ইরাকে কাজের ভিসার আবেদন ও বেতন সম্পর্কে জানুন

ইরাকে কাজের ভিসার আবেদন ও বেতন কত টাকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ইরাক পশ্চিম এশিয়ার সমৃদ্ধশীল রাষ্ট্র। ইরাকে অনেক তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের খনি মজুদ রয়েছে। সাম্প্রতিক উপলব্ধি তথ্য অনুযায়ী ইরাকে একজন বাংলাদেশী শ্রমিক মাসিক গড় বেতন অন্যতম ৫০০ থেকে ৬০০ ইউএস ডলার।

ইরাকে কাজের ভিসার আবেদন ও বেতন
ইরাকে যে সকল শ্রমিক আন্তর্জাতিক কোম্পানির জন্য কাজ করে তার ইরাকে গড় বেতনের তুলনায় বেশি টাকা মজুরি পায়। ইরাকে স্থানীয় ছোট কাজ করে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আজকের আর্টিকেল থেকে ইরাকের বেতন কত টাকা তা বিস্তারিত জানতে পারবে তাই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ।

পোস্ট সূচিপত্র:ইরাকের কাজের ভিসা বেতন আবেদন প্রক্রিয়া

ইরাকের বেতন কত টাকা ২০২৪

ইরাকে কাজের ভিসার আবেদন ও বেতন কত ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ইরাক পশ্চিম এশিয়ার সমৃদ্ধশীল একটি রাষ্ট্র। ইরাকে অসংখ্য ফ্যাক্টরিও কোম্পানির পোশাক কারখানা সব বিভিন্ন শোরুম কাজের সুযোগ রয়েছে যেখানে শ্রমিকরা তারা কাজ করতে পারবেন। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী ইরাকে একজন বাংলাদেশী শ্রমিকের মাসিক গড় বেতন ন্যূনতম ৫০০ থেকে ৬০০ ইউএস ডলার পর্যন্ত হয়। 

যা বাংলাদেশী টাকা রূপান্তর করলে দেখা যায় আনুমানিক প্রায় ৫৪ হাজার টাকা থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। ইরাকে অনেক তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের খনি মজুদ রয়েছে। তেল ও গ্যাসের খনিতে কাজের জন্য প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। 

ইরাকে যে সকল শ্রমিক আন্তর্জাতিক কোম্পানির জন্য কাজ করে তারা ইরাকে গড় বেতনের তুলনায় বেশি টাকা মজুরি পেয়ে থাকেন। তবে ইরাকে স্থানীয় ছোট কাজ করে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব যদি আপনার চেষ্টা থাকে। কাজের ধরন অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। 

এর আগে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। ইরাকে একজন শ্রমিকের মাসিক বেতনের ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইরাকে কিছু ক্যাটাগরির কাজে ওভার টাইম ও বোনাসের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। 

সরকারি প্রতিষ্ঠানে ওভারটাইম ও বোনাসের সুযোগ-সুবিধা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। ওভারটাইম ও বোনাসহ ইরাকে একজন শ্রমিক প্রতিমাসের ন্যূনতম প্রায় ষাট হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা অথবা ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। 

ইরাকে বেতন কত 

ইরাকে কাজের ভিসার আবেদন ও বেতন কত জেনে নিন। তাকে বেতন কাজে ধরণ অভিজ্ঞতা এবং কোম্পানির ধরণের উপর অনেকটাই নির্ভর করে থাকে। তবে কিছু সাধারণ তথ্য দিচ্ছি যা আপনাকে একটি ধারণা দিতে পারে: 

  • গড় বেতন: ইরাকে গড় মাসিক বেতন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মার্কিন ডলার হয়। তবে এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এই গড় বেতন সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। 
  • তেল ও গ্যাস শিল্প: তেল ও গ্যাস শিল্পে কাজ করলে আপনি জাতীয় ঘরের চেয়ে অনেক বেশি বেতন পেতে পারেন। 
  • আন্তর্জাতিক কোম্পানি: আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোতে সাধারণত বেতন বেশী হয়ে থাকে।
  • স্থানীয় কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান: ইরাকের সরকারিভাবে নির্ধারিত নূন্যতম মাসিক মঞ্জুরী প্রায় ২৫০,০০০ ইরাকির দিনার, যা প্রায় ১৭০ মার্কিন ডলারের সমান। 
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বেতন সম্পর্কিত তথ্য সময়ের সাথে সাথে পরবর্তীতে হতে পারে। 

ইরাকে কৃষিকাজের বেতন কত টাকা 

ইরাকে কাজের ভিসার আবেদন ও বেতন কৃষিকাজে বেতন কত টাকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। কৃষি মানবজাতির প্রধান পেশা। প্রত্যেকটি মানবজাতির জন্য কৃষিকাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি ব্যতীত মানবজাতি শিখতে পারবেন না। কেননা বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাওয়া প্রয়োজন এবং খাবার খাওয়ার জন্য কৃষি কাজ অত্যন্ত জরুরী। 

আরো পড়ুন: কোন দেশগুলোর জন্য ইভিসা প্রযোজ্য জানুন কত ২০২৪

কৃষি কাজের জন্য ইরাকে অসংখ্য কৃষক নিয়োগ করা হয়। ইরাকে বিভিন্ন ধরনের কৃষিকাজ রয়েছে। কৃষি কাজ অনুযায়ী একজন কৃষকের বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ইরাকে কৃষি কাজ করে একজন কৃষক প্রতি মাসে আনুমানিক সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন। 

ইরাকের ডেলিভারি ম্যান এর বেতন কত টাকা 

ইরাকে ডেলিভারি ম্যান এর বেতন কত টাকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। বর্তমানে ইরাকে মানসম্মত চাকরির মধ্যে ডেলিভারি ম্যান এর চাকরি অন্যতম। কেননা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য বাঙালি ইরাক ডেলিভারি ম্যান এর চাকরিতে জয়েন করেছে। ডেলিভারি ম্যান এর চাকরি করে মোটামুটি ভাল টাকা ইনকাম করার পাশাপাশি অনেক টাকা বোনাস পাওয়া যায়। 

বর্তমানে ইরাকে অবস্থিত অনেক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ডেলিভারি মেনে চাকরি সরাসরি লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ইরাকে ডেলিভারি ম্যান এর চাকরি বেশ চাহিদা রয়েছে। একজন ডেলিভারি ম্যান ইরাকে বিভিন্ন হোটেলে রেস্টুরেন্টে চাকরি করে মাসে আনুমানিক প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকেন।

ইরাক ফ্যাক্টরিতে কাজের বেতন কত টাকা 

ইরাকে কাজের ভিসার আবেদন ও বেতন ফ্যাক্টরিতে কাজের বেতন কতটা সম্পর্কে জেনে নিন। এরা তো অসংখ্য সরকারি ও মালিকানাধীন ফ্যাক্টরি রয়েছে সকল ফ্যাক্টরিতে প্রতিনিয়ত সরকারিভাবে সরকারিভাবে অসংখ্য শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। মূলত বছরের শুরুতে সকল ফ্যাক্টরিতে চাকরি সার্কুলার দেওয়া হয়ে যায়। 

সার্কুলার অনুযায়ী চাকরির আবেদন করলে সহজে চাকরি পাওয়া যায়। ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ইরাকে ফ্যাক্টরিতে কাজ করে প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া সম্ভব তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে একজন ফ্যাক্টরি জমিনের অন্যতম মাসিক বেতন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সত্তর হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

ইরাকে রেস্টুরেন্টে কাজে বেতন কত টাকা 

ইরাকের রেস্টুরেন্টে কাজে বেতন কত টাকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। বর্তমানে ইরাকে অসংখ্য ছোট বড় রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে অসংখ্য মানুষ এরা ভগবানের যা এই সকল পর্যটকেরা কি অবস্থানকালে রেস্টুরেন্টের খাওয়ার উপভোগ করে থাকেন। 

একটা রেস্টুরেন্টের কয়েক ক্যাটাগরিতে কাজ পাওয়া যায়। যেমন হোটেলের একজন মেয়েটার মাসি বেতনের ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া হোটেলে ওয়েদারের খাওয়া শেষে বকশিশ বা টিপস দেওয়া হয়ে থাকে ওয়েটারের মূল বেতন ও টিপস বা বকশিশ মিলে নতুন ৫০ হাজার টাকা থেকে ষাট হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম হয়ে থাকে। 

আরো পড়ুন: রোমানিয়া ভিসার দাম কত ২০২৪

এছাড়া হোটেলে ওয়েদারের খাওয়া শেষে বকশিশ তাদের ইনকাম হয়ে যায়। এছাড়াও একজন হোটেলের রাধুনী বা ন্যূনতম আসিবে তো সত্তর হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

ইরাক ড্রাইভার এর বেতন কত টাকা 

ইরাক ড্রাইভার এর বেতন কত টাকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ড্রাইভিং একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে ধরা যায়। কেননা একজন ড্রাইভার যাত্রী জীবন হাতে নিয়ে গন্তব্য স্থলে পৌঁছে দেয় যাত্রীদেরকে। ইরাকে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া যায়। ইরাকে একজন ড্রাইভারের মতো মাসিক বেতন ষাট হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। 

ইরাক লেবারের বেতন কত টাকা 

ইরাক লেবারের বেতন কতটা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। বর্তমানে ইরাকে অসংখ্য লেবারের কাজের সুযোগ রয়েছে। কেননা ইরাকে অনেক বড় বড় দালানকোঠা রয়েছে এবং প্রথম নতুন নতুন করে অসংখ্য বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে এবং তৈরি হতেই আছে। 

আরো পড়ুন: মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করার ১৮টি দারুন উপায়

এ সকল দালানকোঠা তৈরিতে প্রচুর লেবারের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে ইরাকে সকল কনস্ট্রাকশন লেবারে মাসিক বেতন অন্যতম ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ অথবা ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

ইরাকে ক্লিনার এর বেতন কত টাকা 

ইরাকে কাজের ভিসার আবেদন ও বেতন ক্লিনার এর বেতন কত টাকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। সরকারিভাবে ইরাকে অনেক ক্লিনার নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এ সকল ক্লিনার প্রধান কাজেই রাখে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করে রাখা। এছাড়া এরা কে অনেক মালিকানাধীন বাড়ি পরিস্কার কাজ পাওয়া যায়। 

ইরাকে একজন ক্লিনার প্রতি অন্যতম ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। ইরাক অল্প পরিমাণে কাজ করেও দিক মুনাফা আয় করা যায়। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মের মধ্যে ইরাকে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। 

আরো পড়ুন: দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন

তবে অনেক দালাল এজেন্সি অবৈধভাবে এর আগে পৌঁছে দিতে চাই। এ সকল দালাল এজেন্সি থেকে সদা সতর্ক থাকতে হবে আপনাদের। কেননা তারা আপনাদেরকে প্রতারিত করতে পারে প্রতারণা শিকার হতে পারেন আপনারা।

ইরাকে কাজের ভিসা কী

ইরাকে কাজের ভিসা হল একটি বৈধ অনুমোদন যা বিদেশি নাগরিকদের ইরাকে কাজ করার অনুমতি দেয়। এর ভিসা টি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ইস্যু করা হয় এবং নিয়োগকর্তার সাথে চুক্তি সম্পাদনার পর প্রায়ই নবায়ন করা যেতে পারে। ইরাকে কাজের ভিসার জন্য বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরি রয়েছে তবে সাধারণত দুটি প্রধান ধরনের কাজের ভিসা পাওয়া যায়।

  • শ্রমিক ভিসা(Worker Visa): নির্মাণ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সাধারণত শ্রমিকদের জন্য ইস্যু করা হয়। 
  • পেশাজীবী ভিসা (Professional Visa): উচ্চতা কত সম্পন্ন পেশাজীবীদের জন্য ইস্যু করা হয় যেমন ইঞ্জিনিয়ার চিকিৎসা শিক্ষাবিদ ইত্যাদি।

ইরাকে কাজের ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী 

ইরাকে কাজের ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী সম্পর্কে জেনে নিন। ইরাকে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে সেগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:
ইরাকে কাজের ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী
  • চাকরির প্রস্তাব: প্রথমত আপনাকে ইরাকের কোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি চাকরির প্রস্তাব পেতে হবে অর্থাৎ চাকরির সার্কুলার বা চাকরির নিয়োগ। 
  • কাজের চুক্তি: নিয়োগকর্তার সাথে লিখিত চুক্তি থাকতে হবে যেখানে কাজের শর্তগুলি বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা উল্লেখ্য থাকবে। 
  • পাসপোর্ট: আপনার পাসপোর্টে মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে। 
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা: আবেদনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রমাণপত্র থাকতে হবে যা দেখার পর যে আপনি কোন গুরুত্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আক্রান্ত নন। 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: আপনার নিজ দেশে কোন অপরাধমূলক রেকর্ড নেই এমন একটি প্রমাণ পত্র আপনার লাগবে। 
  • ভিসা ফি: আবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হবে আপনাকে। 

ইরাকে কাজের ভিসা জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

ইরাকে কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জেনে নিন। ইরাকে কাজের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হয়। সেগুলো হলো:
  • ভিসার আবেদন পত্র: ইরাকে দ্রুতবাস বা কনসুলেটর থেকে প্রাক্ত নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। 
  • চাকরির প্রস্তাব পত্র: ইরাকে কোম্পানির কাছ থেকে চাকরির অফার লেটার। 
  • পাসপোর্ট এর কপি: মোর পাসপোর্ট এর পাশাপাশি এর কপি জমা দিতে হবে। 
  • ফটো: আবেদনকারীর সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজ ছবি। 
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ: মেডিকেল চেকআপের রিপোর্ট। 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: আপনার দেশের পুলিশ করতে ইস্যু করা। 

ইরাকে কাজের ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া 

ইরাকে কাজের ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ইরাকে কাজের ভিসার জন্য সাধারন্তর ইরাকে কাজের ভিসার আবেদন ও বেতন নিচে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে আপনাকে। ধাপগুলো নিচে দেওয়া হলো:
  • চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করুন: প্রথমে আপনাকে ইরাকের কোন কোম্পানি থেকে চাকরির প্রস্তাব পেতে হবে। 
  • কাজের চুক্তি স্বাক্ষর করুন: চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করার পর নিয়োগকর্তার সাথে কাজের চুক্তি স্বাক্ষর করুন। 
  • দূতাবাস বা কনসুলেটর যোগাযোগ করুন: ইরাকে কাজের ভিসার জন্য ইরাকের দূতাবাস আবাস বা কনসুলেটের আবেদন করুন।
  • আবেদনপত্র জমা দিন: প্রয়োজনে কাগজপত্রসহ আবেদন পত্র জমা দিন।
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা পুলিশ ক্লিয়ারনেস দিন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট এবং পুলিশ ক্লিয়ারনেস জমা দিতে হবে। 
  • ভিসা ফি প্রদান করুন: আবেদন প্রক্রিয়া শিশু নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। 

ইরাকে কাজের ভিসার খরচ 

ইরাকে কাজের ভিসার খরচ ইরাকে কাজের ভিসার আবেদন ও বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ইরাকে কাজের ভিসার খরচ নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন কারণ এটি বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। যেমন আপনার জাতীয়তা পেশা নিয়োগকর্তা এবং ভিসা ধরণ ইত্যাদি। 

তবে সাধারণত ইরাকের বিভিন্ন ধরনের ভিসার ফিরে ৪০ থেকে ১০০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকা প্রায় ৪,৪০০ থেকে ১১,০০০ টাকা হয়ে থাকে)। কাজের ভিসার ক্ষেত্রে এই ফি আরো বেশি হতে পারে সম্ভবত ২০০ থেকে ৫০০ মার্কিন ডলার বাংলাদেশি টাকায় ২২ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। 

সঠিক তথ্যের জন্য 

  • ইরাকে বাংলাদেশের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করুন: তারাই আপনাকে সর্বশেষ ভিসা ফি এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারবে। আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তারা আপনাকে একটি আনুমানিক খরচ দিতে পারে। 
  • আপনার নিয়োগকর্তার সাথে কথা বলুন: যদি আপনার ইরাকে একটি চাকরি প্রস্তাব থাকে তাহলে আপনার নিয়োগকর্তার সাথে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের খরচ এবং তারা কি পরিমাণ বহন করবে সে সম্পর্কে কথা বলুন। 

ইরাকে কাজ করার সময় আইনগত নিয়মাবলী 

ইরাকে কাজ করার সময় আইনগত নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ইরাকে কাজ করার তোমায় কিছু নির্দিষ্ট আইন মেনে চলতে হয় যা সম্পর্কে আপনারা জানেন না। যেসব আইন মানতে হয় সেগুলো নিচে দেওয়া হলো:
  • কাজের চুক্তি: যুক্তির শর্ত মেনে চলতে হবে এবং অতিরিক্ত সময় কাজ করে এর জন্য অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দাবি করা যেতে পারে। 
  • কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা: কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে এবং নিয়োগকর্তা দের দায়িত্ব বহন করবে।
  • কর্মী অধিকার: ইরাকের সময়ের অনুসারে কর্মীদের ন্যায্য অধিকার ও সুবিধা প্রদান করতে হবে যেমন বেতন ছুটি এবং চিকিৎসার সুবিধা ইত্যাদি।

ইরাকে কাজের সুবিধা ও অসুবিধা 

ইরাকে কাজের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। এর আগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেখানকার সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরী। নিজের রাগকে কাজ করার কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধে এবং অসুবিধা আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো: 

ইরাকে কাজের সুবিধা 

  • আকর্ষণীয় বেতন ও সুযোগ সুবিধা: ইরাকে তেল ও গ্যাস শিল্প অন্যান্য ক্ষেত্রে দক্ষ বিদ্বেষী কর্মীদের জন্য আকর্ষণীয় বেতনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এর মধ্যে থাকতে পারে করমুক্ত বেতন বিনামূল্যে খাওয়া-দাওয়া পরিবহন সুবিধা বার্ষিক ছুটিতে দেশে ফেরার টিকিট ইত্যাদি।
  • কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জন: ইরাকে কাজ করার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায় যা ভবিষ্যতে ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক হতে পারে। 
  • নতুন সংস্কৃতি ও ভাষা শিখার সুযোগ: ইরাকে কাজ করলে চিকেন কার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে জানা এবং আরবি ভাষা শেখার সুযোগ তৈরি হয়। 

ইরাকে কাজ করার অসুবিধা 

  • নিরাপত্তা উদ্বেগ: যদি ইরাকে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে তবুও এখন কিছু এলাকায় সন্ত্রাসী হামলাও  সহিংসতার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়াও রাজনৈতিক অস্ত্রতার মাঝে মাঝে দেখা দিতে পারে।
  • কঠোর জীবন যাত্রার পরিবেশ: ইরাকে জলবায়ু বেশ কঠিন বিষ্ন করে তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকে এছাড়া বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের সমস্যা স্বাস্থ্যসেবা সীমাবদ্ধতা এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাধা অনেক সময় সমস্যা তৈরি করতে পারে। 
  • পরিবার থেকে দূরে থাকা: এর আগে কাজ করার মানে হল দীর্ঘদিন পরিবার বন্ধু বান্ধব থেকে দূরে থাকা যায় মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। 
ইরাকে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে উপলক্ষে সুযোগ সুবিধাগুলো ভালোভাবে বিবেচনা করা উচিত। আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং ঝুঁকি না মানসিকতা বিবেচনা করে সেই হিসেবে সিদ্ধান্ত নিবেন। ইরাকে কাজ করার আগে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির জীবনযাত্রা মান এবং সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ইরাকে পরিস্থিতি পরিবর্তনশীল। সর্বশেষ তথ্যের জন্য আপনার দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্রমণ সতর্কতা এবং ইরাকের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম অনুসরণ করুন। 

ইরাকে যেতে কত টাকা লাগে 

ইরাকে যেতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ইরাকে যেতে মোট খরচ বেশ কয়েকটি বিষয় নির্ভর করে যেমন ভিসা ফি ফ্লাইট এর খরচ মেডিকেল পরীক্ষা এবং অন্যান্য খরচ থাকে। এখানে ইরাকে যাওয়ার মোটামুটি খরচ একটু বিস্তারিত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:
ইরাকে যেতে কত টাকা লাগে
  • ভিসা ফ্রি: ইরাকে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসার জন্য ভিন্ন হতে পারে। অন্ত ভিসার ফি $40 থেকে $100 (প্রায় ৪৪০০ থেকে ১১ হাজার টাকা) তবে কাজের ভিসার ক্ষেত্রে এটি $200 থেকে $500(প্রায় ২২০০০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা হতে পারে)।
  • ফ্লাইট খরচ: বাংলাদেশ থেকে ইরাকে বিভিন্ন শহরের সরাসরি ফ্লাইট পাওয়া কঠিন। সাধারণত ট্রানজিট মাধ্যমে যেতে হয়। 
  • ফ্লাইটের ভাড়া: প্রায় ৬০০০০ থেকে১,২০,০০০ টাকা। ভারাই এয়ারলাইন্স সময় এবং ট্রানজিট পয়েন্টের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। 
  • মেডিকেল পরীক্ষা: ইরাকে যেতে আগে মেডিকেল পরীক্ষা করতে হবে ভিসার একটি প্রধান শর্ত।
  • মেডিকেল পরীক্ষার খরচ: প্রায় ৫০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ। 
  • এজেন্ট ফ্রি যদি থাকে: প্রথম মাসে থাকা ও খাবার খরচ করতে হবে কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাজের ভিসার সাথে কোম্পানি আবাসন ব্যবস্থা দেয় না।
  • খরচ: ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়।
  • অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ: ভ্রমণ বিমান নথি পথ প্রসেসিং ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ। 
  • খরচ: ১০০০০ থেকে ২০০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
মোট খরচের ধারণা: ইরাকে যাওয়ার জন্য প্রায় দেড় লাখ টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে  কাজের ধরন ভিসার প্রকার ফ্লাইট ও অন্যান্য খরচের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। এটি শুধুমাত্র একটি প্রাথমিক ধারণা ভ্রমণের সময় বা অন্যান্য ব্যক্তিগত পছন্দের উপর ভিত্তি করে খরচ কম বা বেশি হতে পারে। 

FAQS (ইরাকে কাজের ভিসা সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্ন)

প্রশ্ন: ইরাকে কাজের ভিসা কিভাবে পাব? 

উঃ কাজের ভিসা পেতে ইরাকে কোন কোম্পানিতে চাকরির অফার লেটার এবং স্পন্সর পাওয়া প্রয়োজন। এরপর নির্দিষ্ট নথি ও ফি দিয়ে ইরাকের দূতাবাসে আবেদন করতে হবে।

প্রশ্ন: ইরাকে কোন খাতে বেশি বেতন পাওয়া যায়? 

উঃ ইরাকে তেল ও গ্যাস খাতের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া যায়। এছাড়া প্রকৌশল ও স্বাস্থ্য সেবার খাদ্য বেতন ভালো পাওয়া যায়। 

প্রশ্ন: ইরাকে কাজে সময়সূচি কেমন? 

উঃ সাধারণত সাপ্তাহিক কাজের সময় ৪৮ ঘন্টা নির্ধারিত তবে খাট ভেদে কাজের সময় ভিন্ন হতে পারে। 
প্রশ্ন: ইরাকে কাজের ভিসার বয়স সীমা কত?

উঃ সাধারনত ১৮ থেকে ৬০ বছর।

প্রশ্ন: ইরাকে চাকরি পাওয়া কি সহজ? 

উঃ এটি আপনার অভিজ্ঞতা সেখানকার চাহিদার উপর নির্ভর করে। কিছু কিছু খাদ্যের বিশেষত্ব তে এলো গ্যাস শিল্পী বিদেশী দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বেশি। 

প্রশ্ন: ইরাকে থাকতে কত টাকা লাগে?

উঃ জীবনযাত্রা ব্যয় শহর এবং আপনার জীবনযাত্রা মানের উপর নির্ভর করে। সাধারণত মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ মার্কিন ডলারের মতো খরচ হতে পারে। 

প্রশ্ন: ইরাকে কাজের ভিসার মেয়াদ এবং নবায়ন? 

উঃ ইরাকে কাজের ভিসা সাধারণত ছয় মাস থেকে এক বছর জন্য ইস্যু করা হয়। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে নিয়োগ কর্তার সাথে চুক্তির ভিত্তিতে ভিসা নবায়ন করা যায়। নবায়ন তোকে পূর্বের মতো কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য 

ইরাকে কাজের ভিসার আবেদন ও বেতন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। ইরাকে কাজের ভিসা পেতে কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া এবং নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। আবেদনকারীদের পাসপোর্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং পুলিশের ক্লিয়ারেন্স সহ বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। 

এছাড়া ইরাকের কাজের সময় আইন এবং নিয়ম মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যথাযথ নিয়ম ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে ইরাকে একটি ভালো চাকরি পেতে এবং সেখানে সফলভাবে কাজ করতে পারবেন।কেননা বর্তমানে অসংখ্য শিক্ষিত তরুণ ইরাকের কোম্পানির কাজের চাকরি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

আর হ্যাঁ আজকে পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত মানুষদের সাথে একটু শেয়ার করে দিয়ে তাদের উপকৃত করুন। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentit ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url