সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার ৬ টি উপকারিতা অপকারিতা জানুন
Suraiya
২০ জুন, ২০২৪
সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা জানুন। তুলসী পাতা
বিভিন্ন রোগের জন্য মহা ঔষধ হিসেবে দারুন কার্যকারিতা রয়েছে। তুলসী পাতা শরীরে পিএস স্টার বজায় রাখতে ও সহায়ক। তুলসী পাতার
কার্যকারিতা এবং উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানেন না জানলে অবাক হবেন।
এবং এলার্জি কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া
তুলসী পাতা খালি পেটে খেলে কেমন উপকার হবে বাচ্চাদের জন্য সর্দি-কাশি দূর করতে
তুলসী পাতার কার্যকারিতা কেমন রয়েছে তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক বা উপকারিতা রয়েছে
কিনা সে বিষয়ে জানার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তুলসী পাতার ব্যবহার সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা
সম্পর্কে জেনে নিন। আমাদের বাড়ির পাশে যে তুলসীর গাছ দেখা যায়। তুলসী একটি ভেষজ
গাছ যার বৈজ্ঞানিক নাম Ocimum Sanctum. হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি পবিত্র
উদ্ধৃতি হিসেবে স্বীকৃত। ভেষজ তুলসী পাতার সুগন্ধিযুক্ত রুচিকর কটু
তিক্তরস।
এটি সর্দি কাশী কৃমিয়াম মূত্রকর এবং বায়োনাসিক অ্যাড্রেস ও হজম কারক হিসেবে
ব্যবহৃত হয়। এই তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে অনেক রোগের অনেক সমস্যার সমাধান হিসেবে
কাজ করে তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে কি কি
উপকার পাওয়া যাবে কিংবা তুলসী পাতা সাথে মধু মিশিয়ে খেলে আপনি কেমন উপকার
পাবেন।
সে বিষয়ে আপনারা জানতে পারবেন। সঠিক তথ্য জেনে এবং সঠিক নিয়মে কোন কিছু খাওয়া
হয় বা কাজ করা হয় তাহলে সেই কাজের এবং সে উদ্দেশ্য খাওয়া হয় তা অবশ্যই ভালো
হবে। সুতরাং আমরা যা কিছু করব বা যা কিছু খাব অবশ্যই আমাদের সেই সম্পর্কে জেনে
বুঝে করতে হবে বা খেতে হবে তাহলে সফলতা মিলবে।
সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার ৬ টি উপকারিতা
সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা জানুন । আমরা অনেকে জানি
যে এ তুলসী পাতা বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আগেকার
মানুষেরা তুলসী পাতার গাছ কেউ ওষুধে গাছ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এছাড়া এমন কি
বর্তমান সময় যারা বয়স্ক মানুষ রয়েছে তাদের পরামর্শ নিয়ে এ তুলসী পাতা বিভিন্ন
রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে।
আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইলে
তুলসী পাতার রস ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে তাই সকালে খালি পেটে তুলসী
পাতা খাওয়ার যে উপকারিতা রয়েছে সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো:
ওজন কমাতে তুলসী পাতার ভূমিকা: কারোর শরীরে যদি অতিরিক্ত মোটা হয়ে থাকে
বা ওজন বৃদ্ধি হয়ে থাকে শরীরের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে, যার দ্বারা
স্বাভাবিক চলাফেরার সমস্যা সৃষ্টি হয় কোন কাজকর্ম করতে পারে না। এছাড়া ঠিক
মতো ঘুমাতে পারে না তাদের জন্য সঠিক পরামর্শ হলো নিয়মিত সকালে খালি পেটে তুলসী
পাতার রস ব্লেন্ড করে নিয়ে খেতে পারলে আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে
এবং শরীরের ওজন স্বাভাবিকভাবে নিয়ে আসতে কাজ করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তুলসী পাতার উপকারিতা: আমাদের প্রায়
সকলের কোন না কোন রোগের সাথে যুদ্ধ করতে হয় ছোট বড় রোগ সবারই দেখা যায়। তবে
এদের মধ্যে কারো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি আবার কারো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই
কম। শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে বা শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা অনুভব হলে
অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকার কারণে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় বা ভালো
হয়ে যায়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাদের উচিত নিয়মিত সকালে খালি
পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করা।
পেট পরিষ্কার করতে তুলসী পাতার ভূমিকা: অনেকের বদহজমের কারণে বা
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে পেট ফাঁপা হয়ে থাকে বা পেট ফুলে থাকে। যার কারনে
অনেকের সময় দেখা যায় তাদের পেট পরিষ্কার হয় না, যার ফলে তাদের এই ধরনের
সমস্যা দেখা দেবে তাদের উচিত নিয়মিত সকালে খালি পেটে কয়েক দিন ধরে তুলসী
পাতার রস করে খাওয়া। এর ফলে দেখবেন যে আপনার পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে
এবং আপনি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
শ্বাসকষ্টে সমস্যা দূর করতে তুলসী পাতার উপকারিতা: আমাদের আশেপাশে
লক্ষ্য করলে দেখা যায় অনেকে শ্বাসকষ্টের জন্য রোগ দেখা যায়। কিংবা হাঁপানি
সমস্যা দেখা যায় এমনকি কাশিতে কাশিতে শ্বাসকষ্ট সমস্যা দেখা যায়। তাদের জন্য
উত্তম ব্যবস্থা হচ্ছে নিয়ম করে কয়েক দিন সকালে খালি পেটে তুলসী পাতার রস খেতে
পারলে এসব সমস্যার সমাধান মিলবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে তুলসী পাতার উপকারিতা: অনেকের দেখা যে কথা বলার
সময় মুখ থেকে দুর্গন্ধ বাইরে বের হয়ে আসে যেটা খুবই অপমান জনক। ভয়ের কোন
কারণ নেই কারণ এ সমস্যা সমাধানে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারলে অথবা তুলসী
পাতার রস-মাউথওয়াশের সাথে ব্যবহার করতে পারলে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য
করে থাকে। মুখে স্বাস্থ্যবিধির উন্নতি করতে সাহায্য করবে।
ব্রণ দূর করতে তুলসী পাতার উপকারিতা: মানুষের মুখমন্ডল হচ্ছে তা
সৌন্দর্যের প্রতীক। অনেকে দেখা যায় মুখমন্ডল ব্রণের দাগের কারণে চেহারা
সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে। চিন্তা তেমন কোনো কারণ নেই কেননা তার জন্য সঠিক
সমাধানও রয়েছে। মুখে ব্রণ দূর করতে চাইলে আপনি তুলসী পাতার ব্যাপক কার্যকারিতা
রয়েছে এজন্য তুলসী পাতা ব্যবহার করতে পারেন। তুলসী পাতা সুন্দর করে বেটে নিয়ে
আপনার মুখে লাগিয়ে দেন নিয়মিত কয়েকদিন লাগালে দেখবেন মুখের ব্রণ দূর হয়ে
চেহারা সৌন্দর্য ফিরে আসতে সাহায্য করবে।
মধু ও তুলসী পাতার কার্যকারিতা
মধু ও তুলসী পাতার কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। মধু এবং তুলসী পাতা আলাদাভাবে
হোক আর এককভাবেই হোক এই দুইটার উপকারিতা এবং কার্যকারিতা অপরিহার্য। প্রাচীনকাল
থেকে ঐতিহ্যগতভাবে মধু এবং তুলসী পাতা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এবং বিভিন্ন রোগের
মহা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
মানবদেহে স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে এবং শরীরে স্বাভাবিক তারতম্য ধরে
রাখার জন্য মধু এবং তুলসী পাতার উপকারিতা ও অবিশ্বাস্য। মধু এবং তুলসী পাতার
কার্যকারিতা উপকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
মধু এবং তুলসী পাতার মধ্যে এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং বিভিন্ন পুষ্টি
গুণাগুণান্বিত রয়েছে। যার ফলে আপনার এবং আপনার শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে
আপনাকে সুস্থতা দান করতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য
করবে।
মধু এবং তুলসী পাতার রস করে একসাথে খেতে পারলে আপনার পুরাতন সর্দি কাশি দূর
করতে এবং এই সর্দি কাশির ফলে সৃষ্ট শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য
করবে।
যাদের নিয়মিত ঠান্ডা লেগে থাকে এই ঠান্ডা থেকে আপনার শরীরকে রক্ষা করতে
নিয়মিত কয়েকদিন তুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারলে ঠান্ডা দূর
হয়ে যাবে। এমনকি আপনার শরীরকে নানা রকম ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে
সাহায্য করবে।
মধু এবং তুলসী পাতার রস একসাথে মিশিয়ে খেতে পারলে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য
বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এবং এলার্জি কমাতে সাহায্য করবে।
মধু এবং তুলসী পাতার রস একসাথে মিশিয়ে খেতে পারলে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য
বৃদ্ধি হবে এছাড়া অনেকের দেখা যায় কিডনিতে পাথর জমে যেতে দেখা যায় অত্যন্ত
ভয় এবং কষ্টকর।
যাদের কিডনিতে পাথর জমেতে দেখা যায় তাদের জন্য আর ভয়ের কোন কারণ নেই।আপনি
যদি নিয়মিত কয়েকদিন মধুর সাথে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে
আপনার কিডনিতে থাকা বিষাক্ত এ পদার্থ ভ্যানিশ করে দিতে সাহায্য করবে এবং
আপনার কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
মধু এবং তুলসী পাতা একসাথে খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য
করবে। এছাড়া রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে থাকে যার ফলে আপনার
হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
তুলসী পাতার খাওয়ার উপকারিতা গুলো
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। তুলসী পাতা
খাওয়ার যে ব্যাপক উপকারিতা রয়েছে তা আমাদের কারো জানা নেই। তবে তুলসী পাতা কখন
কিভাবে বা কিসের সাথে মিশিয়ে খেলে কি ধরনের উপকার মিলবে এ বিষয়ে আমরা অনেকে
ধারণা রাখি না।
আগে কাল থেকে তুলসী পাতার ব্যবহার শুধু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তুলসী পাতার
এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিদ্যমান থাকায় অনেক জটিল এবং কঠিন রোগে নিরাময়
হিসেবে কাজ করতে সাহায্য করে। যেমন ক্যান্সার হৃদ রোগ ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক
এবং জটিল রোগ নিরাময় করতে আগ্রহী ভূমিকা পালন করে থাকে।
সর্দি কাশি দূর করতে তুলসী পাতার কার্যকারিতা
সর্দি কাশি দূর করতে তুলসী পাতা যে কার্যকারিতা রয়েছে বা উপকার রয়েছে তা আমাদের
সবারই জানা। সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সত্যি এবং
কাশি ভালো করতে চাইলে অবশ্যই তুলসী পাতার রস খুব তাড়াতাড়ি ফলাফল পেতে সাহায্য
করে।
অনেকের বুকে কফ জমে যেতে দেখা যায় এক্ষেত্রে উত্তম প্রতিকার হলো প্রতিদিন সকালে
নিয়মিত তুলসী পাতার রসের সাথে আদা চা পাতা মিক্স করে উত্তম ভাবে ফুটে তার সাথে
সামান্য মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলেও অতি দ্রুত আপনার সর্দি এবং
কাশি দূর করে দিবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে তুলসী পাতার উপকারিতা
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে তুলসী পাতার উপকারিতা জেনে নিন। ক্যান্সারের নাম শুনলে বা কারো ক্যান্সার হলে আমরা সবাই জানি যে এটা একটা
মরণব্যাধি রোগ। এই রোগ হলে বাঁচার আশঙ্কা কমে যায়। তুলসী পাতার মধ্যে যে
রেডিওপ্রটেকটিভ উপস্থিত রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই অজানা। এই উপাদানের কারণে
টিউমারের ক্ষতিকর কোষ গুলোকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে থাকে।
এছাড়া তুলসী পাতার ফাইটো কমিকেলের উপাদান হিসেবে রোশমারিনিক এসিডেনাল লিউটিউনল
এবং এপিজেনিন রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই অজানা। এ উপাদান গুলোর মাধ্যমে
ক্যান্সার নিরাময় করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও অগ্নাশয়ের যে টিউমার
রয়েছে তা দূর করতে পারে এমনকি বেস্ট ক্যান্সারের নিরাময় হিসেবে দারুণ উপকারিতা
রয়েছে তুলসী পাতার রসে।
গলার ব্যাথা দূর করতে তুলসী পাতার উপকারিতা
আমরা অনেকে গলা ব্যথা অনুভব করে থাকি, যার জন্য আমরা ঠিকমত কোন কিছু খেতে পারি
না। এই গলার ব্যথা সারাতে তুলসী পাতার কার্যকারিতা অবিশ্বাস্য। যাদের
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাধি রয়েছে তাদের জন্য তুলসী পাতা ব্যাপক উপকারী। গলা ব্যথা
দূর করার উপায় হিসেবে কয়েকদিন তুলসী পাতা নিয়ে গরম পানি ফুটিয়ে নিয়ে সে
ফোটানো পানি দিয়ে গর গর করতে পারলে আপনার গলার ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তুলসী পাতার ভূমিকা
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কম শারীরিক ভাবে যারা একটু বেশি দুর্বল কোন
জায়গায় কেটে গেলে সারাতে অনেকদিন সময় লাগে তাদের জন্য উত্তম ব্যবস্থা হলে
তুলসী পাতার রস। এছাড়াও তুলসী পাতার অন্যতম কার্যকারিতার মধ্যে অ্যাজমা
ফুসফুস জনিত সমস্যা দূর করতে ব্রঙ্কাইটিস হিসেবে সমস্যা সমাধানে কাজ করে
থাকে।
এমনকি জ্বর ভালো করতে চাইলে তুলসী পাতা ব্যবহার করতে পারেন। কেননা জ্বর ভালো করতে
তুলসী পাতার ভূমিকা অত্যাবশ্যকীয়। তুলসী পাতার সাথে এলাট মিশিয়ে গরম পানিতে
ফুটিয়ে নিয়ে এসে পানি খেতে পারলে খুব সহজে নানান রকম জটিল এবং কঠিন রোগ থেকে
রেহাই পাওয়া যাবে।
ডায়াবেটিস দূর করতে তুলসী পাতার উপকারিতা
আমরা অনেকে জানি না যে ইনসুলিন উৎপাদনে তুলসী পাতা ব্যাপক কাজ করে থাকে। প্রতিদিন
নিয়মিত খাবারের আগে তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে রক্তের সুগারের পরিমাণ
কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে তুলসী পাতা এন্ট্রি ডায়াবেটিক নিরাময় হিসেবে কাজ
করতে সাহায্য করে।
বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করতে তুলসী পাতার ভূমিকা
বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করতে তুলসী পাতার ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
ছোট বাচ্চাদের সর্দি কাশি লেগেই থাকে। বাচ্চাদের অসুবিধাগুলো পরিবারের সবারই মন
খারাপ হয়েছে বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে কোন আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে বা বিভিন্ন
কারণে বাচ্চাদের ঠান্ডা লেগে যায়। সর্দি কাশি দেখা যায় জ্বর গলা ব্যথা দেখা
যায়।
এসব রোগে লক্ষণ দেখা দিলে আমরা প্রথমে ডাক্তারের কাছে ছুঁতে চাই কিন্তু আমরা ভুলে
যাই যে অতিরিক্ত ডাক্তারের ওষুধ এবং প্রার্থী সেবন করা বাচ্চাদের জন্য হুমকি সৌরভ
এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত ও শেষ জীবনের দ্বার বাচ্চাদের শরীরে
দুর্বলতা অনুভূতি লক্ষ্য করা যায় তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে
থাকে।
এছাড়া প্রাচীনকাল বাদে কালে মানুষেরা তাদের বাচ্চাদের এসব সর্দি কাশি জ্বর গলা
ব্যথা দেখা দিলে তুলসী পাতার রসের সাথে গুড় মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়াচ্ছেন তাদের
অসুখ ভালো হয়ে যেত। হয়ে দেখা যেত অল্প সময়ে বা অল্প কয়েক দিনের মধ্যে বাচ্চার
সুস্থ হয়ে যেত। তাই আমরা আমাদের বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় হিসেবে
শুরুতে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে এসব উপাদানের সাহায্যে রোগ নিরাময় চেষ্টা
করব।
তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা
সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নিন। তুলসী পাতার উপকারিতা তারপর আবার একটু ক্ষতিকর ও তুলসী পাতার
অপকারিতা সম্পর্কেও জানতে হবে। কেননা যে কোন জিনিসের ভালো দেখে পাশাপাশি কিছু
খারাপ দিক বিদ্যমান থাকে। তবে খাবারের জিনিসের মধ্যে করতে দিক থেকে উপকারী রয়েছে
বেশি।
তবে একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে যে যে পরিমাণে অতিরিক্ত কিংবা নিয়মের বাইরে
যা কিছু করি না কেন তার ভালো দিক বা উপকারের চেয়ে ক্ষতি কিংবা অপকারিতা বেশি
লক্ষ্য করা যায়। অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়ার তরুণ গর্ভাবস্থায় কিংবা
স্তন্যপানে সময় বিভিন্ন সমস্যা জটিলতার প্রভাব ফেলতে দেখা যেতে পারে।
এমনকি মাত্রা অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়ার কারণে নারীদের বন্ধ্যাত্বের মত ক্ষতিকর
কারণ দেখা দিতে পারে। আবার প্রয়োজনের বেশি মাথায় তুলসী পাতা সে বোনের কারণে
শরীরের রক্তের চাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।
যারা তারা শরীরে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনায় ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে
গর্ভাবস্থায় সময় রক্তপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এর জন্য উত্তম সমাধান হলো
সিজারের কমপক্ষে১৫ দিন আগে থেকে তুলসী পাতা না খাওয়া ভালো।
তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়
তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় জেনে নিন। তুলসী পাতায় উপস্থিত
এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিবায়োটিক গুণাবলী শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া আপনি যদি সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা
খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন তবে এটি আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।
এটি কেবল সর্দি কাশি না হজমের মত সমস্যার দূর করতে পারে। তাই তুলসী পাতা শরীরে
পিএস স্টার বজায় রাখতে ও সহায়ক। তুলসী পাতা খাওয়া আমাদের জন্য অনেক উপকারিতা
রয়েছে। বাড়ির আশেপাশে আঙ্গিনা তুলসী গাছ লাগিয়ে রাখা যায় বিভিন্ন সমস্যার
সমাধানে করা না লাগে।
আগে কাল বা প্রাচীনকাল থেকে মানুষেরা তাদের বাড়ির আঙিনা তুলসী গাছ নিম গাছের মতো
এসব ঔষধি গাছ লাগিয়ে রাখতেন।আরেকটা বিষয় জেনে খুশি হবেন যে সকালে খালি পেটে
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা আগেকার মানুষেরা কিন্তু তাদের কিংবা তাদের
পরিবারের কারো অসুবিধা তারা ডাক্তারের কাছে যেত না।
বিভিন্ন গাছ-গাছালি বাতাসে এসব জিনিসের দ্বারা চিকিৎসা সেবা নিতেন। বিভিন্ন
গাছ-গাছিলে বাতাস ফলে তারা অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে যেত। তাই আমরা কিন্তু আমাদের
বাড়ির আঙিনা তুলসীর গাছ নিম গাছের মতো শুধু গাছ লাগিয়ে রাখতে পারি।
লেখকের মন্তব্য
সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পেরেছেন। তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে মধু এবং তুলসী পাতা মিশে খাওয়ার
উপকারিতা বাচ্চাদের শুদ্ধতা তুলসী পাতার ভূমিকা অনেকে অজানা তথ্য জানতে পারলেন।
সুতরাং আমরা যারা নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সচেতনা নিয়ে চিন্তা
ভাবনা করে থাকে তাদের আঙ্গিনায় তুলসী গাছ লাগিয়ে রাখা।
আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করছি। এই পোস্টটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন কিছু জানতে ইচ্ছে হয় তাহলে কমেন্টে জানাতে
পারেন এবং এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করে
দিবেন বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentitওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url