দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন
দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে সর্ববৃহৎ এর সবথেকে জনবল শহর দুবাই। দুবাই বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় প্রবাসী গন্তব্য। দুবাই অসংখ্য কোম্পানি রয়েছে। দুবাইয়ের এ সকল কোম্পানিতে দুবাইয়ের অর্থনৈতিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকাটা কোম্পানির ওপর ভিত্তি করে তা প্রদান করা হয়ে থাকে। ব্যবসা-বাণিজ্য কাজের ক্ষেত্রে আজকের দিনে অপরিহার্য নাম। দুবাইয়ের প্রাণ হলো তার কোম্পানিগুলো। আজকের আর্টিকেল আমরা আলোচনা করব দুবাই কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু।পোস্ট সূচিপত্র:দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন আবেদন প্রক্রিয়া
দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত
দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন। বর্তমান সময়ে দুবাই কোম্পানির ভিসা সর্বনিম্ন বেতন ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া কোম্পানির উপর ভিত্তি করে দুবাই সর্বোচ্চ বেতন অন্যতম প্রায় ৯০০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কতটা কাজের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে থাকে। বর্তমানে দুবাই সাধারণত কাজের ক্ষেত্রে ন্যূনতম মাসিক বেতনে ৫০০০০ টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অভিজ্ঞতা থাকলে তেমন বেশি বেতন পাওয়া যাবে। বর্তমান দুবাই অভিজ্ঞতা থাকলে সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে বেতন অন্যতম প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
দুবাই বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় প্রবাসী গন্তব্য। উচ্চ বেতন করমুক্ত উন্নত জীবনযাত্রার মান এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা শহর থেকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। কোম্পানিতে ভিসা হলে দীর্ঘমেয়াদি কাজের জন্য শহরটিতে প্রবেশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। দুবাই কোম্পানি ভিসা থেকে গেলে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায় এবং করা যায়।
কাজ ভেদে দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন প্রায় ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকবে। ওভারটাইম বেশি করতে পারলে কোম্পানির ভিসার বেতন বেশি পাবেন আপনি। নতুন অবস্থায় অদক্ষ শ্রমিকদের বেতন কম হয়ে থাকে। তবে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বাড়লে কাজের বেতনও বেশি হয়ে যায় এবং বেশি বেতন পাওয়া যায়। কাজের উদ্দেশ্যে দেশটিতে যাওয়ার আগে দুবাই কোন কাজে চাহিদা বেশি সেটি জেনে রাখবেন।
দুবাই কোম্পানি ভিসা কত টাকা
দুবাই কোম্পানি ভিসা কত টাকা সম্পর্কে জেনে বিস্তারিত জেনে নিন। সরকারিভাবে গেলে কোম্পানি ভিসা দাম তিন লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচা উঠতে পারে ৫ লক্ষ্য থেকে পর্যন্ত। কোম্পানি যদি শ্রমিক নিয়োগ করে তাহলে বাংলাদেশী নাগরিকরা স্পন্সর ভিসা পাবেন।
এ বিষয়টি মূলত কোম্পানি ভিসা নামে পরিচিত রয়েছে। কিছু ভাগ্যবান নাগরিক ভিসা তৈরীর ও বিমান ভাড়াসহ পুরো খরচ কোম্পানির মাধ্যমে ভোগ করতে পারেন। তবে এই সুযোগ সকলের জন্য মুক্ত নয়। উন্নত জীবন যাপনে ভাগ্য পরিবর্তনে বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক দুবাইয়ের কর্মসংস্থানের অনুসন্ধান করে থাকেন।
আরো পড়ুন: কোন দেশগুলোর জন্য ইভিসা প্রযোজ্য জানুন কত ২০২৪
তবে বর্তমান দুবাই কোম্পানি ভিসা ভালো কাজ এবং ভালো বেতন পাওয়া যায়। দুবাইয়ের বিভিন্ন কোম্পানি বিষয়ে একজন দক্ষ কর্মী বেতন ২০০০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং অদক্ষ শ্রমিকদের বেতন নূন্যতম ৫০০০০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে তাদের ধরন বেধে দুবাই কোম্পানির ভিসার বেতন ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে নির্ধারণ হয়।
দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত
দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত জেনে নিন। কাজের ধরন বেধে এবং ব্যক্তির অভিজ্ঞতা দক্ষতার উপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয়। যেমন প্রাথমিক অবস্থায় শুধুমাত্র কোম্পানি ভিসার একজন অধ্যক্ষ কর্মীর বেতন অন্যতম ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। ঠিকই একই কাছে প্রাথমিক অবস্থায় একজন দক্ষ কর্মীর বেতন নির্ধারণ করার নূন্যতম ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা।
তুলনা কাজের বেতন অন্যতম ৪৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে। বর্তমানের দুবাই সর্বনিম্ন বেতন ৪০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। তবে দুবাইয়ে ওভারটাইম করার সুযোগ রয়েছে তাই আপনি চাইলে দুবাই একজন কর্মী হয়ে ওভারটাইম করে প্রতি মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
দুবাই যেতে খরচ কত হয়
দুবাই যেতে কত খরচ হয় জেনে নিন। বর্তমানে দুবাই সরকার এবং বেসরকারি দুইভাবে যাওয়া যায়। সরকারিভাবে ডুবে যেতে পাঁচ লাখ টাকা থেকে 6 লাখ টাকা পর্যন্ত লাগে বেসরকারিভাবে ডুবে যেতে প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে ভিসা বিমানে ক্যাটাগরি এবং আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র তৈরির খরচ সহ এজেন্সির উপর ভিত্তি করে দুবাই যেতে সর্বোচ্চ প্রায় ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
দুবাই যেতে কত টাকা লাগবে তা নির্ভর করবে আপনার ভিসার ওপর। কেননা টুরিস্ট ভিজে যেতে ৩ লাখ থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগে। বিভিন্ন ওয়ার্ড পারমিট ভিসা যাতে ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগে। এবং কোম্পানি ভিসা যেটা ৬ লক্ষ থেকে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগবে। আমি সরকারিভাবে এবং বেসরকারিভাবে যাওয়ার খরচ অনেকটা পার্থক্য রয়েছে।
আরো পড়ুন: ফুড ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ুন
ওয়ার পারমিট ভিসা সরকারি ভাবে যেতে পার্থ লক্ষ্য থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে এবং বেসরকারিভাবে গেলে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগবে। দুবাই ভিসা তৈরি করার পূর্বে কোন কাজের বেতন কত তা বিস্তারিত জেনে নিবেন বিশেষ করে যারা কোম্পানির ভিসা তৈরি করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই বেতন কত তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে তারপর পরবর্তীতে বেতন নিয়ে প্রতারিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
দুবাই কোম্পানি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। দুবাইয়ের কাজের সুযোগের জন্য ভিসা করার আগ্রহ অনেকেরই রয়েছে। আকর্ষণীয় বেতন ও জীবনযাত্রার মান অনেকেরই আকৃষ্ট করে। কোম্পানি ভিসা হল দুবাইতে কাজ করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। দুবাই ভিসায় গিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ পাবেন।
এরমধ্যে রয়েছে কনস্ট্রাকশন ড্রাইভিং মেকানিক্যাল প্লাম্বিং ইলেকট্রনিক, ড্রাইভিং মেকানিক ইলেকট্রনিক্সশেয়ার, প্লাম্বার ইত্যাদি। আপনি যদি দুবাই কোম্পানি ভিসা আবেদন করতে চান তবে নিম্নে উল্লেখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে আপনাকে দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন আবেদন প্রক্রিয়া । নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:
- প্রথমে আপনাকে কোম্পানি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
- এরপর আপনাকে সরকার অনুমোদিত বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
- বিশ্বস্ত কোন এদেশে খুঁজে পেলে তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে দিতে হবে।
- এজেন্সি আপনার পক্ষ থেকে আরব আমিরাতের কোন দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিবে।
- কোম্পানি ভিসার অনুমোদন দিলে এজেন্সির কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। হাতে পাওয়া মাত্র দুবাই ভিসা চেক করবেন।
দুবাই কোম্পানি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বৈধ পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদন ফরম (পূরণকৃত পূরণকৃত স্বাক্ষরিত)
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- কাগজের যোগ্যতাই সনদপত্র (যদি থাকে)
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র (যদি থাকে)
- মেডিকেল পরীক্ষার সনদ (কোম্পানি নির্ধারিত)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি
দুবাই কোন কাজের বেতন কত
- সকল ধরনের কোম্পানি কাজের বেতন ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়।
- ইলেকট্রনিকশিয়ান সর্বনিম্ন বেতন ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।
- ক্লিনারের সর্বনিম্ন বেতন চল্লিশ হাজার পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- মেকানিক সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ষাট থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- ডেলিভারি ম্যান সর্বনিম্ন বেতন ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- হেলপারের সর্বনিম্ন বেতন ৪০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- ফ্যাক্টরি কাজের বেতন ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- ড্রাইভিং এর বেতন ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- প্লাম্বার কাজের বেতন ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url