বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়
বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় বিসিএস প্রিলির কতদিন পর রিটেন হয় জেনে
নিন। বিসিএসকে বলা হয় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। এছাড়াও বিসিএস পরীক্ষা
সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। বিসিএস পরীক্ষা প্রতিবছর মে থেকে জুন মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
এই সময় বিসিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিসিএস পরীক্ষার সময়সীমা ৩০ বছর হয়ে থাকে। তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যম বিসিএস পরীক্ষার বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরবো। আপনি
যদি জানতে চান, কত বছর পর পর হয়ে থাকে এ বিষয়ে তাহলে নিচের অংশগুলো পড়তে
হবে।
পোস্টসূচিপত্র: বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়
- বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়
- বিসিএস প্রিলির কতদিন পর রিটেন হয়
- বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে
- বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা বয়স সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়ে থাকে
- বিসিএস লিখিত পরীক্ষা কত দিনে হয়
- বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
- বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি
- বিসিএস পড়ার নিয়ম
- বিসিএস পরীক্ষার পদ্ধতি
- বিসিএস পরীক্ষার ফি
- বিসিএস এর বিষয় সমূহ বিসিএস পরীক্ষার ফি
- FAQs
- লেখক মন্তব্য
বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়
বিসিএস পরীক্ষার সময়সীমা ৩০ বছর হয়ে থাকে। এর জন্য বিসিএস পরীক্ষায়
আপনার বয়স ত্রিশ বছর হওয়ার পূর্বে যতবার ইচ্ছা ততবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে
পারবেন। তবে এবিসিএস পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা নিউজ দেখা গেছে
দুইবারে বেশি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া হবে না এরকম সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে।
কারণ যখন একজন পুরাতন ব্যক্তি অধিক বার বিসিএস পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে তখন
এখানে নতুনদের টিকে থাকা কিছুটা মুশকিল হয়ে পড়ে। কারণ পুরাতন ব্যক্তি
কয়েকবার অংশগ্রহণ করে বেশি দক্ষতা অর্জন করে ফলে এতে করে নতুনদের জন্য
অনেক খারাপ।
তবে সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকরী হবে তা এখনো জানা যায়নি। ৩৫ বছর হওয়ার আগে
যতবার ইচ্ছা ততবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। ৩০ বছর পর আর বিসিএস
পরীক্ষা দেওয়া যাবে না।
বিসিএস প্রিলির কতদিন পর রিটেন হয়
বিসিএস প্রিলির কতদিন পর রিটেন হয় এটা সঠিক কোন উত্তর নেই। তবে যতটুকু
জানি বা জেনেছি সেটাই আমি বলব। এটা নির্ভর করে একমাত্র সরকারি কর্ম কমিশনের
উপরে। সরকারি কর্মকমিশন সিদ্ধান্ত নেয়। তারা যখন সময় নির্ধারণ করবে তখনই
রিটেন পরীক্ষা হবে। তবে বিসিএস পিলের পর তিন মাস থেকে ছয় মাসের মধ্যে
থাকে।
আরো পড়ুন: CYBER SECURITY তে ক্যারিয়ার কীভাবে গড়বেন?
বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে
বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসএসসি এইচএসসি স্নাতক ডিগ্রী মাস্টার সব
মিলিয়ে ১১.৫০ পয়েন্ট তাকে বিশেষ পরীক্ষার জন্য আবেদন করা যাবে। কোন
পরীক্ষায় কত পয়েন্ট পেলে আপনি বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন তা
জেনে নিন।
- এসএসসি পরীক্ষাতে সর্বনিম্ন ৪.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে।
- এইচএসসি পরীক্ষার সর্বনিম্ন ২.৫০ পয়েন্ট থাকতে হবে।
- ডিগ্রী স্নাতক পরীক্ষার সর্বনিম্ন ৩.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে।
- মাস্টার্স পরীক্ষা সর্বনিম্ন ৩.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে।
এই পয়েন্ট যদি আপনার থাকে তাহলে বিশ্বাস করি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে
আপনার যদি এ পয়েন্টে চান্স অনেকজন থাকে। সেজন্য আপনার যদি আরও বেশি
পয়েন্ট থাকে তাহলে ভাল হয়। তবে আপনি যদি এইচএসসি পরীক্ষা কম পয়েন্ট
থাকে তাহলে ইন্টারভিউ পরীক্ষায় বাদ পড়তে পারবেন। তাই সবকিছু মাথায়
রাখতে হবে।
বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা বয়স সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
কঠিন প্রতিযোগিতামূলক একটি পরীক্ষা হল বিসিএস পরীক্ষায় এখানে পরীক্ষা
দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম যোগ্যতা প্রয়োজন হয়। এগুলো সকল যোগ্যতা যখন
একজন ব্যক্তির মধ্যে থাকে এবং সেগুলো প্রকাশ করতে পারে সেই ব্যক্তি
নির্বাচিত হয়। সাধারণ বিসিএস পরীক্ষার্থীদের বয়স সীমা ২১ থেকে ৩০ বছর।
মুক্তিযুদ্ধে পুত্রকন্যা এবং প্রতিবন্ধী কোটায় বয়সসীমা ৩২ বছর।
এছাড়া বিসিএস কারিগরি শিক্ষা সাধারণ শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্যাডারের
উপজাতিদের বয়সসীমা ৩২ বছর হয়ে থাকে। আর বিসিএস পরীক্ষার জন্য অনেক গুলো
যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। সেগুলো হল শিক্ষাগত যোগ্যতা শারীরিক যোগ্যতা
নাগরিকত্ব এবং বয়সসীমা। শিক্ষাগত যোগ্যতার মধ্যে কমপক্ষে স্নাতক পাস করতে
হবে তাহলে বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবে।
এছাড়া কেউ যদি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে তিন বছর মেয়াদি ডিগ্রী কোর্স করে
তাহলে ডিগ্রী পাস করার পরে মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর তো পাস করতে হবে তারপর
বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবে। এবং বিশেষ পরীক্ষা দেয়ার জন্য অবশ্যই
বাংলাদেশী নাগরিকত্ব থাকতে হবে। শারীরিক যোগ্যতা প্রয়োজন আগে লিখিত বা
মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে শারীরিক যোগ্যতা মেডিকেল টেস্ট করাতে হবে।
মেডিকেল টেস্টে সাধারণত ওজন দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষা উচ্চ বক্ষ পরীক্ষা করা
হয়ে থাকে। তো আশা করছি বুঝতে পারলাম বিশ্বাস পরীক্ষার জন্য আপনাকে কি
যোগ্যতা থাকতে হবে বয়স সীমা এগুলো।
বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়ে থাকে
এটাকে বলা হয় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। তো যারা বিশ্বাস করে দিতে চাচ্ছেন
তাদের মনের প্রশ্নটি অবশ্যই আসে যে বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়? আপনার
অত জানেন বাংলাদেশের চাকরির বয়স আমার 60 বছর হয়ে থাকে সে যেন প্রতি বছর
শূন্য কোটা হয়ে যায়। কারণ প্রতিবছর কারো না কারো ৬০ বছর পূর্ণ হয়ে
যায়।
এতে করে নতুনদের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে শূন্য কথাগুলো পূরণ করা যায়। সে জন্য
বিসিএস পরীক্ষা প্রতিবছর হয়ে থাকে। এবং বিসিএস পরীক্ষা প্রতিবছর মে থেকে জুন
মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই সময় বিসিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বিসিএস লিখিত পরীক্ষা কত দিনে হয়
বিসিএস লিখিত পরীক্ষা কতদিনে হয় এটা সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব নয় কারণ
বিসিএস এর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে বিসিএস লিখিত পরীক্ষা কত দিনে হবে।
অনেক সময় প্রিলির দেখা যায় তিন মাস পর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় আবার
অনেক সময় ছয় মাস পর লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে।
যখনই হোক আমাদের সব সময় আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে। বিশেষ করে যখন
শুরু হবে তখন এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার আগে সঠিক কিছু বলা যায় না। বিশেষ
পরীক্ষার উপর নির্ভর করে লিখিত পরীক্ষা কত দিনে হবে বা কবে হবে।
বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
বিসিএস রিটেন লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল এবং অন্যান্য সরকারি বেসরকারি
চাকরির বেতন পরীক্ষার গুলো কাজে লাগবে। তাই মনোযোগ সহকারে ব্যাপারগুলো বোঝানো
এত করার চেষ্টা করুন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যায় বিসিএস রিটেন পরীক্ষার কৌশল
অবলম্বন করে কিভাবে মাত্র ২৪ ঘন্টা নিজেকে প্রস্তুত করবেন এবং পরীক্ষার কোন
কোন বিষয়ে থাকা উচিত:
- যেকোনো পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় আছে পরীক্ষার হলে সময় সঠিক ব্যবহার করা হত্যা সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট।
যেমন: আপনি কি প্রশ্ন খুব ভালো পারেন। এবং এটার জন্য মার খাচ্ছে ৫ থেকে ১০।
আপনি যদি এই পাশ থেকে দশ মার্গের জন্য অধিক সময় ব্যয় করেন পরবর্তীতে দেখা
যাবে আপনি সময়ের অভাবে ৪০ মারার উত্তর দিতে পারেন নাই এমনভাবে করছেন যে
পরীক্ষক আপনার লেখা বুঝতে পারছেন না।
আপনাদের ৩০-৪০ নাম্বার উত্তর না করে বাকি ১৭০-৮০ যতই ভালো লিখুন না কেন
কখনোই সে ছাত্র মেনটেন করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একইভাবে ২০০ মার্কের
উত্তর করবে তার চেয়ে বেশি নাম্বার আপনি পাবেন না এটা নিশ্চিত থাকুন। তাই
পরীক্ষার হলে টাইম মেনটেন করতে চাইলে শুরুতে শত ভাবে ব্যবহার করতে
হবে।
- আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর জন্য সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন অর্থাৎ একটি চার মার্কের জন্য মিনিট সময় যতটুকু লিখতে পারবেন লিখবেন অর্থ সংক্ষিপ্ত ৪০ মিনিট ৭২ মিনিট লিখে শেষ করতে হবে।। প্রতিটি পনেরো মার্কেটে প্রশ্নের জন্য ২৭ মিনিট করে লিখতে পারবেন। ২৭ মিনিট যত পেজ লিখতে পারেন লিখবেন।
- বিজ্ঞানে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। তাই শুরু থেকে টাইমকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। কম্পিউটার ২৫ মার্কের জন্য ৪৫ মিনিট আর ইলেকট্রনিক্সের ৬টি প্রশ্নের জন্য ২৭ মিনিট সময় পাবেন। আর বাকি সময় অত্যাচার ১০৮ মিনিট বিজ্ঞান লেখার জন্য বরাদ্দ রাখবেন না অনেকে সময়ের অভাবে বিজ্ঞানে একশ উত্তর করতে পারেন না। এটা মাথায় রাখবেন যে কোন মূল্যে ১০০ লিখতে হবে।
- সরাসরি উত্তর না লিখে সংক্ষিপ্তভাবে ৩-৪ লাইন একটি ভূমিকা লিখতে চেষ্টা করবেন এবং শেষে তিন চার লাইন উপসংহার দিতে চেষ্টা করবেন।
- পরীক্ষার সময় নীল কালে ব্যবহার করে আপনি গুরুত্বপূর্ণ লাইন বা তথ্য না করে সরাসরি করতে পারবেন।
- পরীক্ষার সময় এই দিক ঐদিক তাকাবেন না কে কি লিখছে তা দেখতে যাবেন না। অনেক সময় দেখা যাবে পাশের জন অনেক বেশি লিখছে এতে মনে হবে আপনি কিছুই পারেন না বা আত্মবিশ্বাস কমে যাবে তাই এদিক ওদিক তাকানো ঠিক না।
- যেকোনো মূল্যে গণিত মানসিক দক্ষতা ছাড়া বাকি বিষয়গুলো কামনা করলেও চিন্তা করে বানিয়ে বানিয়ে সব লিখে দিয়ে আসবেন অর্থাৎ কোন কিছু বাদ দেওয়া যাবে না।
- কোন পরীক্ষায় খারাপ হলে বাকি পরীক্ষা না দেওয়ার মতো বোকামির কাজ করবেন না সবগুলো পরীক্ষা দিবেন।
- বেশি দেখলে বেশি নাম্বার পাবেন এটা কিন্তু ঠিক না বরং সঠিকভাবে কম লিখলে ওদের নাম্বার পাবেন। তাই যথাযথ দ্রুত সঠিক উত্তর দিতে চেষ্টা করবেন
- পরীক্ষার প্রশ্নপের সাথে সাথে লেখা শুরু করার পূর্বে এক দুইবার ভালো প্রশ্নটা পড়ে নেবেন আসলে কি চাচ্ছে সেটা বোঝার জন্য। অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষা আছে দুইটা বিষয়ের মধ্যে সম্পর্কে কি কিন্তু আপনি ভালো করেন না পরে দুটো বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য লিখেছেন এরকম ভুল যেন না হয়।
- পরীক্ষায় নিজের বিষয় কোড নিজের নাম স্বাক্ষর সুন্দরভাবে লিখবেন এবং হাজিরা খাতার সেইম স্বাক্ষর করবেন। পরীক্ষার মেইন খাতায় বিশটা পৃষ্ঠা থাকে। লেখা শুরু করার আগে দেখে নিবেন ভিতরে কোন পাতা ছাড়া আছে কিনা কম আছে কিনা অতিরিক্ত পেজ নিলে ও এম আর এর অবশ্যই বৃত্ত ভরাট করবেন।
- পরীক্ষার সময় সবগুলো রিলেশন দেওয়া সম্ভব হবে না তাই এটা পড়ি নাই ওটা পড়ি না এগুলা নিয়ে চিন্তা করবেন না। পরীক্ষা হলে প্রশ্ন পেলে আপনার সহজে মনে আসবে ইনশাল্লাহ।
বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি
প্রথমে আপনি বিগত বছর একটা প্রশ্ন ব্যাংক নিয়ে এনালাইসিস করুন। প্রশ্ন
প্যাটার্ন বুঝুন। বিগত বছর বলতে ৪৫-৪০ তম পর্যন্ত ভালো করে দেখবেন। বিসিএস এর
ক্ষেত্রে পড়াশোনার বাউন্ডারি টা একটু বেশিই। প্রিভিয়াস ইয়ার ঘেটে আপনাকে
এটা বুঝতে হবে যে কোন বিষয়ে পড়তে হবে আর কোন বিষয়টা বাদ দিতে হবে।
কারন বেশি বললে আপনি হয়তো বেশি জানবেন। কিন্তু কতটুকু মনে রাখতে পারতেছেন
সেটা ফ্যাক্ট। অনেক বললেন কিন্তু এক্সামে পারলেন না তাহলে লাভ কি!!!! আবার সে
জিনিসটা অনেক পর্বর মাথায় থাকে না সেটা বাদ দেন। মনকে বোঝান যে সেটা এক্সামে
আসবেনা। যেসব বিষয়ের উপর প্রশ্ন হয় তার ওপর আপনার স্ট্রং আর উইক জন কোন
গুলো সেটা নির্বাচন করুন।
এটা মাথায় রাখতে হবে যে আপনার স্টক জন গুলো তো আপনাকে ভালো করতেই হবে। আবার
এমন হতে পারে যে আপনার স্ট্রং গুলো ভালো প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও এমন প্রশ্ন
আসছে আপনি পারতেছেন না। এরকম হতে পারে। মনে রাখবেন কোনদিন অতিরিক্ত কঠিন হয়
সেটা সবার জন্য কঠিন। সো সেটা নিয়ে টেনশন না করলেই হয়।
তারপর আপনার উইক জোন গুলোতে আপনাকে একটা মার্কস টার্গেট রাখতে হবে। নাইলে ধরা
খাবেন। এরপর আপনি বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন। নৈতিকতা সুশাসন
প্রিলির ডেট দিলে তারপর পড়িয়েন আগে পরে খুব একটা লাভ হয় না। সব একই রকম
লাগে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ইদানিং দেখা যায় মৌলিক বিষয় থেকে প্রশ্ন হয় একটু
বুঝে শুনে পড়তে হবে।
কম্পিউটার ও সেইম। বাংলা ক্ষেত্রে প্রাচীন যুগ মধ্যযুগ পড়লে কমন পাওয়া যায়
তবে আধুনিক যুগের উপর জোর দিতে হবে। এটা ভালো করে পড়ে রাখলে রিটেন সুবিধা
পাবেন। এখন পিএসসি স্বীকৃত ১১ জন কবি সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। বাংলা
ব্যাকরণ একটু বুঝে শুনে করুন এসব একটু ঝামেলার বিষয়। এক্ষেত্রে দশম শ্রেণীর
ব্যাকরণ বইটা একটু জোক বলিয়ে নিতে পারেন।
ইংরেজি গ্রামার যে কোন একটা প্র্যাকটিস করাই ভালো। অবশ্যই স্ট্রং বোকা বলি
ইংরেজি ভালো করে পূর্ব শর্ত। ইংরেজি সাহিত্য অনেকের জন্য ক্রাশ। কনফিডেন্স
রিসার্চ ওয়ার্ক এর বইটা ভালো লেগেছিল। বেশি বিরক্ত লাগলে আধুনিক ও উত্তর
আধুনিক যুগ বাদ দিতে পারেন। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ভূগোল যে কোন সিরিজের বই
থেকে পড়তে পারেন।
বাংলাদেশের বিষয়বলিতে মুক্তিযুদ্ধ সংবিধান স্বাধীনতার ইতিহাস হিসেবে জোর
দিতে হবে। এসব রিটেনে কাজে লাগবে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মিলে প্রায় ২০ থেকে
২৫ নাম্বার সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান আসতে পারে। সেজন্য সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর
প্রতি ওয়াকিবহাল থাকা ভালো। না এটা না পারলে কারেন্ট এফিয়ারস আর এক্সামের
রিসেন্ট ভিউ করে নিতে পারেন।
ম্যাথের জন্য সাইন্স অর্থ বা খাইরুল যে কোন একটা বই থেকে নিয়মিত প্র্যাকটিস
করেন। আর ইন্টার বই থেকে বিনা সমাবেশ সম্ভবত দেখতে পারেন। ম্যাথের
ব্যাপারগুলো বুঝলে মানসিক দক্ষতা আপনার ইজি লাগবে। যেকোনো একটা বই থেকে
প্র্যাক্টিস করতে পারেন। মানসিক দক্ষতা একটু ভালো করে অনুশীলন করুন। প্রিলিতে
টিপলে এটা রিটেনেও কাজে দিবে।
পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার গুলো নোট ডাউন করে নিতে পারেন এক্সাম এর আগে
রাতে চোখ বুলাবেন। এক্সামের এক-দেড় মাস আগে একটা প্রিলির ডাইজেস্ট দাড়ি কমা
সহ চোখ বুলাবেন। যদি কোন কোচিং এতে পারেন তাহলে ভালো না হলেও খুব একটা সমস্যা
নাই। বাজার থেকে মডেল টেস্ট কিনে নিজে নিজে দিতে পারেন।
তবে বাজারে বইতে মাঝে মধ্যে ভুল উত্তর থাকে। ভোলসী কাছে না শিখাই ভালো। ওভার
রোল আপনি যদি প্রিলিং এক্সামে ১২০মিনিট নিষেধ করতে পারেন তাহলে আপনি রিটেনে
টিকতে পারছেন। প্রিলিং এক্সাম হল রিটেন দেওয়ার যোগ্যতা মাত্র।
নেগেটিভ মার্কিন কিন্তু ০.৫ এটা মাথায় রাইখেন। তো নিজের স্টাইলে প্রস্তুতি
নিতে থাকেন কত ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে এটার উত্তর যখন পড়া লাগে আর কি!
অনেকে প্রিলিং ব্রিটেন একসাথে পড়তে চাই। পরে দেখা যাবে পাস করতে পারে না।
তাই প্রথমে প্রিলি ফোকাস করা উচিত।
বিসিএস পড়ার নিয়ম
বিসিএস করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যদি এগুলো আপনি মেনে
চলতে পারেন তাহলে আপনি বিসিএস পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন। বিসিএস পরীক্ষা
যেন প্রস্তুতি নিতে চাইলে প্রথমে প্রথম থেকে বিসিএস পড়াশোনা শুরু করতে হবে।
এবং প্রথম অবস্থায় অল্প অল্প করে পড়ার চেষ্টা করবেন।
বিসিএস পরীক্ষার জন্য আপনাকে আপনার লক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। এবং সে লক্ষ্য
অনুযায়ী আপনাকে পড়াশোনা করতে হবে। আপনি যখন কোন বিষয়ে পড়বেন তখন সেই
বিষয়ে বেসিকগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখবেন। বিসিএস এর সিলেবাস হয়েছে সেটা
সম্পর্কে আপনাকে ভালো ধারণা নিয়ে নিতে হবে।
বিসিএস পরীক্ষার জন্য আপনাকে গণিতে বেশি বেশি চর্চা করতে হবে। ইংরেজিতে করে
কোন ভয় কাজ না করে সেজন্য বেশি বেশি চর্চা করতে হবে। যে বিষয়ে কম দক্ষ সে
বিষয়ে বেশি মনোযোগী হয়ে পড়াশোনা করতে হবে এবং দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।
ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। বিসিএস প্রস্তুতির অনেকগুলো বই রয়েছে সেগুলো
প্রতিনিয়ত পড়তে হবে।
এবং কৃপণতা করা যাবে না বই কেনার ক্ষেত্রে। সর্বশেষে ভালোভাবে প্রস্তুতি
নেওয়ার জন্য নিজেকে ভালোভাবে জানতে হবে ও চারপাশে সকল কিছু ভালোভাবে জানতে
হবে। এভাবে বিশেষ করত হবে তাহলে ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে। আরব বিশেষ করে
বেশি চিন্তা না করে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলেই হবে।
বিসিএস পরীক্ষার পদ্ধতি
বিসিএস প্রিলির কয়েক মাস পরে চারটি ধাপে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা হয়ে থাকে।
এমসিকিউ প্রাথমিক পরীক্ষা হয়। এমসিকিউ পরীক্ষার পর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
হয়। লিখিত পরীক্ষার পর ইন্টারভিউ অর্থাৎ মৌখিক পরীক্ষা হয়ে থাকে। মৌখিক
পরীক্ষা হয়ে গেলে সব শেষ পরীক্ষা এবং মেডিকেল টেস্ট হয়।
এই সকল পরীক্ষা যদি কোন ব্যক্তি পাস করতে পারে তাহলে সে বিসিএস ক্যাডার হতে
পারবে। জন্য এগুলো সব সম্পন্ন ভালোভাবে সিলেক্ট হতে হবে। তাহলে আশা করি শেষ
পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এ সম্পর্কে যদি কারো কোন কিছু জানতে
চান তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।
বিসিএস পরীক্ষার ফি
বিসিএস পরীক্ষার বিগত এ প্রশ্ন টি সচার উত্তর সবার জানা প্রয়োজন হয়। যারা
বিশ্বাস পরীক্ষার জন্য আগে তাদেরকে প্রথমে আবেদন করতে হবে। প্রথমে আবেদন করতে
আপনার প্রয়োজন হবে শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যক্তিগত তথ্য এবং কোন ক্যাটাগরিতে
আবেদন করবেন সেটা সিলেক্ট করতে হবে।
সব কিছু সম্পন্ন হওয়ার পর আপনাকে বিশেষ পরীক্ষার ফি বাবদ ৭০০ টাকা দিতে হবে।
প্রতিবন্ধী ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের ফি বাবদ ১০০
টাকা দিতে হবে।
বিসিএস এর বিষয় সমূহ বিসিএস পরীক্ষার ফি
বিসিএস এর বিষয় সমূহ বিসিএস পরীক্ষার ফি জেনে নিন। বিসিএস পরীক্ষার বিগত এ
প্রশ্ন টি সচার উত্তর সবার জানা প্রয়োজন হয়। যারা বিশ্বাস পরীক্ষার জন্য
আগে তাদেরকে প্রথমে আবেদন করতে হবে। প্রথমে আবেদন করতে আপনার প্রয়োজন হবে
শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যক্তিগত তথ্য এবং কোন ক্যাটাগরিতে আবেদন করবেন সেটা
সিলেক্ট করতে হবে।
সব কিছু সম্পন্ন হওয়ার পর আপনাকে বিশেষ পরীক্ষার ফি বাবদ ৭০০ টাকা দিতে হবে।
প্রতিবন্ধী ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের ফি বাবদ ১০০
টাকা দিতে হবে।আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে, এপ্লাই করার পরে আপনাকে ২০০
মার্কের প্রিলিমিনারি এক্সাম ফেস করতে হবে। প্রিলি এক্সাম এর রেজাল্ট সাধারণ
দেড় থেকে দুই মাস সময় নেয়।
যদি প্রিলি বৈতরণী পার করে ফেলেন, তাইলে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ক্যাডার
হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 900 নাম্বারের রিটেন এক্সাম। আবার আপনি বোট
ক্যাডার অ্যাপ্লাই করলে আপনাকে ২০০ মার্কের একটা নিজ বিষয়ের উপর একটা এক্সাম
দিতে হবে। ইদানিং দুই পরীক্ষক দ্বারা খাতা মূল্যায়ন কারণের রিটেন রেজাল্ট
দিতে প্রায় ১০ থেকে ১১ মাস লেগে যায়।
রিটেন পা স করলে আপনাকে ২০০ মার্কের ভাইপার মাধ্যমে নিজেকে রিপ্রেজেন্ট করতে
হবে। তারপর ভাইবা শেষ হওয়ার ৬ থেকে ৭ মাস পর রেজাল্ট আসবে। ভালো রিটেন নায়ক
আর ভাইবার মার্ক এবং আপনার পছন্দ পুরন মিলে আপনি একটা ক্যাডারের সুপারিশ
প্রাপ্ত হয়ে যাবেন।
এরপর আপনার অতীত বর্তমান লতা শিকড় স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ আরো ৫-৬ মাস যাবে
তথাকথিত প্রজ্ঞাপন আসতে। যদি পারেন আপনার নাম এসে যায় তাহলে আপনাকে যোগদানের
জন্য বলা হবে। আর এভাবে দুই তিন বছর পরাময় যে আমি মাত্র আপনি হয়ে যাবেন সে
বিসিএস ক্যাডার।
FAQs
প্রশ্ন: বি সি এস এর অর্থ কি?
উত্তর: বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। জনপ্রিয়ভাবে এ সংক্ষিপ্ত রূপ BSC
দ্বারা পরিচিত, বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিস। ভারতীয় উপমহাদেশের সিভিল সার্ভিস
ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিস থেকে উদ্ভূত হয়েছিল যা শাসনামালে ভারতের
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অভিজাত উচ্চতর সিভিল সার্ভিস ছিল,১৯৫৮ এবং ১৮৫৮ এবং ১৯৪৭
সালের মধ্যে।
প্রশ্ন: বিসিএস দেওয়ার বয়স সীমা কত?
উত্তর: সাধারণ প্রার্থীদের বয়সসীমা ২১ বছর থেকে ৩০ বছর হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র বা কন্যা প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্য ক্যাডারের প্রার্থীদের
সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কারিগরি শিক্ষা স্বাস্থ্য
ক্যাডারের উপজাতিদের জন্য সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
প্রশ্ন: বিসিএস কতদিন পর পর হয়?
উত্তর: ৬০ বছর বয়স হলো অবসর নিতে হয়। এতে প্রতিবছর শূন্য কোটা হয়।
এ শূন্য গোটা পূরণ করার জন্য প্রতি বছর বিসিএস (BSC) পরীক্ষা নেওয়া হয় ।
প্রশ্ন: বিসিএস ক্যাডারদের বেতন কত?
উত্তর: একজন বিসিএস ক্যাডার কত টাকা বেতন পান? অনুসারে টাকা ২২০০০
হাজার থেকে ৫৩০৬০ হাজার বেতনক্রমে একজন বিসিএস কর্মকর্তার প্রাথমিক মূল বেতন
২২০০০ হাজার টাকায় ধরা হয়েছে। তার বেতন-ভাতা দিয়ে একই স্কেলে সর্বোচ্চ
বেড়ে ৫৩০৬০ টাকা হতে পারে।
প্রশ্ন: বি সি এস ক্যাডার কত প্রকার কি কি?
উত্তর: বিসিএস ক্যাডার ১৪ টি সাধারণ ও ১২ টি পেশাগত কারিগরি সর্বমোট
২৬ টি ক্যাডার রয়েছে।
প্রশ্ন: বিসিএস এর সর্বোচ্চ পদ কোনটি?
উত্তর: সর্বোচ্চ পদ মর্যাদায় বেসামরিক কর্মচারী হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশের মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়ের প্রধান যিনি মন্ত্রী পরিষদ সচিবও।
প্রশ্ন: ক্যাডার শব্দের অর্থ কি?
উত্তর:বিসিএস প্রিলিমিনারি রিটেন ভাইভা পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে
সার্কুলার এ থাকা নির্দিষ্ট সংখ্যা পদে যারা নিয়োগ পান তাদের বলা হয়
ক্যাডার।
লেখক মন্তব্য
বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়ে
থাকে ও বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা বয়স সহ এরকম আরো বেশ কিছু বিষয়ে বিস্তারিত
জানতে পেরেছেন। আমিও নিজেও এই ভাবে জেনে ছিলাম।
তারপর যদি আপনাদের এই বিষয় প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে
আমাদের জানাতে পারেন। এছাড়া আপনার কোন মতামত থাকলে সেটাও জানাতে
পারেন। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentit ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url