মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়। ২১ টি দারুন সেরা কার্যকরী উপায়

আপনি কি তাদের মধ্যে একজন যারা জানতে চায়, "প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়" সম্পর্কে? যাদের প্রধান প্রশ্ন কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করবো? তাহলে আমার মত আপনি সঠিক স্থানে রয়েছেন। আশা করি এখানে ব্যয় করা প্রতিটা সময় আপনার জীবনের মোড় ঘুরাতে মোক্ষম অবদান রাখবে।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
হ্যাঁ, এই একটা আর্টিকেলে থাকবে বিভিন্ন সেক্টরের বিভিন্ন মানুষের জন্য ২১ টি পৃথক উপায় যেগুলো অনুসরণ করলে আপনিও মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আর্টিকেল টি কিছুটা বড় হবে তবে হাতে সময় নিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্র: মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সম্ভব 

কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব জেনে নিন। হ্যাঁ, বাংলাদেশে বসে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ কত শতাংশ মানুষ আয়ের সীমা ৩০ হাজার টাকা তা নিয়ে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে অনুমান করা হয় যে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ৩০% মানুষ মাসের ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করে থাকে। 

এর মধ্যে অনেকে ঘরে বসে অনলাইন বা অন্যান্য উপায়ে আয় করে থাকে। এবারের আর্টিকেলে আমরা যে স্পেসিফিক উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করব সেগুলো বর্তমান ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার জন্য কার্যকর। প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উৎস করে দিবে। হতে পারে আপনি একজন স্টুডেন্ট। 

একজন বেকার একজন কর্মজীবী কিন্তু নতুন কিছুর খোঁজ রয়েছেন হতে পারে আপনি একজন গৃহিনী অথবা যে কেউ হন না কেন যারা টাকায় করতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই সময় নষ্ট না করে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করুন।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য কি কি প্রয়োজন 

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য কি কি প্রয়োজন জেনে নিন। হ্যাঁ বাংলাদেশে বসে মাসির ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। হাই করার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত যে এটা করার জন্য আপনাকে কি কি প্রদান করতে হবে কোন বিষয়েই কি ইফোর্ট দিতে হবে কিংবা কি সব উপাদান লাগবে এ সকল বিষয়ে অবশ্যই জানতে হবে। 

আরো পড়ুন:কিভাবে ফেসবুক আইডি হ্যাকিং ঠেকাবেন তা রোধ করার উপায়

এটা যদিও নির্ভর করে ২১ টি পৃথক উপায় এর উপর। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বা প্রায় সকল ক্ষেত্রে যে জিনিসগুলো কমন হবে তার কিছু এখানে উপস্থাপন করছি। বাকিগুলো উপায়ে সেকশনে জানতে পারবেন। 

  • দক্ষতা: ঘরে বসে আয় করার জন্য প্রয়োজনে দক্ষতা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। যে কাজটি করার মাধ্যমে আপনি আয় করতে চান, সে কাজের জন্য প্রয়োজনে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতা অর্জনের জন্য আপনি অনলাইন কোর্স বই সরাসরি প্রশিক্ষণ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। 
  • নিষ্ঠা ও পরিশ্রম: ঘরে বসে আয় করতে হলে নিষ্ঠা ও পরিশ্রম করতে হবে। কাজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং পরিশ্রম করে কাজ করতে হবে। 
  • অনলাইন মার্কেটিং: নিজের কাজ বা ব্যবসা কেউ অনলাইনে প্রচার করতে হবে। অনলাইনে মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনার লক্ষ্যবস্তু দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। তাদের কাছে আপনার কাজ বা ব্যবসা সম্পর্কে সচেতনা তৈরি করতে পারবেন। 
  • ইন্টারনেট সংযোগ: ঘরে বসে আয় করার জন্য ভালো মানা ইন্টারনেট সংযোগ থাকা প্রয়োজন। 
  • কম্পিউটার ওয়ালা ল্যাপটপ: কাজ করার জন্য একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকা প্রয়োজন। 
  • অন্যান্য সরঞ্জাম: প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য সরঞ্জাম, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, থেকে প্রয়োজন হতে পারে।
আর যদি অফলাইনে কোন কাজ করতে চান তবে সেটির ক্ষেত্রে আপনাকে দক্ষতা কেন্দ্র করে সে কাজের উপর নির্ভর করে উপাদানের প্রয়োজন হয় যা উপায়ের বিস্তারিত সেকশন উল্লেখ্য থাকবে। আপনি জানতে চলেছেন মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়। 

কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায় 

কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায় জেনে নিন। তাহলে কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায় জানতে চান? এর জন্য আপনাকে প্রথমে নিজেকে বুঝতে হবে নিজের ইচ্ছা ভালোলাগা জিনিসের উপর নির্ভর করে একটা নিস বা উপায় সিলেক্ট করতে হবে। এরপরে ধাপে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য ২০ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করব। 
কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়
যে আলোচনায় কোন না কোন সেক্টরে কোন উপায় আপনার পছন্দ হবে। পছন্দ হওয়ার পরে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য মূলত "কিভাবে" শব্দটাকে আঁকড়ে ধরে এগোতে হবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এখান থেকে আপনি একটি বিষয়ে থিম সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

এবং এর পরবর্তী ধাপ গুলোর জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত আপনাকে পরিশ্রম করে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি অনলাইনে রিসোর্স ব্লগ আর্টিকেল ভিডিও টিউটোরিয়াল কোর্সে সমূহের সাহায্য নিতে পারেন। মূলত আগে বুঝতে হবে আপনি কোন কাজটি করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত তারপরে আপনি বুঝতে পারবেন। 

কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন স্পেসিফিক বিষয়কে কেন্দ্র করে। অবশ্যই কাজগুলো শিখতে হবে এবং করতে বেশ কিছু সময় লাগবে তবে আপনার উচিত হবে হাল ছেড়ে না দেওয়া। তারা চলুন এবার যাওয়া যাক আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিষয়ের মূল আলোচনায়।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার  উপায়। ২১ টি উপায়

এ পর্যায়ে জানাবো প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ২১ টি দারুন উপায়। বোঝার সুবিধার্থে আমরা এই পোস্টগুলো উপায় গুলো কেমন ভাবে কালকে মুক্ত করেছে যেন কৃষি অনলাইন অফলাইন উভয়ের মাধ্যমে ভাগ করার উপায় সম্পর্কে পাঠকরা বুঝতে পারেন। তাহলে আর কথা না বাড়ি শুরু করা যাক মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সংক্রান্ত গাইডলাইনটি। নিচের বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার  উপায়। ২১ টি উপায়: ১০

অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। এখানে থাকছে অনলাইন ভিত্তিক মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো। যেগুলো করতে আপনাকে কোথাও যেতে হবে না আপনি ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে কাজগুলো করতে পারবেন। এবং এখানের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।


ব্লগিং করে আয়ঃ  বাংলাদেশী ব্লগিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে এটা নির্ভর করে ব্লগের নিশ, কনটেন্ট, গুনমান এবং দর্শকদের সংখ্যার উপর। সাধারণত, একটি ব্লক দিয়ে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করার জন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার পেজ ভিউ প্রয়োজন। প্রতি পেজ ভিউয়ার জন্য যদি ঘরে ০.৫ থেকে ০.৯০ ডলার হয় তাহলে ৫০ হাজার পেজ ভিউ থেকে আয় হবে। 

৩০ হাজার টাকার আশেপাশে। তবে, প্রতি পেজ ভিউয়ের আইন নির্ভর করে ব্লগের নিস, বিষয়বস্তু এবং বিজ্ঞাপনের ধরনের উপর। এখানে যে আর কথাটি বলা হলো সেটি গুগল এডসেন্স অ্যাপ এর মাধ্যমে মনিটাইজড করার ক্ষেত্রে। শুধু তাই নয় আপনি যদি আরও বেশি ট্রাফিক নিজের ওয়েবসাইট নিয়ে আনতে পারেন তাহলে আপনার আয় হবে আরও অনেক বেশি। 

বাংলাদেশে বসে শুধুমাত্র ব্লগিং করে লাখ টাকা আয় করেছে এমন মানুষের সংখ্যা নিছক কম নয়। ব্লগিং এমন একটি কাজ যেখানে আনলিমিটেড টাকা আয় করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে নিয়ে সিলেকশন এবং কন্টেনের উপর প্রবল মনোযোগ দিতে হবে। আপনি যেখানে যেমন আয় করতে পারবেন তো এমনি এখানে পরিশ্রম করতে হবে বেশ। 

সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। একবারও কষ্ট করে আজীবনের জন্য লাভবান হওয়ার সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো ব্লগিং করা। আপনি যদি ব্লগিং এ এখন থেকে সময় দেন তাহলে আগামী ছয় মাস থেকে এক বছর মধ্যে আপনি প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার মতো আয় করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করা যায়। 

ডাটা এন্ট্রিঃ ডাটা এন্ট্রি কাজ হল একটি কম্পিউটার সিস্টেম বা ডাটাবেসে ডাটা প্রবেশের প্রক্রিয়া। এটি অনেক ব্যবসা এবং সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কারণে একটি সংগঠন, স্টোরেজ এবং ডেটা বিশ্লেষনের মতো জটিল কাজের সংমিশ্রণ। একজন দক্ষ ডাটা এন্ট্রিক অপারেটর প্রতি ঘন্টায় ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দ এন্ট্রি করতে সক্ষম। 

সে হিসেবে একজন ডাটা এন্ট্রি এক্সপার্ট যদি প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে কাজ করে তবে তার ইনকাম দাঁড়াবে ২১ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। সাধারণত একজন ডাটা এন্ট্রি এক্সপার্ট যত বেশি কাজ পাবে তার আয় তত বেশি হবে। বাংলাদেশের ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে সকল মার্কেট পেজগুলোতে একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বিভিন্ন ধরনের কাজ পেতে পারে যেমন: 
  • টেক্সট এন্ট্রি: বিভিন্ন ধরনের পাঠ্য যেমন নিবন্ধন,বই,কোড, ইমেল, ইত্যাদি এন্ট্রি করা 
  • ডাটা কনভাটেশন: এক ধরনের ফর্ম্যাট থেকে অন্য ধরনের ফর্ম্যাটে ডাটা কনভার্ট করা। 
  • ডেটা মাইনিং: ডেটা থেকে তথ্য খুঁজে বের করা।
সাধারণত ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস গুলো হলো: 
  • Upwork
  • Fiver 
  • Torrento
  • universal trading 
ইউটিউব থেকে আয়ঃ ইউটিউবের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন এটি বর্তমান সময় পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত। আপনি নিশ্চয় জেনে থাকবেন যে ইউটিউব থেকে ইউটিউবের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। সাধারণত ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় রয়েছে দুইটি। গুগল এডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়। 

দুই স্পন্সর বা প্রমোশন থেকে আয়। উক্ত লিংক থেকে সে বিষয়ে পৃথকভাবে বিস্তারিত জেনে নিবেন। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ইউটিউবে প্রতিদিন প্রায় ৫০ মিলিয়ন ভিডিও দেখা এবং বাংলাদেশ ইউটিউব ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রায় দশ কোটি। এবং বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি যে সকল বিষয়বস্তুর ওপর কনটেন্ট দেখা হয় সেটা হল শিক্ষা, বিনোদন, খেলাধুলা ও টেকনোলজি। 

সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউবের মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এমনকি ৩০ হাজার টাকা আয় খুব কম হয়ে যাই ইউটিউব থেকে কেননা এর থেকে অনেক বেশি আয় করেছে এমন অনেক বাংলাদেশী ইউটিউবার রয়েছে। ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে। সর্বপ্রথম একটি বিষয় সিলেক্ট করতে হবে। 

পরবর্তী বিষয়ের ওপর বিস্তারিতভাবে প্রতিনিয়ত ইউটিউব ভিডিও এবং আপলোড করে যেতে হবে। বেসিক SEO মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিও গুলোকে বেশি ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন। আর যেহেতু ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করা থাকবে তাই যত বেশি ট্রাফিক তত বেশি আয়েশ সম্ভাবনা রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে বাংলাদেশ ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের চাহিদা ও আছে। যদিও বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যানেজার গড় বেতন প্রায় ২৫ হাজার টাকার মতো তবে এমন অনেক রয়েছে যারা এমনকি থেকেও বেশি হাজার টাকা আয় করে। 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে আছে। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হতে হলে প্রথমে আপনাকে এ বিষয়ে কোর্স করতে হবে। দক্ষতা অর্জন করা হয়ে গেলে বিভিন্ন মিডিয়া থেকে করা জব পোস্ট এপ্লাই করুন। এবং ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে কাজে যোগ দিন। এছাড়া আপনি নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করে এসইও এর মাধ্যমে সেটির মার্কেটিং করতে পারেন। 

হয়তো আপনি কোন এজেন্সির হয়ে কাজ করতে পারেন। যেহেতু কাস্টমার তুমি ফিক্স একটি অ্যামাউন্ট এর অর্থ প্রতি মাসে শেষে আসবে তা এখানে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজটি আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর মাধ্যমে করার জন্য করতে পারেন।

ফেসবুক থেকে আয়ঃ বর্তমানে পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষের ফেসবুক ব্যবহার করে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নামে পরিচিত। কিন্তু আপনি জানেন কে ফেসবুক হতে পারে আপনার অনলাইন ইনকাম এর একটি সঙ্গী। অনেকে আছে যারা এখন পর্যন্ত জানে না যে কিভাবে ফেসবুকে ইনকাম করতে হয় সে বিষয়ে। 
    তাই আজকে আর্টিকেলটিতে আমি আপনাকে জানাবো কিভাবে ফেসবুক থেকে ইনকাম করবেন। আপনার হাতে যদি একটু স্মার্টফোন থাকে এবং এ ফোন যদি আপনার একটা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে আপনি আমার মত ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে আপনার ফেসবুকে একাউন্ট থেকে প্রফেশনাল মুডে নিয়ে যেতে হবে। 

    এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে প্রফেশনাল মুডে যাবেন? কোন সমস্যা নাই আমরা তো আছি আপনার সাথে। প্রথমে আপনাকে আপনার ফেসবুকের প্রোফাইলে যেতে হবে। এবং তারপর আপনার ফেসবুকের প্রোফাইলের একটু নিচে একটা থ্রি ডট চিহ্ন আছে। আপনাকে তাতে ক্লিক করতে হবে এবং ওইখানে গিয়ে আপনার ফেসবুকের প্রফেশনাল মুড চালু করতে হবে। 

    এবং তারপর আপনাকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি কমপক্ষে পাঁচ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে এবং আপনার অ্যাকাউন্টটিতে কমপক্ষে ৬০ হাজার মিনিট ভিউ টাইম থাকতে হবে। এখন আপনি বলতে পারেন আপনি এই ফলোয়ার এবং ভিউ টাইম কই পাবেন? 

    এর জন্য সহজ মাধ্যম হচ্ছে আপনি আপনার ফেসবুকে অ্যাকাউন্টটিতে নিয়মিত ছবি কয়েক সেকেন্ডের নতুন নতুন ভিডিও দিতে পারেন তাতে আপনার জন্যই ভালো। এবং আরেকটা কথা ন্যূনতম তিন মিনিটের ভিডিও দিতে হবে তার কম দেওয়া যাবে না। এর ফলে আপনার প্রতিদিন যেমন প্রতিনিয়ত ফলোয়ার বাড়বে যে আপনি আপনার ভিউয়ার বাড়বে। 

    এভাবে যদি আপনি টানা কাজ করতে থাকেন তাহলে আপনি অতি তাড়াতাড়ি ফেসবুক থেকে একটা ভালো এমন ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুকে ইনকামের জন্য মনিটাইজেশন করতে হয়। মনিটাইজেশন করা থাকলে এটি ডলারের মাধ্যমে আয় করা যায়। যা আমরা বিকাশ রকের ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা সংগ্রহ করতে পারব।

    আর্টিকেল লিখে আয়ঃ আর্টিকেল মানে হল লেখালেখি করা। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং। আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তাহলে এই সেক্টর টি আপনার জন্য খুবই উপকারী। কেননা আপনি শুধুমাত্র লেখালেখি করে সেক্টর থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

      সাথে আপনার স্কিল টাও ভালো থাকতে হবে। তাহলে আপনি সহজে সেক্টরের হিরো হয়ে উঠতে পারবেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আপনি লেখালেখি করবেন কোথায়? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে আপনি চাইলে গুগলের নিজস্ব ব্লগার  ওয়েবসাইটে  লিখে পাবলিশ করতে পারেন কিনা আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও  ব্যবহার করতে পারেন। 

      তবে একটা কথা না বললেই নয়, আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর google যেখানে ব্লগিং করেন না কেন আপনার কিন্তু একটা ডোমেন হোস্টিং অবশ্যই লাগবে। তবে google এ নিজে শুধু ব্লক সাইডে একটা ব্লক পোষ্ট মেনু ও ১৫ জিবি হোস্টিং ফ্রি দেওয়া থাকে। আপনি চাইলে সেগুলো ব্যবহার করলে করতে পারেন। 

      কিংবা আপনার পছন্দের কাস্টম রুমে কিনা সেটা করতে পারেন। একটা কথা হচ্ছে আপনি যে ব্লগিং করবেন তা কোন নিশ লেখালেখি করবেন কিছু ভেবেছেন কি? ভাবিনি তাই না! তোমার সঙ্গে আমরা আছি তো চিন্তা কিসের। আপনি চাইলে বিভিন্ন লেখালেখি করতে পারেন যেমন লাইফস্টাইল, সাহিত্য সংস্কৃতি, চিকিৎসা সেবা, 

      বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা ,ধর্মীয়, তথ্য ইত্যাদি আরো অনেক নিশ নিয়ে কাজ করতে পারেন। তবে কোনটা নিয়ে কাজ করে সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভরশীল। আপনার যেটা পছন্দ হবে সেটা নিয়ে কাজ করতে পারেন। এমনকি আপনি চাইলে সবগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন আবার একটা নিউজ নিয়ে কাজ করতে পারবেন। 

      এখন কথা হচ্ছে আপনার লেখা ব্লক একজন ডিজিটাল কিভাবে পাবে? প্রশ্ন আপনার মনে হয় এতক্ষণ খাচ্ছিল তাই না! আপনার ব্লগ গুগলে এক নাম্বার পজিশনে নিয়ে আসতে আপনাকে জানতে হবে সাথে আপনার লেখা ব্লগ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ইউনিক অর্থাৎ নতুন হতে হবে। কারো কাছ থেকে কপি করে লেখা যাবেন না। 

      আপনার এলাকাটা যদি একটু সুন্দর লিখতে পারেন তাহলে তো সবার উপর থাকবে। আর সবার উপরে থাকলে আপনার ইনকামিং বেড়ে যাবে। ওই বিষয়ে সম্পর্কে যদি মানুষ জানতে চাই তাহলে সবার আগে আপনার লেখাটা আসবে। এবং বিজিতো সে লেখাটির উপর চাপ দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে এবং ব্লক দিয়ে পড়বে উদাহরণস্বরূপ: 

      আপনি গুগলে সার্চ করে আমাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পোস্ট করেছেন ঠিক সেই রকম। এভাবে আপনি যদি প্রথম একটা কাজ করে আপনার বিভিন্ন ব্লক ওয়েবসাইট দিয়ে রেঙ্ক করাতে পারেন তাহলে আপনি ওয়েবসাইট থেকে মাসে একটা ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। এটা যত ভিউয়ার্স হবে তত ইনকাম বাড়বে।

      ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকামঃ আপনি হয়তো আমার থেকে জেনে গেছেন যে বিভিন্ন রকম ইনকাম করা যায়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম। মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ওয়েবসাইট বানানোর একদম ফেসবুক একাউন্ট খোলার মতই সহজ। 
        ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনি বলতে পারেন কিভাবে এই ওয়েবসাইট বানাবেন? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে আপনি ইউটিউব থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করা ছোট্ট একটি টিউটোরিয়াল দেখে নিতে পারেন। টোটাল দেখার পর যদি আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হলে একটু ওয়েট ডেভেলপমেন্টের কোর্স করতে পারেন। 

        এবার আপনি সিলেক্ট সিলেক্ট করবেন যে ওয়েবসাইট এ কোন নিশ নিয়ে লেখালেখি করবেন। পুরনো জনপ্রিয় নিশ রয়েছে যেমন: স্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ই কমার্স, অনলাইনে ইনকাম, ইসলামিক পোস্ট, সকল সেবা, ইত্যাদি। আপনি এসব নিয়ে ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করে মাসে একটা বড় এমন ইনকাম করতে পারবেন। তবে ওয়েবসাইট বানানো ডিজাইনের দিকে খেয়াল রাখবেন যেন ডিজাইন দেখে ক্রয় করতে চান।

        ফ্রিল্যান্সিং করে আয়ঃ বর্তমান আমাদের দেশে ফ্রান্সের কোন বাইরে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স তারা এনে দিচ্ছে বাংলাদেশে। যোগদান করে আপনি টাকা আয় করার পাশাপাশি গৌরবের অংশীদার হতে পারবেন এবং সফলতা অর্জন করবেন। এখন আসেন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করবেন। 
          ফ্রিল্যান্সিং বলতে মুক্ত পেশাকে বোঝানো হয়েছে । আপনি আপনার সময় অনুযায়ী অন্যের একটি কাজ করে দিবেন এবং তার বিনা আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পারিশ্রমিক পাবেন। এখানে কাজ করার জন্য আপনার কোথাও যেতে হবে না আপনি ঘরে বসে যে কোন কোম্পানি বা ব্যক্তির হয়ে কাজ সম্পাদনা করে দিবেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট হবে বিভিন্ন দেশে। 

          সময় সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকবে। যাই হোক সবার প্রথমে এখানে আপনার দরকার একটু নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা। এটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে পারে ফটো এডিটিং ভিডিও এডিটিং ওয়েব ডিজাইন ইন ওয়েবসাইট মেকিং কপিরাইটিং লোগো ডিজাইন ইত্যাদি। 

          এসবের যেখানে একটি কাজে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। আপনি যদি একাধিক কাজ পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার টাকা ইনকামের সুযোগ একাধিক থাকবে। তবে যে কাজটি আপনি শিখেন নাই সে কাজে আপনাকে অনেক দক্ষ হতে হবে। দুই তিন বছর তাদের অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে। 

          তারপর আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে যেমন ফ্রিল্যান্সার আপওয়ার্ড ফিভার ইত্যাদি মার্কেটপ্লেস আপনার বিভিন্ন তথ্য দিয়ে একাউন্ট খুলে রাখতে হবে। এরপরে আপনি যে যে যে কাজে পারদর্শী সেগুলো সাইটে মেনশন করে দিতে হবে। একটা বিষয় আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে বর্তমান সময় অনলাইন ইনকাম সাইট অনেক আছে। 

          কিন্তু সঠিক ও ভালোবাসা খুব কম। কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে সাইটটি দেখে নিতে হবে। যদি সবকিছু দেখে আপনার কাছে ভালো বলে মনে হয় তাহলে আপনি ওই সাইটে কাজ শুরু করতে পারেন। তারপর আপনি যে কাজ পাবেন তা প্রমাণ করার জন্য আপনার পূর্বের সম্পাদিত কোন কাজ থাকলে সেটা সাথে রাখতে হবে। 

          এতে করে আপনার ক্লাইন্ট এসে আপনার কাজটি দেখে পছন্দ করে সে কাজে আপনাকে নিয়োজিত করবে। থাকবো অবশ্যই ভালো একটি কাজ করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নতুন হিসাব পেয়ে কাজগুলোর নতুন কাজ পেতে বেশি সহায়তা করবে। হয়তো এমনও হতে পারে আপনার সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও আপনার কাজ পেতে একটু অসুবিধা হতে পারে। 

          সেক্ষেত্রে আপনার পরিচিত কেউ যদি ফ্রিল্যান্সার থাকে তাতে কিছুটা পরামর্শ নেবেন। আপনি তার রেফারেন্সের মাধ্যমে দু একটা কাজ করে দেখতে পারেন। আপনার কাজ যখন আপনাকে ভালো একটা রিভিউ দিবে তখন দেখবেন থাকবে এছাড়া আপনি বিভিন্ন গ্রুপে গিয়ে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে জানাতে পারেন। এখান থেকে ক্লাইন্ট দেখতে পারেন। 

          আমাদের মত ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে প্রথম কাজটা পাওয়া একটু কঠিন হয়। তবে আপনি যদি ভালোভাবে সার্ভিস দিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি একটা মার্কেটপ্লেসে কাজ করে মাসে ৫০০$ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

          ছবি বিক্রি করে আয়ঃ আমাদের বর্তমান জেনারেশন স্মার্টফোন নিয়ে এমন কোন মানুষ নেই। তাই অনেকের কাছে আবার বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা ও থাকে। তাই আপনারা চাইলে আপনার এই মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে শুধু বিভিন্ন আকর্ষণের জিনিসের ছবি তুলতে হবে। 
            সেটা আপনি আপনার মোবাইলের ফোন দিয়ে তুলতে পারেন অথবা ক্যামেরা দিয়েও তুলতে পারেন। তারপর আপনি চাইলে সে ছবিগুলো একটু এডিট করে অথবা RAW ফাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট আপলোড করে সেখান থেকে একটি ছবির জন্য ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করবেন। 

            আপনি যদি অল্প অল্প ফটো দিতেন জেনে থাকেন তাহলে এতে আপনার সুবিধা বেশি। ফটোশপ ইত্যাদির মাধ্যমে ছবি আকর্ষণীয়তা বাড়িয়ে তুলতে পারেন। অনলাইনে ছবি দেখে জন্য অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন আপনি তার মধ্যে 500px,Envato ইত্যাদি খুব জনপ্রিয়। 

            আপনি এসব ওয়েবসাইটগুলোতে যে ছবিগুলো বিক্রি করবেন সেগুলো আবার ওই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন মানুষ ক্রয় করে নেবেন। এসব ছবি গ্রাফিক ডিজাইন এর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন বইয়ের কাভারে বেনারসি স্টোনের সব ছবি বিক্রি করা যায়।
              অনলাইন সার্ভে করে আয়ঃ বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি আছে যারা গ্রাহকের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভে করে থাকেন। দেশের সার্বিক অবস্থা দেশের জনগণ কতটা সন্তুষ্ট এটা দেখার জন্য সরকারি সার্ভারগুলো দেখে থাকেন। যার ফলে বড় বড় কোম্পানিগুলো বেশিরভাগ অনলাইন সার্ভিস ব্যবস্থা করে থাকে। 

              এ সকল সার্ভে সাধারণত পেইড হয়ে থাকে। আপনি চাইলে এসব সার্ভে করে প্রতি মাসে ভালো অংকের ইনকাম করে ফেলতে পারেন। বড় বড় কোম্পানিগুলোতে একটি জন্য ১০ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত খরচ হয়ে যায়। এতে করে ওই সার্ভারগুলোতে নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। এজন্য আপনাকে প্রথম নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট অ্যাকাউন্ট খুলে রাখতে হবে। 

              তারপর আপনার সব ইনফরমেশন দিয়ে একাউন্টে আপডেট করে নিলে আপনি কাজটি শুরু করার জন্য প্রস্তুত হবেন। তবে প্রতিটি সার্ভেটে আপনি কোয়ালিফাই হতে পারবেন না এতে শুধুমাত্র যে সার্ভারগুলো আপনার একাউন্টে দেওয়া তথ্যের সাথে মিলবে সেগুলো আপনি করতে পারবেন তার বাইরে পারবেন না।

              অনলাইন রিসেলিং করে আয়ঃ অনলাইনে পণ্য বিক্রি বোতল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের বড় বড় কয়েকটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অনলাইন মাধ্যমে ব্যবসা করে থাকেন। আপনি চাইলে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আপনার বড় পর্যায়ের শুরু করতে হবে।
                এক্ষেত্রে আপনি চাইলে অনলাইনে রিসেলিং করে বেশ ভালো ইনকাম করতে পারেন। মূলত অনলাইনে পণ্য বিক্রয় কাজ কিন্তু এক্ষেত্রে বেশি কিছু করা লাগে না। আপনি শুধু একটু সিলিং কোম্পানিতে আপনার একাউন্ট খুলবেন এবং সেখান থেকে তো অনেক ছবি বিবরণ নিয়ে আপনি নিজে একটি পেজ খুলে বিক্রি করবেন। 

                কোম্পানির কাছে অনেক কম দামে পণ্য পাবেন ওইগুলো থেকে সামান্য বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করে আপনি নিজের লাভ বের করে নেবেন। বেশ কিছু রেসলিং কোম্পানি রয়েছে। এখানে আপনাকে পর্ণ বিক্রয় করার জন্য নিজের কোন পণ্য লাগবে না। এবং পণ্য ছবি বিবরণ আপনি নিচে একটা পেজ খুলে বিক্রি করবেন।

                মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়। ২১ টি উপায়: ১৫

                ধাপ ১১: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়: আফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান প্রিয় উপার্জনের মাধ্যম। মানুষের আস্তে আস্তে অ্যাফিলিয়েট মাধ্যমে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ই কমার্স সাইট রয়েছে। এসব কমার্স সাইটে প্রত্যেকটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নামে সেকশন থাকে। এখন কেউ যদি আপনি দেওয়া লিংকে ক্লিক করে পণ্যটি কিনে তাহলে আপনি সেটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন। এভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

                ধাপ ১২: অনলাইনে পড়িয়ে আয়: আমাদের আশেপাশটা অনেক মানুষ দেখতে পারেন যারা বারে বারে গিয়ে অথবা অনেক কোচিং সেন্টার খুলে সেখানে পড়াচ্ছেন। এক্ষেত্রে বর্তমান বাংলাদেশের যে বিষয়টি জনপ্রিয় উঠেছে সেটি হল অনলাইন টিচার কনসেপ। 

                আপনি ছেলে ঘরে বসে অনেক ছাত্রদের পড়ে অনেক বেশি টাকা উপার্জন করতে পারেন। প্রথম ২৫০ শতাংশ শিক্ষক অনলাইনে শিক্ষা দিচ্ছেন। বর্তমান আমাদের দেশে এরকম বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে অনলাইনে পড়ানো হয়। এর মধ্যে আমাদের অন্যতম তারা অনলাইনে পড়িয়ে থাকে।

                ধাপ ১৩:পিটিসি থেকে আয়: বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে অর্থ পান। সাইটকে পিটিসি সাইড বলে। প্রকল্প শুরু করার আগে নিবন্ধন করতে হয় তবে বেশিরভাগ ভুয়া হয়ে থাকে। তাই তাদের আগে নিশ্চিত হতে হয় সেটা প্রকৃত সাইট কিনা ভুয়া সাইট।

                ধাপ ১৪:গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়: অনলাইনে ঘরে বসে ডিজাইন করে ইনকাম করা যায়। ভালো মানের একজন গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে তৈরি একটি নকশা অনেক জনের কাছে বিক্রি করা যায়। এত এত ভালো নকশা থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে গ্রাফিক্স এর কাজ বিক্রি করা যায়। এছাড়া অনলাইনে মার্কেটে স্কুল ডিজাইনদের অনেক চাহিদা রয়েছে।

                ধাপ ১৫: ভার্চুয়াল সহকারি: দিন দিন ভার্চুয়াল সহকারি সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে ফোন কল ইমেল যোগাযোগ ইন্টারনাল রিসোর্ট ডেট এন্ড ট্রি এডিটিং রাইটিং গ্রাফিক্স টেক্সট সাপোর্ট সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার মতো কাজ করে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাচ, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, আপু আরেক এর মত সাইটগুলোতে এ ধরনের কাজ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।

                মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়। ২১ টি উপায়: ২১

                ধাপ ১৬: অনুবাদ করে আয়: যারা বাংলা ইংরেজি দুই পাশে অন্য ভাষার দক্ষতা আছে তারা এই সফটওয়্যার কাজ করার জন্য একদম পারফেক্ট। যাদের  আরবি কোরিয়ান চাইনিজ বিদেশি ভাষা আছে তারা ইংরেজিতে অনুবাদ বা ইংরেজি অনুবাদ করতে পারেন তারা এই সেক্টর করে ভালো আই করতে পারবেন।
                মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
                ধাপ ১৭: কন্টেন রাইটিং করে আয়: যারা লেখালেখি করেন তাদের জন্য এই কন্টেন রাইটিং। সত্যি আপনি যদি দক্ষতা না থাকেন তাহলে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করে লিখে দক্ষতা অর্জন করে নিতে পারেন। এরপর আর্টিকেল লেখার মানের ওপর ভিত্তি করে আয় আসবে। কাজের দক্ষতা অনুসারে নিয়ম নীতি মেনে লেখালেখি করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট টার্গেট টার্গেট করে নিজের দক্ষতায় বাড়াতে হবে।


                ধাপ ১৮: ডাটা এন্ট্রি করে আয়: অনলাইনে সবাইকে কাজ করার একটি হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। এদের মাধ্যমে কম্পিউটার ইন্টারনেট দ্রুত গতি টাইপিং এর দক্ষতা আছে তারাই কাজটি করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ পাওয়া যায়। তবে যাদের এই কাজের দক্ষতা আছে তারা সহজে কাজ করবেন দূরত্ব আয় বাড়াতে পারবেন।

                ধাপ ১৯: ই-কমার্স ওয়েবসাইট: আপনি যদি কমার্স ওয়েবসাইট থাকে তাহলে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। তাই আপনি চাইলে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং সেখানে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এটি নিয়ে মার্কেটিং করতে পারবেন যার থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

                ধাপ ২০: নার্সারি বা ফুলের বাগান: আপনার বাসায় আশেপাশে যদি ফাঁকা জায়গায় থাকে তাহলে আপনি সেখানে নার্সের ফুলের বাগান তৈরি করতে পারবেন এবং সেখানকার বিভিন্ন রকম ফুলের গাছ সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করবে প্রতি মাসে অনেক ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

                ধাপ ২১:ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে আয় ঃড্রপশিপিং অনলাইনে ব্যবসার অন্তর্গত একটি কাজের মাধ্যমে খুব সহজে ইনকাম করা সম্ভব। মনে করেন যে আপনার এলাকায় পরিচিত একজন কোন একটা পণ্য তৈরি করা যেটা বাজারে ৫০০ টাকা বিক্রি করে। আপনার খোঁজ নিন দেখলেন যে ওই পণ্যটি বড় বড় মার্কেট অথবা কোন ই-কমার্সের ১৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। 
                  কোন একটি সবজি হিসেবে থেকে ৫ টাকা কেজি মুল্য কিনে ওইগুলো ৫০ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া। এক্ষেত্রে আপনি নিজের বড় একটি কমার্স সাইট প্রোফাইল খুলে বিক্রি করতে পারবেন। এটি মূলত ড্রপশিপিং।

                  লেখকের মন্তব্য

                  মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়। ২১ টি দারুন সেরা কার্যকরী উপায় আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। বর্তমানে অনলাইন সেক্টরে ইনকাম করে সকলে সফলতা অর্জন করেছেন। আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লিখতে এবং বিভিন্ন বিষয়ে জানাতে আরও বেশি আগ্রহ করে তোলে। 

                  আর হ্যাঁ আজকে পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত মানুষদের সাথে একটু শেয়ার করে দিয়ে তাদের উপকৃত করুন। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentit ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।

                  এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

                  পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
                  এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
                  মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

                  পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

                  comment url