ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় – ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও কারণ

 ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও কারণ জেনে নিন। আমাদের শরীরে যে সকল ক্যান্সার দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ব্লাড ক্যান্সার। যদি কেউ ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হয় তাহলে ব্ল্যাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় এগুলো জানা থাকলে আমরা খুব সহজে এখান থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারব।

ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় – ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও কারণ
ব্লাড ক্যান্সার হলে একটা মারাত্মক ধরনের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগ। ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আর কথা না ব্লাড ক্যান্সারের মুক্তির উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।

পোস্ট সূচিপত্র: ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় গুলো কি

ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় 

যেহেতু ব্লাড ক্যান্সারের একটি মারাত্মক রোগ এবং যদি ব্লাড ক্যান্সার শেষ পর্যায়ে চলে যায় তাহলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হল ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় গুলো সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিত। যেহেতু ব্লাড ক্যান্সার আমাদের রক্তের সাথে সম্পর্কযুক্ত তাই রক্তের বিষয়গুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় গুলো চলুন এবার জেনে নেই।
  • বর্তমান সময়ে আমরা প্যাকেটজাত খাবার বেশি খেয়ে থাকি। খাবারগুলো তো আমাদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল যুক্ত করা হয়। তাই ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এ ধরনের খাবারগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবে। 
  • যেকোনো খাবার কিনে খাওয়ার আগে আমাদেরকে তার মেয়াদ ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।  কারণ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার বিক্রি করে থাকে এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। 
  • ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই নিরাপদ খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্যাকেটজাত খাবার বিভিন্ন রং মেশানো খাবার এবং অনেকদিন ধরে প্রক্রিয়াজাত করা খাবার থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে।
  • নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। কিছু শরীরচর্চা আছে যেগুলো ঘরে বসে করা যায়। যদি প্রতিদিন করতে পারি তাহলে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটাই উপকার হবে। এটার বেশ কিছু মারাত্মক রোগ রয়েছে যেগুলো থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারবো। 
  • আমরা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে না পারি তাহলে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সুস্থ থাকার জন্য পরিমিত ঘুমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে যদি আপনি ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকতে চান তাহলে দৈনিক অন্তত ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। 
  • ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে বেশি করে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। কারণ সবুজ শাকসবজির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিজেন যা আমাদের ক্যান্সার থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। তাছাড়া ব্লাড ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবুজ ফলমূল সংযুক্ত করতে হবে। 
  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন যাপন করার পাশাপাশি নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সার পরীক্ষা করে শিওর হতে হবে যে সেটি ক্যান্সারের জীবাণু কিনা। 
  • ব্লাড ক্যান্সার রোগীরা খাদ্য হিসেবে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সেই সাথে মাছ মুরগির ডিম চর্বি ছোট মাছ ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে হবে। ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি লাভের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

ব্লাড ক্যান্সার লক্ষণ গুলো কি কি

ব্লাড ক্যান্সার লক্ষণ গুলো কি কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। প্রতিটি রোগের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে ঠিক তেমনি ব্লাড ক্যান্সারেরও কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হয় অর্থাৎ তার শরীরের শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে বেশ কিছু উল্লেখ্যযোগ্য লক্ষণ দ্বারা সেটি প্রকাশিত হয়। 


তাই ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি সে সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। তোর চলুন কি কি লক্ষণ দেখা দিলে আপনি বুঝবেন যে আপনার ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে সেগুলো এক নজরে দেখে ফেলুন। 
  • ঘন ঘন জ্বর হওয়া ব্লাড ক্যান্সার অন্যতম একটি লক্ষণ। অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি জ্বর হতে দেখা যায়, যেটি কোন মতে ভাল হয় না। এমনকি ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু লক্ষণ হিসেবে একটি প্রকাশ হতে পারে। 
  • হঠাৎ করে দেহের ওজন অস্বাভাবিক হারে কমে যায় এবং কোন কাজ করতে দুর্বলতা ক্লান্তি ভাব অনুভূত হয়। কোন কাজ করতে গেলে ব্যাক্তি অল্পতে হাঁপিয়ে উঠে। 
  • ব্লাড ক্যান্সার হলে শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। 
  • শরীরের অস্থিমজ্জায় গুলো ভেঙ্গে ক্যান্সারের সেলগুলো অনেক বেড়ে যায়। হাড়ের অভ্যন্তরের ও জয়েন্ট এর তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে এই ব্যথা স্বাভাবিক জীবন যাপনকে দূর্বিষহ করে তোলে।
  • শরীরের আকর্ষিক রক্তক্ষরণের মতো সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। ত্বকে অত্যাধিক পরিমাণ চুলকানি হয় যা ক্ষত সৃষ্টি করে। এবং রক্তপাত ঘটায়, এছাড়া নাক, মারি অন্যান্য স্থান থেকে রক্তপাত ঘটতে পারে।
  • ব্লাড ক্যান্সারের অন্যতম একটি প্রধান লক্ষণ হলো খাবারের প্রতি অরুচি। ব্লাড ক্যান্সার রোগী খাবারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং ক্ষুধা কমে যায়। বমি বমি প্রায়শই হয়ে থাকে।
  • ব্লাড ক্যান্সারের কারণে আমাদের পায়ে পানি কমে যায়। ঘাড় কুঁচকে পেট সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মাংস বৃদ্ধিতে ফুলে যায় যা লিম্ফ নোড লিম্ফোমা নামে পরিচিত। বৃদ্ধ নোখগুলি কোমল ও নমনীয় হয়ে থাকে।
  • ব্লাড ক্যান্সারের শরীরে আক্রান্ত হলে চেহারায় ফ্যাকাসে ভাব ফুটে উঠে। শরীরের ত্বক খসখসে হয়ে যায়। চেহেরাতে প্রাণবন্ত ভাব চলে গিয়ে একটু অসুস্থ অবস্থায় ও প্রকাশিত পায়। 
মোটামুটি এই সকল লক্ষণগুলো কোন ব্যক্তির মধ্যে প্রকাশিত হলে সেটি ব্লাড ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সার লক্ষণগুলো ততটা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয় না। সেজন্য ব্লাড ক্যান্সারের সকল লক্ষণ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। 

ব্লাড ক্যান্সার কি ও কত প্রকার

ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে ব্লাড ক্যান্সার কি ও কত প্রকার সম্পর্কে জেনে নিন। আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আক্রমণ করে থাকে অন্যতম হলো ব্লাড ক্যান্সার।

ব্লাড ক্যান্সার কি ও কত প্রকার সম্পর্কে জেনে নিন
তবে আমাদের অনেকের ব্লাড ক্যান্সার রোগটি আসলে কি বিষয় সম্পর্কে ধারণা নেই। ব্লাড ক্যান্সার হলে একটি মারাত্মক ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগ। আমাদের শরীরে যে রক্ত রয়েছে সাধারণত এই রক্তের তিনটি প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন: শ্বেত রক্তকণিকা, লোহিত রক্তকণিকা, এবং অনুচক্রিকা। 

এই রক্তকণিকা গুলোর মধ্যে শ্বেত রক্তকণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে তাহলে ব্লাড ক্যান্সার হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অন্যান্য রক্ত কণিকার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হ্রাস পাওয়া সব বিভিন্ন অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। ব্লাড ক্যান্সার মূলত তিন প্রকারের হয়ে থাকে। সেগুলো হলো: 

আরো পড়ুনঃ মাশরুমের ১৬টি উপকারিতা মাশরুম এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব

  • লিউকেমিয়া 
  • লিম্ফোমা 
  • মেলোমা
ক্যান্সার হলে আমাদের রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে লোহিত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকার পরিমাণ কমে যায়। অনেক সময় রোগীরা রক্তশূন্যতায় ভুগতে থাকে। আশা করি ব্ল্যাড ক্যান্সার কি এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার ধারণা পরিষ্কার হয়েছে। কিন্তু ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় কি, তা পরবর্তী অংশ থেকে আপনারা জেনে নিতে পারবেন।

ব্লাড ক্যান্সার কেন হয় 

ব্লাড ক্যান্সারের মুক্তির উপায় গুলো জেনে নেবার পূর্বে কি কি কারন ব্লাড ক্যান্সার আমাদের আক্রান্ত হতে পারে সে বিষয়ে জেনে নেওয়া জরুরী। ব্লাড ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার কারণগুলো জানা থাকলে বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সহজতর হবে।
  • দেহে ডিএনএ এর পরিবর্তন অথবা অস্বাভাবিকতার কারণে ব্লাড ক্যান্সার কোর্স জন্ম লাভ করতে পারে। এই ডিএনএ পরিবর্তন সাধারণত বয়স, বংশগত কারণ, লিঙ্গ, ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে।
  • শরীরে সংস্পর্শে ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক পদার্থ থাকলে একটি পর্যায়ে গিয়ে তার ব্লাড ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। 
  • জন্মগত কোন শারীরিক ত্রুটি থাকলে রক্তের ভেতর অনেক সময় ক্ষতিকর পদার্থ জন্ম লাভ করে। ফলশ্রুতিতে ব্লাড ক্যান্সার এর মতো মরণঘাতী ব্যাধি দেখা দিতে পারে। 
  • কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় আপনারা জানেন কি? এমন কিছু খাবার রয়েছে যা প্রদীপ পরিমাণে খেলে ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন: অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাছ মাংস, অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার, দুগ্ধ জাতীয় খাবার ইত্যাদি। 
সুতরাং কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয়‌ ও কি কি প্রধান কারনে ব্লাড ক্যান্সার আমাদের শরীরে আক্রান্ত হতে পারে সে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এবার ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় গুলো কেমন হতে পারে সে বিষয়ে আমাদের জানতে হবে। 

ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয় 

ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয় জেনে নিন। ক্যান্সার যেহেতু একটি মারাত্মক সে ক্ষেত্রে আমাদের ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিত। শরীরের যে সকল মারাত্মক ক্যান্সার রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ব্লাড ক্যান্সার অন্যতম । আমরা জানি যে মানব শরীর রক্ত মাংসের সমন্বয়ে গঠিত হয়। 

রক্ত আমাদের অস্থির মজ্জার ভেতরে তৈরি হয়ে থাকে। অস্থিমজ্জার ভেতরে থাকা রক্ত গুলো প্রবাহিত হয়ে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে চলে যায়। আমাদের রক্তে বিভিন্ন ধরনের কণিকা রয়েছে এগুলোর মধ্যে লোহিত রক্তকণিকা শ্বেত রক্ত কণিকা এবং অনুচক্রিকা অন্যতম। 

যদি কেউ ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হয় তাহলে রক্তের  অস্থিমজ্জার ভেতরে শ্বেত রক্ত কণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে। এর ফলে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ অনেকটা কমে যায় যার ফল আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। শরীরের অভ্যন্তরে রক্ত তৈরি প্রক্রিয়ার অস্বাভাবিক অবস্থায় লিউকোমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার নামে পরিচিত। 

শ্বেত রক্তকণিকা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। কি অবস্থা ক্রমাগত চলতে থাকে ব্লাড ক্যান্সারের আক্রান্ত হয়ে রোগে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সুতরাং ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয়ে থাকে তা বুঝে ফেললেন।

ব্লাড ক্যান্সার রোগী কতদিন বাঁচে 

ব্লাড ক্যান্সার রোগী কত দিন বাঁচে জেনে নিন। অনুভূতি অংশ তে আপনার বিস্তারিত ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় গুলো সম্পর্কে জেনেছেন। অনেকে প্রায় সহ জিজ্ঞাসা করতেন একজন ব্যক্তি ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জবাব দিয়েছেন সে একেকজনের ক্যান্সার ধরন একেক রকম হয়ে থাকে। 

ব্লাড ক্যান্সার হলে একজন রোগী কত দিন বাঁচবে তার সম্পূর্ণ নির্ভর করে ক্যান্সার শনাক্তকরণ ব্যক্তির বয়স এবং চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর। তাই সুনির্দিষ্টভাবে কতদিন বাঁচে তা বলা যায় না। আবার অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন  ব্লাড ক্যান্সার কি ভালো হয় নাকি এই শেষ করনীয় মৃত্যু কি! 

ব্লাড ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সনাক্ত হওয়া মাত্র কোন ব্যক্তি যদি যথাযথ চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক জীবন যাপন করে তবে একটি পর্যায়ে ব্লাড ক্যান্সার থেকে বেঁচে যেতে পারবেন। মনে রাখতে হবে ব্লাড ক্যান্সারের নিশ্চিত পরিণতি এক রকমের মৃত্যু। তার পূর্ব থেকে প্রতিরোধমূলক বিভিন্ন ব্যবস্থার গ্রহণে ব্লাড ক্যান্সার মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। 

ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা 

ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসা জেনে নিন। ব্লাড ক্যান্সার রোগের মৃত্যুর লক্ষণ গুলো ব্লাড ক্যান্সারের রিপোর্ট থেকে বোঝা যায়। আপনারা তো ইতিমধ্যে ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে নিয়েছেন।
ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসা জেনে নিন
ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয় করার জন্য ডাক্তাররা লিম্ফ নোড বায়োপসি, সিটিএমআরআই, বোন ম্যারো টেস্ট,ফ্লো সাইট্রোমেট্রি, ইত্যাদি পরীক্ষা করে থাকেন। উক্ত পরীক্ষাগুলার ভিত্তিতে মূলত ব্লাড ক্যান্সারের রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসার কিছু উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি হলো: 
  • রেডিয়েশন থেরাপি 
  • ইমিউনো থেরাপি 
  • ইস্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন 
  • টার্গেটেড থেরাপি 
  • কেমোথেরাপি 
  • ক্লিনিকাল ট্রায়াল 
  • টার্গেটেট ও ইমিউনো থেরাপি ড্রাগস 
  • কেমোথেরাপি ওষুধ 

FAQs (ব্লাড ক্যান্সার সংক্রান্ত প্রায়শই সব প্রশ্ন)

প্রশ্ন: ব্লাড ক্যান্সার অপর নাম কি 

উত্তর: ব্লাড ক্যান্সারের অপর নাম হল লিউকেমিয়া। যেটি মূলত শ্বেত রক্ত কণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সৃষ্টি হয়ে থাকে।

প্রশ্ন: ব্লাড ক্যান্সার কি ছোঁয়াচে?

উত্তর: শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্বাভাবিকতার কারণে যেহেতু ব্লাড ক্যান্সার সৃষ্টি হয়, তাই এটি অন্যান্য ক্যান্সারের মতো ছোঁয়াচে নয়। 

প্রশ্ন: ব্লাড ক্যান্সার প্রথম স্টেজ কোনটি? 

উত্তর: ব্লাড ক্যান্সার সর্বপ্রথম স্ট্রেজ হলো লিউকেমিয়া। এটি শ্বেত রক্ত কণিকার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দিয়ে অস্থি মধ্যে কার্যকারিতা নষ্ট করে। 

প্রশ্ন: থ্যালাসেমিয়া কি ব্লাড ক্যান্সার? 

উত্তর: রক্তশূন্যতার কারনে মূলত থ্যালাসেমিয়া হয়। তাই এদিকে ব্লাড ক্যান্সারে ভাবার কোন কারণ নেই। কিন্তু থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর একটি পর্যায়ে গিয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ক্যান্সারের হাসপাতাল কোনটি? 

উত্তর: বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ক্যান্সার হাসপাতাল হলো: জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট। এটি বাংলাদেশের রাজধানী শহরের ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত।

লেখকের মন্তব্য

ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও কারণসম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে আপনারা ব্লাড ক্যান্সার লক্ষণ কারণ সমূহ জেনে নাও পাশাপাশি ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত হয়েছেন। 

আশা করি ব্লাড ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে প্রতি উল্লেখিত তথ্য গুলো আপনার কাজে আসবে। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করছি। এই পোস্টটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন কিছু জানতে ইচ্ছে হয় তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন এবং এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করে দিবেন। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentit ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url