গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার ১১টি উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য কলা খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কলা প্রায় সারা বছর পাওয়া যাবে এবং ফলন ও অধিক। তাই অন্যান্য ফলে তুলনায় দাম কম। যা সব মানুষের সাধ্যের মধ্যে পাওয়া যায়।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা
শুধুমাত্র কলা খেয়ে পেট ভরানো যায় না। এছাড়া সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে রাতে কলা খেলে কি উপকার পাওয়া যাবে সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা কি রয়েছে এ সকল সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

পোস্ট সূচিপত্র: সরিষার তেল মালিশের, চুলের ও ত্বকের বিশেষ উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। গর্ভাবস্থায় সবকিছু নিয়মমাফিক চলতে হবে খাদ্য গ্রহণ সঠিক সময় এবং পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে, ভারি কোন কাজকর্ম করা যাবে না। 

মোটকথা মহিলাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় এই গর্ভাবস্থার সময়। ফলমূল শাকসবজি নিয়মিত খেতে হবে। কলা তার মধ্যেও দেখব পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার পাকা কলা এবং কাঁচা কলা এই দুইটাই খুবই উপকারী। গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খেলে যেসব উপকার আপনি পাবেন তা বিস্তারিতভাবে নিচে আলোচনা করা হলো:
  • গর্ভাবস্থায় কাছে কলা খেলে রক্তের চাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। 
  • গর্ভের বাচ্চা স্নায়ু বাড়াতে এবং বাচ্চার মস্তিষ্ক গঠন করতে সাহায্য করে থাকে।
  • ফাইবার বাড়ানোর উপসর্গ হিসেবে কাজ করে এবং ভিটামিন সি বাড়াতে সাহায্য করে, যা বাচ্চা দেহ গঠন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। 
  • বাচ্চাদের ওজন সঠিক মাত্রায় রাখতে সাহায্য করে থাকে।
  • পেট খারাপ হলে বা পাতলা পায়খানা হলে এই পেট ফাঁপা বদ হজম দূর করতে ব্যাপক সাহায্য করে থাকে। 
  • খাবারের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে এবং পুষ্টির যোগান দিতে সাহায্য করে।
  • হাত পায়ের মাংসের সাথে শক্ত করতে সাহায্য করে থাকে।
  •  খিটমিটে মেজাজ দূর করতে সাহায্য করে যার ফলে বাচ্চার মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
  • গর্ভের বাচ্চা পুষ্টিকর বাড়াতে সাহায্য করে যার দ্বারা শিশুর বিকাশ ত্বরান্বিত করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। 
  • কাঁচা কলা যে বিশেষ উপাদান রয়েছে যার মাধ্যমে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। 
  • কাঁচা কলার বিশেষ উপাদান রয়েছে যার মধ্যে গর্ভাবস্থায় পাকা করার পাশাপাশি কাছের কলা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে বাচ্চা এবং বাচ্চার মা ও উভয়ের জন্য অনেক উপকারী হবে। 

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা জেনে নিন। এলার্জি অনেকের গলায় এলার্জি থাকে যার ফলে আপনি যদি আগে কখনো কলা না খেয়ে থাকেন, তাহলে গর্ব অবস্থায় তা না খাওয়াই ভালো যদি এলার্জি সমস্যা থাকে তাহলে অ্যালার্জি সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও যাদুর হজমে সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ গর্ভ অবস্থায় কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ফুলে ওঠার মতো অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ সকালে রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা

ওজন বাড়ায় কলাই ক্যালরি ও সুগারের পরিমাণ বেশি থাকে। একইভাবে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একজন মহিলা ডাক্তারের সাথে কথা বলার পরে তাদের গর্ব অবস্থায় ডায়েটে কলা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কারণ একটি মাঝারি কলার প্রায় ১৫ গ্রাম চিনি থাকে যদিও এর গ্লাইসেমিক সূচক তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। অত্যাধিক সেবন রক্তের শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।

কলা খাওয়ার উপকারিতা কি 

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা কলা খাওয়ার উপকারিতা কি সম্পর্কে জেনে নিন। গলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং আঁশ শর্করা সমৃদ্ধ। কলা খেলে পেট ভরা ভরা লাগে খিদে কমে যায়। ফলে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত খাওয়া কমে এবং ওজন বাড়তে পারে না। এছাড়া কলা আমাদের রক্তে চীনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে এবং ইনসুলিনের হরমোনের প্রতি শরীরে সংবেদনশীলতা বাড়ায়। 

কলা অত্যন্ত সুপরিচিত এবং সুস্বাদু ফল হিসেবে আমাদের সবার কাছে অত্যন্ত প্রিয় এবং সব শ্রেণীর মানুষের জন্য সাধ্যের মধ্যে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের কলা পাওয়া যায় বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কলার আবাদ বেশি রাখা যায়। বিভিন্ন ধরনের কলার মধ্যে কাঁঠালি কলা বর্তমানে বা বিচি কলা সাগর কলা চাপা কলা বিচি কলা সপড়ি কলা ইত্যাদি। 

কলা যে জাতের হোক না কেন, এর মধ্যে পুষ্টিগুণ প্রায় সব কলার সমান রয়েছে। সাগর কলা খেতে বড় কিন্তু দামে সস্তা। তাই সেবন যে পোস্টটি কেন এবং খরচের হিসাব করলে সাগর কলা খাওয়া বেশি উত্তম। একদিকে খরচ কম কিন্তু পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক। অবশ্যই বিচি কলা দেশীয় কলা গুলো স্বাদও অনেক বেশি রয়েছে। তাই বলা যায় যে যে কলা দেখতে যেমন বড় তার স্বাদ এবং পুষ্টিগুন অনেক ভালো রয়েছে। 

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা কি কি 

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা কি কি জেনে নিন। কলা অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার সম্পন্ন একটি ফল যা আমাদের সবার সাথে অতি পরিচিত একটি নাম। যা সারা বছরে কম বেশি কলা পাওয়া যায়। টাই দামের দিক থেকেও খুব স্বাভাবিক। কর্মজীবী বা ক্ষেত্রে খাওয়া মানুষের জন্য কলা খাওয়া খুব জরুরী। কেননা দামে দিক দিয়ে সাশ্রয়। 

এবং অধিক পুষ্টি পেটে সাহায্য করে থাকে। সকালে খালি পেটে কলা গাছে শিকড়ের রস এক চামচ করে কয়েকদিন খেতে পারলে পেটের কেঁচো কৃমি বেরিয়ে যাবে। প্রতিদিন নিয়মিত সকাল কলা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আপনার শরীরে বল বৃদ্ধি করতে এবং শরীরের শক্তি জোগাতে অধিক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। 

সকালে খালি পেটে কলা খেয়ে পানি খেলে শরীরে এনার্জি আনতে সাহায্য করবে। যার ফলে আপনি অধিক পরিশ্রম করতে পারবেন অধিক পরিশ্রম করলে শরীরে ক্লান্তি ভাব বা দুর্বলতা আসবেনা। গ্রাম অঞ্চলে অনেক শ্রমিককে দেখা যায় যে তারা কাজে নামার আগে বা কাজ শুরু করার আগে কলা খেয়ে নিয়ে তারপর কাজ শুরু করে। 

এছাড়াও যার ফলে সকালে নাস্তা হয়ে গেল অন্যদিকে শারীরিক শক্তি পেতে সাহায্য করলো এতে ভালোভাবে কাজ করতে পারলো। এছাড়া কলাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আয়োডিন ভিটামিন সি ভিটামিন এ সরবরাহ করতে সাহায্য করে থাকে। তাই যারা কায়িক পরিশ্রম করে থাকেন কিংবা শরীর নিয়ে বেশি সচেতন তাদেরকে নিয়মিত সকালবেলা কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। 

দেখবেন আপনার শরীরের যেমন স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিকভাবে সাহায্য করবে এবং কাজের ক্ষেত্রে ক্লান্তি ভাব দূর করতে পারবে। সকালে কলা খেলে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে এবং রোগীর ‌ বা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অধিক সাহায্য করে থাকে। তা নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং সুস্থ থাকুন। 

দুধ-কলা একসাথে খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা দুধ কলা একসাথে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। দুধ এবং কলা আমাদের সাথেও অতি পরিচিত দুটি পুষ্টি গুনাগুন সম্পূর্ণ খাবার। দুধের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং কলার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিনের উপস্থিতি। দুধ এবং কলা একসাথে খেলে সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা হবে শরীরের ওজন বাড়াতে এবং শরীরের ফ্যাট বাড়াতে সাহায্য করবে। 

যাদের চেহারা হালকা ধরনের ভালো ভালো খাদ্য খেলে ওজন বাড়ার নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য নিয়মিত দূত এবং কলা একসাথে খেলে চেহারার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। দুধ এবং কলা ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারলে খাবারের রুচিবোধ বাড়াতে সাহায্য করবে যার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে দিবে। দুধ এবং কলা ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারলে খাবারের রুচিবোধ বাড়াতে সাহায্য করবে যার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে দিবে। 

বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায় রমজান সেহরির সময় তরকারি দিয়ে খাওয়ার পর দুধ এবং কলা দিয়ে ভাত খাওয়ার রীতি প্রচলন রয়েছে। এটা একদিকে যেমন ভালো মন্দ তরকারির অভাব পূরণ করে থাকে অন্যদিকে শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য অধিক উপযোগী বলে মনে করা হয়। ঝড়ের তুলনায় গ্রামের সবকিছুর দাম সীমিত এবং সহজে পাওয়া যায় তাই গ্রামের মানুষেরা ইচ্ছা করলে বেশি খেতে পারে। 

দিক দিয়ে দুধ এবং কলা সব ধরনের মানুষের জন্য নাগালের মধ্যে থাকায় এই দুটি খাদ্য প্রায় সব পরিবারে দেখা যায়। তবে সারা বছর খেতে না পারলেও বিশেষ করে রমজানে বেশি বেশি খেতে দেখা যায়।তবে সারা বছর না খেলে কি হবে যদি এই দুইটা খাবার একসাথে খাওয়ার জন্য নিষেধ করে থাকেন তাদের জন্য সমস্যা যাদের আগে থেকে শুরু ওজন বেশি এবং ফ্যাট রয়েছে তাদের জন্য। 

দুধ এবং কলা খাওয়ার কার্যকরী ভূমিকা অপরিহার্য। তাই বলবো অতিরিক্ত চিন্তা বা ক্ষতিকর দিক চিন্তা না করে আপনার শরীরের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং স্বাভাবিকের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইলে নিয়মিত দুধ কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। সারাদিনের পরিশ্রম শেষে বা অনেক কার্টুনের পরে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ এবং কলা খেলে আপনার শরীরে এনার্জি ফিরে পেতে সাহায্য করবে। তাই দুধ কলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া যাবে কি 

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া যাবে কি সম্পর্কে জেনে নিন। প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মাসের হোক না কেন, কলা পুষ্টি এবং শক্তি সরবরাহ করে থাকে।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া যাবে কি
তাদের উচ্চ কার্বোহাইড্রেট সামগ্রিক দ্রুত এবং টেকসই শক্তি সরবরাহ করতে পারে, যা বিশেষত উপকারী কারণ আপনার শরীর আপনার স্বাস্থ্য এবং আপনার শিশুর বৃদ্ধি উভয়কে সমর্থন করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা 

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। কেননা সারাদিন পরিশ্রম করার পর বা অনেক খাটা খাটনির পর রাতে আরাম করা জরুরী। সারাদিন যারা মাঠে কাজ করে তাদের তো অনেক পরিশ্রম করতে হয় শরীর অনেক ক্লান্ত থাকে। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে। 

এবং দুর্বলতা দূর করার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে কলা খেতে পারলে আপনার শরীরের ক্লান্তি ভাবে এবং দুর্বলতা ভাব দূর দিতে সাহায্য করবে কলা। এছাড়া রাতে খুব ভালো ঘুম হতে সাহায্য করবে। সারাদিন পরিশ্রম করার পরেও যাদের রাতে ঘুম ঠিকমতো না হলে শরীরের দুর্বলতা অনুভব হয় এবং শারীরিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। 

আরো পড়ুনঃ আমলকি খাওয়ার ২0টি উপকারিতা – আমলকি খাওয়ার অপকারিতা

অনেকে স্বাস্থ্য সচেতন জন্য এবং শারীরিক শক্তি বজায় রাখার জন্য কলার সাথে দুধ মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। তাই আপনি চাইলে দুধ এবং কলা দিয়ে ভাত খেতে পারেন আপনার শরীরে এনার্জি আনতে সাহায্য করবে। যেকোনো পুষ্টিকর খাদ্যে রাতে খাওয়ার অভ্যাস করলে ওই খাবার সম্পূর্ণ পুষ্টি পেতে সাহায্য করবে। 

কারণ হলো রাতে খাওয়ার পর আর তো পরিশ্রম করতে হয় না যার ফলে খাবার পুষ্টি সারা শরীরে সঠিকভাবে এবং সঠিক মাত্র পৌঁছাতে পারে এবং সাহায্য করে থাকে। কলা খেতে ছোট বড় সবাই পছন্দ করে থাকেন তাই আপনি যদি পরিবারের কর্তা হন বা প্রধান হয়ে থাকেন তাহলে আপনার দায়িত্ব হবে পরিবারের সকলের স্বাস্থ্য যেন ভালো থাকে। 

তার দিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখা সেজন্য আপনি সকলকে কলা খাওয়াতে পারেন। রাতে কলা খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরের শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবে এবং বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করবে। কেননা কলা খাওয়ার পুষ্টি উপাদানের মধ্যে অন্যতম কাজলের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করা। 

তাই কলা খাওয়ার নিয়মটি চালু করে দিন এবং দেখবেন আপনার পরিবারে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। নিজে এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন। তাই সুন্দরভাবে সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে চাইলে নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। 

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা 

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। সারা বছর পাওয়া যায় এমন ঘরের মধ্যে অন্যতম ফল হচ্ছে কলা। কেমন না ছোট বড় সবার জন্য অনেক পছন্দ এবং অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সম্পূর্ণ একটি ফল হিসেবে হতে পরিচিত সবার কাছে। ছোট বাচ্চাদের পাকা কলা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে শিশুদের বৃদ্ধি। 

এবং মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পাকা কলা সকালের নাস্তা হিসেবে রুটি দিয়ে খেতে পারবেন। এমন কি দুপুরে ক্লান্তি ভাব দূর করতে চাইলে আপনি কলা খেতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ মাশরুমের ১৬টি উপকারিতা মাশরুম এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব

তাছাড়া বিকাল নাস্তা হিসেবে কলা খেতে পারবেন এমনকি সারাদিনের পরিশ্রমের ফলে শরীরে যে ঘাটতে দেখা দিবে বা শরীরের ক্লান্ত থাকবে, তার জন্য কলা খেতে পারেন। আপনি চাইলে ঘুমানোর আগে পাকা কলা খেয়ে ঘুমাতে পারবেন। 

যা শরীরে স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় আনতে বা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া পাক্কা কলা বিভিন্ন রোগব্যাধি দূর করতে বিভিন্ন কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিচে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো:

  • ডায়াবেটিস রোগীদের অস্বাভাবিক ক্ষুদা নিবারণ করতে বাকিদের উপসর্গ মেটাতে পাকা কলা খেয়ে মেটানো যেতে পারে। 
  • যক্ষা রোগীদের টানা কয়েকদিন জ্বর থাকলে পাকা কলা খাওয়ানো যেতে পারে। 
  • এমনকি পাকা কলা মোমবাতির আগুনে হালকা গরম করে দিয়ে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারলে হাঁপানি রোগীদের ব্যাপক উপকার মিলবে। 
  • মহিলাদের বিভিন্ন রোগের উপশম বা পেটের পুরানো ব্যথার অনুভব হলে পাকা কলা খেতে পারলে অনেক উপকার পাবে। 
  • পাকা বিচা কলা বা মর্তমান কলা চটকে অল্প পানির সাথে মিশেছে কে নিয়েছে পানি সকাল এবং বিকাল দুই চামচ করে খেতে পারলে শুকনো কাশি ভালো হয়ে যাবে।
  • পাকা কলা মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে, তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করে, এমন কি কৃমি ও পিত্ত নাশ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
  • পাকা কলার মধ্যে রয়েছে ২৭ শতাংশ শর্করা থাকে যার শরীরে তাপ জোগাতে সাহায্য করে থাকে। 

সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা 

সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। কলা খাওয়ার যে বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে তা আমাদের প্রায় সবারই জানা রয়েছে। কাঁচা কলা কিংবা পাকা করার যে কলাই খাওয়া হোক না কেন সব রকম কলা খাওয়াতে ছোট বড় সকলের জন্য স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আবার করার মধ্যে বিভিন্ন জাতের কলা রয়েছে। 

এক একটা কলার একেক রকম কার্যকারিতা রয়েছে যা আলাদা আলাদা স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। আমাদের আশেপাশে যেসব কলা পাওয়া যায় তার মধ্যে সাগর কলার উপকার বা কার্যকারী ক্ষমতার অন্যান্য কলা থেকেও অনেক ভালো। সাগর পাড়ার বিভিন্ন উপকারিতা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো: 
  • ওজনশক্তি বৃদ্ধি করতে সাগর কলার উপকারিতা: আমাদের শরীরে ওজন বৃদ্ধি করতে বসো ওজন ধরে রাখতে সাগর কলার উপকারিতা অপরিহার্য। প্রতিদিন নিয়মিত দুই থেকে তিনটা করে পাকা কলার সাথে এক গ্লাস দুধের সাথে মিশে খেতে পারলে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। 
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাগর কলার উপকারিতা: আমরা প্রতিনিধি যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি অনেক সময় দেখা যায় খাবার হজম করতে দেরি হয় কিংবা হজম হতে চাই না। দিদি তেরা আপনি যদি খাবার খাওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর একটা অথবা দুইটা করে সাগর কলা খেতে পারেন তাহলে দ্রুত আপনার হজম করতে সাহায্য করবে এবং খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যাবে। 
  • রক্তে হিমোগ্লোবিন পরিমাণ বাড়াতে সাগর কলার উপকারিতা: নিয়মিত সাগর কলা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে আপনার শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করবে। কেননা সাগর করার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাইতো গর্ভবতী মহিলাদের নিয়মিত সাগর কলা খাওয়ানো হয়। যাতে করে প্রসবের সময় রক্তের পরিমাণ বেশি থাকে এবং বাচ্চা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। 
  • হার্ট ভালো রাখতে সাগর করার উপকারিতা: বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জটিল এবং মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে হার্টের সমস্যা। এই হার্টের সমস্যা প্রায় লোকেরাই দেখা যায়। তাদের জন্য দরকার নিয়মিত সাগর কলা খাওয়ার অভ্যাস করা। কারণ নিয়মিত কলা খেতে পারলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে। এর ফলে হার্টের রোগী কম থাকবে এবং হার্টের সমস্যা থাকলে সাগর কলা খেতে থাকলে সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়া কিডনির সমস্যার সমাধানের সাগর কলা খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাগর কলার উপকারিতা: আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়, কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি আবার কারো অনেক কম। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা দুর্বল তাদের জন্য সঠিক পরামর্শ সাগর কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। 
  • যৌন শক্তি বা উত্তেজনা বাড়াতে সাগর কলার উপকারিতা: আমরা যারা সাগর কলা খেয়ে থাকি তারা হয়তো অনেকে জানেন না যে সাগর কলা খেলে শুক্রানু পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলের যৌন উত্তেজনা বাড়াতে এবং যৌন শক্তি বাড়ানোর উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে। 

কলা খাওয়ার অপকারিতা

কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। অনিদ্রা সমস্যা হতে পারে। তাই রাতের বেলা কলার না খাওয়াই ভালো। যাদের ঘুমের সমস্যা হয় না, তাদের রাতে কলা না খাওয়াই ভালো। যদি ঠান্ডা লেগে থাকে তবে কলা না খাওয়াই ভালো তার কারণ বেশি পরিমাণে কলা খেলে আমাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা আরও বেশি বেড়ে যেতে পারে। 

এছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। খুব বেশি কলা খেলে আমাদের শরীরের ওজন বাড়তে পারে তাই তাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি রয়েছে তারা না খাওয়াই ভালো। পালাতে সুগার এবং কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে তাই খুব বেশি কলা গ্রহন করলে বা খেলে আমাদের দাঁতের সমস্যা হতে পারে। কলা খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত আছে। 

পাকা কলা কিংবা কাঁচা কলা সব রকম কলা খাওয়ারই উপকারিতা রয়েছে তবে একটা বিষয় জেনে রাখা ভালো পরামর্শ শাকসবজি কিংবা অন্যান্য সব ধরনের খাবার দাবারের মধ্যে উপকারিতা বেশি পাওয়া যায় ক্ষতির পরিমাণ অপকারিতা খুবই কম। তবে কলা নতুন কোন সমস্যা সৃষ্টি করা যাদের নিতান্ত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কলা খাওয়া ক্ষতিকর বা অপকারিতা। 

বিশেষ করে যাদের শরীরে আগে থেকে ফ্যাট এবং অধিক ওজনের রয়েছে তাদের জন্য করা না খাওয়াই উত্তম। কেননা কলা খেলে তার শরীরে ওজন বৃদ্ধি পাবে যা তার জন্য সারা জীবন যাপন করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যাবে। 
ঠান্ডা সময় গর্ভাবস্থায় কলা না খাওয়াই উত্তম কারণ ঠান্ডা সময় কলা খেলে বাচ্চা ঠান্ডা লাগে সম্ভাবনা থাকে আমাকে ছোট বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা যায়। এতে করে দাঁতের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের না খাওয়া ভালো। সঠিক সময় সঠিক নামে কলা খাওয়ার সবচেয়ে বেশি ভালো অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। 

কলা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

কলা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। কলা খেতে যেমন ভালো তেমন পুষ্টিগুণে ভরপুর কলা। কলা খেলে অনেকটা ক্যালরি জমা হয় শরীরে। কলা খেলে পেট ভর্তি থাকে অনেকটা সময়। 

তবে যতই ভালো হোক না কেন লোভে পড়ে বেশি কলা খেয়ে ফেলবেন না যেন উপকারের মত বেশি কলা খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কিন্তু থেকে যায়। কলা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো:
  • ওজন বৃদ্ধি: মাঝারি মাপের একটি পাকা কলায় ১০৫ ক্যালরি শক্তি থাকে। যার ফলে যে বেশি কলা খাবে তার ওজন বৃদ্ধি সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে। 
  • মাইগ্রেন: মাঝারি মাপের একটি কলা খেলে বা যদি সমস্যা থাকে তাহলে তাদের যতটা সম্ভব কলা এড়িয়ে চলা উচিত। কলায় টাইরামাইন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যা কলার জন্য মাইগ্রেন কারণ হতে পারে।
  • হাইপারক্যালেমিয়া: রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। হৃদপিন্ডের স্পন্দন অনিয়মিত হয়ে থাকে। কলায় পটাশিয়াম থাকে বেশি খেলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  • দাঁতের ক্ষয়: প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে বেশি কলা খেলে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি দাঁতে স্বাস্থ্যের জন্য কলা নাকি চকলেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকর।
  • ক্লান্তি: পাকা কলাতে ট্রিপটোফ্যান এমাইনো এসিড থাকে। এই এমাইনো এসডি এর প্রভাবে মস্তিষ্কে কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। দেহের ক্লান্তি আসে এবং সব সময় ঘুম পায়। 
  • নার্ভ: ভিটামিন বি৬ বেশি খাওয়ার প্রভাবে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে। কলা এই ভিটামিনের আধিক্য আছে তাই খুব বেশি কলা খাওয়া উচিত না।
  • শ্বাস নিতে সমস্যা: যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে বেশি মাত্রা কলা খেলে তা বেড়ে যেতে পারে বা বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
  • এলার্জি: গলায় অনেক সময় এলার্জির কারণ হয়ে থাকে ঠোঁট ফুলে যায় গলা জ্বালা করতে পারে। 
  • পেট ব্যথা: বাজার থেকে ঘৃণা করার বেশিরভাগই রাসায়নিক এর সাহায্যে পাকানো হয়ে থাকে যার ফলে না খাওয়াই ভালো। তাছাড়া কলায় সরকারও প্রমাণ খুব বেশি এসবের জন্য পেট ব্যথা হতে পারে। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য: যাদের কষ্ট কাটে না সমস্যা রয়েছে বা কলা বৃহদান্ত্রের যন্ত্রে চলনে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু বেশি পরিমাণ কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • গ্যাস: কলাতে থাকা এবং ফাইবার একসঙ্গে খেলে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে বা গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • ডায়াবেটিস: সুগারের পরিমাণ বেশি থাকে অত্যাধিক মাত্রায় কলা খেলে ডায়াবেটিস সম্ভাবনা থাকে বা ডায়াবেটিসের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কখন কলা খাবেন না 

গর্ভাবস্থায় কখন কলা খাবেন না গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। বিভিন্ন মহিলার বিভিন্ন খাবার সহ্য করার ক্ষমতা ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আপনাকে আপনার শরীর বুঝে খাবার খেতে হবে আপনি যদি দেখেন যে গর্ভাবস্থায় কলা আপনি সহ্য করতে পারছেন না তাহলে তা না খাওয়াই ভালো।
গর্ভাবস্থায় কখন কলা খাবেন না
এছাড়া এমন কিছু আছে যখন আপনার কলা না খাওয়া উচিত যেমন আপনার যদি মর্নিং সিগনেস হয় তাহলে আপনি করার না খেতে চাইতে পারেন। কারণ এর ফলে আপনার বমি বমি ভাব আরো ভাবতে পারে। কলাতে প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি থাকে। 

এবং এটি খেলে ব্লাড সুগার বাড়তে পারে। আপনার যদি জাস্ট্রেশনাল ডায়াবেটিস থাকে। তাহলে আপনার অতিরিক্ত কলা না খাওয়াই উচিত। কলায় যদি আপনার অ্যালার্জি থাকে তাহলে একেবারে কলা খাবেন না। সাধারণত গর্ভাবস্থায় সীমিত পরিমানে কলা খাওয়াই ভালো অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। আপনি প্রতিদিন একটি বা দুটি কলা খেতে পারেন। কিন্তু অতিরিক্ত খাবেন না।

লেখকের মন্তব্য 

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার ১১টি উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। ফলমূলের মধ্যে করাটাই প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায় এবং দামের সস্তা। অশোক বিষয় কিংবা ভালো খাবার বা ফলমূল কেনার আমাদের অনেকের সামর্থ্য থাকে না তাদের জন্য উত্তম ব্যবস্থা হলো নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। 

এটা আপনার শরীর স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে অপরদিকে বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে নিরাপদ থাকতে পারবেন। কান গলা শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। তা সঠিক পরামর্শ হলো আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এবং আপনার পরিবার সদস্যদের ভালো রাখতে নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।

আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করছি। এই পোস্টটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন কিছু জানতে ইচ্ছে হয় তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন এবং এই পোস্টটি যদি ভালো  লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করে দিবেন বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentit ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url