কথাবার্তাতে স্মার্ট হওয়ার ১০ টি উপায় কোন গুলো

তারা বন্ধুত্বপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য কিনা তা দেখার জন্য ব্যর্থ শারীরিক ভাষা দেখুন। কথা বলার জন্য কোন অপরিচিত ব্যক্তির কাছে যাবার আগে, তারা আসছে কিনা আব্বা আমার সাথে চোখের যোগাযোগ করছে কিনা তা দেখার জন্য অপেক্ষা করুন। যদি তার একটি মুহূর্তে কারো সঙ্গে কথা বলেছেন, তাহলে দেখুন যে তারা হাতের অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করছে কিনা এবং অন্য ব্যক্তির কথা শোনার সময় শুনছেন কিনা। 

যদি তারা সামাজিকীকরণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, তবে তাদের সাথে কথা বলা সম্ভবত সত্যিই সহজ এবং আপনি যদি তাদের সাথে কথাবার্তা করার চেষ্টা করেন তবে কিছু মনে করবেন না। যদি কেউ হাত গুটিয়ে থাকে বা অন্যকে এড়িয়ে চলে, তাহলে তারা হয়তো কারো সঙ্গে কথা বলার মত মেয়েদের নাও থাকতে পারে। 

আপনি যদি তাদের চারপাশে নিরাপদ বোধ করেন তবে কোন অপরিচিত ব্যক্তির কাছে যান। আপনি যদিও অসুস্থ বোধ করেন বা বিপদে পড়েন, তাহলে আপনার সহযাত্রীদের থেকে বিশ্বাস করেন এবং সেই ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলুন। 

এমনকি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ অভিব্যক্তি ও আপনাকে সামাজিকতা বোধ করতে সাহায্য করতে পারে। লোকেরা যদি মনে করে যে তারা আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে তবে তাদের কথাবার্তা শুরু করা সম্ভবনা বেশি। সংক্ষেপে তাদের দিকে তাকান এবং এক সেকেন্ডের জন্য হলে চোখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন। 

কিছুটা ভয় পাওয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, উষ্ণ হাসি দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং দেখুন অন্য ব্যক্তি কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। তারা আবার হাসে, এটি একটি ভালো লক্ষণ যে তারা থামতে এবং কিছুক্ষণের জন্য চ্যাট করতে ইচ্ছুক। হাসিবা চোখ স্থাপন করে এবং কথাবার্তাকে হালকা ও সুখে রাখতে সাহায্য করে। 

আরো দেখার জন্য আপনার ভঙ্গিমা সামঞ্জস্য করুন। আপনার বাবুগুলো খোলা রাখুন যাতে আপনি গ্রহণযোগ্য এবং কারো সাথে কথা বলার জন্য মুক্ত দেখায়। আপনি যার সাথে কথা বলতে চান তার দিকে আপনার শরীরকে ঘুরিয়ে দিন এবং তাদের দিকে সামান্য ঝুঁকে দেখান যে আপনি চ্যাটিংয়ে আগ্রহী। যদি এটি আপনাকে আরো স্বাচ্ছন্দ বোধ করতে চেষ্টা করে, 

তবে সেই ব্যক্তিকে একজন ভালো বন্ধু হিসেবে কল্পনা করুন যাতে আপনি তাদের চারপাশ আরো বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। আপনাকে কি পরিবর্তন করতে হবে তা দেখার জন্য আয়নার সামনে আপনার শারীরিক ভাষার অনুসরণ করুন। আয়নার সামনে নিজের সাথে কথা বলুন এবং দেখুন আপনার ভঙ্গিমাগুলো ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা। 

খুব কাছে গেলে ব্যক্তিটি অস্বস্তি বোধ করতে পারে। খুব কাছে অসুস্থ বোধ করতে পারে তার কারণ রয়েছে। প্রত্যেকদিন শারীরিক সীমানা রয়েছে, নিশ্চিত করুন যে আপনি সেগুলোতে অনুপ্রবেশ করবেন না। তারা আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে কিনা আবার প্রায়শই চোখে যোগাযোগ ভেঙ্গে দিতে কিনা দেখার জন্য ব্যাক্তি শারীরিক ভাষার দিকে  মনোযোগ দেন। 

যাতে তাদের স্নায়বিক হওয়ার লক্ষণ হতে পারে। যদি তাদের অস্বস্তি বলে মনে হয় তাহলে তাদের থেকে একটা পিছিয়ে জানে তারা কিভাবে প্রতিক্রিয়া করছে সেই ভাবে বিনয়ী হন। অন্যরা আপনার সঙ্গে কথা বলতে ভয় পেতে পারে। আপনি যে বন্ধুত্বপূর্ণ তা দেখে আপনি অন্য ব্যক্তিকে আরও স্বাচ্ছন্দ বোধ করতে সাহায্য করতে পারেন। 

ব্যক্তিগত স্থানকে সম্মান করা একটি ভদ্রতা। তাই যদি কেউ আপনাকে অস্বস্তিকের বোধ করে তবে অবশ্যই কথা বলুন। উদাহরণস্বরূপ যদি কেউ আলিঙ্গন করতে চায় আপনি বলতে পারেন ও না ধন্যবাদ আমি বড় আলিঙ্গন নয়।

• হ্যালো বলুন। 

• নিজের পরিচয় দিন। 

• তাদের নাম শিখন এবং ব্যবহার করুন। 

• আপনার আশেপাশে কিছু উল্লেখ্য করুন। 

• সাধারণ বিষয় গুলো তুলে ধরুন। 

কথাবার্তাতে স্মার্ট হওয়ার জন্য খোলাখুলি প্রশ্ন গুলো কি 

কথাবার্তায় স্মার্ট হওয়ার জন্য প্রশংসা কোন গুলো জেনে নিন। এমন কিছু উল্লেখ কর আমি যা আপনি বিশেষভাবে উপলব্ধি করেন বা পছন্দ করেন যাতে আপনি আন্তরিক বোধ করেন। যে ব্যক্তি কিছু তারা কিভাবে কোন পরিস্থিতি পরিচালনা করে বা আপনি যেকোনো কিছু প্রশংসা করেন সে সম্পর্কে আপনি মন্তব্য করতে পারেন। 

বড় ভাঙ্গার পর কথা বলা চালিয়ে যান যাতে আপনি সে ব্যক্তি সম্পর্কে আরো জানতে পারেন। আপনি এমন কিছু বলতে পারেন, আমি এই জুতোগুলো পছন্দ করি! তুমি এগুলো কোথায় পেলে? অথবা সেই শার্টের রং সত্যিই আপনার গায়ে লেগেছে! 

আরেকটা উদাহরণ হিসেবে আপনি বলতে পারেন, আপনি সত্যিই সেই যুক্তিতে অনেক অনুগ্রহের সাথে পরিচালনা করেছেন। কারো শারীরিক চেহারা নিয়ে খুব বেশি মন্তব্য থেকে এড়িয়ে চলুন। কারণ এটি কিছু মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে।

নিজের সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য বাংলায় জেনে নিন।

• খোলাখুলি কথা বলে কথা বলা শুরু করতে উৎসাহিত করে।
• কথাবার্তার শুরুতে যদি সে দেখতে খুব বেশি কিছু না বলেন, তাহলে আপনার জীবন বা আগ্রহ সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে যাওয়ার সুযোগ নিন।
• আপনি আপনার চাকরি, শখ, আপনি যে প্রকল্পগুলো করেছেন বা কোন পার্টিতে আপনি কিভাবে জিনিস এসব করে উল্লেখ করতে পারেন।
• আপনি যত বেশি কথা বলবেন আপনার সাথে নিজের করে কথা বলতে আরো স্বাচ্ছন্দ বোধ করতে পারেন। 
• কিছু ব্যক্তিগত বিবরণ গোপনীয় লেখা ঠিক‌ আছে। আপনি যে বিষয়গুলো ভাগ করে নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেগুলো তুলে ধরুন।

সাধারণ স্বার্থ নিয়ে ৫টি বাংলা আলোচনা 

সাধারণ স্বার্থ নিয়ে ৫টি বাংলা আলোচনা জেনে নিন।

• কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু সাধারণ ভিত্তি খুঁজে বের করুন।
• আপনি যদি আপনাকে ওসব ক্রিয়া দল বা আপনার পছন্দের অন্য কোন জিনিসের কথা উল্লেখ্য করেন, বিষয়টি আরো গভীরভাবে দেখুন।
• আপনি কেন এত পছন্দ করেন সে সম্পর্কে কথা বলুন। 
• এবং অন্য ব্যক্তিকে তাদের মতামত জিজ্ঞাসা করুন। 
• যদি তাদের ভিন্ন মতামত থাকে তবে তাদের বিচার বা সমালোচনা করবেন না। 

কিভাবে সক্রিয়ভাবে কথা শোনা যায় জেনে নিন। সে দেখতে সঙ্গে যুক্ত থাকুন যাতে তারা শুনতে পায়। যখন কথা বলেছেন, তখন তাদের সঙ্গে চোখের যোগাযোগ করুন এবং তারা যা বলেছেন তার সঙ্গে মাথা নাড়ুন। আপনার ফোন চেক করা বা অন্যান্য বিষয়ে বিভ্রান্ত হওয়া এগিয়ে চলুন যাতে আপনি মনোযোগ হারাবেন না। 

আপনি কথাবার্তা অনুসরণ করেছেন তা দেখার জন্য এমএম বা হ্যা এর মত কিছু সংক্ষিপ্ত করুন। আপনার মুখের অভিব্যক্তি দেখতে সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। এবং সতর্ক থাকুন কেনা যায় বা ঘৃণা লক্ষ্য না দেখার কারন এটি অন্য ব্যক্তির বন্ধ করে দিতে পারে। 

৫-১০ মিনিটের মধ্যে কথাবার্তা শেষ করার উপায় জেনে নিন। অন্য ব্যক্তি অথবা শেষ করতে চাই এমন সংকেতের জন্য নজর রাখুন। নেত্রী কথাবার্তা সাধারণত এগিয়ে যাওয়ার আগে কয়েক মিনিটের জন্য স্থায়ী হয়।

আপনি যদি পাঁচ দশ মিনিটের জন্য চ্যাট করে থাকেন তবে এগিয়ে যেতে চাইতে পারে। অন্যথায় তারা আরো অস্থির হয়ে উঠেছে কিনা, তাদের ফোন পরীক্ষা করছে কিনা বা তাদের ঘরের দিকে তাকিয়ে আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন। তাদের জানান যে তাদের সঙ্গে কথা বলে ভালো লেগেছে এবং বলুন যে, আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। 

আপনি যদি কথাবার্তাটি‌ উপভোগ করেন। তাহলে তাদের জিজ্ঞাসা করুন যে তারা পরে যোগাযোগে থাকতে চান কিনা। উদাহরণস্বরূপ, আপনি বলতে পারেন, আপনার সঙ্গে কথা বলে আমি সত্যিই ভালো সময় কাটিয়েছি। নম্বর বিনিময় করতে চান এবং পরে আবার কথা বলতে চান? 

স্মার্ট মানুষের ছয়টি বৈশিষ্ট্য কি জেনে নিন। স্মার্ট বলতে আমরা বুঝি ব্যক্তির একাডেমী, ক্ষমতা আজ যুক্তির দক্ষতা। একজন মানুষ যখন সঠিক উত্তর যুক্তি দিয়ে পরিস্থিতি সামলান তখন তাকে বুদ্ধিমান বলা হয়। কেউ কিন্তু জন্ম থেকে স্মার্ট বাব বুদ্ধিমান হন না। কর্মের মাধ্যমে এর দক্ষতা অর্জন করেন। সৃজনশীল উপায়ে বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার ক্ষমতায় স্মার্টনেস। একজন স্মার্ট বুদ্ধি ব্যক্ত কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকে চলুন এমন কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নিন। 

হয়তো ভাববেন একাকীমানে নিঃসঙ্গতা। বিষয়টা কিন্তু তেমন নয়। চারপাশে কি ঘটে যায় লক্ষ্য করা খুব একটা সময় থাকে না। কিন্তু তিনি আর যখন একা থাকেন, তখন চিন্তা করতে পারেন। চারপাশে ঘটেছে আমাকে কিছু লক্ষ্য করতে পারেন। এসব থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। এ কারণে স্মার্টে ব্যক্তিরা সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করে।

কেবল বই পড়া সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায় না। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেও শেখা রয়েছে। আমাদের দৈনিন্দ্য জীবন নানার অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে যে আমাদের ভবিষ্যতে আরো ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে। সবসময় জ্ঞানের সন্ধান করেন। জিনিসগুলোর মধ্যে তারা এমন নির্দেশন খুঁজে পাওয়া অনুরোধ করতে পারে না। 

ব্যর্থতা জীবনের অংশ এবং সেগুলোকে গ্রহণ করা একটি দক্ষতা। মানুষ জীবনে কখনো ব্যর্থ হয়না কখনো জয়ী হয়। কি ব্যাপারটা স্মার্ট মানুষের সহজে বোঝেন। একাধিকার ব্যর্থ হলে তারা হাল ছাড়েন না। তারা ভুল স্বীকার করেন। সেখান থেকে শিখাবার চেষ্টা করেন। 

দিবার স্বপ্ন মানে ওলিক স্বপ্নে ভাষা এমনটা কিন্তু নয়। স্মার্ট ব্যক্তিদের আরেকটি সাধারণ অভ্যাস হলো তারা মনকে বিতরণ করতে দেন। গবেষণা অনুযায়ী দেবা স্বপ্ন সমস্যার সমাধানে দক্ষতা সৃজনশীল তাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। স্বপ্ন বলতে দৃশ্যমান বিষয়ের প্রতি সরাসরি প্রকাশ না করে অবচেতনা ভাবে বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করাকে বোঝায়। বিষয়টিতে দূরে সরে এবং পরিবর্তন আনতে পারলে তা সৃজনশীলতার স্তরকে বাড়িয়ে তুলবে। 

বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা কঠিন পরিস্থিতি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের কাছে সাহায্য জন্য ছুটে যান না। তারা নিজেকে মূল্যায়ন করেন, পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন এবং কারো সাহায্য ছাড়া নিজেরাই সমস্যার সমাধান করেন। এমনকি যদি কাজটি শেষ করে তাদের পক্ষে অসম্ভ বলে মনে হয়, একবারে একা মনে হলেও, এই বৈশিষ্ট্যটি মানুষকে সম্পন্ন করে তোলে। 

স্মার্ট লোকেরা কখনো নিচে তে নিয়ে বড়াই করে না। তাদের এমনটা করার প্রয়োজন পড়ে না। একজন স্মার্ট ব্যাগটি বুদ্ধিমান বলে এমনিতে তা অন্যের নজরে পড়ে যায়। বুদ্ধদেবের উনারা কি ভাবলতা খেয়াল করে না। বরং চারপাশে ঘটে যায় দিনগুলো উপলব্ধি করতে এবং তাদের মনকে বিস্তারিত করতে ব্যস্ত থাকে।

কথাবার্তাতে স্মার্ট হওয়ার ১০ টি উপায় কোন গুলো জেনে নিয়েছেন। কথাবার্তায় স্মার্ট হতে গেলে আপনাকে প্রথমে আপনার আত্মবিশ্বাস অটুট করতে হবে। ও আপনাকে নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে যে আপনি পারবেন অবশ্যই পারবেন। আমি ওপরে যে কথা বলার কৌশল গুলো আলোচনা করেছি অপরিচিত মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।