পাকা বেল খাওয়ার ৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জেনে নিন

পাকা বেল খাওয়ার ৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জেনে নিন। পাকা বেল খেতে অনেক সুস্বাদু হয় এবং এর মধ্যে রয়েছে অনেক উপকারিতা। যেকোনো সময় বেল খেতে পারেন শুধু যে গরমের সময় খেলে উপকারিতা পাওয়া যায় এমন নয়। আধা পাকা সিদ্ধ বেল আমশয় জন্য অধিক কার্যকরী। 

পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বেল‌ পেট পরিষ্কার রাখতে পারে এই কথা কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য। বেলের মধ্যে থাকা উপাদান গুলো শরীরে অনেক রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই চলুন দেরি না করে পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

পোস্ট সূচিপত্র: পাকা বেল খাওয়ার ৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা

পাকা বেল খাওয়ার ৯টি উপকারিতা 

পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জেনে নিন। গরমের সময় পাকা বেলের ঠান্ডা পানি শরবত দেহকে সতেজ করে দেয়। গ্রীষ্মকালীন সময়ে পাকা বেলের শরবত খাওয়ার পর প্রান্ত জুড়িয়ে যায়। পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হলো:

  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করে।
  • ত্বকের সমস্যার সমাধান করে। 
  • ডায়াবেটিসের সমস্যা সমাধান করে।
  • আলসারের সমস্যার সমাধান করে। 
  • তৎক্ষণাৎ এনার্জি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • বীর্যের ঘনত্ব কম করতে পারে। 
  • কিডনি সমস্যার সমাধান করে থাকে।
  • চোখের সমস্যা সমাধান করতে পারে।
  • হজম শক্তি ও গ্যাসের সমস্যার সমাধান করে। 
  • ক্যান্সারের সমস্যার সমাধান করতে পারে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান 

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করার জন্য বেল খুবই ভালো কাজ করে থাকে। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত বেলে শরবত খেতে পারেন। ২৫০ গ্রাম পানির সাথে আখের গুড় ভালো করে মিশিয়ে শরবত তৈরি করে খেতে পারেন। এতে করে আপনার পেট ঠান্ডা থাকবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে। কিন্তু অবশ্যই সর্বনিম্ন একটানা ২ মাস শরবত‌ টি খেতে হবে।

ত্বকের সমস্যার সমাধান 

আমরা সকলে ত্বকের ব্যাপারে খুবই সচেতন হয়ে থাকি। কারণ অন্যের সামনে নিজেকে সুন্দর দেখাতে কে বা চায় না। তাই তোকে ব্রুনো ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য আপনি চাইলে নিয়মিত বেল খেতে পারেন। শুধু বেল অথবা বেলের শরবত খাওয়ার মাধ্যমে উপকারিতা পেতে পারেন আপনি। 

আলসারের সমস্যার সমাধান 

আপনারা যারা দীর্ঘদিন যাবৎ আলসার ও পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন। তাদের জন্য রয়েছে খুশির সংবাদ। কারণ বেলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আপনার আলসারের সমস্যার সমাধানের সাহায্য করে। 

কিন্তু সেটি যদি হয় পাকা বেল তাহলে তো কথাই নেই। তৈরি করে ফেলুন পাকা বেলের শরবত এবং সে  পাকা বেলের শরবত নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন। কি কি খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে মাসে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ দিন অথবা আপনি একদিন পরপর নিয়ম করে খেতে পারেন। এতে আপনি অনেক উপকারিতা পাবেন। 

ডায়াবেটিসের সমস্যা সমাধান 

প্রায় মানুষের ডায়াবেটিসের সমস্যার রয়েছে। যাদের অনেক দিন যাবত ধরে ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে আর আপনি যদি হন ডায়াবেটিস নিয়ে খুবই চিন্তিত। তাহলে আপনার জন্য রয়েছে পাকা বেলের শরবত যা খাওয়ার ফলে আপনি অনেক উপকারিতা পেতে পারেন। 

পাকা বেলায় শরবতের মধ্যে রয়েছে অনেক প্রকারের পুষ্টিগুণ। যা আপনার ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করতে লড়াই করে যায়। তাই আপনি নিয়মিত শরবত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন তবে মিষ্টি ছাড়া খেতে হবে।

তৎক্ষণাৎ এনার্জি 

আপনি যদি মুহূর্তের মধ্যে এনার্জি ও শক্তি পেতে চান তাহলে যখনই মনে হবে শরীরে এনার্জি কম তখন এক গ্লাস পাকা বেলের শরবত তৈরি করে খেতে পারেন। এর মধ্যে থাকা প্রোটিন আপনাদের তৎক্ষণাৎ এনার্জি সাপ্লাই করতে পারে। আর যদি হয় সেটা ঠান্ডা পানির পাকা বেলের শরবত তাহলে তো আরো তাড়াতাড়ি শরীরে এনার্জি সাপ্লাই করতে সহযোগিতা করবে। নিয়মিত শরবত খাওয়ার তৈরি করুন। 

বীর্যের ঘনত্ব কম 

যাদের বীর্য পানি আকারে বের হয় অথবা প্রসবের সাথে আঠা বীর্য বের হয়। তারা নিয়মিত পাকা বেলের শরবত খেতে পারে এর জন্য দুটি নিয়ম রয়েছে। যেমন এক চামচ মধু এক গ্লাস গরুর দুধ ও পাকা বেলের একসাথে মিশে শরবত তৈরি করে খেতে পারেন। 

আবার তিন চামচ ইসবগুলের ভুষি ও পাকা বেলের সাথে এক গ্লাস পানি ভালো করে মিশিয়ে তৈরি করে শরবতটি খেতে পারেন। এর মধ্যে যে কোন একটি শরবত একটানা ১ থেকে ২ মাস খাবেন তাহলে বীর ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। 

কিডনি সমস্যার সমাধান 

আমাদের সকলকে নিয়মিত তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা উচিত কিন্তু আমরা তা করি না। তাই কিডনি সুস্থ সবল রাখতে চাইলে আমাদের একটু অবহেলা করা উচিত না আজকে থেকে কিডনি সমস্যা হতে পারে। 

কিন্তু সমস্যা নেই যদি নিয়মিত বেল খাওয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে পারেন। খালি বেল খাওয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা যাবে। আবার আপনি চাইলে শরবত খাওয়ার মাধ্যমে সমস্যাটি দূর করতে পারেন। কিন্তু অবশ্য নিয়মিত সপ্তাহের অন্ততপক্ষে চার দিন খেতে হবে। 

চোখের সমস্যার সমাধান 

যারা রাতে চোখে কম দেখেন। আবার অনেকে আছেন যারা দিনে চোখে একটু কম দেখেন তাদের জন্য রয়েছে পাকা বেল খাওয়ার মধ্যে অনেক উপকারিতা। দীর্ঘদিন যাবত এই সমস্যায় ভুক্তভোগী রয়েছেন। তার ডেট থেকে ২ চামচ মধু ২৫০ গ্রাম পানির মধ্যে পাকা বেল মিশিয়ে শরবত তৈরি করে খেতে পারেন। 

আপনি যদি নিয়মিত এক মাস খেতে পারেন তাহলে আস্তে আস্তে দেখবেন চোখের উন্নতি হচ্ছে। তাই আপনি নিয়মিত পাকা বেলের শরবত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এর ফলে অনেক উপকারিতা পাবেন।

হজম শক্তি ও গ্যাসের সমস্যা 

পেটের গ্যাস ও হজম শক্তি প্রায় মানুষের হয়ে থাকে এর ফলে মানুষ অনেক কষ্ট পায়। গ্যাস যেন মানুষের মৃত্যু দিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে যা মানুষকে ছাড়তে চায় না। আপনি পরিমাণে বেশি খেলেও যে বেশি বেশি উপকার পাবেন ঠিক এমনটা নয়। আরে গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রয়েছে পাকা বেল। 

একজনের চিনি ২০০ গ্রাম পানি এবং তার মধ্যে পাকা বেল যুক্ত করে শরবত বানিয়ে ফেলুন। আর নিয়মিত দিনে দুইবার পাকাবেল শরবত খেতে থাকুন ফলাফল হিসেবে সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। এভাবে নিয়মিত পাকা বেল শরবত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন অনেক উপকারিতা পাবেন। 

ক্যান্সারের সমস্যার সমাধান 

বছরে হাজার হাজার মানুষ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তার মধ্যে থেকে অধিকাংশ মানুষ মারা যায়। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বেল লড়াই করতে সহায়তা করে। তাই আপনি চাইলেই আপনার রুচি অনুযায়ী কাঁচা বা পাকা বেল যেকোনো একটি খেতে পারেন এর ফলে আপনি ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

পাকা বেল খাওয়ার অপকারিতা

পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন। প্রত্যেকটি খাদ্যের মধ্যে রয়েছে উপকারিতা ও অপকারিতা। তা প্রত্যেকটি খাদ্য পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত বেশি পরিমাণ না খাওয়াই ভালো। অবশ্য খাবার খাওয়ার মধ্যে কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো মেনে চলতে হয় আপনি পরিমাণে বেশি খেলে যে বেশি বেশি উপকার পাবেন ঠিক এমনটা নয় এর বিপরীত হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের বা শরীরের ক্ষতি। 


আপনি যতই খান না কেন শরীরের সেই খাদ্য পুষ্টিগুণ পরিমাণ মতো গ্রহণ করে থাকে। আমরা অনেকে মনে করে যে যত বেশি খাবো তত বেশি উপকার ঠিক তেমনটা নয়। অতিরিক্ত খাবারের ফলে শারীরিক অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে যেমন যৌন শক্তি কমে যেতে পারে আবার ডায়াবেটিসের এবং গ্যাস বেড়ে যেতে পারে। এত পরামর্শ হচ্ছে বেল খাওয়ার আগে অবশ্যই পরিমাণ মতো খাবেন। সঠিক নিয়ম গুলো মেনে খাবেন।

খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা 

খালি পেটে পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। আমরা ইতিমধ্যে পাকা বেল খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিয়েছি। যার মধ্যে কিছু উপকারিতা রয়েছে যেগুলো খালি পেটে খাওয়ার মাধ্যমে পাওয়া যাবে। প্রতিনিয়ত সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে বেলের শরবত অথবা শুধু বেল খেতে পারেন এর ফলে কি কি উপকারিতা পাবেন।
খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা
তাহলে তো অনেক ধরনের উপকারিতায় পাওয়া যাবে। আপনি চাইলে রাতে ইসবগুলের ভুষি ভিজিয়ে রেখে সকালে বেলের আশ যুক্ত করে শরবত দিয়ে খেতে পারেন। এখন চলেন জেনে আসি কোন কোন উপকারিতা গুলো পাওয়া যাবে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:
  • শরীরের শারীরিক ও দৈহিক শক্তির বৃদ্ধি পাবে। 
  • গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। 
  • বীর্যের ঘনত্ব যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। 
  • আলসার কোষ্ঠকাঠিন্য যক্ষ্মার মত সমস্যা ভালো হয়। 
  • ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যার সমাধানের সহযোগিতা করে থাকে। 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 

পাকা বেল খাওয়ার নিয়ম 

পাকা বেল খাওয়ার নিয়ম পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আমরা কিন্তু এটা মধ্যে পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। পাকা বেল সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবং পাকা বেল সুন্দরভাবে মল পরিষ্কার হতে সাহায্য করে থাকে। যদি আপনি বেলের শরবত খেতে পারেন তাহলে আপনার মল কঠিন থাকবে না। 


কোষ্ঠকাঠিন্য আর হবে না। পাকা বেলের সাজ বের করে চিনি দিয়ে মিশিয়ে আর জলের বা দুধে ঘেটে শরবত করে খান। পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে পাকা বেল খাওয়ার নিয়ম গুলো উল্লেখ্য করা হয়েছে। দেখুন প্রত্যেকটা জিনিসের খাওয়ার নিয়ম রয়েছে নিয়মগুলো মেনে যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে ফলাফল পাবেন এবং অনেক উপকারিতা পাবেন।

কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম 

কাঁচা বেল আপনারা গরম পানিতে সিদ্ধ করে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এটি একটি সঠিক নিয়ম। শরবত বানানোর জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে প্রথমে একটি ফুটন্ত পানির মধ্যে একটি কাছে বেল দিতে হবে কাঁচা বেলটি এমন হওয়া যাতে সেটা কিছুক্ষণ গেলে পাকা বেলের আর উপযুক্ত হয়।পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আছে।

কাঁচা বেল শুদ্ধ করার পর আপনারা দেখতে পারবেন সেটা থেকে প্রায় পাকার মত একটি ফ্লেভার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তো সেই সেতু বেলটি আপনারা এখন কিছু পরিমাণ পানি নিয়ে এবং কিছু পরিমাণ বেল নিয়ে অথবা সম্পূর্ণ বেলটি নিয়ে আপনারা পানি দিয়ে শরবত তৈরি করতে পারেন। আপনি যেমন ঘন খেতে যাবেন সেক্ষেত্রের পানি কম দিবেন পাতলা খেতে চাইলে পানি বেশি‌ দিতে পারেন। 

আপনার বেলের মধ্যে পানি দিয়ে বেলটি পানি দিয়ে সুন্দরভাবে মেখে নিবেন। আপনারা পানি দিয়ে বেলটি যখন মাখাবেন তখন ভালো করে মাখাবেন যেন বেল থেকে আঁশ বেলের দানা আলাদা হয়ে যায় এরপর আপনারা চাইলে বেলটিকে ছেঁকে তারপর খেতে পারেন । অথবা আপনি চাইলে আঁশ ও দানা হাতের মাধ্যমে সরিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। নিচের অংশে দানাগুলো থাকবে। 


আপনার অবশ্যই জানেন পেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপযোগী একটি খাবার শুধু আপনাদের পাকা বেল খেতে হবে এমন নয় কাঁচা বেলের মত পাকা বেলের প্রায় সমান উপকারিতা রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে চায় হাতের কাছে যদি আপনাদের কাছে বেল থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা সেটা সিদ্ধ করে শরবত বানিয়ে নিয়ে খেতে পারেন । এতে অনেক উপকারিতা পাবেন।

বেল খাওয়ার সঠিক সময় 

পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা খাওয়ার সঠিক সময় জেনে নিন। বেল খাওয়ার সঠিক সময় আমি বলব দুপুরে খাবার পর এবং রাতে খাবার আগ পর্যন্ত বেল খাওয়ার একটা উপযুক্ত সময়। অথবা দুপুরের কাজ করার পরবর্তী সময়ে পেলে শরবত খেয়ে নিলে নিজের মাঝে একটি এনার্জি সঞ্চয় হবে যার ফলে ওই সময়টি আপনারা খেতে পারেন। 

যখন আপনার ক্লান্ত থাকবেন ওই সময়টার মধ্যে যদি আপনারা বেল শরবত পান করতে পারেন তাহলে আপনার অনেক ভালো লাগবে সেই সময়টিতে বেল শরবত খাওয়ার ফলে আপনাদের ক্লান্তি ভাব দূর হয়ে যাবে। এর জন্য আপনার বেলের শরবত ক্লান্তি অথবা দুপুরে থেকে রাতে খাবার আগ পর্যন্ত খেতে পারেন।

কাঁচা বেল খাওয়ার উপকারিতা 

বেল একটি উপকারি ফল কাঁচা বেল এবং পাকা বেল দুটি সমান উপকারী। পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আমাশয় উপকার করে থাকে। আধা পাকা সিদ্ধ বেল আমশয় জন্য অধিক কার্যকরী। একটি কাঁচা বেল সিদ্ধ করে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। বেলে শরবত খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
কাঁচা বেল খাওয়ার উপকারিতা
আপনারা যদি বেলে পাতলা রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন সে ক্ষেত্রে চোখে ছানি জালা উপশম হবে। বেলে পাতলা রসের সঙ্গে মধু ও গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে জন্ডিস রোগ নিরাময় হয়। শিশুদের বেলে শরবত পান করালে স্মরণ শক্তি বাড়ানো যেতে পারে এতে অনেক কার্যকরী একটি উপকারী ফল বলা যায়। 

বেল‌ পেট পরিষ্কার রাখতে পারে এই কথা কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য। পেট পরিষ্কার রাখার জন্য তিন মাস যদি বেল খেতে পারেন তাহলে আপনি সহজে কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগে থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আলসারের ওষুধ হিসেবে বেল খুবই উপকারী রয়েছে কারণ বেলে আঁশে যে ফাইবার রয়েছে তা আলসার উপকারের সময় খুবই কার্যকরী। 

সপ্তাহে ৩ দিন বেলের শরবত দান করুন এছাড়া বেলের পাতা ছাড়া রাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খেলে অনেক অংশে আলসার কমে যায়। ডায়াবেটিস কমায়। পাকা বেলে রয়েছে মেথলন একটি উপাদান চাই আপনার ব্লাড সুগার কমাতে কাজ করে এর জন্য বেল শরবত করে এমনি খেতে হবে এক্ষেত্রে পাকা বেল ব্যবহার করতে পারেন। 


শক্তি বৃদ্ধি এনার্জি বাড়ানোর জন্য বেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। গ্রাম বেলের মধ্যে রয়েছে ১৪০ ক্যালরি এনার্জি রয়েছে। এছাড়া বেলের মধ্যে পাওয়া যায় মেটাবলিক স্পিড। দিলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বেল ব্লাড প্রেসার কমায় ও বেল ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে তার জন্য এটি অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

এজন্য শরবত কিংবা এমনি খেতে পারেন পাকা বেল বা কাঁচা বেল। ক্যান্সারের জন্য খুবই উপকারী রয়েছে বেলের। এর জন্য আপনারা বেল খেতে পারবেন। বেলে রয়েছি আন্টির প্রফেক্টিভ এন্ট্রি মোটাজেন উপাদান ক্যান্সার সৃষ্টিতে বাধা দেয়।

লেখকের মন্তব্য 

পাকা বেল খাওয়ার ৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বেল একটি উপকারি ফল কাঁচা বেল এবং পাকা বেল দুটি সমান উপকারী। দোয়েল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আমাশয় উপকার করে থাকে। আধা পাকা সিদ্ধ বেল আমশয় জন্য অধিক কার্যকরী। একটি কাঁচা বেল সিদ্ধ করে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। 

বেলে শরবত খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আপনারা যদি বেলে পাতলা রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন সে ক্ষেত্রে চোখে ছানি জালা উপশম হবে। বেলে পাতলা রসের সঙ্গে মধু ও গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে জন্ডিস রোগ নিরাময় হয়। শিশুদের বেলে শরবত পান করালে স্মরণ শক্তি বাড়ানো যেতে পারে এতে অনেক কার্যকরী একটি উপকারী ফল বলা যায়।

আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করছি। এই পোস্টটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন কিছু জানতে ইচ্ছে হয় তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন এবং এই পোস্টটি যদি ভালো  লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করে দিবেন বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentit ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url