পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় মাসিকের ব্যাথার করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।
পিরিয়ড হলো মেয়েদের প্রতি মাসে চলমান একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ও
প্রক্রিয়া। যেহেতু পিরিয়ড চলাকালীন মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় তাই
সকলের পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় দোয়া সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।
পিরিয়ড চলাকালীন সময় মেয়েদের তলপেটে ব্যথা করে যা সহ্য করা অনেকটা কষ্টকর। তাহলে
চলুন দেরি না করে ঝটপট পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ মনোযোগ
সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে নিন।
পোস্ট সূচিপত্র: পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় বা ব্যাথার করণীয়
পিরিয়ডে ব্যথা কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন। মেয়েদের প্রতি মাসে চলমান একটি
স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ও প্রক্রিয়া। বয়ঃসন্ধিকাল থেকে অন্তত ৫০ বছর পর্যন্ত
নারীদের দেহে প্রক্রিয়া চলতে থাকে। প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সময় সাধারণত
মেয়েদের এ পিরিয়ড হয়ে থাকে। তখন আমরা অনেকে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়
সম্পর্কে জানতে চাই।
কিন্তু কোথাও সঠিক উপায় পাইনা। কারণ পিরিয়ডের সময় প্রচন্ড পরিমাণে তল পেট
ব্যথা করে যা সহ্য করা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে পড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে ব্যাথা একদমই
অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। আমরা এখন পিরিয়ড বা মাসিকের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো
সম্পর্কে সঠিকভাবে জানবো।
আদা চা সেবন করাঃ আমরা সকলে কমবেশি জানি যে আধা আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আদার মধ্যে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে স্বাস্থ্যকর উপাদান যা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। আপনি যদি
পিরিয়ডের প্রচণ্ড ব্যথায় ভোগেন থাকেন তাহলে নিয়মিত আদা চা খেতে পারেন এটি
আপনাকে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে অনেকটাই প্রশান্তি এনে দেবে। এছাড়া আদার রস মধু
সহযোগী খেলে এটি মাসিকের ব্যথা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ক্যামোমাইল সেবন করাঃ মাসিকের ব্যথা করণীয় হিসেবে ক্যামোমাইল
সেবন করা যেতে পারে। যেহেতু পিরিয়ডের সময় সকলের পছন্দ পরিমাণ পেটের ব্যথায়
ভোগে থাকে তাই এ সময় যদি ক্যামোমাইল সেবন করতে পারি তাহলে এটি আমাদের ব্যথা
হওয়া থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ এনে দিতে পারে। চায়ের মধ্যে রয়েছে
ইনফ্লেমেন্টারি এর উপাদান। এ উপাদান আমাদের পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকরী
ভূমিকা রাখে।
ওষুধ ব্যবহার করাঃ তাৎক্ষণিকভাবে মাসিক বা পিরিয়ডের ব্যথা থেকে
মুক্তির উপায় হিসেবে সবচেয়ে কার্যকর হলো ওষুধ সেবন করা। সাধারণত আমাদের
যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল কার্যকরী ভূমিকা রাখে তোর পিরিয়ডের
ব্যথা কমাতে এমনভাবে কাজ করে না। তবে আপনি জিজ্ঞেস করে সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী
পেন কিলার ক্ষেত্রে পারেন।
রিলাক্স গরম পানি দিয়ে গোসল করাঃ পিরিড়ডের ব্যাথা থেকে মুক্তি
লাভ করার জন্য সর্বপ্রথম দুশ্চিন্তা মুক্ত তথা মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।
মানসিক চিন্তামুক্ত থাকলে কি আপনাকে রিলাক্স হতে সহায়তা করবে। এছাড়া হালকা
গরম পানিতে গোসল করলে পিরিয়ডের ব্যথা অনেকটা কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
সুতরাং আপনার এই অংশ থেকে পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো জেনে নিলেন। এ
প্রতিটি পদ্ধতি যদি আপনি পিরিয়ড চলাকালীন সময় যথাযথ অনুসরণ করেন তবে খুব সহজে
পিরিয়ডের ব্যথা থেকে সাময়িক মুক্তি লাভ করতে পারবেন।
পিরিয়ডের ব্যথা হলো স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার অংশ যা কখনো
দীর্ঘমেয়াদি ভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। কেবল সঠিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায়
মাসিকের ব্যাথার বিরুদ্ধে একমাত্র টোটকা হিসেবে কাজ করে থাকে।
মাসিকের ব্যথায় করণীয়
মাসিকের ব্যথায় করণীয় গুলো জেনে নিন। মাসিকের সময় ব্যাথা কমাতে কি কি করবেন
সেগুলো নিচে দেওয়া হলো:
গরম পানির সেক পিরিয়ডের ব্যথায় গরম পানি সে খুব উপকারী।
আদা পেটের ব্যথা কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী। পিরিয়ডের সময় আধার দিয়ে চা
খাওয়ালে পিরিয়ডের ব্যথা কমানো যায়।
পেঁপে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য উপকারী। পেঁপে পিরিয়ডের ব্যথার ওদের জন্য
পেঁপে খাওয়া বেশ কার্যকরী।
ল্যাভেন্ডার অয়েল।
পানি ও পানি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।
হালকা ব্যায়াম করুন।
অ্যালোভেরার রস খেতে পারেন।
পিরিয়ডের সময় ব্যথা হওয়ার কারণ
পিরিয়ডের সময় ব্যথার কারণ কি সম্পর্কে জেনে নিন। পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়
সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পূর্বে মাসিকের ব্যাথার কারণ সমূহ ও পিরিয়ডের সময় ব্যথার
কারণ জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে ঋতুস্রাব তোলা কারণ
৫০% নারীরা প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়। খুব কম নারীরাই আছেন যাদের একেবারে পেট
ব্যাথা অনুভূত হয়নি।
যেকোনো শারীরিক সমস্যার কারণে জানা থাকলে পূর্ব থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
করা সহজ হয়। মহিলাদের মাসিক বাপ পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক
বিষয়। তবে চল মাসিকের ব্যথা হওয়ার কারণগুলো পা পিরিয়ডের সময় ব্যথার কারণ সমূহ
গুলো জেনে নিই।
প্রোস্টাগ্লাডিন দিন নামক এক ধরনের কেমিকালের ও আদিক্যর কারণে ওদের পরিমাণে
মারছে বা পিরিয়ডের ব্যথা অনুভূত হয়। বিখ্যাত ডাক্তার বিন সেন্ড বলেন যে
মাসিকের সময় যে ব্যথা বা ফোলা ভাব তৈরি হয় তাতে ভূমিকা রাখা
প্রোস্টেটাগ্ল্যান্ডিনস। প্রোস্টারগ্ল্যান্ডিন এটি জরায়ুর পেশিকে সংকুচিত
করে যারা ওতে এক ধরনের সৃষ্টি করে।
লড়াই তো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে মাসিকের সময় পেটে অত্যাধিক অনূভুতি
হতে পারে। এটি ক্লাইমাইডিয়া বা গনোরিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হতে পারে।
জরায়ুর অভ্যতার এ মায়াম মেটেরিয়াল নামক জায়গায় বৃহত্তাকার ভাইব্রেট তৈরি
হলে পিরিয়ডের ব্যথা অনুব্রত হয়।
সারভাইক্যাল কল স্টেশনে রাস্তার যোনিপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় বন্ধ থাকার
কারণে ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথা তীব্রতর হয়।
অ্যাডোনোমায়োসিস। দরুন জড়াই ফুলে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে বা সময়ের পিরিয়ডের
ব্যথা হয়ে থাকে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর দোয়া
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর দোয়া সম্পর্কে জেনে নিন। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ব্যর্থ
সমস্যায় পড়ে থাকি। যদি আপনি ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জেনে
রাখা উচিত যে ইসলামের এমন কোন বিষয় নিয়ে যে যা দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
আমাদের প্রয়োজনে সকল কাজে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা এখানে দেওয়া হয়েছে।
দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যথার সমস্যা ভোগে থাকি। যে সকল নারীরা
পিরিয়ডের ব্যথার সমস্যা ভোগে তারা পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপর দোয়া সম্পর্কে
জানতে চাই। আপনি যদি আপনার শরীরের কোন জায়গায় ব্যথা অনুভব করেন তাহলে আমাদের
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো কিছু দোয়া
রয়েছে।
এই দোয়াগুলা পড়লে খুব সহজে আমরা শরীরের যেকোনো ব্যাথা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে
পারব। শরীরে যেকোনো ব্যথা করতে সেখানে হাত রেখে সাতবারের দোয়াটি পড়তে হবে।
দোয়াটি হলো: অর্থ: আল্লাহ নামে আমি আল্লাহর অসীম সম্মান ও তার বিশাল ক্ষমতার
উসিলায় আমরা অনুভূত হয়ে ব্যথার প্রতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
এই দোয়াটি থেকে আমরা পিরিয়ডের ব্যথার কমানোর দোয়া বলে থাকি। এছাড়া মাসিকের
পেট ব্যথা কমানোর দোয়া হিসেবে এক গ্লাস পানি নিয়ে একবার দরুদ শরীফ পাঠ করতে
হবে। অতঃপর আল্লাহর গুনবাচক নাম আল আজীমুস সাতবার পাঠ করে তিনবার পানিতে ফু
দিন।
অতঃপর বিসমিল্লাহ বলে সেখানে পান করুন। এভাবে আমল করলে ভালো ফলাফল পাবেন। এছাড়া
মহান আল্লাহ একটি গুণ বাচক নাম ইয়া মুতায়ালী ১২১ বার পাঠ ফু দিয়ে পান
করুন। এই আমলটি করলে দূরত্ব তো সময় মাসিকের তলপেটে ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।
পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায়
পিরিয়ডের সময়ে ব্যথা কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন। ইসলামের প্রতিটি
সমস্যা একটি সমৃদ্ধ সমাধান রয়েছে। আমরা যদি সঠিকভাবে উপায়গুলো অবলম্বন করতে
পারি তাহলে খুব সহজে সমস্যার সমাধান করতে পারব।
এমনকি পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় দোয়া সম্পর্কে ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়ে
গেছে। তবে আমরা পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া কিছু উপায় তেমনভাবে কেউ জানে না।
মাসির সময় পেটে ব্যথা হলে করণীয় কি পিরিয়ডের সময় বেশ কিছু সমস্যা দেখা
যায়।
সাধারণত মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। প্রচন্ড পরিমাণ মাথা ব্যাথা করে পেট ব্যথা
হওয়ার কোমর ব্যথা বমি বমি ভাব মাথা ব্যথায় সমস্যা গুলো দেখা দিয়ে থাকে। ব্যথা
কমানোর ঘরোয়া উপায় উল্লেখ করা হলো:
পেঁপের মধ্যে অনেক গুনাগুন রয়েছে। তাই পেঁপে খেতে পারেন। পেঁপে খেলে এটি
পিরিয়ডের ব্যথাকে অনেকটা কমাতে সক্ষম হয়। আপনি যদি পিরিয়ডের সময় প্রচন্ড
ব্যথা অনুভব করেন এবং এই সময় যদি কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার
ব্যথা কমাতে দ্রুত গতিতে কাজ করবে।
নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। ভিডিওটির ব্যথার কারণে যেখানে নড়াচড়া করা কঠিন
সেখানে সূর্যাস্তের কথা শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! তবে পিরিয়ডের দিনগুলো
কিছুটা আরামদায়ক কাটাতে চাইলে কিছু হালকা ব্যায়াম যেমন স্টৌচিং যোগব্যায়াম
ইত্যাদি হতে পারে দারুন কার্যকরী।
গরম পানি শেক দিতে পারেন। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে হলে আপনাকে গরম পানি শেক
দিতে হবে। গরম পানি পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বাজার
বেশ কিছু ব্যাগ কিনে তে পাওয়া যায় যেগুলোর মধ্যে গরম পানি ঢুকিয়ে ব্যথায়
লাগালে ব্যথা আগে তুলনায় অনেকটাই কমে যাবে।
অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করতে পারেন। কোন দেশে আমরা সকলে এলোভেরা চিনি। আমাদের
আশেপাশে অ্যালোভেরা গাছ পাওয়া যায় অনেক। অ্যালোভেরার মধ্যে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে
কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই অ্যালোভেরা। এই অ্যালোভেরার এগুলোর মধ্যে পিরিয়ডের
ব্যথা অন্যতম। কেননা যখন আপনার পিরিয়ডের ব্যাথা শুরু হবে তখন এই উপাদানটি
মধুসহ পান করুন দেখুন আপনার পিরিয়ডের ব্যথা কমে যাবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।। শরীরে যদি পানি শুনাতে দেখা যায় তাহলে
আমাদের পিরিয়ডের ব্যথা আরো বেশি বেড়ে যায়। যার ফলে শরীরে পানি শূন্যতার
দূর করা যায় না। নেপালি শুন্যতা দূর করার জন্য আমাদের বিশেষ করে পিরিয়ডের
সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আর পানি জাতীয় যে সকল খাবার
রয়েছে সেগুলো বেশি বেশি করে খেতে হবে।
পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমানোর ওষুধ
ব্যথা কমানোর ওষুধের নাম জেনে নিন। পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে
গিয়েছেন। ব্যথা অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের
শরণাপন্ন হতে হবে। পিরিয়ডের কয়েকটা দিন শরীরকে বেশ দুর্বল করে তোলে। এ সময়
নিয়মতান্ত্রিকভাবে জীবন যাপন করা পরিমিত পরিমান ঘুমানোর অধিক পরিমাণ যুক্ত ফল
শাকসবজি খাওয়ার বিকল্প নেই।
তীব্রতল পেট ব্যথা আইবুপ্রোফেন হয়ে অনেকে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ওষুধের নাম
জানতে চেয়ে থাকেন। হাইবপ্রফেন নামক পিরিয়ডের ব্যথার মেডিসিনটি দ্রুত সময়
মাসিকের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে থাকে। এ ওষুধ সেবনের বৃষ্টির ৩০ মিনিটের মধ্যে
ব্যথা কমতে শুরু করে দেয়। আইবুপ্রোফেন ৪০০ মিলিগ্রামের ওষুধটি ভরা পেতে ৩-৪ বার
সেবন করতে হবে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য যাদের বয়স অল্প তারা চাইলে ৫০০ গ্রাম বা ১০০
মিলিগ্রামে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তীব্রতার ব্যথা অনুভূত হলে আইবুপ্রোফেন বা
প্যারাসিটামল সেবন করা যেতে পারে। ছটি পরামর্শের জন্য ভালো মানের ডাইনি ডাক্তার
সম্পূর্ণ হতে পারেন।
সুতরাং মাসিকের ব্যথার ওষুধের নাম বা পিরিয়ডের সময় ব্যথার ওষুধের নাম আপনারা এই
অংশটি থেকে জানতে পারলেন। পেটে ব্যথার প্যাটার্ন পরিবর্তিত হতে থাকলে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর খাবার
পিরিয়ডে ব্যথা কমানোর খাবার গুলোর নাম জেনে নিন। আপনারা সকলে পিরিয়ডের ব্যথা
কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে সম্পন্ন ধারণা পেয়েছেন। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা
আপনার পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমিয়ে আপনাকে কিছুটা স্বস্তি দেবে এবং শরীরকে
প্রাণবন্ত রাখবে।
খাবার পানি এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ এই সকল খাবার আপনাকে ফিট রেখে শরীরকে ক্ষয় রোধ
করবে। সব সময় খাদ্য তালিকা সমস্ত খাবার সংযুক্ত করতে হবে। সে সকল খাবারের তালিকা
দেখে ফেলি নিচে দেওয়া হলো:
তিল,কলা, ব্রকলি, পালং শাক, ক্যামো মাইল ,চা।
আনারস,আদা চা ,তেতুল, গাজর সবুজ চা।
কাজু, পেস্তা বাদাম, অ্যালোভেরা।
ডার্ক চকলেট, দারুচিনি গুড়া।
আপেল সিডার ভিনেগার,কমলালেবু।
স্বাস্থ্য গবেষকদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে সকল খাবার মাসিক বা পিরিয়ডের
ব্যথার বিরুদ্ধে দারুণ প্রতিরোধ করে তোলে। এই সকল খাবার গ্রহণের সময় অবশ্যই
ধূমপান পরিহার করতে হবে এবং ক্যাফেইন জাতীয় খাবার পর ত্যাগ করতে হবে।
তাছাড়া তেল যুক্ত খাবার যেগুলো ফ্যাট সৃষ্টি করে সেগুলো গ্রহণ করা থেকে নিজেকে
বিরত রাখতে হবে। সুতরাং মাসিকের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় আপনারা জেনে ফেললেন
অন্যদিকে মাসিক ব্যথা কমানোর দোয়া জেনে গেলেন।
FAQs (মাসিক নিয়ে সাধারণত প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন: পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে?
উত্তর: পিরিয়ডের ব্যথার ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ব্যক্তি বিশেষে অনেকের ব্যাথার তীব্রতা কয়েকদিন পর্যন্ত অনুব্রত হতে দেখা
যায়।
প্রশ্ন: গরম পানি খেলে কি মাসিকের ব্যথা কমে?
উত্তর: গরম পানি পেতে গেলে এক ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করা যায় পেটে থাকা
মাসিকের ক্রান্মকে কিছুটা হলে নিশ্চিত করে।
প্রশ্ন: পিরিয়ডের ব্যথা কতটা ক্ষতিকর?
উত্তর: পিরিয়ডের ব্যথা অনেক সময় পেট ঘার উরু সহ সমস্ত স্থানে ছড়িয়ে
পড়তে পারে। অত্যাধিক ব্যথার কারণে শরীরের অন্যান্য রোগ জীবাণু বাসা বাড়তে পারে।
তাই পিরিয়ডের ব্যথা মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না।
প্রশ্ন: পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য কি করা উচিত?
উত্তর: পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন সুষম খাবার
গ্রহণ এবং ব্যায়াম করা উচিত। এছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে বিভিন্ন টোটকা অবলম্বন
করলে মাসিকের ব্যথা কমানো যায়।
প্রশ্ন: পিরিয়ডের ব্যথা স্বাভাবিক কি?
উত্তর: পিরিয়ডের ব্যথা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কেননা এর পরের বড় অস্বস্তি
দেখা দেয়। যার ফলে প্রয়োজন পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ওষুধ সেবন করতে হয়।
লেখকের মন্তব্য
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। মাসিকের ব্যথায় করণীয় পিরিয়ডের ব্যথা
কমানোর উপায় পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর দোয়া পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘর উপায়
ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেই সাথে মেয়েদের এটি নিয়মিত
ঘটনা তাই সব মেয়েদের এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।
তারপর আপনাদের এই বিষয়ে যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের
জানাতে পারেন। এবং এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা উপকৃত হয়ে
থাকেন তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentitওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url