চিরতা যাদুকরী যত গুনাগুণ ও চিরতা কতদিন খাওয়া যায়

চিরতা যাদুকরী যত গুনাগুণ ও চিরতা কতদিন খাওয়া যায় জানতে চেয়েছেন। চিরতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও আপনারা খোঁজ করেছেন যে চিরতা ক্ষতিকর দিক চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে। কিন্তু আপনারা সঠিক তথ্য পাননি কোন ওয়েবসাইটে। 

চিরতা যাদুকরী যত গুনাগুণ ও চিরতা কতদিন খাওয়া যায়

চিরতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ যা ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান ও আশেপাশের দেশে প্রচুর জন্মে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য চিরতা ভিশন জরুরী। আমাদের আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

পোস্ট সূচিপত্র: চিরতা যাদুকরী যত গুনাগুণ 

চিরতা যাদুকরী যত গুনাগুণ 

চিরতা যাদুকরী যত গুনাগুণ  জেনে নিন। চিরতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত তিতা খাবার খেলে অসুখ হওয়ার প্রবণতা কম থাকে। চিরতা এর মধ্যে অন্যতম। যেকোনো কাটা ছেঁড়া কত স্থানে দ্রুত শুকায়। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য চিরতা ভিশন জরুরী। চিরতার রস দ্রুত রক্ত রক্ত চীনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। চিরতা যাদুকরী যত রকম গুনাগুণ রয়েছে ও চিরতা খাওয়া যায়।
  • ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস সংক্রান্ত হতে দেয় না আমরা জানিতে তোকে ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস থেকে কম আক্রান্ত হয়। তারপরে শরীরে কম অসুস্থ হয়। আর চিরতার স্বাদ অত্যন্ত তেতো। তাই চিরতা পানি শরীরকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।
  • ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী চিরতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। কারণ চিরতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। ব্লাড সুগার লেবেলকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়াও চিরতা পানি রক্তের ক্লোরোস্টেরলের পরিমাণ কম করে।
  • জ্বরের সময় কাজ দেয় জ্বরের ক্ষেত্রে চিরতা উপকারী। জ্বরের ফলে শরীরে এনার্জি না লাগা, জ্বর ভাব এগুলো দূর করতে চির তা খুবই উপকারী।
  • তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে নিজের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য রোজ চিরতার পানি খেতে পারেন। কারন চিরতা রক্তকে পরিষ্কার করে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। যেটি তারুণ্য ধরে রাখার একটি শর্ত।
  • এলার্জি সমস্যা দূর করে অনেকের মারাত্মক এলার্জি সমস্যা থাকে। এলার্জির জন্য শরীর ফুলে যায়, চোখ ফুলে যায়, আরো সমস্যা হয়। চিরতা এলার্জির জন্য খুবই উপকারী। রোজ সকালে চিরতার পানি খান উপকার পাবেন। এছাড়াও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে চিরতার পানি।
  • লিভার কে পরিষ্কার রাখে আজকাল অনেকের লিভারের সমস্যায় ভোগেন সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চিরতার পানি খুবই উপকারী। চিরতার পানি লিভার কে পরিষ্কার রাখে । এছাড়া লিভারের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ফ্যাটি লিভার ও আরো অন্যান্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • শরীরের ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে চিরতা পরিষ্কার হিসেবেও কাজ করে। চিরতার পানি শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বার করে। শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে ফ্রেশ রাখে। যেটা শরীরকে সুস্থ রাখতে খুবই জরুরী।
  • ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করে ত্বকের জন্য চিরতা খুবই উপকারী। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চামড়ার ঘা অন্যান্য ক্ষত ছাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের অন্যান্য যে কোন ইনফেকশন সারাতে এটি উপকারী। রোজ যদি  চিরতার পানি খাওয়া যায় তাহলে স্কিন ইনফেকশন এর হাত থেকে বাঁচা যায় এর ফলে ত্বক ভালো থাকে।
  • বদহজম, এসিডিটি থেকে রক্ষা করে যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলে খেতে পারেন চিরতার পানি। চিরতার পানি খাওয়ার ফলে এটি বদহজম এসিডিটি থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকে তাহলে চিরতার পানি খুবই উপকারী। এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য রোজ ছিল তার পানি পান করলে উপকার পাবেন।

চিরতা কতদিন খাওয়া যায়

চিরতা কতদিন খাওয়া যায় জেনে নিন। এটি একটানা ১০-১৫ দিনের বেশি খাওয়া ঠিক না। কেননা এতে হিতের বিপরীত হতে পারে যেমন কিডনির সমস্যা ও যৌন সমস্যা হতে পারে। চিরতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ। চার পাতা থেকে শুরু করে শিকড় পর্যন্ত অনেক ধরনের ঔষধি গুণ রয়েছে। 


জ্বর কষ্ট কাঠিন্য পেট খারাপ খোদা মন্দা অন্তরের কৃমির চর্মরোগ কৃত প্রদাহ পাকস্থলীর প্রদাহ ক্যান্সারের জন্য আয়ুর্বেদের একটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।বেশি পরিমাণ চিরতরে খেলে গায়ে জ্বালাপোড়া করতে পারে, এর ফলে বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে যেতে পারে। শরীরের কোন কঠিন সমস্যা বা রোগব্যাধি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিরতা খেতে হবে। চিরতা স্বাদ খুবই তেতো।

চিরতা ভেজানো জল খেলে কি হয়

চিরতা ভেজানো জল খেলে কি হয় জেনে নিন। চিরতরে যেন জল কিংবা চায়ের সঙ্গে খেলে ত্বকে সমস্যা যেমন–ফুসকুড়ি, জ্বালাপোড়া এবং লালচে ভাব দূর হয়।কারণ এই ভেষজটির পুষ্টি উপাদান টক্সিন অপসারণ করতে এবং নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতার মত রক্ত সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসাতেও এটা দারুন কার্যকরী।

চিরতা অত্যাধিক তিক্ততা, জ্বর ও কৃমিনাশক শক্তি এবং পাচকতার গুণে চিরতার সারা ভারতের সুপ্রসিদ্ধ। ঔষধি গুণে, চিরতা জেন্টিয়ানা কুরুর অনুরূপ । জ্বর, অতিসার এবং দুর্বলতায় চিরতা খুব উপকারী। ম্যালেরিয়াতেও দেওয়া হয় কিন্তু চিরতার জ্বর কমানোর শক্তি পরীক্ষায় সম্প্রমাণিত নয়। জেসিএনেসি বর্গের অন্তর্গত এই গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Swertia chirayita (Roxb.ex Fleming ) H. Karst. ।

গর্ভাবস্থায় চিরতা খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় চিরতা খেলে কি জেনে নিন। হয়গর্ভবতী স্তন্যদায়ী  মায়েদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শের পরে চিরতা ব্যবহার করা উচিত কেননা চিরতা খাওয়ার ফলে অনেকের এর অত্যন্ত তিক্ত স্বাদের কারণে বমি করে ফেলেন এবং বমি ভাব দেখা দেয়। সেই সাথে ডায়াবেটিসের রোগীদের এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।

চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে

আপনি কি জানেন কি, চিরতা যাদুকরী যত রকম গুনাগুণ চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে? যদি না জেনে থাকেন তাহলে কিন্তু এটা জানতে হবে। কারণ এটা না জেনে যদি আপনি চিরতা খান তাহলে কিন্তু অবশ্যই এটি আপনার কিডনির অনেক ক্ষতি করতে পারে। চলুন এখন আমরা এই চিরতা কি কি ক্ষতি করে সেটা নিয়ে আলোচনা করি।
 
গবেষণায় দেখা গেছে যে চিরতা কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, আবার অন্য গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি কিডনির জন্য উপকারী হতে পারে। চিরতা কিডনির ক্ষতি করতে পারে এমন কিছু কারণ:
  • চিরতায় অ্যালকালয়েড থাকে, যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
  • চিরতা ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে, কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
  • চিরতা রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
চিরতা কিডনির জন্য উপকারী হতে পারে এমন কিছু কারণ:
  • চিরতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা কিডনি কত থেকে রক্ষা করতে পারে।
  • চিরতা প্রদাহ কমাতে পারে, যা কিডনির ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
  • চিরতা রক্তের শর্করা মাত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা কিডনির ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
চিরতা সেবন এবং কিডনির ক্ষতির মধ্যে সম্পর্ক সম্পর্কে আরো গবেষণার প্রয়োজন। চিরতা সেবন করার পূর্বে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত, বিশেষ করে যদি আপনার কিডনির সমস্যা থাকে। নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলো:
  • চিরতা সেবন করার সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • আপনার রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
  • আপনার রক্তে শর্করা মাত্র নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
  • আপনার কিডনির কার্যকারিতা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।

আশা করি আপনারা সবাই খুব সহজ ভাষায় চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে এটা জানতে পারছেন। এরপরে যদি এই চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

চিরতা কতদিন খাওয়া যাবে ও চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা  চিরতা যাদুকরী যত গুনাগুণ ও সর্ম্পকে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
 
উপকারিতা: লিভারের বিভিন্ন সমস্যার করতে সাহায্য করে চিরতা। এবারের কোষগুলিকে আরাম প্রদান করে ফ্যাটি  লিভার, সিরোসিস এবং লিভার সংক্রান্ত অন্যান্য অসুখ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। লিভার থেকে টক্সিন মুক্ত করে এর কাজ নিয়ন্ত্রণের চিরতা যথেষ্ট জনপ্রিয় উপাদান। পেট বা পরিপাকতন্ত্র সংক্রান্ত রোগ হলো কোষ্ঠকাঠিন্য।

অপকারিতা: পৃথিবী নিয়ম অনুসারে প্রতিটি খিলাড়ি বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে ঠিক তেমনি চিরতা খাওয়ার উপকারিতার সাথে এর দুই একটি অপকারিতা রয়েছে। গর্ভবতী এবং স্তন্যদায়ী মায়েদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শের পরে চিরতা ব্যবহার করা উচিত। অনেকে এর অত্যন্ত তীর্থ সালের কারণে বমি করে ফেলেন এবং বমি ভাব দেখা দেয়। সেই সাথে ডায়াবেটিসের রোগীদের এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।

চিরতার ব্যবহার

চিরতার উদ্ভিদ এবং উভয়ই ব্যবহার করা যেতে পারে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক চিরতা যাদুকরী যত গুনাগুণ ও চিরতা কতদিন খাওয়া যাবে চিরতা ব্যবহারের পদ্ধতি এবং পরিমাণ সম্পর্কে।
  • চিরতার স্যালিসিলিক নির্যাস একটি টনিক হিসেবে দিনে দুবার খাবারের আগে গ্রহণ করা যেতে পারে। এতে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়।
  • ১৫ থেকে ৩০ মিলি বা ১ থেকে ২ টেবিল চামচ চিরতা গরম জল এবং লবঙ্গ বা দারুন চিনি দিয়ে প্রস্তুত করা যেতে পারে।
  • চিরতার মূল হেঁচকি ও বমিতে উপকারী। এর ০.৫ থেকে ২ গ্রাম পরিমাণে মধুর সাথে সেবন করা যেতে পারে।
  • চিরতা পাতার রস পান করতে পারেন। এটি তেতো, তাইতো মধু যোগ করা যেতে পারে।

চিরতা কিভাবে খেতে হয়

চিরতা কিভাবে খেতে হয় জেনে নিন। রোজ সকালে খালি পেটে চিরতার পানি পান করুন উপকার পাবেন।  আজকাল অনেকে লিভারের সমস্যায় ভোগেন । সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চিরতার পানি খুবই উপকারী চিরতার পানি লিভার কে পরিষ্কার রাখে।

চিরতা কি ত্বকের জন্য ভালো

চিরতা কি ত্বকের জন্য ভালো জেনে নিন। ব্রণ এবং পিম্পল থেকে মুক্তি পেতে সূক্ষ রেখা, বলিরেখা কমাতে এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে সপ্তাহে দুই তিনবার এর প্রতিকার ব্যবহার করতে পারেন। চিরতার চিরাটা আক্রান্ত স্থানে লাগালে এই চিনির মতো চর্ম রোগের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একজিমার কিছু লক্ষণ হলো রুক্ষ ত্বক, ফোসকা, প্রদাহ ও চুলকানি এবং রক্তপাত। 

ত্বকের জন্য চিরতা খুবই উপকারী। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চামড়ার ঘা অন্যান্য ক্ষত ছাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের অন্যান্য যে কোন ইনফেকশন সারাতে এটি উপকারী। রোজ যদি  চিরতার পানি খাওয়া যায় তাহলে স্কিন ইনফেকশন এর হাত থেকে বাঁচা যায় এর ফলে ত্বক ভালো থাকে।

চিরতা পাতা কি

চিরতা পাতা কি জেনে নিন। চিরতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ। চার পাতা থেকে শুরু করে শিকড় পর্যন্ত অনেক ধরনের ঔষধি গুণ রয়েছে। জ্বর কষ্ট কাঠিন্য পেট খারাপ খোদা মন্দা অন্তরের কৃমির চর্মরোগ কৃত প্রদাহ পাকস্থলীর প্রদাহ ক্যান্সারের জন্য আয়ুর্বেদের একটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যা ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান ও আশেপাশের দেশে প্রচুর জন্মে।

চিরতা কি চুল পড়া বন্ধ করে

চিরতা কি চুল পড়া বন্ধ করে জেনে নিন। গুরত ভেষজ চিরতার যাদুকরী যত গুনাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। চুল পড়া বন্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কঠিন অসুখের চিকিৎসাতে ব্যবহার করা হয় চিরতা। চুল ওঠা বন্ধ করে কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না ,অথচ রোজ মাথায় থেকে প্রচুর চুল উঠেছে। উঠতে উঠতে ঘন কেশ পাতলা হয়ে যাচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ নিজোডার ২% শ্যাম্পু ১০টি ক্ষতিকর প্রভাব গুলো

এক্ষেত্রে আগের দিন রাতে এক কাপ গরম পানিতে ৫ গ্রাম চিরতা ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সে পানি ছেঁকে তা দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেললে চুল উঠা কমবে। একদিন পরপর একদিন এভাবে চিরতার পানি দিয়ে মাথা দিতে হবে। তিন চার বার এভাবে ধুতে পারলে চুল ওঠা অনেক কমে যাবে।

চিরতা কি ওজন কমাতে সাহায্য করে

চিরতা কি ওজন কমাতে সাহায্য করে জেনে নিন। চিরতার জল ওজন কমানোর জন্য দারুন কাজে দেয়। এতে থাকা মিথানল শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয় ফলে ফ্যাট জমার সুযোগই তৈরি হয় না। চিরতার স্বাদ তেতো। তাই এটি গোল্লা বা মমের মতো রক্ত পরিশোধক হিসেবেও কাজ করে।

ডায়াবেটিসে চিরতা খাওয়ার উপায়

ডায়াবেটিসে চিরতা খাওয়ার উপায় কি জেনে নিন। রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সে চিরতার জল খেলে রক্ত শুদ্ধ হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে। চিরতা ইনসুলিন নিঃসরণকে উদ্দীপ্ত করে এবং  পেশি কোষ  দ্বারা গ্লুকোজ গ্রহণ বাড়িয়ে দেওয়া সব মিলিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে দুর্দান্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

চিরতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। কারণ চিরতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। ব্লাড সুগার লেবেলকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়াও চিরতা পানি রক্তের ক্লোরোস্টেরলের পরিমাণ কম করে।

চিরতার ক্ষতি কি কি

চিরতার ক্ষতি কি কি জেনে নিন। বেশি পরিমাণ চিরতরে খেলে গায়ে জ্বালাপোড়া করতে পারে, এর ফলে বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে যেতে পারে। শরীরের কোন কঠিন সমস্যা বা রোগব্যাধি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিরতা খেতে হবে। চিরতা স্বাদ খুবই তেতো।

চিরতা কতটুকু খাওয়া উচিত

চিরতা কতটুকু খাওয়া উচিত জেনে নিন। চিরতা পাউডার গ্রহণ করলে কৃমিঘ্ন (কৃমি -বিরোধী) বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রেমের উপর ধর্ম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি এই পরজীবী গুলির বৃদ্ধির জন্য আদর্শ অবস্থা গুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং পরিপাকতন্ত্র থেকে তাদের অপসারণের সাহায্য করে। চিরতা পাউডার 1-3 গ্রাম বা একজন চিকিৎসকের নির্দেশ অনুসারে খেতে হবে।

চিরতার রস খেলে কি হয়

রস খেলে কি হয় জেনে নিন। চিরতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ। চার পাতা থেকে শুরু করে শিকড় পর্যন্ত অনেক ধরনের ঔষধি গুণ রয়েছে। জ্বর কষ্ট কাঠিন্য পেট খারাপ খোদা মন্দা অন্তরের কৃমির চর্মরোগ কৃত প্রদাহ পাকস্থলীর প্রদাহ ক্যান্সারের জন্য আয়ুর্বেদের একটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।চিরতার রস খেলে কি হয় নিচে তা দেওয়া হলোঃ
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে একটি অন্যতম সমস্যা।
  • রক্ত শোধক হিসেবে কাজ করে।
  • লিভারের সমস্যায় উপকারী।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের উপকারী।
  • সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ত্বকের রোগে কার্যকরী।

চিরতা ঔষধি ঔষধ কিভাবে খাওয়া যায়

চিরতা ঔষধি ঔষধ কিভাবে খাওয়া যায় জেনে নিন। এটি দিনে একবার বা দুবার হালকা গরম জল দিয়ে গেলে ফেলা যেতে পারে। আপনি দিনে একবার বা দুবার চিরতা কোয়াথ (ক্কাথ) ব্যবহার করতে পারেন। এটি সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয় আপনার ক্কাথ আপনাকে রক্তের শর্করার মাত্রা আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করতে প্রস্তুত।

কালামেঘ চিরতা কি একই

কালামেঘ চিরতা কি একই জেনে নিন। কালামেঘ পাউডার (Andrographis paniculata) এছাড়াও Swertia chirata, Swertia Chirayita,Chirata Churna, Chirota,Nilavembu Choornam,Kirayata, Chirata Churan,Kadu Kariyatu Powder, Chirata Powder,Nelavemu Churnam 

চিরতা ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল

চিরতা ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল সম্পর্কে জানেন কি না জানলে জেনে নিনঃ
চিরতা ট্যাবলেট:সংস্কৃতে যা ভুনিম্বা নামে পরিচিত বাংলায় তা চিরতা নামে পরিচিত যায় সোয়েরশিয়া চিরতা। সারা ভারতের এটি পাওয়া গেলেও ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম ইউরোপে এটি আবিষ্কৃত হয়। এটি স্যালিসাইলিক অমৃত যা অত্যন্ত পিত্ত সাধুর জন্য পরিচিত ত্বকের সমস্যা, জ্বর এবং প্রদাহের চিকিৎসায় ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

চিরতা ক্যাপসুল:চিরতা ২৫০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল।

বর্ণনা: চিরতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ, শারীরিক দুর্বলতা, ঠান্ডা জ্বর, লিভারের অসুস্থতা, ম্যালেরিয়া, এবং ডায়াবেটিসের চিকিৎসা কার্যকর। এছাড়াও হজমের গোলযোগ, শ্বাসনালীর ওপর এভাবে সংক্রমণ‌ ও ভাইরাল ফিভার (সংক্রমণ জনিত জ্বর) এর ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার্য।

কার্যকারিতা: সাধারণ দুর্বলতা অরুচি স্নায়বিক ও স্মরণশক্তির দুর্বল সমূহ এবং ভিটামিনের অভাব পুরণে সহায়ক ।

সেবন বিধি: একটি ক্যাপসুল দিনে দুইবার আহারের পর অথবা রেজি: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।

লেখকের মন্তব্য

চিরতা যাদুকরী যত গুনাগুণ ও চিরতা কতদিন খাওয়া যায় এই সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। চিরতা দেহের রক্তকোষ গঠন করে। রক্তশূন্যতা কমে যায়। বর্তমানে চিরতা ঘোড়া এর স্বাস্থ্য গুণনের জন্য ব্যবহৃত হয়। 

চিরতা যাদুকরী যত রকম গুনাগুণ রয়েছে ও চিরতা কতদিন খাওয়া যাবে আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন তাদেরকে ভালো থাকার সুযোগ করে দিন। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentit ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url