মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করার ১৮টি দারুন উপায় জানলে অবাক হবেন
Suraiya
৪ জুন, ২০২৪
আপনার কি টাকা পয়সা নিয়ে কিছু ফ্যান্টাসি রয়েছে? আপনিও কি মাসের লাখ টাকা আয়
করতে চান? সত্যি বলতে মাসে লাখ টাকা আয় করার অসংখ্য উপায় রয়েছে যদি আপনি
সঠিকভাবে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করার উপায়উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন।
অবশ্যই আপনি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। আপনি কি জানতে চান না কোন সে
উপায়ে, উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে এবারের বিশেষ আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এ
আর্টিকেলে আমরা জানাবো সেই উপায় সম্পর্কে যে উপায়গুলো অনুসরণ করলে মাসে লাখ
টাকা আয় করতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র: মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করার ১৮টি দারুন উপায়
মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করার উপায় সম্ভব কি জেনে নিন। প্রথমে বলে রাখি শুনতে
যে এতটা সহজ মনে হচ্ছে কাজটা মোটেও ততটা সহজ না। মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে
হলে আপনাকে সেই লাখ টাকার মত পরিশ্রম করতে হবে।
তবে হ্যাঁ সম্ভব, আমাদের আশেপাশে তাকালে এমন অনেক মানুষকে খুঁজে পাবো যারা মাসে
লাখ লাখ টাকা ইতিমধ্যে করে ফেলেছে। তারা ঠিক কি কাজ করে কিভাবে কোন পায়ে মাসে
লাখ লাখ টাকা আয় করে এবারের আর্টিকেলে আমরা সেটারই বিশ্লেষণ করবো।
আপনিও যদি সে কাজগুলো করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে পারেন তবে আপনিও মাসে
লাখ লাখ টাকা আয় করার উপায় করতে পারবেন। আচ্ছা টিকেট দিতে তো বিস্তারিত
জানা বই এখন এক কথায় যদি উত্তর দিতে হয় যে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব কি
না তার উত্তরে হবে হ্যাঁ সম্ভব অবশ্যই সম্ভব।
কিভাবে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায়?
কিভাবে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায় জেনে নিন। এবার নিশ্চয় আপনার মনে প্রশ্ন
জাগছে যে কিভাবে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করার উপায়? এমন কোন পদ্ধতি রয়েছে যা
দ্বারা এমনটা করা সম্ভব? সত্যি কথা বলতে এমন অনেক কাজই রয়েছে যে কাজগুলো করার
মাধ্যমে এক মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। বোঝার সুবিধার্থে নিম্নে তিনটি
ক্যাটাগরিতে কাজগুলো উপস্থাপনা করছি:
চাকরি করে: সরকারি বেসরকারি এমন অনেক চাকরি হয়েছে যে সকল চাকরি করলে
আপনার মাসিক বেতন হবে প্রায় লক্ষ টাকার অধিক। সে চাকরি গুলো কি এটা জানাবো
আর্টিকেলে বিস্তারিত সেকশনে। তোর প্রাথমিকভাবে এটা বলা যায় যে চাকরি করার
মাধ্যমে আপনি মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
ব্যবসা করে: আমাদের ইসলাম ধর্মের ব্যবসাকে করা হয়েছে সর্বোত্তম উপায়ে
অর্থ উপার্জন করার জন্য। মাসে হাজার টাকা হোক বা লাখ লাখ টাকা হোক কোটি কোটি
টাকা হোক ব্যবসা করে আয় করা যায় না এমন কোন পরিমাণের অর্থ নেই। প্রকৃতপক্ষে
টাকা ইনকাম করার জন্য বা ধনী হওয়ার জন্য সবচেয়ে সুন্দর উপায়টি হলো ব্যবসা
করা। হতে বলা যায় যে আপনি ব্যবসা করার মাধ্যমে মাসে লাখ লাখ টাকা করতে পারবেন।
তবে সে কোন ব্যবসা সেগুলো জানবো আর্টিকেলের বিস্তারিত সেকশনে।
অন্যান্য কাজ করে: অনেকে ভাবতে পারেন চাকরি হলো ব্যবসা হলে এখন আবার এমন
কোন উপায় বাকি রয়েছে যেটা অনুসরণ করলে মানুষের লক্ষ্য টাকা ইনকাম করা যাবে?
হ্যাঁ এখনো এমন কিছু উপায় রয়েছে, এই উপায় ক্যাটাগরির মধ্যে যদি একটি নাম আমি
হাইলাইট করতে চাই তাহলে সেটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার
রয়েছে যাদের মাসিক আয় লক্ষ টাকার অধিক হয়েছে।
যাইহোক আমরা ক্যাটাগরি সম্পর্কে আপনাকে ধারণা দিয়ে বললাম। এবার এ সকল
ক্যাটাগরিতে কেন্দ্র করে যে কাজগুলো রয়েছে এক এক করে সেগুলো জানানোর পালা। তাহলে
এবার শুরু করা যাক আমাদের এবারের বিশেষ আর্টিকেলের মূল বক্তব্য বা মূল
উপস্থাপনা।
মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় সমূহ
মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় সমূহ জেনে নিন। এ পর্যায়ে এক এক করে তিনটি
ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানাবো যে উপায় অবলম্বন করে আপনিও মাসে লাখ
লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে সক্ষম হবেন। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক চাকরির
মাধ্যমে।
যেসব চাকরি করে মাসে লাখ টাকা আয় করা যায়
এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন কোন চাকরি গুলো রয়েছে বর্তমান বাজারে যেগুলো করলে
আপনাকে মাসিক বেতন দেওয়া হবে লক্ষ টাকার মত। আমরা কেবল সেই চাকরিগুলো কে
লিপিবদ্ধ করেছি তালিকায়, যে চাকরিগুলো সর্বনিম্ন বেতন এক লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ
এক লাখের অধিক হতে পারে। তাহলে আসুন এবার এক এক করে এসে চাকরি গুলো সম্পর্কে কিছু
তথ্য জেনে নেওয়া যায়।
১। আইটি ম্যানেজার
আইটি ম্যানেজার হল এমন একটি পেশা যে পেশায় নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তি একটি
প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রযুক্তি তথা আইটি সেক্টরে কাজ করে থাকে। এ পেশা নিয়োগ
কর্মী আইটি সিস্টেম এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বাস্তবায়ন পরিচালনা পাশাপাশি আইটি
রিসোর্স এবং কর্মী ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে থাকে। এক গোত্রে বলা যায়
মাল্টিপল দিক নিয়ন্ত্রণ করতে হয় একজন আইটি ম্যানেজারকে।
আইটি ম্যানেজার হতে হলে সাধারণভাবে স্নাতক ডিগ্রির প্রয়োজন হয়। আপনি যে
বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তা নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের আইটি ম্যানেজার
হতে চান তার উপরে। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেশন, নেটওয়ার্কিং
বা ডেটাবেসে ম্যানেজমেন্ট ক্যারিয়ার গড়তে চান,
তাহলে আপনার কম্পিউটার সাইন্স বা তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন
করা উচিত। আর যদি আপনি ব্যবসায়িক আইটি ম্যানেজার হতে চান, তাহলে আপনার ব্যবসা
প্রশাসন বা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করা উচিত। এগুলা ছাড়া একজন
আইটি ম্যানেজার হতে আপনার মধ্যে উল্লেখিত গুণাবলী গুলো থাকতে হবে:
আপনাকে অবশ্যই প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে
আপনি স্নাতক ডিগ্রির সহ বিভিন্ন আইটি সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তি হতে
পারেন।
যেহেতু আপনি একজন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করবেন তাই অবশ্যই নেতৃত্বে দানের উপর
দক্ষ হতে হবে।
একজন আইটি ম্যানেজারকে আইটি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধান বিবেচনা
করার মত আইটি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধান বিবেচনা করার মত জ্ঞান
রাখতে হবে। পাশাপাশি নেটওয়ার্কের এবং পরিচালনা বিষয়ক সক্ষমতা থাকা উচিত।
বাংলাদেশের পরিসীমা পরিসংখ্যান অনুযায়ী সাধারণত একজন আরেকটি ম্যানেজার
এভারেজ মাসিক বেতন ২,৭১,২৪৭ টাকা।
২। মার্কেটিং ম্যানেজার
মার্কেটিং ম্যানেজার হলেন একজন ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপক যিনি কোম্পানির মার্কেটিং
সংক্রান্ত কার্যক্রম করে থাকেন। মার্কেটিং ম্যানেজার কাজ হল একটি কোম্পানির
পণ্য বা সেবাগুলোর সম্ভাব্য গ্রাহকের কাছে সেটিকে আকর্ষণ করে তুলে উপস্থাপন এবং
তা বিক্রি করা। একজন মার্কেটিং ম্যানেজার সাধারণত যে কাজগুলো থাকে সেগুলো হলো:
যথাযথভাবে বাজার গবেষণা, পরিচালনা এবং বিশ্লেষণ করা।
কোম্পানির পণ্য বা সেবার জন্য টার্গেটেড বাজার এবং টার্গেটের অডিয়েন্স
সিলেক্ট করা।
মার্কেটিং অভিযান চালানো, তা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে স্টেপ গ্রহণ ও
পরিচালনা করা।
মার্কেটিং কার্যক্রম কার্যকর ভাবে পরিচালনা করা।
আপনি যদি একজন মার্কেটিং ম্যানেজার হতে চান তবে সাধারণত আপনাকে ব্যবসা প্রশাসন
মার্কেটিং কিংবা বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী প্রয়োজন হবে।
তাছাড়া একজন মার্কেটিং ম্যানেজারের মধ্যে যে সকল গুণাবলী থাকা উচিত সেগুলো
হলো:
উচ্চ যোগাযোগ দক্ষতা
বিশ্লেষণ তন্তর দক্ষতা
সৃজনশীলতা দক্ষতা
সমস্যার সমাধানে দক্ষতা
নেতৃত্ব দক্ষতা
দলগত কাজের দক্ষতা
কঠোর পরিশ্রম করার ইচ্ছা
যাই হোক মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করার উপায় যে মার্কেটিং ম্যানেজার পেশা
সম্পর্কে। সাধারণত একজন মার্কেটিং ম্যানেজার এভারেজ মাসিক বেতন ২,৫৬,২৫০ টাকা।
৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বা লেকচারার
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর বা লেকচাররা একটি সম্মানজনক পেশা। এই পেশায়
আগ্রহী ব্যক্তিদের অবশ্য উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি কৃতিত্ব অর্জন
করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর বা লেকচারার হওয়ার জন্য একজনকে অবশ্যই পিএইচডি
ডিগ্রি অর্জন করতে হবে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মাস্টার্স ডিগ্রিধারীদের কেউ প্রফেসর
বা লেকচারার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। একজন প্রফেসর বাল লেকচারের দায়িত্ব হল
শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা গবেষণা পরিচালনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কার্যক্রমে
অংশগ্রহনের পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষাগত ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করা।
একজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর বালেকচারার এর বেতন নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে
এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান, বিশ্ববিদ্যালয় খ্যাতি প্রফেসর বালক
চ্যানেলের অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া কিছু বিষয়ে দক্ষতা। তবে বর্তমান
সময়ের একজন প্রফেসর কিংবা লেকচার এভারেজ মাসিক বেতন হলো ১,৯৭,০৪৭ টাকা।
৪। এইচআর ম্যানেজার
এইচ আর ম্যানেজার হল এমন একজন ব্যক্তি যিনি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের দক্ষ
সফলভাবে পরিচালনা করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ কর্মী নিয়োগ, তাদের
প্রশিক্ষণ বেতন ও কর্ম ক্ষমতা মূল্যায়ন সহকর্মীদের সুযোগ-সুবিধা এবং কর্মীদের
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ের উপর কাজ করে থাকেন।
স্বাভাবিকভাবে একজন এইচআর ম্যানেজারের কাজ হল প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য
কর্মীদের দক্ষতা সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত করা। একজন এইচআর ম্যানেজার হতে সাধারণত
ব্যবসা প্রশাসন বা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার সংক্রান্ত ডিগ্রি অর্জন করতে
হয়।
তাছাড়া কর্মীদের সাথে কাজ করার মত মন মানসিকতা তাদের সকল সমস্যার সমাধান খোঁজে
এবং নেতৃত্ব প্রদানের মত ক্ষমতা বা দক্ষতা অর্জন করতে হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান
অনুযায়ী, একটি কোম্পানির একজন এইচআর ম্যানেজার গড় মাসিক বেতন ১.৬৬.০৫১ টাকা।
৫। সফটওয়্যার বা অ্যাপ ডেভেলপার
আচ্ছা এখানে বলা হয়েছে সফটওয়্যার ডেভলপার বা অ্যাপ ডেভেলপার স্বাভাবিকভাবে
দুইটা আলাদা হলে অনেকে উভয় একাই মনে করে থাকেন। তা যাই হোক সফটওয়্যার ডেভেলপার
বা অ্যাপ ডেভেলপার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর উপর ভিত্তি করে নিজেদেরকে ক্যারিয়ার
গড়ে তোলে। একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার যে বিষয়ের উপর কাজ করে সেগুলো হলো:
ওয়েবসাইট
এপ্লিকেশন
গেমস
অপারেটিং সিস্টেম সহ আরো অনেক কিছু।
অন্যদিকে একজন অ্যাপ ডেভলপার এর কাজ হল মোবাইল ডিভাইসের জন্য এপ্লিকেশন তৈরি
করা যেটাকে আমরা অ্যাপস বলে থাকি। লিখিত তিনি কেবলমাত্র স্মার্টফোন ট্যাবলেট এর
জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে থাকেন।
সফটওয়্যার কিংবা অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটার
সাইন্স কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বা অনুরোধ বিষয় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একজন সফটওয়্যার টেবিল পার কিংবা অ্যাপ ডেভেলপার
এর অ্যাভারেজ মাসিক বেতন ১,৫২,৮৪০ টাকা হয়ে থাকে।
৬। ইঞ্জিনিয়ার
ইঞ্জিনিয়ার হলে এমন একজন ব্যক্তি যিনি বিজ্ঞান এবং গণিতের নীতিগুলো ব্যবহার করে
বিভিন্ন প্রযুক্তি তৈরি করে, ডিজাইন করে সেগুলোর ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
মানব সমাজে একজন ইঞ্জিনিয়ারের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা তাদের জন্য সমাজে গড়ে
উঠেছে পরিবহন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্মাণ
শিল্প।
সাধারণভাবে বিভিন্ন সেক্টরের বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে। বর্তমান এবং
ভবিষ্যতের সময়ের জন্য ইঞ্জিনিয়ার এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে। দেশ যাতে
সভ্যতা এবং প্রযুক্তি যতটা উন্নতি হবে ঠিক ততটা ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন বৃদ্ধি
পাবে। আসলে এক নজরে দেখে নেয়া যাক বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারদের কার্যক্রম:
সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা সড়ক সেতু বিল্ডিং এবং অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি
করেন।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা যন্ত্রপাতি মোটর এবং অন্যান্য যান্ত্রিক সিস্টেম
ডিজাইন এবং তৈরি করে।
ইলেকট্রনিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়াররা ইলেকট্রনিক্স কম্পিউটার এবং
অন্যান্য বৈদ্যুতিক সিস্টেম ডিজাইন এবং তৈরি করে।
রাসায়নিক ইঞ্জিনিয়াররা রাসায়নিক পদার্থ এবং প্রক্রিয়ার ডিজাইন এবং তৈরি
করে।
কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা কম্পিউটার হার্ডওয়ার সফটওয়্যার এবং নেটওয়ার্ক
ডিজাইন এবং তৈরি করে।
পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়াররা পরিবেশগত প্রভাব কমাতে এবং পরিবেশগত সমস্যা
সমাধান করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে। চিকিৎসা ইঞ্জিনিয়ার আর চিকিৎসা
যন্ত্রপাতি প্রক্রিয়া এবং চিকিৎসা পদ্ধতি ডিজাইন এবং তৈরি করে।
একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞান গ্রন্থ বিষয়ে
পারদর্শী হওয়ার পাশাপাশি সমস্যার সমাধানের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যাইহোক
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে একজন ইঞ্জিনিয়ার অ্যাভারেজ মাসিক বেতন ১,২৪,৭৬৮
টাকা।
৭। ডাক্তার
একজন ডাক্তার বলেন সে পেশের ব্যক্তি যারা মানুষের রোগ এবং অসুস্থতার নির্ণয়
চিকিৎসা প্রদান করেন। রোগীর শারীরিক-মানসিক এবং সামাজিক অবস্থার মূল্যায়ন করে
চিকিৎসা পরিকল্পনা করে এবং বিশেষত জ্ঞানের মাধ্যমে তাদের মুক্তি পাওয়ার ব্যবস্থা
করে। একজন ডাক্তার সাধারণত তো যে সকল সেক্টরের কাজ করে থাকে সেগুলো হলো:
মেডিসিন: সাধারণ চিকিৎসা
সার্জারি: অস্ত্রোপচার
শিশুরোগ: শিশুদের চিকিৎসা
স্ত্রীর রোগও প্রস্তুতিবিদ্যা: মহিলাদের চিকিৎসা
দন্তচিকিৎসা: দাঁত মাড়ির চিকিৎসা
চক্ষু চিকিৎসা: চোখের চিকিৎসা
কার্ডিওলজি: হৃদরোগের চিকিৎসা
নিউরোলজি: স্নায়ুরোগের চিকিৎসা
অনকোলজি: ক্যান্সারের চিকিৎসা
ডাক্তার হওয়ার জন্য নূন্যতম পাঁচ বছর মেয়াদের এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করতে
হয়। এরপর নির্দিষ্ট সেক্টরে কাজ করতে আরো দুই থেকে পাঁচ বছরের PGT ডিগ্রী
অর্জন করতে হয়। এক্ষেত্রে একজন ডাক্তারের বেতন নির্ভর করে সে ডাক্তারের বিশেষণ
অভিজ্ঞতা চাকরির ধরন এবং বেশ কিছু বিবেচনা দিক থেকে। যাইহোক পরিসংখ্যান
অনুযায়ী, একজন ডাক্তার গড়ে মাসিক বেতন ১,০৩,৮৫৬ টাকা।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে মাসে লাখ টাকা আয়
আপনি যদি চাকরিতে বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ থেকে বেরিয়ে এসে মাসে
লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে চান সে ক্ষেত্রে ব্যবসায় এর চেয়ে উত্তম কিছুই নেই।
ব্যবসা এমন এক ধরনের কাজ যা আপনি যে কোন কিছুর উপরে শুরু করতে পারবেন। সামান্য
সুই থেকে শুরু করে বিশাল ইমারত পর্যন্ত সব কয়টি সেক্টরে রয়েছে লক্ষ কোটি টাকা
ব্যবসায়ের গল্প।
আসুন তবে জেনে নিয়ে কিছু স্পেসিফিক সেক্টর গুলো সম্পর্কে যেখানে কাজ করে মাসে
লাখ লাখ টাকা আয় করার উপায় করতে পারবেন। মূলত যে জিনিসের ব্যবসা গড়ে
তুললে মাসের লাখ টাকা আয় করা যাবে তার কোন নির্দিষ্ট উত্তর নেই। কারণ ব্যবসা
সাফল্য নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপরে, যেমন পণ্যের চাহিদা, ব্যবসা পরিকল্পনা,
ব্যবসার পরিচালনা ইত্যাদি।
তবে, কিছু ব্যবসা আছে যেগুলো চাহিদা বেশি এবং লাভের সম্ভাবনা বেশি।
যেমন:
খাদ্য পানীয় ব্যবসা: রেস্তোরা, খাবারের দোকান চায়ের দোকান কফি সব
বেকার ইত্যাদি খাদ্যের ব্যবসা থেকে মাসে লাখ টাকার করা সম্ভব। এই ব্যবসায়
সফল হতে চাইলে ভালো খাবারের মান ভালো পরিবেশ এবং ভালো সেবা প্রদান করতে
হবে।
পরিবহন ব্যবসা: ট্যাক্সি অটো রিক্সার ট্রাক বা শিকারি পরিবহন ব্যবসা
থেকে আয় করা সম্ভব তবে এই ব্যবসা সফলতা হলে ভালো গাড়ি ভালো চালাবে ভালো
পরিষেবা প্রদান করতে করতে হবে।
বিপণন ব্যবসা: হচ্ছে না ও পাইকারি বিপণন ব্যবসা থেকে মাসের লাখ টাকার
করা সম্ভব তবে এই ব্যবসা সফল হতে হলে ভালো পণ্য ভালো মূল্য এবং ভালো পরিষেবা
প্রদান করতে হবে।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবসা: কোচিং সেন্টারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রিক
তাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবসা থেকে মাসে লাখ টাকা আয় করা যায়। তবে এর
ব্যবসায় সফলতা হলে ভালো শিক্ষক ভালো পরিবেশ এবং ভালো প্রশিক্ষণ প্রদান করতে
হবে।
ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা: ইলেকট্রনিক্স পনের চাহিদা সব সময় থাকে। তাই যদি
আপনি ইলেকট্রনিক্সা শুরু করেন তাহলে মাসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
স্বাস্থ্য সেবা ব্যবসা: ডাক্তার নার্স ফার্মাসিস্ট হাসপাতাল সেবা ব্যবসা থেকে
মাসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তবে এই ব্যবসা সফলতা হলে ভালো ডাক্তার ভালো
চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং ভালো পরিষেবা প্রদান করতে হবে।
কনস্ট্রাকশন ব্যবসা: কনস্ট্রাকশন ব্যবসায় ভালো লাভ করা যেত এভাবে
শুরু করতে হলে আপনাকে ভালো পরিকল্পনা করতে হবে।
বিনোদন ব্যবসা: সিনেমা হল থিয়েটার কনসার্ট হল দিয়ে বিনোদন ব্যবস্থা
থেকে মাসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
অন্যান্য ব্যবসা: তথ্য প্রযুক্তি কিসের শিল্প নির্মাণিকদের অন্যান্য
ব্যবসা থেকে আয় করা সম্ভব। তবে এই ব্যবসা সফল হতে হলে ভালো পরিকল্পনা সঠিক
ব্যবস্থাপনা এবং কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন।
এগুলো ছিল বেসিক কিছু ধারণা। এ সকল ব্যবসা ও ব্যবসার আইডিয়া সংক্রান্ত আরো
বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত
ক্যাটাগরিতে অনুসরণ করতে পারেন। যেখানে অসংখ্য মানুষের আইডিয়া দেওয়া হয়েছে
এবং সে ব্যবসা গুলোর মাধ্যমে কিভাবে টাকা আয় করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত
গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
দেশের বাইরের অন্যান্য কাজ সমূহ
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে একজন ব্যক্তি
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। সবচেয়ে
দারুণ ব্যাপারে যে কাজ করার জন্য আপনার কোথাও যেতে হবে না আপনি নিজে ঘরে বসে
কাজগুলো করতে পারবেন।
আপনি কি কাজ করবেন সেটা একমাত্র আপনি নির্ধারণ করবেন। আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি
করে আপনি কাজ করতে পারবেন যে বিষয়ে এক্সপার্ট সে বিষয়টি কেন্দ্র করে কাজে
মনোনিবেশ করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে যেখানে কাজ করে প্রতি মাসে লাখ
লাখ টাকা আয় করার উপায় করেছে এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে আমাদের আশেপাশে। তো
এমন কোন খাতের কাজ শিখে কাজ করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা যাবে চলুন সেই গুলো
সম্পর্কে জেনে নিই:
লেখালেখি: একজন ফ্রিল্যান্সার লেখক বিভিন্ন ধরনের লেখালেখির কাজ করে
ভালো আয় করতে পারেন। যেমন ব্লগ পোস্ট কপিরাইটিং প্রবন্ধ গল্প উপন্যাস
ইত্যাদি।
গ্রাফিক্স ডিজাইন: একজন ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে
বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ভালো আয় করতে পারেন। যেমন লোগো বেনার
ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: একজন ফ্রিল্যান্সার ওয়েব ডেভেলপার বিভিন্ন ধরনের
ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে ভালো আয় করতে পারেন।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: একজন ফ্রিল্যান্সার সফটওয়্যার ডেভলপার
বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ডেভেলপ করে ভালো আয় করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং: একজন ফ্রিল্যান্সার মার্কেট আর হিসেবে বিভিন্ন
ধরনের মার্কেটিং কাজ করে ভালো আয় করতে পারেন। যেমন সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বিষয়ে কাজ করা মাধ্যমে এমন অনেক জনকে লাখ টাকায় করতে
দেখা গেছে। এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ফ্রিল্যান্সিং ঠিক কোথায় করে
থাকে? মূলত ফ্রিল্যান্সিং এর বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে সেগুলো হলো:
যাইহোক ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ভাবে জানতে অর্ডিনারি আইটি
ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেল গুলো দেখতে পারেন।
অন্যের কথা শুনে মাসে লাখ টাকা আয়
অন্যের কথা শুনে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। মাসলা ক্লক
টাকায় করার উপায় বিষয়কে আর্টিকেলটি এখানে সমাপ্ত করব তবে যাওয়ার আগে একটি
মজাদার তথ্য দিয়ে যেতে ইচ্ছা করছে। আপনি জানলে খুব অবাক হবেন যে জাপানের একজন ৩৮
বছর বয়সী এক নাগরিক যার নাম শোজি মারিমোটো,
শুধু অন্যের কথা শুনে মাসে লাখ টাকা আয় করেছেন। হ্যাঁ আমি ঠিক বলছি, পৃথিবীতে
এমনও কাজ রয়েছে যেটা আমরা প্রতিনিয়ত করে থাকি। কিন্তু কোন অর্থ তার বিনিময়ে
পায়না অন্যদিকে শোজি এর মত ব্যক্ত অন্যের কথা শোনা টাকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে
গড়ে তুলেছেন। তারে প্রজেক্টের নাম দিয়েছেন "ডু নাথিং রেন্ট এ ম্যান" জার্মান এই
যে তাকে লোকেরা ভাড়া করতে পারবে নিজেদের কথা শোনানোর জন্য।
যাইহোক এ বিষয়টি ঘটনা গিয়েছে এ কারণে যে জাপানে মানুষ পছন্দ রকমের একাকীত্ব
ভোগে তবে বাংলাদেশে এটা কোনভাবে সম্ভব নয়। অন্ততপক্ষে বর্তমান সময়ে এটা সম্ভব
নয়, ভবিষ্যতের কথা অবশ্যই বলা যাচ্ছে না।
লেখকের মন্তব্য
মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করার ১৮টি দারুন উপায় জানলে অবাক হবেন সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পেরেছেন। আশা করি এবারের আটিকেলটি মাধ্যমে আপনার মনে থাকা প্রশ্নের উত্তরের
পাশাপাশি অনেক তথ্য সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। শুধু মাসে লাখ টাকায় নয়, কোটি টাকা
আয় করার উপায় রয়েছে। মূলত সমস্যা হলে আমরা সকলে সকল কিছু জানি।
তবে আমাদের জানা বিষয়ের ওপর কাজ করতে না পারার কারণে আমরা সেগুলো হাসিল করতে
পারি না। আপনি এবার জানলেন কিভাবে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করার উপায় তবে আপনার
কাজ যদি শুধুমাত্র জানা অত্যন্ত সীমিত হয়ে থাকে তবে আপনি মাসে লাখ টাকা করতে
পারবেন না। কেবল তখনই পারবেন যখন আপনি কাজগুলোকে জেনে বুঝে শিখে করা শুরু করবেন
তখন।
আর হ্যাঁ আজকে পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত
মানুষদের সাথে একটু শেয়ার করে দিয়ে তাদের উপকৃত করুন। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক
আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentitওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url