দিক অর্থ হলো, পানাহার ও নির্জন বাস থেকে বিরত থাকা। অভিধান শব্দটির অর্থ সম্পর্কে বলা হয়েছে,"কোন কিছু থেকে বিরত থাকা, সাওম পালনকারীকে 'সায়েম' বলা হয় এজন্য যে সে খাদ্য ,পানি, ও জৈবিক জায়গা থেকে বিরত থেকেছে।"

"চুপ থাকা ব্যক্তিকে সায়েম বলা হয় কেন সে কথা বলা থেকে বিরত থেকেছে। এমনিভাবে যে ঘোড়া খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত রয়েছে তা কেউ সায়েম বলা হয়।"ইবন আরাবী রহ. বলেছেন, "কোন ব্যক্তি যখন গাছের নিচে ছায়া নিচ্ছে তাকে বলা সমার রজুল।"(লক্ষ্মী ছায়ার থেকে চলাফেরা থেকে বিরত থেকেছে)। লাইস রহ. বলেছেন,"সাওম হলো খাদ্য কথা বলা থেকে বিরত থাকা।"

যেমন কুরআনে এসেছে,"অতঃপর তুমি খাও পান কর এবং চোখ জুড়াও। আজ যদি তুমি কোন লোককে দেখতে পাও তাহলে বলে দিও, 'আমি পরম করুণাময়ের জন্য চুপ থাকার মানত করেছি। অতএব, আজ আমি কোন মানুষের সাথে কিছুতেই কথা বলবো না।"[সূরা মারইয়াম, আয়াত ২৬]"ঘোড়া যখন খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকে তাকে বলা হয় 'সমাল ফারাস', 

আবার সাওম অর্থ কোন কাজ না করা। বলা হয়, 'সমাতির রিহ' বাতাস যখন থেমে থাকে ।"সুফিয়ান ইবনে উয়াইনাহ বলেছেন, সাওম অর্থ ধৈর্য। কেননা মানুষ খাদ্য পানি ও স্ত্রী সহবাস থেকে ধৈর্য ধারণ করে। অতঃপর তিনি বলেন কেবল ধৈর্যশীলদের তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেওয়া হবে কোন হিসাব ছাড়াই"। [সূরা সূরা আজ যুমার আয়াত ১০][1]

সাওমের ইতিহাস ও তাৎপর্য

সাওমের ইতিহাস ও তাৎপর্য নিয়ে এগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:

  • যুগে যুগে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সাওম: সাওম পারো যার নাম ও উদাহরণ বেতের বিভিন্ন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বহুল প্রচলিত একটি ধর্মীয় বিধান, যা মুসলিমদের জন্য অবশ্য পালনীয় ফরজ একটি ইবাদত। শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শরীয়াতে যেমন আল্লাহর পক্ষ থেকে সাওমের  বিধান দেওয়া হয়েছে,

তেমনি সাওমের বিধান দেওয়া হয়েছিল পূর্ববর্তী নবীদের শরীয়তের পূর্ববর্তী জাতি গুলোর ধর্ম-কর্মেও। আসমানি ধর্ম ছাড়া মানব রচিত বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সাওমের বিধান রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন: "হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সাওম ফরয করা হয়েছে। যে রূপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর।

যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।"[সূরা আল বাকারা, আয়াত ১৮৩] এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে পূর্ববর্তী প্রত্যেক নবী প্রত্যেক জাতির মধ্যে প্রচলিত ছিল সাওম বা রোজা নামের এই ধর্মানুষ্ঠান। তাফসীরে কুরতুবীতে উঠতে আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে,"আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহুর মতে, ইসলামের প্রাথমিক যুগে প্রত্যেক মাসে তিন দিন ও আশুরার দিনে সাওম ফরয ছিল,

যেমনি ভাবে তোমাদের পূর্ববর্তী ইয়াহুদি সম্প্রদায়ের উপর মাসে তিন দিন ও আশুরার দিনে সাওম ফরয ছিল। পরবর্তীতে রমজান মাসের দ্বারা এ সাওম রোহিত হয়। মুআয জীবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, উক্ত তিনদিনের সাওম নির্দিষ্ট কয়েকদিনের সাওমের দ্বারা পালন হয়। অতঃপর উক্ত কয়েকদিনের সাওম আবার রমজানের সাওম দাড়া পালন হয়। [1]

ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,"নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার দিনে সাওম পালন করেছেন এবং এ সিয়ামের জন্য আদেশ ও পালন করেছে। পরে যখন রমজানের সাওম ফরয হলো তখন তা ছেড়ে দেওয়া হয়। 

আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এ সাওম পালন করতেন না তবে মাসের যে দিনগুলোতে সাধারণ সাওম পালন করতেন, কার সাথে মিল হলে করতেন। [2] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,"জাহেলী যুগে কুরাইশগণ আশুরার দিন সাওম পালন করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরে এ সাওম পালনের নির্দেশ দেন। 

অবশেষে রমজানের সাওম ফরয হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যার ইচ্ছা আশুরার সাওম পালন করবে যার ইচ্ছা সে সাওম পালন করবে না।"[3] আমরা এখনো আদি পিতা আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত বিভিন্ন আসমানী ধর্মে মানব রচিত অন্যান্য ধর্ম ও সম্প্রদায়ের যুগে যুগে সাওমের বিধান ও ধরণ নিয়ে আলোচনা করব। 

  • আদম আলাইহিস সালামের শরীয়াতে সাওম: প্রথম নবী আদম আলাইহিস সালামের শরীয়তে সিয়ামের বিধান দেওয়া হয়েছিল বলে তাফসীর গ্রন্থ উল্লেখ্য পাওয়া যায়। অবশ্যই সেই সিয়ামের ধরন ও প্রকৃতি কেমন ছিল তা আমাদের জানা নেই। 

এ বিষয়ে বাইবেল পুরান বিশুদ্ধ হাদিসের কিতাব একেবারে নিশ্চুপ। বলা হয়ে থাকে, পূর্ববর্তী প্রত্যেক নবী শরীয়তের চন্দ্র মাসের ১৩-১৪-১৫ তারিখে সিয়ামের বিধান ছিল। এ সাওম আইয়াম বীজ বা শুভরাত্রি গুলো দিনে সাওম নামে খ্যাত। 

  • নুর আলাইহিস সালামের সাওম: তাফসীরে ইবন কাসীরে এসেছে,"প্রসিদ্ধ তাফসীরবিদ মুয়ায, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাজল্লাতলা আনহু, আতা, কাতাদা ও দাহহাক রহ. বর্ণনা করেন, নুর আলাইহিস সালাম হতে শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত প্রত্যেক নবীর যুগে প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়ামের বিধান ছিল। পরবর্তী ইহা রমজানের সাওম ধারা রহিত হয়।[4] 

আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,"আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, নূহ আলাই সাল্লাম ঈদ উল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন বাদে সারা বছর সাওম পালন করতেন।"[5]

  • দাউদ আলাইহিস সালামের সাওম: আসমানী কিতাব যুবুর প্রাপ্ত বিখ্যাত নবী দাউদ আলাইহিস সালামের যুগেও সাওমের প্রচলন ছিল। আব্দুল্লাহ ইবন আমার  রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,"আল্লাহর কাছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সাওম দাউদ আলাই সালামের সাওম তিনি একদিন সাওম পালন করতেন এবং একদিন বিনা সাওম থাকতেন"।[6] 
  • ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের সাওম: মুসলিম মিল্লাতের পিতা প্রাপ্ত নবী ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের যুগে ৩০ টি সাওম ছিল বলে কেউ কেউ লিখেছেন। সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার হুকুম রয়েছে কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন সাওম পালন করা আমাদের জন্য ফরজ।
  • মুসা আলাইহিস সালাম ও ইহুদি ধর্মে সাওম: ইহুদিদের ওপর প্রতি শনিবার বছরের মধ্যে মহরমের 10 তারিখে আশুরার দিনে এবং অন্যান্য সময় সাওম ফরয ছিল। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম মদিনায় হিজরত করে ইহুদীদের আশুরার দিনে সাওম অবস্থায় পেলেন। 

তিনি তারে জিজ্ঞেস করলেন আজকে তোমরা কিসের সাওম করছ? তারা বলল, এটা সে মহান দিন যেদিন আল্লাহতালা মূসা আলাই সাল্লাম ও তার কও বনি ইসরাইল ফেরাউনের কবর থেকে মুক্ত করেছিলেন। হলে শুকরিয়া স্বরূপ মূসা আলাইহিস সালাম ওই দিনে সাওম রেখেছিলেন, তাই আমরা আজকে সাওম করছি। 

এই কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমাদের অপেক্ষায় মুসা আলাইহিস সালামের অধিক নিকটবর্তী। এরপর তিনি এই দিন সাওম পালন করেন এবং সবাইকে সাওম রাখার নির্দেশ দেন [7] মুসা আলাইহিস সালাম তুর পাহাড়ে আল্লাহর কাছ থেকে তাওরাত প্রাপ্তির আগে ৪০ দিন টানা পানাহার ত্যাগ করেছিলেন। 

ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থের তাড়াতে বর্ণিত আছে, মুসা আলাই সালাম তুর পাহাড়ে ৪০ দিন পানাহার না করে কাটিয়েছিলেন। তাই ইহুদিরা সাধারণভাবে মুসা আলাই সালাম এর অনুসরণে ৪০ টি সাওম রাখা ভালো মনে করতো। ৪০ তম দিনটি তাদের ওপর সাওম রাখা ফরয ছিল। যা ইহুদীদের সপ্তম মাস ৩০ দিনে দশম তারিখে পড়তো। 

এজন্য ওই দিনটিকে আশুরার বা দশম দিন বলা হয়। এছাড়া ইহুদি সৈকতে অন্যান সাওমের সুস্পষ্ট হুকুম রয়েছে। ইহুদিরা বর্তমানে নয় আগস্ট ইহুদী হাইকাল বায়তুল মুকাদ্দাস ধ্বংস দিবসে সাওম রাখে, এই তিন তারা খাদ্য, স্ত্রী সহবাস জুতা পরিধান থেকে বিরত থাকে। এছাড়া ১৩ নভেম্বর 17 জুলাই ১৩ মার্চ ও বিভিন্ন দিবসে সাওম পালন করে। 

  • ঈসা আলাই সাল্লাম ও খ্রিস্টান ধর্মে সাওম: আসমানি কিতাব ইনজিল প্রাপ্ত বিশিষ্ট নবী ঈসা আলাইহিস সালামের যুগে সাওমের প্রমাণ পাওয়া যায়। ঈসা আলাইহিস সালামের অনুসারী সম্প্রদায় সাওম রাখতেন। বর্তমান তাদের দু ধরনের সাওম আছে। প্রথম হলো, তাদের ফাদার এর উপদেশে নির্দিষ্ট কয়েকদিন খাদ্য পানীয় থেকে বিরত থাকা আর ইফতার হবে নিরামিষ দিয়ে।

আরো পড়ুনঃ চিরতা যাদুকরী যত গুনাগুন ও চিরতা কতদিন খাওয়া যায়

মাছ মাংস দুগ্ধ যার জিনিস খাওয়া যাবে না। যেমন ,বড়দিনের সাওম, মারিয়ামের সাওম ইত্যাদি। তাওবার সাওম ৫৫ দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়। এমনিভাবে সপ্তাহে বুদ ও শুক্রবারের সাওম। দ্বিতীয় ধরনের সাওম হলো খাদ্য থেকে বিরত থাকা, তবে মাছ খাওয়া যাবে।

এ সাওমের মধ্যে ছোট সাওম জন্মদিনের সাওম, এয়ারটেল ৪৩ দিন দীর্ঘায়িত হয়, দ্রুতগনের সাওম মারিয়ামের  সাওম ইত্যাদি। তবে তাদের ধর্ম কোন সাওম ফরয নয় বরং কেউ ইচ্ছা করলে রাখতে পারে।

  • গ্লিক ও রোমানদের সাওম: গ্রীস ও রোমানরা যুদ্ধের আগে সাওম রাত তো যাতে খোদা ও কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। খ্রিষ্টান পাত্রীদের ওপারিসিক অগ্নিপূজকদের এবং হিন্দু যোগী ধর্মালম্বীদের মধ্যে সাওমের  বিধান ছিল। পারসিক ও হিন্দু যোগীদের সাওমের ধরন ছিল ।

এই রূপ তারা সাওম থাকা অবস্থায় মাছ-মাংস পাখি ইত্যাদি ভক্ষণ করা থেকে বিরত থাকতো বটে কিন্তু ফলমূল এবং সামান্য পানীয় গ্রহণ করত। মূর্তিপূজাকে রিসীরা সাওমের ব্যাপারে এতই কথা ছিল যে তারা সাওম থাকা অবস্থায় মাছ মাংস পাখি ইত্যাদি ভক্ষণ করা থেকে বিরত থাকতো স্ত্রী সহবাস করত না।

সারা বছর সাওম রেখে আত্মা কষ্ট দিত আর এভাবে তারা পবিত্রতা অর্জনে সাধনা করতো। প্রাচীন চিনা সম্প্রদায়ের লোকেরা একেবারে কয়েক সপ্তাহ সাওম রাখত। 

  • জাহেলী যুগে সম্প্রদায়ের সাওম: জীবন আদিব তার ফিহরা সাত কিতাবে নবাব খণ্ডে উল্লেখ্য করেন স্যারের সম্প্রদায়ের লোকেরা যারা গ্রহণক্ষত্র পূজা করে ৩০ দিন সাওম পালন করত। আষাঢ় মাসের আট দিন অতিবাহিত হলে এ সাওম শুরু হতো কাননে আউয়াল মাসে নয়টি শাবান মাসে ৭ টি সাওম।এই সাত সাওম পালনের পরে তারা ঈদুল ফিতর উদযাপন করতো। সাওম অবস্থায় তারা খাদ্য পানি ও স্ত্রী সবার থেকে বিরত থাকতো। 
  • হিন্দু ধর্মে সাওম বা উপবাস: বেদের অনুসারী ভারতের হিন্দুদের মধ্যে ব্রত অর্থাৎ উপবাস ছিল। প্রত্যেক হিন্দি মাসের ১১ তারিখে ব্রাহ্মণদের ওপর একাদশীর উপবাস রয়েছে। এই হিসাবে তাদের উপবাস 24 টি হয়। কোন কোন ব্রাক্ষণ কার্তিক মাসে প্রত্যেক সম্ভার উপবাস করেন।

কখনো হিন্দুযোগীরা ৪০ দিন পানা ত্যাগ করে ৪০ এ ব্রত পালন করেন। হিন্দু মেয়েরা তাদের স্বামীদের মঙ্গল কামনা কার্তিক মাসের ১৮ তম দিবসে কারুয়া চাওত  নামে উপবাস রাখে।

  • বৌদ্ধ ধর্মে সাওম বা উপবাস: তাড়াতাড়ি চন্দ্র মাসের এক নয় পনের ২২ তারিখে চারদিন উপবাস পালন করে। এছাড়া বৌদ্ধ গুরুরা দুপুরের খাবারের পর থেকে সব ধরনের খাদ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। তারা এভাবে খাদ্য থেকে বিরত থেকে সংযোজন শারীরিক নিয়ন্ত্রণ করে। মঙ্গলিরা প্রতি ১০ দিন অন্তর ও যারাদাস্তিরা প্রতি ৫ দিন অন্তর সাওম পালন করতো। 
  • জাহেলি যুগে সাওম: ইসলামী সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর আগে আরবের মুশরিকদের মধ্যেও সিয়ামের প্রচলন ছিল। যেমন আসুর দিনে কুরাইশরা জাহেলী যুগে সাওম রাখতেন। 

সাওম পালনে আল্লাহ তায়ালার বাণীটি কি 

আল্লাহ তাআলা বলেন, "হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সাউন্ড খরচ করা হয়েছে। জেরু খরচ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর। যেন তোমরা থাকো অর্জন করতে পারো।"[সূরা আল বাকারা, আয়াত: ১৮৩] ইসলামে সাওমের রয়েছে কতিপয় শর্ত ও বৈশিষ্ট্য। 

সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইবাদতের নিয়তে যাবতীয় পানাহার, স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার নাম সাওম। সাহরি খাওয়া ইসলামী শরীয়তের সাওমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ইসলামের রমজানের সাওম ফরয , অন্যান্য সাওম মুস্তাহাব, যেমন, আরাফাতের সাওম, মহরমের সাওম, শবে বরাতের সাওম, পতি চন্দ্র মাসে ১৩ ১৪ ১৫ তারিখে  সাওম ইত্যাদি।

সাওম ঢাল স্বরূপ কেন

সাওম ঢাল স্বরূপ এর অর্থ: "হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা বা সাওম রেখেছি এবং তোমারি দোয়া রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি। আল্লাহ্ তায়ালা কোরআনে কারীমে সূরা বাকারার ১৮৭ নম্বর আয়াতে সাওম ভঙ্গের কারণ গুলোর মূলনীতি উল্লেখ্য করেছেন:"এখন তোমরা নিজের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করে এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা কিছু লিখে রেখেছেন তারা (সন্তান) তালাশ করে"।

পরিশেষে 

সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার করলে তার হুকুম কি জানুন এই আর্টিকেলটি পড়ে নিয়েছেন। আশা করি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। রোজা বা সাওম ঈমানদার ব্যক্তিদের জন্য কিছু সুখবর নিয়ে আসে। আল্লাহ তায়ালা এই সাওম বা রোজার মাসে শয়তান কে বন্দী করে রাখেন।
 
এই সময় যারা আল্লাহ্ পাকের আনুগত্য এবং আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করতে পারেন তারাই কামিয়াবী লাভ করেন।রমজান মাসে আমরা বেশি বেশি করে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করবে এবং আনুগত্যের স্বীকার করব। সাওম পালনকারী ভুলে পানাহার না করে ইসলামী শরীয়ত সম্মত সঠিকভাবে সাওম পালন করা উত্তম।

প্রিয় পাঠক আমাদের এই ওয়েবসাইটের নতুন নতুন ইসলাম তথ্যের আপডেট দেওয়া হয়ে থাকে। আপনাদের এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাদেরও জানার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url