ফেসবুকে রিলস ভিডিও ভাইরাল করে টাকা ইনকাম করুন ১০টি উপায়ে

ফেসবুকে রিলস ভিডিও ভাইরাল করে টাকা ইনকাম করুন ১০টি উপায়ে সম্পর্কে জানুন। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করব ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি সম্পর্কে এবং এর সাথে ফেসবুক মনিটাইজেশন পলিসি এ সম্পর্কে এবং তার সাথে ফেসবুক মনিটাইজেশনের টুল সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ফেসবুকে রিলস ভিডিও ভাইরাল করে টাকা ইনকাম
ফেসবুকের ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য বেস্ট গাইডলাইন হতে পারে। ফেসবুকে রিলস ভাইরাল করার উপায় এবং ফেসবুক থেকে ইনকাম করার সকল বিষয় সম্পর্কে জানাবো এটা জানার ফলে আপনারা অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্র:ফেসবুকে রিলস ভিডিও ভাইরাল করে টাকা ইনকাম করুন ১০টি উপায়ে 

ফেসবুকে রিলস ভিডিও ভাইরাল করে টাকা ইনকাম করুন ১০টি উপায়ে 

ফেসবুকে রিলস ভিডিও ভাইরাল করে টাকা ইনকাম করুন ১০টি উপায়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ফেসবুক রিস ভাইরাল করার উপায় হলো ফেসবুক  রিলস ভাইরাল করার জন্য কিছু কার্যকর কৌশল অবলম্বন করতে হবে। এ কৌশল গুলো আপনার কনটেন্ট কি আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে এবং তাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে। নিচে ফেসবুক রিলস ভাইরাল করার কয়েকটি উপায় উল্লেখ করা হলো।: 
  • আকর্ষণীয় এবং সংক্ষিপ্ত কনটেন্ট তৈরি করুন: ফেসবুক রিয়েল সাধারণত ১৫-৩০ সেকেন্ডের হয়। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে আপনাকে দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। হোসেন ও অভিনন্দন মূলক এবং তথ্যবহুল কন্টেন তৈরি করার চেষ্টা করুন যা দর্শকদের ভিডিওটি পুরোপুরি দেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে। 
  • ফ্রেন্ড এবং চ্যালেঞ্জ অনুসরণ করুন: ফেসবুকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ট্রেন চ্যালেঞ্জ চলে। এ ফ্রেন্ডগুলো অনুসরণ করে কন্টেন তৈরি করলে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। জনপ্রিয় ট্রেন্ড এবং চ্যালেঞ্জ গুলো খুঁজে বের করে সেগুলোর সাথে সামঞ্জস্য কনটেন্ট তৈরি করুন।
  • উচ্চ মানের ভিডিও তৈরি করুন: ভিডিওটির গুণগত মান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ রেজোলিশনের ভিডিও, পরিষ্কার অডিও এবং ভালো আপনার ভিডিওটিকে পেশাদার এবং আকর্ষণ করে তুলবে। ভালো মানের ভিডিও দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। 
  • সঠিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন: হ্যাস্ট ট্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার কনটেন্ট কে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। কেননা তার সঙ্গী এবং জনপ্রিয় হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করলে যা আপনার ভিডিওটির বিষয়বস্তু এবং ফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্কিত থাকবে। 
  • নিয়মিত আপলোড করুন: নিয়মিতভাবে রিলস আপলোড করুন। ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে দর্শকরা আপনার কনটেন্টের প্রতি আগ্রহ থাকবে এবং আপনার ফলোয়ার বাড়বে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত কয়েকটি নতুন রিলস আপলোড করার চেষ্টা করুন।
  • সেলিব্রেশন করুন: অন্যান্য কন্টেন্ট ক্রিয়েট সাথে সেলিব্রেশন করুন। এটি আপনার কনটেন্ট কে নতুন দর্শকের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং আপনার ভিডিওটার ভিউ এবং এনগেজমেন্ট বাড়বে। 
  • কনটেন্ট এনগেজমেন্ট বাড়ান: অন্যান্য কনটেন্ট ক্রিয়েটের থেকে দর্শকদের আপনার ভিডিওটির মন্তব্য করতে লাইক দিতে শেয়ার করতে উদ্বুদ্ধ করুন। আপনি আপনার ভিডিওটি প্রশ্ন করতে পারেন বা দর্শকের মতামত জানতে চাইতে পারেন। এনগেজমেন্ট বাড়ালে আপনার ভিডিওটি রিচ এবং ভিউ বাড়বে। 
  • সঠিক সময়ে পোস্ট করুন: আপনার দর্শকদের অধিকাংশ সময় কোন সময় সক্রিয় থাকে তা নির্ণয় করে সে সময় রিলস পোস্ট করুন। সঠিক সময় পোস্ট করলে আপনার ভিডিও বেশি দর্শকদের কাছে পৌঁছাবে এতে বেশি ভিউ বাড়বে। 
  • থাম্বনেইল এবং টাইটেল মনোযোগ দিন: আকর্ষণীয় থাম্নেল এবং টাইটেল ব্যবহার করা যায় দর্শকদের কন্টেন্ট দেখতে উদ্ভূত করবে। ভিডিওটির প্রথম কয়েক সেকেন্ডে আকর্ষণীয় কিছু রাখার চেষ্টা করুন যাতে দর্শকরা ভিডিওটিতে স্ক্রল করে না চলে যায়।
  • এনালিটিক্স ব্যবহার করুন: ফেসবুকে ইনসাইট এবং অ্যানালিটিকস ব্যবহার করে আপনার ভিডিও গুলোর পারফর্মেন্স বিশ্লেষণ করুন। কোন ধরনের কোন টিম বেশি ভিউ এবং এনগেজমেন্ট পাচ্ছে তা বুঝে সে অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করুন। 
ফেসবুক রিলস ভাইরাল করার উপায় গুলো হলো কৌশল গুলো অনুসরণ করে আপনি ফেসবুকে রিলসের মাধ্যমে আপনার কনটেন্ট কে ভাইরাল করার সুযোগ বাড়াতে পারেন। ধারাবাহিকভাবে মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি এবং দর্শকদের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার মাধ্যমে আপনি ফেসবুকে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি তৈরি করতে পারবেন। 

ফেসবু্কে রিলস ভিডিও ডাউনলোড করা শিখুন 

ফেসবুকে রিলস ভিডিও ডাউনলোড করার শিখুন ফেসবুকে রিলস ভিডিও ভাইরাল করে টাকা ইনকাম এ সম্পর্কে জেনে নিন। ফেসবুক রিলস ভিডিও ডাউনলোড করার পদ্ধতি নিয়ে অনেকের আগ্রহ দেখা যায় কারণে এটি একটি জনপ্রিয় ফিচার এবং ব্যবহারকারীদের ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করতেও দেখতে সুযোগ দেয়। 

ফেসবুকের রিলস ভিডিও ডাউনলোড করার জন্য সরাসরি কোন অফিশিয়াল অপশন নেই, ব্যবহারকারীদের তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হয়। প্রথমে, ডাউনলোড করতে যাওয়া ভিডিওটি লিংক কপি করতে হয়। এটি করতে, ভিডিওটির পাশে থাকা তিনটি ডট চিহ্নে ক্লিক করে 'কপি লিংক' অপশন নির্বাচন করতে হবে। 

আরো পড়ুন: কিভাবে ফেসবুক আইডি হ্যাকিং ঠেকাবেন তা রোধ করার উপায়

এরপর, কোন নির্ভরযোগ্য ফেসবুক রিলস ডাউনলোডের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এ গিয়ে সেই লিংক পেস্ট করতে হয় এবং ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করতে হয়। এখানে কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা অ্যাপসের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে, যেমন Snapsanv,GetfVid, এবং FBDown। এই ওয়েবসাইটগুলো সহজে ব্যবহার করা যায় এবং সাধারণত দ্রুত গতিতে ভিডিও ডাউনলোড করতে সহায়তা করে।

তবে, এসব সেবা ব্যবহার করার আগে কিছু বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে অবশ্যই। প্রথমত, মনোযোগ দ্বিতীয় পক্ষের ওয়েবসাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত, কারন কিছু ওয়েবসাইটে মেলওয়ার থাকতে পারে যা ডিভাইসে ক্ষতি করতে পারে। দ্বিতীয়ত ভিডিওটির মালিকের অনুমতি ছাড়া ভিডিও ডাউনলোড করা বা ব্যবহার করা নৈতিকভাবে এবং আইনিভাবে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। 

ফেসবুক রিলস ভিডিও ডাউনলোড করার আগে আরো একটি ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে, সেটা হলো ডিভাইসের স্টোরেজ। ভিডিও ফাইল গুলো সাধারণত বড় আকারের হয়ে থাকে, তাই পর্যাপ্ত স্টোরেজ থাকা প্রয়োজন। এছাড়া যেসব ভিডিও ডাউনলোড করা হয় সেগুলো কেবলমাত্র ব্যক্তিগত ব্যাবহার জন্য রাখা উচিত। 

এবং কোনভাবে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। সব মিলিয়ে ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড করার বিষয়টি সহজে হলেও কিছু বিষয় খেয়াল রেখে নিরাপদ সঠিকভাবে ব্যবহার করাই উত্তম। ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড করতে হলে নিচে ধাপ অনুসরণ করতে পারেন:

১. ভিডিও লিংক কপি করা:

  • ফেসবুক অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে রিলস ভিডিও খুলুন।
  • ভিডিওটির ওপর তিনটি ডট বা শেয়ার অপশন এ ক্লিক করুন। 
  • "কপি লিংক" অপশনটি সিলেক্ট করুন।
২. অনলাইন ডাউনলোডার ব্যবহার করা: 
  • একটি ব্রাউজার খুলুন এবং একটি ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোডার ওয়েবসাইটের যান। 
  • কপি করার লিংকটি সাইটের সার্চ বক্সে পেস্ট করুন। 
  • "ডাউনলোড" বাটনে ক্লিক করুন। 
৩. ভিডিও ডাউনলোড করা: 
  • সাইটটি আপনাকে বিভিন্ন ফরম্যাটে ডাউনলোডের অপশন দিবে। আপনার পছন্দমত ফরম্যাট নির্বাচন করুন। 
  • ফরম্যাট নির্বাচন করার পর ডাউনলোড প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং ভিডিওটি আপনার ডিভাইসের সেভ হবে। 
এভাবে আপনি সহজে ফেসবুক রিলস ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন।

ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি গুলো দেখুন 

ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি গুলো সম্পর্কে ফেসবুকে রিলস ভিডিও ভাইরাল করে টাকা ইনকাম জেনে নিন। ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি ফেসবুক হল একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও ফরমেট যা ব্যবহারকারীদের সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরি এবং শেয়ার করার সুযোগ দেয়। ফেসবুকের রেষ্ট মনিটাইজেশন পলিসি হলো এমন কিছু নীতিমালা।

এবং সত্তা বলি যা ব্যবহারকারীদের তাদের ভিডিও করার সুযোগ করে দেয় এবং সেখান থেকে টাকা উপার্জন করার সুযোগ দেয়। এ নীতিমালাগুলো অনুসরণ করে কনটেন্ট ক্রিয়েটরা তাদের ভিডিওগুলোকে মনিটাইজেশন করে হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিচে দেওয়া হলো:
১.যোগ্যতা:
  • ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। কনটেন্ট ক্রিয়েটদের জন্য সাধারণ একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলোয়ার ভিডিও এবং এনগেজমেন্ট এর মাত্রা থাকতে হয়। এছাড়া গ্রেট দের একটি সক্রিয় ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল থাকতে হবে যা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে আপডেট হয়।
২. কমিউনিটি স্ট্যান্ডাড এবং কনটেন্ট পলিসি:
  • ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডাড এবং কনটেন্ট পলিসি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। কোন ধরনের আপত্তিকর অশ্লীল বিদ্বেষপূর্ণ এবং সহিংস কনটেন্ট রিলস ভিডিও আপলোড করা যাবে না। কনটেন্ট ক্রিয়েট এর কন্টেন অবশ্যই সঠিক এবং বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। 
৩. অরিজিনাল কনটেন্ট: 
  • ফেসবুক কনটেন্ট সে মনিটাইজেশন করার জন্য কনটেন্টি অবশ্যই অরজিনাল হতে হবে। অন্য কারো কনটেন্ট কপি করে আপলোড করলে তা মনিটাইজেশন এর জন্য বিবেচিত হবে না। কনটেন্ট এর নিজস্ব সৃজনশীলতা এবং কল্পনা শক্তি ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করতে হবে। 
৪. এড ব্রেকস:
  • ফেসবুক রিলস এ অ্যাড্রেস ব্যবহার করা হয় যার মাধ্যমে ভিডিওটির মাঝখানে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এই বিজ্ঞাপনগুলো থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ ক্রিয়েটের দেওয়া হয়। তবে অ্যাড্রেস ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সত্য পূরণ করতে হয় যেমন ভিডিওটি দৈর্ঘ্য এবং ভিউ এর সংখ্যা। 
৫. ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট:
  • কনটেন্ট ক্রিয়েটরা ব্র্যান্ডেড কন্টেন্ট ব্যবহার করে তাদের আয় বাড়াতে পারেন। ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট হলো এমন কনটেন্ট যা কোন ব্রান্ড বা পণ্যের প্রকাশ করার জন্য তৈরি করা হয়। এ ধরনের কনটেন্ট গুলো তৈরি করার সময় ফেসবুকের ব্র্যান্ডেড কন্টেন্ট পলিসি অনুসরণ করতে হবে এবং স্পন্সার শিপ এবং পার্টনারশিপের তথ্য সঠিকভাবে প্রকাশ করতে হবে।
৬. পেমেন্ট এবং ট্যাক্সেশন:
  • ফেসবুক রিলস থেকে আয় করার জন্য দের একটি বৈধ প্রেমেন্ট একাউন্ট সেটআপ করতে হবে। পেমেন্ট প্রক্রিয়াটি সাধারণত মাসিক ভিত্তিতে সম্পন্ন হয় এবং নির্দিষ্ট একটি  থেস হোল্ড অতিক্রম করতে হবে। এছাড়া আয়ের উপর নির্ভর করে ট্যাক্সেশন প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে হবে।
৭. নীতিমালা লঙ্ঘনের পরিণতি:
  • যদি কোন ক্রিয়েটর ফেসবুকে মনিটাইজেশন পলিসি এবং কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করেন, তাহলে তার অ্যাকাউন্ট টি বা কনটেন্ট মনিটাইজেশন সুবিধা বাতিল করা হতে পারে। ফেসবুকে এ বিষয়ে সতর্ক এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে। 

ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি কনটেন্ট ক্রিয়েটদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ প্রদান করে তাদের সৃজনশীলতা আয়ের উৎস পরিণত করার। তবে এই নীতিমাল এবং শর্তাবলী মেনে চলা আবশ্যক যত ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের মান এবং নিরাপত্তা বজায় থাকে। কনটেন্ট ক্রিয়েটদের উচিত ফেসবুকে নির্দেশিকা অনুসরণ করে দায়িত্বশীলভাবে কনটেন্ট তৈরি এবং শেয়ার করে। যাতে তারা সাফল্যের সাথে তাদের রিলস ভিডিওতে করতে পারেন।

ফেসবুক মনিটাইজেশন টুল গুলো দেখুন 

ফেসবুক মনিটাইজেশন টুল গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ফেসবুক মনিটাইজেশন টুল ফেসবুকের মনিটাইজেশন তুলগুলি কন্ট্রোল ক্রিয়েটদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমে যা তাদের কনটেন্ট থেকে আয় করতে সহায়তা করবে। 

এই টুলগুলি ব্যবহার করে কনটেন্ট ক্রিয়েটরা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট যেমন ভিডিও লাইভ স্ট্রিম আর্টিকেল এবং আরো অনেক কিছু থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ফেসবুকে রিলস ভিডিও ভাইরাল করে টাকা ইনকাম ও ফেসবুকে কিছু প্রধান মনিটাইজেশন টুল সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো: 
  • ইন-স্ট্রিম এডস (In-Stream Ads): ইন স্ট্রিম এট হলো ভিডিওটির মাঝখানে দেখানো বিজ্ঞাপন যা দর্শকদের ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা কে বাধাগ্রস্ত না করে প্রদর্শিত হয়। এ বিজ্ঞাপনগুলি থেকে প্রাপ্ত আয় এর একটি অংশ ভিডিও ক্রিয়েটদের প্রদান করা হয়। ইন-স্ট্রিম ম্যাচ ব্যবহারের জন্য ভিডিওটি দৈর্ঘ্য এবং ভিউ এর নির্দিষ্ট মান পূরণ করতে হয়।
  • ফ্যান সাবস্ক্রিপশন (Fan Subscription): একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ভক্তরা মাসিক ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে পারেন। সাবস্ক্রাইবরা সাধারণত বিশেষ কিছু সুবিধা পান যেমন এক্সক্লুসিভ কন্টেন এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগের সুযোগ। 
  • ব্যান্ডের কনটেন্ট (Branded Content): ব্র্যান্ডডেড কনটেন্ট হলো এমন কন্টেন্ট যা কোন ব্র্যান্ড বা বর্ণের প্রচারণার জন্য তৈরি করা হয়। এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করার সময় পার্টনারশিপের তথ্য সঠিকভাবে প্রকাশ করতে হয় ফেসবুকে ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট টুল ব্যবহার করে ডিলগুলিকে তাদের ভিডিওগুলোতে সহজে পরিচালনা করতে পারেন।
  • স্টারস (Stars): ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং এর সময় দর্শকরা ক্রিয়েটদের কে স্টার্স পাঠাতে পারেন যা একটি ভার্চুয়াল উপহার। প্রতিটি স্টারের জন্য ক্রিয়েট রাইটিং নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পান। এটি লাইভ স্ট্রিমিং কনটেন্ট ক্রিয়েট দের জন্য একটি চমৎকার আয় উৎস হতে পারে। 
  • ফেসবুক শপ (Facebook Shop): ফেসবুক শপ হল একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবসায়ীদেরকে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম এ তাদের পণ্য বিক্রি করার সুযোগ করে দেয়। কনটেন্ট ক্রিয়েটরা তাদের নিচে পণ্য তৈরি করে এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফেসবুক শপের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing): অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি পদ্ধতি যেখানে ক্রিয়েটরা কোন পণ্য বাসেবার প্রচারণা করে এবং সে পণ্য বা সেবার বিকৃতি থেকে একটি কমিশন পাওয়া যায়। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ পেজ এবং প্রোফাইলের মাধ্যমে এলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।

ফেসবুক মনিটাইজেশন টুলগুলি কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাদের সৃজনশীলতা অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে পরিণত করার অসংখ্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। এ টুলগুলি ব্যবহার করে ক্রেটরা তাদের দর্শকদের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন

এবং তাদের কনটেন্ট থেকে দীর্ঘমেয়াদি থেকে স্থিতিশীলতা ছিল তা অর্জন করতে পারে। ফেসবুকের মনিটাইজেশন টুল বলে ব্যবহার করার নির্দিষ্ট কিছু শর্ত এবং নীতিমালা মেনে চলা আবশ্যক যা, কনটেন্ট্রেটদের জন্য একটি নিরাপদ এবং মানসম্পন্ন প্লাটফর্ম হিসেবে নিশ্চিত হবে। 

ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করার উপায়

ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করার উপায় জেনে নিন। আপনার ফেসবুকে যদি অনেক ফলোয়ার থাকা একটি পেজ থাকে। তাহলে সে পেজে আপনি ভিডিও আপলোড করে অনেকটা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে সেই পেজের ফেসবুক এড মনিটাইজেশন থাকতে হবে। এক মনিটাইজেশন না থাকলে টাকা ইনকাম হবে না।
 
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করার উপায়
তাই মনিটাইজেশন করা জরুরী। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ বেকার বসে আছে যার জন্য সবাই ইন্টারনেট জানতে চাই কিভাবে তারা ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারে। তাই টাকা আয় করার অ্যাপস দেখে নিন। আমরা চেষ্টা করেছি আজকে পোস্টটা ফেসবুকে রিলস ভিডিও ভাইরাল করে টাকা ইনকাম সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করুন 

ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং শর্তাবলী রয়েছে যা অনুসরণ করতে হবে আপনাকে। নিচে বিস্তারিতভাবে কিভাবে ফেসবুকের রিলস থেকে ইনকাম করা যায় তা উল্লেখ করা হলো: 
  • ইন-স্ট্রিম এডস (In-Stream Ads): ইন স্ট্রিম এট হলো ভিডিওটির মাঝখানে দেখানো বিজ্ঞাপন যা দর্শকদের ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা কে বাধাগ্রস্ত না করে প্রদর্শিত হয়। এ বিজ্ঞাপনগুলি থেকে প্রাপ্ত আয় এর একটি অংশ ভিডিও ক্রিয়েটদের প্রদান করা হয়। ইন-স্ট্রিম ম্যাচ ব্যবহারের জন্য ভিডিওটি দৈর্ঘ্য এবং ভিউ এর নির্দিষ্ট মান পূরণ করতে হয়।
  • ফ্যান সাবস্ক্রিপশন (Fan Subscription): একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ভক্তরা মাসিক ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে পারেন। সাবস্ক্রাইবরা সাধারণত বিশেষ কিছু সুবিধা পান যেমন এক্সক্লুসিভ কন্টেন এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগের সুযোগ। 
  • ব্যান্ডের কনটেন্ট (Branded Content): ব্র্যান্ডডেড কনটেন্ট হলো এমন কন্টেন্ট যা কোন ব্র্যান্ড বা বর্ণের প্রচারণার জন্য তৈরি করা হয়। এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করার সময় পার্টনারশিপের তথ্য সঠিকভাবে প্রকাশ করতে হয় ফেসবুকে ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট টুল ব্যবহার করে ডিলগুলিকে তাদের ভিডিওগুলোতে সহজে পরিচালনা করতে পারেন।
  • স্টারস (Stars): ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং এর সময় দর্শকরা ক্রিয়েটদের কে স্টার্স পাঠাতে পারেন যা একটি ভার্চুয়াল উপহার। প্রতিটি স্টারের জন্য ক্রিয়েট রাইটিং নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পান। এটি লাইভ স্ট্রিমিং কনটেন্ট ক্রিয়েট দের জন্য একটি চমৎকার আয় উৎস হতে পারে। 
  • ফেসবুক শপ (Facebook Shop): ফেসবুক শপ হল একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবসায়ীদেরকে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম এ তাদের পণ্য বিক্রি করার সুযোগ করে দেয়। কনটেন্ট ক্রিয়েটরা তাদের নিচে পণ্য তৈরি করে এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফেসবুক শপের মাধ্যমে আয় করতে পারেন
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing): অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি পদ্ধতি যেখানে ক্রিয়েটরা কোন পণ্য বাসেবার প্রচারণা করে এবং সে পণ্য বা সেবার বিকৃতি থেকে একটি কমিশন পাওয়া যায়। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ পেজ এবং প্রোফাইলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।

ফেসবুক থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করার পদ্ধতি

আপনি আপনার পেজের মাধ্যমে প্রোডাক্ট সেল করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন বড় বড় মার্কেটপ্লেস রয়েছে যারা তাদের প্রোডাক্ট বিভিন্ন পেজ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। আপনি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম সেটা করে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক বুস্ট এর মাধ্যমে টাকা আয়

যাদের ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড রয়েছে। তারা ফেসবুক অ্যাড এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। ফেসবুকে পোস্ট করার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এতে আপনার ফেসবুক পেজে আয় হবে।

ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন সম্পর্কে জেনে নিন 

ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ফেসবুক রিয়েল মনিটাইজেশন করতে চাইলে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে আপনাদের। নিচে সম্পন্ন প্রক্রিয়াটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন
ফেসবুকে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য:ফেসবুকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলো মনিটাইজেশন পেতে হলে ফেসবুকের পাতায় আগে থেকে বেশ কিছু কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। আপনার পেজটি মনিটাইজেশন করার উপযুক্ত কিনা সেটা চেক করে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। পেজের ক্রিয়টরের স্টুডিও অপশন থেকে মনিটাইজেশনে ক্লিক করে দেখা যেতে পারে যে সেটি আসলে মনিটাইজেশন করা যাবে কিনা।

পেজের মনিটাইজেশন করতে হলে ফেসবুকে নির্ধারিত নিয়ম কারণ অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এসব নিয়মের মধ্যে রয়েছে:
  • সব ভিডিও অন্তত তিন মিনিট লম্বা হতে হবে।
  • ভিডিওটির এক মিনিট ধরে দেখার রেকর্ড থাকতে হবে।
  • ফেসবুক পাতা অন্তত দশ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে।
  • সংশ্লিষ্ট ও ভাষা ফেসবুকের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে হবে
  • গত ৭ দিনে বা ছয় মাসের যে ভিডিওগুলো রয়েছে সব মিলিয়ে ৬ লাখ মিনিট ভিউ থাকতে হবে।
এই যে এমন কোন ছবি বা ভিডিও কনটেন্ট থাকতে পারবে না, যেকোনো ফেসবুকে নীতিমালা ভঙ্গ করে। বিশেষ করে কনটেন্ট এমন হতে হবে যেন সবাই দেখতে পারবে। এসব করা থাকলে আপনার ফেসবুক পাতা দিয়ে অ্যাড ব্রেকের জন্য উপযুক্ত হবে।

তখন আয়কর সনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন সংযুক্ত করে আবেদন করলে ফেসবুকে গ্রুপিং বুদ্ধিমত্তা আপনার কনটেন্ট যাচাই বাছাই করে দেখবে। বিশেষ করে দেখা হবে এগুলো আসল নাকি নকল। সব ঠিক থাকলে ফেসবুক মনিটাইজেশন খুলে দেবে এবং আপনি বিজ্ঞাপন পাবেন এবং সেটা পছন্দ মত স্থানে বসাতে পারবেন।


ফেসবুকে অনেক পাতা রয়েছে যেগুলো তো লাখ লাখ লাইক কিন্তু তারা মনিটাইজেশন পায়নি। আবার কোন পাতা ৩০ হাজারের মত লাইক নিয়ে মনিটাইজেশন পেয়েছেন। এটা আসলে নির্ভর করে তারা ফেসবুকে শর্তগুলো কতটা ভালোভাবে পূরণ করতে পেরেছেন।

এখানে উল্লেখ্য যে ফেসবুক কোন ভিডিও থেকে আয় করতে হলে সেটা অবশ্যই কোন পেজ সেটা পাবলিশ করতে হবে। প্রোফাইল থেকে পাবলিশ করলে সেই ভিডিও মনিটাইজেশনের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না।

লেখকের মন্তব্য

ফেসবুকে ভিডিও রিলস তৈরি থেকে কত টাকা আয় করা যায় জানতে পেরেছেন। আপনি ফেসবুক থেকে চাইলে প্রতিদিন হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়মকানুন মেনে কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে তাহলে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনি যদি এইভাবে সব নিয়ম-কানুন মেনে ফেসবুকে রিলস ভিডিও আপলোড করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর হ্যাঁ আজকে পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত মানুষদের সাথে একটু শেয়ার করে দিয়ে তাদের উপকৃত করুন। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentit ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url