জাপানে সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন বেতন কত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? জাপান একটু উন্নত
প্রযুক্তির দেশ। তাই জাপানে প্রচুর পরিমাণে কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। জাপানে
যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে কাজের চাহিদা দক্ষতা অভিজ্ঞতা জাপানি ভাষা শিখতে হবে এবং বেতন সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী।
জাপান পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হতে কাদের সুযোগ-সুবিধা বেশি রয়েছে। তাই
অধিকাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য জাপান যেতে চাই। জাপান যাওয়ার পূর্বে
আপনাদের জানতে হবে জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন।
জাপানে সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন বেতন কত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। জাপানের
সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতনের অনেক কাজ রয়েছে। আপনি যখন থেকে কত টাকা ইনকাম
করতে পারবেন সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে ভিসা সংগ্রহ করার মাধ্যমে এবং আপনার কাজের
দক্ষতা অভিজ্ঞতার ওপরে। কেমন আশ্রমিক ভিসার কাজের বেতনের চেয়ে আরও বেশি বেতন
দিয়ে থাকে যারা অন্যান্য দেশ জাপানে গিয়ে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষক ইত্যাদি। আপনার যদি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে
তাহলে সর্বনিম্ন ২ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে
পারবেন। বা এর চেয়েও বেশি টাকা ইনকাম করা যায় যদি আপনি ওভারটাইম কাজ করতে
পারেন। জাপান একটি উন্নত দেশ। বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এর ফলে
আপনার কাজের বেতন কম হবে সেটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার কাছে দক্ষতার
উপর।
আপনি যদি কাজের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন তাহলে দক্ষতা দেখে ভালো পরিমান
টাকা ইনকাম করতে পারবেন জাপানের যেসব কাজ করলে যেমন কৃষি কাজ ক্লিনার কনস্ট্রাকশন
ফ্যাক্টরিতে এসব কাজ করলে জাপানের সর্বনিম্ন বেতন কাজের ধরন অনুযায়ী ৯৫ হাজার
থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তাই জাপানের অবশ্যই আপনি তাদের দক্ষতা অর্জন করুন তারপর জাপানে যাওয়ার
চিন্তা-ভাবনা করেন। তাহলে অল্প সময় অর্থ উপার্জন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
জাপানে যাওয়ার আগে জাপানের কোন কাজের কত বেতন কোন কাজ কিভাবে করতে হয় এসব
সম্পর্কে জেনে তারপর যাবেন।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে যেসব যোগ্যতা কাগজপত্র লাগবে
ওয়ার্ক পারমিট করার জন্য যেসব যোগ্যতা কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নিন। জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যেসব কাগজপত্র গুলো লাগবে সে
সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না। তাই আপনাদের জন্য সুবিধার্থে নিচে যে যোগ্যতা
কাগজপত্র গুলো লাগবে নিচে উল্লেখ্য করে দেওয়া হলো:
কাজের দক্ষতা: আপনাকে নির্দিষ্ট কোন কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
ভাষার দক্ষতা: আপনাকে জাপানি ভাষা শিখতে হবে এবং তার প্রমাণ পত্র আপনার
সাথে রাখতে হবে এবং সে প্রমাণপত্র তারা দেখবে।
জাপানে যাওয়ার ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত যে কাগজপত্র গুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো
আপনার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তাই আপনি যদি জাপান যাওয়ার জন্য আগ্রহ হয়ে থাকেন
তাহলে অবশ্যই উপরে কাগজপত্র গুলো আপনি সংগ্রহ করবেন তারপর জাপানের যাওয়ার
প্রসেসিং শুরু করবেন।
জাপানে যেতে কত টাকা লাগে
জাপানের সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন বেতন কত জানার পূর্বে জেনে নিন জাপানে যেতে কত টাকা
লাগবে সে সম্পর্কে। জাপান একটি শান্তির প্রিয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেশ। প্রায়
অধিকাংশ মানুষ আছেন যারা স্টুডেন্ট হিসেবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে জাপান যেতে
চাই। এছাড়া অনেক ভ্রমণের জন্য যেতে চাই মানে টুরিস্ট ভিসা।
কিন্তু জাপানে যেতে কত টাকা লাগে সেই সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষের ধারণা
রাখেন না যার ফলে আপনি যদি জাপান যেতে চান তবে আপনার ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী
আলাদা হয়ে থাকবে। জাপানের ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে অনেকটা কঠিন হয়ে যায়।
আপনি যদি সরকারিভাবে জাপানে যেতে পারেন তাহলে কম খরচে যেতে পারবেন এবং কম খরচ
হবে।
কিন্তু আপনি যদি বেসরকারিভাবে কোন এজেন্সির সাহায্যে যান তাহলে খরচ অনেক বেশি
পড়বে। জাপান যেতে কত টাকা লাগবে যদি সঠিক তথ্য পেতে চান তাহলে জাপান প্রবাসী
একজন অভিজ্ঞ মানুষ কে জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারবেন সঠিকভাবে। এছাড়াও জাপানি দিতে
কত খরচ পড়বে সে সম্পর্কে আমি আপনাদের একটু ধারণা দিতে পারি।
জাপানে যেতে লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হয়। জাপান ভিসা তৈরি করতে ন্যূনতম প্রায় ৬
লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এছাড়া বিমান ভাড়া আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র
তৈরি করতে ন্যূনতম ২ লক্ষ টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে যায়। অর্থাৎ
জাপান যেতে ন্যূনতম বাজেট ৯ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা রাখতে হবে আপনাকে।
বর্তমান জাপান ভিসা তৈরি খেতে পূর্বের তুলনায় বেশি দুর্নীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
দেশি ও বিদেশী এজেন্সি জাপানে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেন্টিগ্রেড তৈরি করেছে।
জাপান যাওয়ার ক্ষেত্রে সকল এজেন্সি থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সকল প্রকার আপডেট
তথ্য যাচাই করে নিতে হবে। নিচে পোশাক ক্যাটাগরি ভিসার দাম দেওয়া হলো:
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৯ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।
স্টুডেন্ট ভিসা ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগবে।
ভিজিট ভিসা ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে।
জাপানে সবচেয়ে বেশি বেতনের ৪ টি কাজ
জাপানে সবচেয়ে বেশি বেতনের চারটি কাজ সম্পর্কে জেনে নিন। জাপানের সবচেয়ে বেশি
বেতনের চারটি কাজ রয়েছে। এই কাজ গুলা করলে আপনি বেশি বেতন পাবেন। নিচে
বিস্তারিত দেওয়া হলো:
স্কাফোল্ডিং বা তবি: স্কাফোল্ডিং জাপানি ভাষায় তবি বলে এটি হলো
একটু অস্থায়ী কাঠামো যা নির্মাণ রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সময় ব্যবহার করা হয়।
এটি মূলত ভবন বা অন্যান্য উচ্চতর কাঠামোর বাইরে নির্মিত হয় যাতে নির্মাণ
শ্রমিকরা সহজে উচ্চতায় কাজ করতে পারে। স্কাফোল্ডিং সাধারণত লোহা ইস্পাত
বাশের মত শক্ত উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি মূল কাঠামোর বাইরের স্থাপন
করা এবং শ্রমিকদের নিরাপদে কাজ করার জন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। এই
কাজে জাপানে বেতন অনেক বেশি দেয়া হয় আপনি কাজ করে তিন লক্ষ টাকা সহজে
ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রেমওয়ার্ক পা কাতাওয়াকু: এই কাজ মূলত কনস্ট্রাকশন এর ঢালাই এর
আগে ফ্রেম তৈরির কাজ এ কাজ যদিও একটু কঠিন তবে জাপানি কাজ বেতন অনেক বেশি
আপনি প্রতি মাসে ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনায়াস ইনকাম
করতে পারবেন।
প্রোগ্রামিং: জাপানে প্রোগ্রামের কাজের বেতন অনেক বেশি কারণ জাপানে
প্রোগ্রামে আর অনেক কম তাই বাইরের দেশ থেকে অন্যকে প্রোগ্রামিং এর কাজে
জাপানে আছে এই কাজে বেতন জাপানে ৫ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ হয়ে থাকে।
মেকানিক্যাল: জাপানে যেহেতু অনেক মেকানিক্যাল কোম্পানি আছে তাই আপনি
চাইলে অনেক বড় বড় গাড়ি এবং এর রিলেটেড অনেক কোম্পানি উচ্চ বেতন সহজে কাজ
করতে পারবেন প্রতি মাসে তিন লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি
জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ
মানুষ এগুলো সার্চ করে থাকেন কিন্তু সঠিক তথ্য পান না। চা পান পৃথিবীর একটি
উন্নত প্রযুক্তির দেশ হওয়াতে প্রচুর পরিমাণে কাজের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
আপনারা যারা কাজের জন্য জাপানে যেতে চাচ্ছেন তবে অবশ্যই যাওয়ার পূর্বে জাপানে
কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি এবং জাপানে সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন বেতন কত সেগুলো জেনে
যাওয়ার আপনার জন্য খুবই জরুরী। আপনি যে কাজের জন্য জাপানে যেতে চাচ্ছেন সেই
কাজের উপর দক্ষতা অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাবেন।
যেন না জাপান সরকার সবসময় শ্রমিকদের দক্ষতা অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করে থাকেন।
তাছাড়া আপনার যদি দক্ষতা অভিজ্ঞতা থাকে বেতনের দিক দিয়ে বেশি ইনকাম করতে
পারবেন। জাপান বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ ও বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ-সুবিধা
রয়েছে। যারা কাজের ভিসা নিয়ে দেশ দিতে পারে জমাতে চান তাদের অবশ্যই জাপানে
কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে রাখতে হবে পাশাপাশি আপনাকে সেই কাজের দক্ষতা
অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
জাপান একটি কম জনসংখ্যার দেশ হয় জাপানের যুবক মানুষের থেকে বয়স্ক মানুষের
সংখ্যা বেশি তাই সেখানে কাজ করা লোকের অভাব সবসময় লেগে থাকে এজন্য বাংলাদেশ
থেকে জাপানে গিয়ে বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ রয়েছে তবে বাংলাদেশ থেকে কিছু অল্প
কিছু কাজের উপর ভিসা পাওয়া যায় নিম্নে তা আমরা জানাবো।নিচে জাপানে কোন কাজের
চাহিদা বেশি জানতে পারবেন।
অটোমোবাইল
কৃষিকাজ
কনস্ট্রাকশন।
হোটেলের কাজ।
ফ্যাক্টরির কাজ (ঠোট প্যাকেজিং বিভিন্ন মেশিনারি পার্টস তৈরি)।
শিক্ষক।
ইঞ্জিনিয়ার।
মেকানিক্যাল।
ইলেকট্রিশিয়ান
ডেলিভারি ম্যান।
নার্স।
প্লাম্বার
বিক্রয়কর্মী।
ইঞ্জিনিয়ার।
কম্পিউটার অপারেটর।
শ্রমিক।
জাপানে কোন কাজের বেতন কত
জাপানে কোন কাজের বেতন কত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। শিক্ষাগত যোগ্যতা
থাকলে জাপানের সবথেকে বেশি বেতনের চাকরি পাওয়া যায়। শিক্ষাগত যোগ্যতা
সম্পন্ন কাজের মধ্যে নার্স শিক্ষক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার এর বেতন তুলনামূলক
বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা হীন কাজের মধ্যে ওয়ার্কার ড্রাইভার লেভার ক্লিনার
কাজের বেতন তুলনামূলক বেশি তবে বিভিন্ন কোম্পানির চাকরিতে অধিক টাকা বেতন
পাওয়া যায়। এছাড়া কোন কাজের বেতন কত সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা
হলো।
জাপানের শ্রমিকদের বেতন কত
শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া না জাপানি শ্রমিক হিসেবে কাজ করা যায়। এক্ষেত্রে
শুধুমাত্র দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে আপনাকে রক্ত ছাড়া জাপানে কাজ পাওয়া যায়
তবে এক্ষেত্রে বেতন তুলনামূলক অনেক কম। বর্তমানে জাপানে একজন অদক্ষ শ্রমিকদের
সর্বনিম্ন বেতন ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত একজন দক্ষ শ্রমিকের
সর্বনিম্ন বেতন ১ লাখ থেকে ২০ হাজার টাকা বা ১ লাখ থেকে ৫০ হাজার টাকা
পর্যন্ত হয়ে থাকে।
অটোমোবাইলে জাপানের সর্বনিম্ন বেতন কত
আপনি যদি জাপানে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা বেছে নিতে চান তাহলে সেটা অনেক
ভালো একটি পরিকল্পনা কারণ জাপানে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ব্যাপক
সম্ভাবনা রয়েছে। জাপানি একটু আটা নিশান মাজদার মত বড় বড় অটোমোবাইল
কোম্পানি থাকার কারণে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা
রয়েছে।
এবং তাদের বেতন অনেক মোটা অংকের বেশি। মোটো মোবাইল শিল্পের কাজের ধরন কাজের
অভিজ্ঞতা এবং কোম্পানির উপর নির্ভর করে বেতন তারতম্য ঘটে। তবে সাধারণত কাজের
থেকে অটোমোবাইল কাজের বেতন সর্বনিম্ন মজুরির চেয়ে কিছুটা বেশি হয়ে
থাকে।
যদি বলে উঠে মোবাইল জবের জাপানের সর্বনিম্ন বেতন কত তাহলে সেটা হবে কমপক্ষে
১৪০০ ইয়েন যা বাংলাদেশের টাকায় কনভার্ট করলে প্রতি মাসে প্রায় দুই লক্ষ ৪৫
হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন কোন অভিজ্ঞতা বা ওভারটাইম ছাড়া।
ফ্যাক্টরির কাজে জাপানে সর্বনিম্ন বেতন কত
ফ্যাক্টরি কাজ বলতে সাধারণত উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কাজ বোঝানো
হয় যা বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন হয়। জাপানি ফ্যাক্টরি কাজের
উচ্চ বেতনে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা রয়েছে বিশেষ করে বিদেশি শ্রমিকদের জন্য এই
কাজগুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন ইলেকট্রনিক অটোমোবাইল খাদ্য
প্রক্রিয়াকরণ টেক্সটাইল।
ফ্যাক্টরির কাজের ধরন:
এসেম্বলি লাইন: ধন্যবাদ যন্ত্রাংশ একত্রিত করা যেমন অটোমোবাইল
ইলেকট্রনিক ডিভাইসের বিভিন্ন অংশ জোড়া লাগানো।
প্যাকেজিং: উৎপাদিত পণ্য বুঝিয়ে প্যাকেজিং করা এবং প্রেরণনের
জন্য প্রস্তুত করা।
কোয়ালিটি কন্ট্রোল: উৎপাদিত বনের গুণমান পরীক্ষা করা এবং ত্রুটি থাকলে
সেটি সনাক্ত করা।
মেশিন অপারেশন: বিভিন্ন মেশিন পরিচালনা করা যেমন কাটা গঠন বা
মোল্ডিং মেশিন।
লজিস্টিকস ও স্টোরেজ: তন সংরক্ষণ এবং পরিবহনের জন্য প্রস্তুত করা।
মেইনটেইন্স: মেশিন এবং সরঞ্জামসহ সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করে এবং
সমস্যা থাকলে তার সমাধান করা।
এসব কাজের জন্য জাপানের সর্বনিম্ন বেতন কত তা নির্ধারণ করা রয়েছে তবে
কোম্পানি এবং শহর ভেদে তা নির্ধারিত হয়ত ফ্যাক্টরি কাজের জন্য কমপক্ষে এক
লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন।
কনস্ট্রাকশন কাজে জাপানে সর্বনিম্ন বেতন কত
কনস্ট্রাকশন কাজে জাপানে সর্বনিম্ন বেতন কত সম্পর্কে জেনে নিন। জাপানে
বিভিন্ন ধরনের ভ্রমণ অ্যাপার্টমেন্ট অফিসের নির্মাণসহ সড়ক সেতু রেল লাইন এবং
অন্যান্য অব কাঠামনির্মাণ ও মেরামতের কাজের অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। দেশে
বিদ্যা জনগোষ্ঠী এবং কর্মপন্থা অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে কনস্ট্রাকশন শিল্পে
প্রচুর কর্মীর চাহিদা রয়েছে।
বিদেশি শ্রমিকরা সাধারণত টেকনিক্যাল ইন্টার্নেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রামের অধীনে
বা বিশেষ ওয়ার্ক সার্ভিসের মাধ্যমে কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। কনস্ট্রাকশন
খাতে বেতন সাধারণত জাপানের সর্বনিম্ন থেকে বেশি হয়। কারণে কাজে অনেক হবার
টাইম রয়েছে তা কনস্ট্রাকশন কাজে জাপানের সর্বনিম্ন বেতন ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে
তিন লক্ষ পর্যন্ত হয়ে যা বিভিন্ন কোম্পানি বা অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে আরো
বাড়তে পারে।
হোটেলের কাজে জাপানে সর্বনিম্ন বেতন কত
হোটেলের কাজে জাপানে সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন বেতন কত সম্পর্কে জেনে নিন।
অতিথিদের স্বাগত জানানো হচ্ছে কিংবা চেক আউট প্রক্রিয়া পরিচালনা করা ফোন কল
এবং রিজার্ভেশন ম্যানেজমেন্ট রুম পরিষ্কার রাখা বিছানা ও লিলেন পরিবর্তন।
হোটেলের অন্যান্য স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বজায় রাখা এসব কাজের জন্য
জাপানের হোটেল খাতে কাজে সুযোগ সুবিধা প্রচুর রয়েছে।
এই সুযোগ সুবিধার বিশেষত বড় শহরগুলো এবং পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে বেশি। বিদেশি
শ্রমিকরা এক হাতে কাজ করার জন্য সাধারণত স্পিড ওয়ার্কার ভিসা এবং
ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ভিসা ব্যবহার করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা পার্টটাইম
কাজে বিভিন্ন হোটেলে জব করে থাকেন।
এর ফলে স্টুডেন্ট ভিসায় যারা যায় তারা এ কাজগুলো করতে পারেন। এ কাজের জন্য
ভালো জাপানি এবং ইংলিশ ভাষার লেভেল প্রয়োজন হয় থাকে সেজন্য জাপানে হোটেলে
কাজের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে।
বেতন সম্পর্কে বলতে গেলে জাপানে হোটেলের কাজে সর্বনিম্ন বেতন ২ লাখ ৫০ হাজার
থেকে তিন লক্ষ পর্যন্ত হয়ে থাকে আপনার যদি কাজে পড়বে অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে
আপনি তিন লক্ষ টাকার বেশি বেতন পেতে পারেন এটি সম্পূর্ণ আপনার কাজের ওপর
ডিপেন্ড করবে। আপনার কাজ যেমন করবেন তেমন টাকা আর্নিং করতে পারবেন।
কৃষি কাজে জাপানের শ্রমিক বেতন
জাপানি কৃষি ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ রয়েছে অনেক বিশেষত বিদেশী শ্রমিকদের জন্য।
জাপানের জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান বাদক এর কারণে কৃষি খাতে শ্রমিক কর্মীদের
চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদেশি শ্রমিকরা সাধারণত টেকনিক্যাল ইন্টার্নশিপ
ট্রেনিং প্রোগ্রামের অধীনে বা বিশেষত্ব স্কিল্ড ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে জাপানে
কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
কাজের ধরন বলতে গেলে কৃষি কাজে সাধারণত ধান সবজি ফল এবং অন্যান্য শস্য সংগ্রহ
ও চাষ করা যায়। পশু পালন দুধ সংঘ বংশ প্রক্রিয়াকরণ এসব কাজে জাপানে যাবার
জন্য সাধারণত মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায়ে যোগ্যতা এবং জাপানের ভাষায় জ্ঞান
প্রয়োজন হয়।
এসব কাজে বাংলাদেশ থেকে খুব অল্প খরচ এবং অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা পাওয়া
যায়। কৃষি কাজে জাপানে সর্বনিম্ন বেতন কত হিসাব করলে প্রতি মাসে ২০০০০০
ইয়েন হয়ে থাকে যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় দেড় লক্ষ মত।
জাপানে যেতে কত বছর সময় লাগে
জাপানে যেতে কত বছর সময় লাগে জাপানে সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন বেতন
কত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। জাপানে যাওয়ার বয়স সাধারণত ভিসা
ক্যাটাগরি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে জাপানি যেতে
হলে আপনার সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ত্রিশ বছর হতে হবে। যদি
চাকরির সার্কুলার ৩০ বছর বেশি বয়সে রিকোয়ারমেন্ট থাকে।
তখন আপনি ৩০ বছর বেশি হলেও যেতে পারবেন কোন সমস্যা হবে না। বিজনেস ভিসার
ক্ষেত্রে আপনার সর্বনিম্ন বয়স ২১ বছর হতে হবে। তবে টুস ভিসা ক্ষেত্রে বয়সের
কোন নির্দিষ্ট সীমা নেতা ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কোন নির্দিষ্ট বয়সসীমা
আছে। স্নাতক ডিগ্রী প্রোগ্রাম ভর্তি থেকে নূন্যতম বয়স ১৮ বছর এবং স্নাতক
ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে নূন্যতম বয়স ২১ বছর হতে হবে আপনার।
সরকারিভাবে জাপানে যাওয়ার উপায়
সরকারি ভাবে জাপানের যাওয়ার উপায় জাপানে সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন বেতন
কত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।
বৃষ্টিতে অধিকারের সুযোগের পাশাপাশি উপভোগ করতে পারবেন উন্নত জীবনযাপন মান।
বৃষ্টিতে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয় প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে তাছাড়া
দেশটি বর্তমানে শান্তিপূর্ণ এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেশ হিসেবে খ্যাতি
অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ থেকে অনেকে জাপানে যেতে চাই কিন্তু দেশটির ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন
বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে দৃষ্টি থেকে অনেক টাকা লাগে যার
কারণে বেশিরভাগ মানুষ জাপানের যাওয়ার উপায় খুঁজে থাকে আপনি যদি দেশটিতে
স্টুডেন্ট কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে।
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে জাপানে যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে জাপানে যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে জাপানে যেতে কত সময় লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আগে
বাংলাদেশ থেকে জাপানে যেতে অনেক বেশি সময় লাগতো। তবে এখন তা কানেক্টিং
ফ্লাইটে ঢাকা থেকে জাপানের রাজধানী টোকিওতে যেতে হতো যার ফলে অনেক বেশি সময়
লাগতো। কিন্তু এখন তা বর্তমানে বাংলাদেশে জাপানে যেতে মাত্র ছয় ঘন্টা সময়
লাগে।
এজন্য আপনাকে বাংলাদেশি এয়ারলাইন্সের বিমানের ফ্লাইটে যেতে হবে এ ফ্লাইট বাদ
দিয়ে যদি অন্য এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যান তাহলে ১২ ঘন্টা তে ১৫ ঘণ্টা সময়
লাগতে পারে। ঢাকা থেকে আপনি সরাসরি ফ্লাইট এর খরচ পড়বে ৭০ হাজার থেকে ৮২৮
টাকা এবং প্রতি ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৬ টাকা ।
লেখকের মন্তব্য
জাপানে সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন বেতন কত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আপনারা যদি কাজের উদ্দেশ্যে জাপানে যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই সেই কাজের
দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। কেননা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করলে ভালো
কাজ করতে পারবেন খুব তাড়াতাড়ি বেশি অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
জাপানে যথাযথ নিয়ম ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে একটি ভালো চাকরি পেতে এবং সেখানে সফলভাবে কাজ করতে পারবেন। কেননা বর্তমানে অসংখ্য শিক্ষিত তরুণ জাপানে কোম্পানির কাজের চাকরি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আর হ্যাঁ আজকে পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত মানুষদের সাথে একটু শেয়ার করে দিয়ে তাদের উপকৃত করুন। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentitওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url