ডায়াবেটিস হলে ড্রাগন ফল কতটুকু খাওয়া যাবে ও ড্রাগন ফল কি রাতে খাওয়া যাবে
বিস্তারিত জেনে নিন। ড্রাগন ফলে যে পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় একটা
কমলালেবুর সমান বা তিনটা গাজরের সমান। ট্রেডিশনাল চিকিৎসা ব্যবস্থায় ড্রাগন ফলের
বীজ ডায়াবেটিস নিরাময়ের ব্যবহার করা হয়।
ড্রাগন হচ্ছে এমন একটি ফল যা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ। ড্রাগন ফলের খোসার
উপকারিতা ড্রাগন ফলের পুষ্টি কোন উপকারিতা ড্রাগন নিয়ে যাবতীয় সকল তথ্য
আজকের আর্টিকেলটিতে তুলে ধরা হলো। ড্রাগন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র: ডায়াবেটিস হলে ড্রাগন ফল কতটুকু খাওয়া যাবে
ডায়াবেটিস হলে ড্রাগন ফল কতটুকু খাওয়া যাবে জেনে নিন। আপনি জানেন কি ড্রাগন
ফলকে অনেকে সুপার ফুড বলে থাকে। অনেকে মনে করেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ড্রাগন ফল
অত্যন্ত কার্যকরী। ট্রেডিশনাল চিকিৎসা ব্যবস্থা ড্রাগন ফলের বীজ ডায়াবেটিস
নিরাময় করা জন্য ব্যবহার করা হয়। এখন আমরা বিশ্লেষণ করে দেখব ড্রাগন ফ্রুট
সুগার কমাতে সত্যি পারে কিনা।
আর্টিকেলটি ড্রাগন ফ্রুট নিয়ে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দাও চেষ্টা করব নিচে
সবকিছু বিস্তারিত দেয়া হলো: ড্রাগন ফুট কিভাবে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করে
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকার ড্রাগন ফ্রুট এর ভূমিকা বিজ্ঞানীরা কি বলেছেন
ডায়াবেটিস ফল হিসেবে একেবারে কতটা ড্রাগণ ফুড খাওয়া আপনার জন্য নিরাপদ
ডায়াবেটিসে কি ড্রাগণ ফুড খাবেন এগুলা নিয়ে বিস্তারিত বলবো।
ড্রাগন ফুড কিভাবে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করে মোট দুইভাবে আমাদের সুগার কমাতে
সাহায্য করে থাকে। দুই ড্রাগন ফুট এর এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট ক্যাপাসিটি যে ফলের
মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতে এমন নয়। কিন্তু ড্রাগন ফুটের বিশেষত্ব হলো তারা
ইউনিট কিছু এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনি নিয়মিত ড্রাগন ফ্রুট খেলে ভিটামিন
হাইড্রোক্সি এর মতো এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট পাবেন। এছাড়া সামগ্রিকভাবে এন্ট্রিডিক্স
টেস্ট কমিয়ে লং টার্ম ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করতে সাহায্য করবে। ১০০ গ্রামটা এখন
ফুট থেকে আপনি ফাইবার পাবেন প্রায় তিন গ্রাম মত। ড্রাগ ন ফুটের ফাইবার ফলের
মধ্যে খুবই ইমপ্রেসিং। আপনার চেনা ফলের মধ্যে একমাত্র পেয়ারা বা এভোকেট ড্রাগন
ফল ড্রাগন ফল থেকেও বেশি।
ডায়াবেটিস রোগের খাদ্য তাল রাখলে ডায়মন্ড ফলের ফাইবার আপনার ব্লাড সুগার
বাড়াতে বাধা দেবে ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন। এবার
আসুন জানার যাক সুগার নিয়ন্ত্রণের ড্রাগন ফ্রুট এর ভূমিকা নিয়ে গবেষণাগুলো কি
বলছে। যাতে আপনার কাছে ড্রাগন ফ্রুট নিয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া যায়।
ডায়াবেটিস কমানোর ভূমিকা নিয়ে গবেষণায় কি বলছি ইউএস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিটি
অফ মেডিসিনের জার্নালে ২০১৭ এর সেপ্টেম্বর গবেষণার ড্রাগন ফুট নিয়ে তথ্য
পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস্কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায় ড্রাগন ফলের সকলের জন্য নিরাপদ হলে ফ্রি ডায়াবেটিস অবস্থায়
উন্নতি করলেও ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে তেমন কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। আরেকটু
ক্লিয়ার করে বলি সুগার রোগীর খাবার তালিকা নিশ্চিন্তে আপনার ড্রাগন ফটো রাখতে
পারেন। ড্রাগন ফুড মিশ করা উচিত না শুধু প্রত্যক্ষ ভাবে না ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণের ড্রাগন ফল পরোক্ষভাবে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে।
আসুন ড্রাগন ফলে অন্যান্য উপকারিতা গুলো জানার চেষ্টা করা যাক ড্রাগন ফল খুব ভালো
প্রিবায়োটিকের উৎস। ড্রাগন ফল আপনার অন্তরে ভালো ব্যাকটেরিয়া ভিত্তিতে সাহায্য
করে থাকে। ফলস সামগ্রিকভাবে অন্তর ভালো থাকে মন ভালো থাকে। পরিপাক হয় ভালো পেট
ভালো থাকে ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্ট আপনার পেট ভালো থাকা খুবই জরুরী।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হারালে আপনার ইনফেকশনে সম্ভাবনা বেড়ে যায় । আর আপনি
নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে বিভিন্ন রকম ইনফেকশনের সম্ভাবনা যেমন কমবে তেমনি বিভিন্ন
রোগ কাটার স্থান সহজে সেরে যাবে। ড্রাগন ফল খুব ভালো ম্যাগনেসিয়ামের উৎস।
বেশিরভাগ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ড্রাগন ফল নিরাপদ হলেও কিছু মানুষের ড্রাগন ফল
খেলে এলার্জি দেখা যায়। তবে ড্রাগন ফলে এলার্জি আছে কিনা আগে থেকে বলটা মুশকিল।
আপনি যদি প্রথমবার ড্রাগন ফল খান তাহলে অল্প দিয়ে শুরু করুন। যদি কোন সমস্যা না
হয় তাহলে খেতে পারেন।
যদি খুব বেশি সমস্যা হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর ড্রাগন ফল খাবেন।
এবার আপনাকে জানতে হবে কতটা ড্রাগন ফ্রুট হাই ব্লাড সুগার নিরাপদ। ডায়াবেটিস ফল
কতটা খেলে ডায়াবেটিস বারে না কমে জানতে পারবেন। ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফুট থেকে আপনি
কার্বোহাইড্রেট পাবেন ১৩ গ্রাম। অর্থাৎ আপনি অন্য ফলের সাথে তুলনা করলেন ড্রাগন
ফ্রুট এর কার্বোহাইড্রেট আপেলের থেকে সামান্য কম।
আবার ফাইবার আপেলের থেকে বেশি। ড্রাগন ফলে কার্বোহাইড্রেট ও ফাইভ বার এর পরিমাণ
দেখে আমাদের তথ্যটি খুব একটা ভুল মনে হয় না। ৬.৫০ লোড ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের
জন্য যথেষ্ট নিরাপদ। ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় নিশ্চিন্তে একেবারে ১০০
গ্রাম ওজনের ড্রাগন রাখতে পারেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সমস্যা হবে না।
এবার আলোচনা করা যায় কিভাবে ড্রাগন ফুড খাবেন ডায়াবেটিস ডায়েটে ড্রাগন ফল যোগ
করার আগে ড্রাগন ফ্রুট খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিন। ডায়াবেটিস কমাতে অতিরিক্ত
সুবিধা পাই ড্রাগন ফল উপর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। ড্রাগন ফ্রুটে হাত দিয়ে
দেখুন যদি অল্প নরম হয় বুঝবেন ব্লাড সুগার কন্ট্রোলের জন্য ড্রাগন ফ্রুটি
উপযুক্ত।
বেশি নরম হলে বুঝবেন বেশি পেকে গেছে বেশি পাকা ড্রাগন ফলে সুগার একটু বেশি থাকে
তাই ড্রাগন ফলের গায়ে কালো দাগ বা কালো স্পট থাকে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের না
রাখাই ভালো। ড্রাগন ফ্রুট খাওয়ার আগে উপরের ত্বক কি আপনাকে আলাদা করতে হবে
ড্রাগন ফলে শরবত সুগার কমাতে খুবই ভালো সাহায্য করে। আজ থেকে ড্রাগন ফল কে আর
অবহেলা না করাই ভালো।
ডায়াবেটিস হলে ড্রাগন ফল কতটুকু খাওয়া যাবে আর এভাবেই নিয়মিত ড্রাগন ফল খাবেন
এবং অনেক উপকারিতা পাবেন। পরিবারের সকলকে নিয়ে ড্রাগন ফ্রুট খান। এটা যেমন আপনার
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহজ হবে অন্যদিকে যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদের ডায়াবেটিস
হতে বাধা দেবে।
ড্রাগন ফল কি রাতে খাওয়া যাবে
ড্রাগন ফল কি রাতে খাওয়া যাবে বিস্তারিত জেনে নিন। বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত
ফলগুলোর মধ্যে একটি হলো ড্রাগন ফল। এ ফলটিকে প্রায়শো দূর স্বপ্নের ফল বলা হয়
কারণ তীব্র গন্ধ এবং প্রতিকূল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা
মাথায় রেখে কি রাতে ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত? ড্রাগন ফল লম্বা স্পাইকি বেগুনি
বাহ্যিক এবং একটি সবুজ অভ্যন্তরীণ সহ একটি অদ্ভুত চেহারার ফল।
ফলটি খাওয়া হলো বিষাক্ত তবে মিষ্টি অম্ল এবং সামান্য কু স্ত্রী যুক্ত স্বাদ
রয়েছে। ফলে কাঁচা খাওয়া যায় তবে সাধারণত খাওয়ার আগে রান্না করা হয়। ড্রাগন
ফলকে ঘিরে রয়েছে নানা তর্ক বিতর্ক। কিছু লোক বিশ্বাস করে যে ফলটি বিষাক্ত আবার
প্রতিকূল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। আবার কিছু লোক বা অন্যরা
বিশ্বাস করে যে ফলটি অনেক সুস্বাদু এর তীব্র গন্ধ রয়েছে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না যে ফলটি বিষাক্ত। আম ফল টি কাঁচা খেয়েছে ও আমার
কোন প্রতিকূল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। আমি মনে করে যে ফলে একটি তীব্র গন্ধ আছে
কিন্তু আমি এমন ফল খেয়েছি যা সুস্বাদু নয়, আমার কোনো পথ প্রতিক্রিয়া
নেই।
সুতরাং আমি মনে করি না যে আপনার রাতে ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত যা হোক আমি মনে করি
আপনার পছন্দমত আপনি খেতে পারেন। ডায়াবেটিস হলে ড্রাগন ফল কতটুকু খাওয়া যাবে এটা
কোন নির্দিষ্ট নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। আপনি চাইলে ড্রাগন খেতে পারেন না চাইলেই সেটা
বাদ দিতে পারে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সুবিধা কি
ড্রাগন ফল খাওয়ার সুবিধা কি জেনে নিন। ড্রাগন ফল পিটাহায়া বা স্ট্রবেরি
নাশপাতির নামেও পরিচিত একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল তার আকর্ষণের চেহারা এবং অসংখ্য
স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য বিখ্যাত ড্রাগন ফল। এখানে তো এখন ফলের মূল স্বাস্থ্য
উপকারিতা রয়েছে।
পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ: ড্রাগন ফল ক্যালোরি তো কম কিন্তু প্রয়োজনীয় ভিটামিন
এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এক কাপ পরিবেশনে ভিটামিন সি এবং ই আয়রন ম্যাগনেসিয়াম
ডায়েটারি ফাইবার থাকে। অফুরন্ত এটিতে উপকারী উদ্ভিদ যোগ্য রয়েছে যেমন
পলিফেনল ক্যারোটিনয়েড, বিটাসায়ানিন।
এন্ট্রি অক্সিডেন্ট পাওয়ার: ড্রাগন ফল ভিটামিন সি এর মত এন্ট্রি অক্সিজেনের
ভরপুর এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এবং হৃদরোগ ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসের
মতো দীর্ঘ স্থিত রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। ড্রাগন ফলের বিটা লাইন বা
ক্যারোটিনো এডগুলি এর অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য গুলোতে অবদান রাখতে পারে।
ফাইবার সামগ্রী: প্রতি পরিবেশনে সাতগ্রাম ফাইবার সহ ড্রাগন ফল খাদ্য তালিকা
গত ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস। একটি স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া গুলোকে হজমের
উন্নতি করতে পারে। সংক্রমণের যুগে কমাতে পারে এবং সম্ভাব্যপ্রধা ওজনক অংকের
রোগের লক্ষণ গুলো উপশম করতে পারে।
অন্তের স্বাস্থ্য: ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে প্রিবায়োটিকস যা আনতে উপকারী
ব্যাকটেরিয়া ভিত্তিতে সহায়তা করে। এ স্বাস্থ্যকর ব্যক্তিরা গুলিকে হজমের
উন্নতি করতে পারে। সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে এবং সম্ভাব্যপ্রধা ওজনক অন্তর
রোগের লক্ষণ গুলো উপশম করতে পারে।
ইমিউন সিস্টেম সমর্থন: ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি এবং ক্যারোটি-নাওয়াত গুলি ফ্রি
রেডিকেলের কারণে শ্বেত রক্তকণিকা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ইমিউন সিস্টেমকে
শক্তিশালী করে তোলে। একটি সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরে ক্ষমতা
বাড়াতে পারে।
ড্রাগন ফল একটি বহুমুখী এবং সুস্বাদু ফল যা রাজা ভাই হিমায়েত করা যায় এবং এটি
বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যের সুবিধা প্রদান করে। আপনার ডায়েটে ড্রাগন ফল
অন্তর্ভুক্ত করা সামগ্রিক সুস্থতার অবদান রাখতে পারে এবং আপনার স্বাস্থ্যের
বিভিন্ন দিককে সমর্থন করতে পারে।
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলো জেনে নিন। কাঠ কাটার স্রোতে ড্রাগন ফল বাংলাদেশের
দাম প্রচলিত না হলে সারা পৃথিবীতে অনেক জনপ্রিয় একটা ফল। এর ফলটি কয়েক রঙের
হয়ে থাকে গ্রাউন্ড ফলে তিনটি প্রজাতি হয়েছে লাল ড্রাগন ফল বা পিটাইয়া
কোস্টারিকা ড্রাগন ফল এবং হলুদ ড্রাগন ফল। লাল ড্রাগন ফল খোসার রং লাল কিন্তু
সাদা।
এ প্রজাতির ফলে বাংলাদেশে বেশি দেখা যায়। কোস্টারিকা ড্রাগন ফলের খোসা ও শ্বাসের
রং লাল। হল ড্রাগন ফলে খোসা হলুদ রঙ্গে কিন্তু শ্বাসের রং সাদা। ড্রাগন ফল
কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সহায়ক। যারা ওজন
কমাতে চান তাদের জন্য এই ফলটি খুবই উপকারী। এভাবে ভিজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি
অ্যাসিড।
যা সুস্থ থাকতে খুবই প্রয়োজন। ড্রাগন ফলের খোসা খুবই পাতলা তাই প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন সি লবন ও আশ থাকে। বহুমূত্র রোগ রক্তচাপ শরীরের স্থূলতা কমায় ড্রাগন ফল।
লাল রঙ্গে ড্রাগন ফল থেকে চমৎকার রং পাওয়া যায়। যা শরবত তৈরিতে ব্যবহার করা
যায়। এমন তো অনেকে শুকনো ড্রাগন ফল খেয়ে থাকেন। যা কাঁচা ঘরের মতো
উপকারী।
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণা থেকে জানা
যায় ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি খেলে কার্ডিওভাস বা হার ক্ষয় রোগের ঝুঁকি অনেকটাই
কমে যায়। ড্রাগন ফল হল ডায়েটারি ফাইবারের ভালো উৎস। একটি রক্তচাপ কমাতে ওজন
কমাতে খুবই উপকারী। ড্রাগন ফল আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য পত্রিকারক হিসেবে কাজ করে
থাকে।
তাই যাদের কনটিস্টিটিউশনে সমস্যা রয়েছে তারাই ফলটি খেতে পারেন। শুধু তাই নয়
ড্রাগন ফলে প্রচুর অক্সিজেন রয়েছে। এ ছাড়া ড্রাগন ফলে প্রচুর ফাইকো নিউটেন
থাকে। যার শরীরে প্রয়োজনীয় এন্ট্রি অক্সিজেন জোগাতে সাহায্য করে থাকে। কিছু
শরীরের ফ্রি রেডিকেলস বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
ক্যান্সার বা ত্বকের ত্বকের ক্ষতি এড়াতে চাইলে ড্রাগন ফল নিয়মিত খেতে পারেন।
এমনকি পটাশিয়ামের ভালো উৎস হলো ড্রাগন ফল। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয়
খনিজ উপাদান থাকে। বিশেষ করে হারের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পটাশিয়ামের খুব
ভালো উৎস হলো ড্রাগন ফল।
বিশেষ করে হারের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস হলো
ড্রাগন ফল। স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখতেও ড্রাগন ফলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এক গবেষণা
থেকে জানা যায় যে ডায়াবেটিস রোগীদের পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হার্ট কিডনি ভালো
রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এই ফলটি খেতে পারেন।
তাই শুধু ভিটামিন সি এর ভালো হিসেবে ড্রাগন ফল ধরা যায়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ে ড্রাগন ফল আয়রনের ভালো উৎস। এটি দাঁত মজবুত করে ও ত্বক সুন্দর রাখতে
সাহায্য করে ছাড়া এ ফলটি মানসিক অবসাদ এজমা এলার্জিজনিত রোগ দূর করে থাকে।
ডায়েট এর বিভিন্ন ফ্যাক্টর এর উপরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নির্ভর করে।
ড্রাগন ফলের ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিনয়েড গুলোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে
তোলে এবং শ্বেত রক্ত কণিকার প্রতিরোধের মাধ্যমে সংক্রমণ রোধ করতে পারে।
সাদা ড্রাগন ফলের উপকারিতা
সাদা ড্রাগন ফলের উপকারিতা জেনে নিন। ড্রাগন ফল কম ক্যালরিযুক্ত তবে প্রয়োজনীয়
ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। এক
কাপ ড্রাগণ কি পরিমান পুষ্টিগুণ রয়েছে সেগুলো জানেন কি। প্রয়োজনে পুষ্টির
বাইরের ড্রাগন ফল বিটা বিটাকায়ানিস মত উপকারী উপাদান গুলো সরবরাহ করে থাকে।
আপনার ইউনিয়ন সিস্টেমের শ্বেত রক্ত কণিকাগুলো ক্ষতিকারক পদার্থকে আক্রমণ করে এবং
ধ্বংস করে থাকে। শ্বেত রক্তকণিকা ফ্রি রেডিকেল দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শক্তিশালী
এন্ট্রি অক্সিডেন্ট হিসেবে ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিনের মেডিকেল গুলোকে নিরপেক্ষ
করে দেয় এবং শ্বেত রক্তকণিকা কে সুরক্ষিত রাখে। ড্রাগন ফল হলো কয়েকটি তাজা
ফলগুলোর মধ্যে একটি যা আয়রন সমৃদ্ধ ফল।
আয়রন আপনার সারা শরীর জুড়ে অক্সিজেনস পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
থাকে। এটি খাদ্যকে শক্তিকে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। দুর্ভাগ্যক্রমে অনেকের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে অনুমান করা যায় যে
বিশ্বের ৩০% জনসংখ্যার আয়রনের ঘাটতি রয়েছে যা বিশ্বব্যাপী পুষ্টির ঘাটতি তৈরি
করে।
লোহার ঘাটতি পূরণ করতে বিভিন্ন ধরনের আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
আয়রনের সমৃদ্ধ উচ্চ গলির মধ্যে আমি স্মার্ট সিম বাদাম ইত্যাদি রয়েছে। ড্রাগন ফল
আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য বিকল্প হতে পারে কারণ এতে দৈনিক চাহিদার 8% আয়রন থাকে
এবং এটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা আপনার শরীরে আয়রন শোষণ নিয়ে
সহায়তা করে থাকে।
একটা পরিমাণ ড্রাগন ফল দৈনিক চাহিদার ১৮% ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহ করে। ঘরে আপনার
দেহে ২৪ গ্রাম মোটামুটি এক পাউন্ড পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এতে আপাতত দৃষ্টিতে
সামান্য পরিমাণ মনে হলে এই খনিজ পদার্থটি আপনার প্রতিটি কষে উপস্থিত এবং আপনাদের
মধ্যকার ৬০০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার অংশ নেয়।
উদাহরণ শরীফ এটি হাত থেকে শক্তিতে রূপান্তর পেশী সংকোচন হারের গঠন এমনকি দিয়ে
এনে তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া গুলোতে অংশ নেয়। কিছু গবেষণা ইঙ্গিত
দেয় যে উচ্চ ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের ফলের হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পেতে
পারে। গবেষণাগুলো এটাই দেখার যে পর্যাপ্ত ম্যাগনেট সিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হার গঠনের
বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ড্রাগন একটি সুস্বাদু গ্রীষ্ম মন্ডলীয় ফল। ইতি চমৎকার স্বাদযুক্ত এবং প্রয়োজনে
পুষ্টি প্রিবায়োটিক ফাইবার এবং উপকারী উদ্ভিদ কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ। আপনি যদি আপনার
ফুড টাইটের ক্ষেত্রে কিছু বৈচিত্র যুক্ত করতে চান তবে ড্রাগন ফলের বিকল্প আর কিছু
নেই। ড্রাগন বৃদ্ধি পুষ্টিগুনা ভরপুর সুস্বাদু একটি ফল যে আপনার খাবার টেবিলে
কারো রঙিন করে তুলবো।
লেখকের মন্তব্য
ডায়াবেটিস হলে ড্রাগন ফল কতটুকু খাওয়া যাবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পেরেছেন। ডায়াবেটিসের ড্রাগন ফল কতটুকু খাওয়া যাবে বা ড্রাগন ফল খেলে কি কি হয়
উপকারিতা গুলো কি কি কখন খেতে হয় রাতে না দিনে ড্রাগন ফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে।
ড্রাগন ফল আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য বিকল্প হতে পারে কারণ একটি দৈহিক চাহিদার
চেয়েও বেশি আয়রন ভিটামিন সি। যা আমাদের শরীরে আয়রন শোষণ নিয়ে সহায়তা করে
থাকে। ড্রাগনের উপকারিতা অনেক বেশি।আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করছি।
এই পোস্টটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন কিছু জানতে ইচ্ছে হয় তাহলে কমেন্টে জানাতে
পারেন এবং এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করে দিবেন। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentitওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url