ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় – ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও কারণ
ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও কারণ জেনে নিন। আমাদের শরীরে যে সকল ক্যান্সার দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ব্লাড ক্যান্সার। যদি কেউ ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হয় তাহলে ব্ল্যাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় এগুলো জানা থাকলে আমরা খুব সহজে এখান থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারব।
পোস্ট সূচিপত্র: ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় গুলো কি
ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়
- বর্তমান সময়ে আমরা প্যাকেটজাত খাবার বেশি খেয়ে থাকি। খাবারগুলো তো আমাদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল যুক্ত করা হয়। তাই ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এ ধরনের খাবারগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবে।
- যেকোনো খাবার কিনে খাওয়ার আগে আমাদেরকে তার মেয়াদ ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। কারণ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার বিক্রি করে থাকে এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
- ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই নিরাপদ খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্যাকেটজাত খাবার বিভিন্ন রং মেশানো খাবার এবং অনেকদিন ধরে প্রক্রিয়াজাত করা খাবার থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে।
- নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। কিছু শরীরচর্চা আছে যেগুলো ঘরে বসে করা যায়। যদি প্রতিদিন করতে পারি তাহলে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটাই উপকার হবে। এটার বেশ কিছু মারাত্মক রোগ রয়েছে যেগুলো থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারবো।
- আমরা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে না পারি তাহলে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সুস্থ থাকার জন্য পরিমিত ঘুমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে যদি আপনি ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকতে চান তাহলে দৈনিক অন্তত ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
- ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে বেশি করে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। কারণ সবুজ শাকসবজির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিজেন যা আমাদের ক্যান্সার থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। তাছাড়া ব্লাড ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবুজ ফলমূল সংযুক্ত করতে হবে।
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন যাপন করার পাশাপাশি নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সার পরীক্ষা করে শিওর হতে হবে যে সেটি ক্যান্সারের জীবাণু কিনা।
- ব্লাড ক্যান্সার রোগীরা খাদ্য হিসেবে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সেই সাথে মাছ মুরগির ডিম চর্বি ছোট মাছ ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে হবে। ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি লাভের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
ব্লাড ক্যান্সার লক্ষণ গুলো কি কি
- ঘন ঘন জ্বর হওয়া ব্লাড ক্যান্সার অন্যতম একটি লক্ষণ। অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি জ্বর হতে দেখা যায়, যেটি কোন মতে ভাল হয় না। এমনকি ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু লক্ষণ হিসেবে একটি প্রকাশ হতে পারে।
- হঠাৎ করে দেহের ওজন অস্বাভাবিক হারে কমে যায় এবং কোন কাজ করতে দুর্বলতা ক্লান্তি ভাব অনুভূত হয়। কোন কাজ করতে গেলে ব্যাক্তি অল্পতে হাঁপিয়ে উঠে।
- ব্লাড ক্যান্সার হলে শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
- শরীরের অস্থিমজ্জায় গুলো ভেঙ্গে ক্যান্সারের সেলগুলো অনেক বেড়ে যায়। হাড়ের অভ্যন্তরের ও জয়েন্ট এর তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে এই ব্যথা স্বাভাবিক জীবন যাপনকে দূর্বিষহ করে তোলে।
- শরীরের আকর্ষিক রক্তক্ষরণের মতো সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। ত্বকে অত্যাধিক পরিমাণ চুলকানি হয় যা ক্ষত সৃষ্টি করে। এবং রক্তপাত ঘটায়, এছাড়া নাক, মারি অন্যান্য স্থান থেকে রক্তপাত ঘটতে পারে।
- ব্লাড ক্যান্সারের অন্যতম একটি প্রধান লক্ষণ হলো খাবারের প্রতি অরুচি। ব্লাড ক্যান্সার রোগী খাবারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং ক্ষুধা কমে যায়। বমি বমি প্রায়শই হয়ে থাকে।
- ব্লাড ক্যান্সারের কারণে আমাদের পায়ে পানি কমে যায়। ঘাড় কুঁচকে পেট সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মাংস বৃদ্ধিতে ফুলে যায় যা লিম্ফ নোড লিম্ফোমা নামে পরিচিত। বৃদ্ধ নোখগুলি কোমল ও নমনীয় হয়ে থাকে।
- ব্লাড ক্যান্সারের শরীরে আক্রান্ত হলে চেহারায় ফ্যাকাসে ভাব ফুটে উঠে। শরীরের ত্বক খসখসে হয়ে যায়। চেহেরাতে প্রাণবন্ত ভাব চলে গিয়ে একটু অসুস্থ অবস্থায় ও প্রকাশিত পায়।
ব্লাড ক্যান্সার কি ও কত প্রকার
ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে ব্লাড ক্যান্সার কি ও কত প্রকার সম্পর্কে জেনে নিন। আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আক্রমণ করে থাকে অন্যতম হলো ব্লাড ক্যান্সার।
তবে আমাদের অনেকের ব্লাড ক্যান্সার রোগটি আসলে কি বিষয় সম্পর্কে ধারণা নেই। ব্লাড ক্যান্সার হলে একটি মারাত্মক ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগ। আমাদের শরীরে যে রক্ত রয়েছে সাধারণত এই রক্তের তিনটি প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন: শ্বেত রক্তকণিকা, লোহিত রক্তকণিকা, এবং অনুচক্রিকা।এই রক্তকণিকা গুলোর মধ্যে শ্বেত রক্তকণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে তাহলে ব্লাড ক্যান্সার হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অন্যান্য রক্ত কণিকার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হ্রাস পাওয়া সব বিভিন্ন অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। ব্লাড ক্যান্সার মূলত তিন প্রকারের হয়ে থাকে। সেগুলো হলো:
আরো পড়ুনঃ মাশরুমের ১৬টি উপকারিতা মাশরুম এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব
- লিউকেমিয়া
- লিম্ফোমা
- মেলোমা
ব্লাড ক্যান্সার কেন হয়
- দেহে ডিএনএ এর পরিবর্তন অথবা অস্বাভাবিকতার কারণে ব্লাড ক্যান্সার কোর্স জন্ম লাভ করতে পারে। এই ডিএনএ পরিবর্তন সাধারণত বয়স, বংশগত কারণ, লিঙ্গ, ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে।
- শরীরে সংস্পর্শে ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক পদার্থ থাকলে একটি পর্যায়ে গিয়ে তার ব্লাড ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
- জন্মগত কোন শারীরিক ত্রুটি থাকলে রক্তের ভেতর অনেক সময় ক্ষতিকর পদার্থ জন্ম লাভ করে। ফলশ্রুতিতে ব্লাড ক্যান্সার এর মতো মরণঘাতী ব্যাধি দেখা দিতে পারে।
- কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় আপনারা জানেন কি? এমন কিছু খাবার রয়েছে যা প্রদীপ পরিমাণে খেলে ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন: অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাছ মাংস, অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার, দুগ্ধ জাতীয় খাবার ইত্যাদি।
ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয়
ব্লাড ক্যান্সার রোগী কতদিন বাঁচে
ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা
- রেডিয়েশন থেরাপি
- ইমিউনো থেরাপি
- ইস্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন
- টার্গেটেড থেরাপি
- কেমোথেরাপি
- ক্লিনিকাল ট্রায়াল
- টার্গেটেট ও ইমিউনো থেরাপি ড্রাগস
- কেমোথেরাপি ওষুধ
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url