প্রাচীন পাশ্চাত্য দর্শনের ভুমিকা
প্রাচীন সভ্যতা লীলাভূমিকে বিশ্ব নন্দিত করেছেন কর্তৃপয় দার্শনিক ও
চিন্তাবিদরা। দার্শনিক চিন্তার মূল উপজীব্য ছিল বিশ্ব সৃষ্টির উৎস কোথায় তা
বের করা। দার্শনিক ব্যবহার বা বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের দ্বারা নিজেদের জীবন বিমুখ
করেননি তারা জীবন ঘনিষ্ঠ চিন্তা ভাবনাকে বিশ্লেষণ করে দেখতে চেয়েছেন।
এর ফলে আইয়নীয় দার্শনিক সম্প্রদায়ের দার্শনিক তিনজন থিয়েটার শুনে কি মিলে
টাস নগরের বাসিন্দা ছিলেন বলে তাদের মাইলেসীয় দার্শনিক সম্প্রদায় বলা হয়।
তাই প্রাচীন পাশ্চাত্য দর্শনের ভুমিকা সম্পর্কে আপনারা জানতে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র: প্রাচীন পাশ্চাত্য দর্শনের ভুমিকা
প্রাচীন পাশ্চাত্য দর্শনের ভুমিকা
প্রাচীন পাশ্চাত্য দর্শনের ভুমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। প্রাচীন এক
সভ্যতার লীলা লালনভূমি হলো গ্রীস। এই সভ্যতাকে যারা বিশ্বনন্দিত করেছিলেন তারা
হলেন কতিপদ দার্শনিক ও চিন্তাবিদ। ও গ্রীস ইউরোপীয় দর্শনের জন্ম। প্রাচীনকালে
ঘুরতে চারটি প্রধান জাতের মধ্যে আয়নীয় যাতে এশিয়া মাইনর এর এসে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল।
উপনিবেশের বারোটি শহরের মধ্যে একটি ছিল মিলেটাস। আয়নীয় অধিবাসী নাগরিকদের
প্রায় সবাই নাবিকে জীবন যাপন করতো এবং তাদের জীবিকা উপার্জনের উপায় ছিল
ব্যবসা-বাণিজ্য। বাণিজ্য উপলক্ষে তারা বহুদূরান্তে সমুদ্র যাত্রা করতো। এভাবেই
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শতকে তারা বহু দেশকে যখন অনেকটা জেনে যায় এই
জানা জানির ভেতর দিয়ে তাদের নাম অনুসারে সমগ্র দেশের নাম রাখল
গ্রীস।
কেবল বাণিজ্য নাই শিল্পকলায় গ্রিক রা খুব পারদর্শী ও কৌশলী ছিল। গ্রিক
কারিগরদের হস্ত নির্মিত শিল্প সামগ্রী চাহিদা বহির্জগতেও বেশ ছিল। অন্যান্য
দেশে খালি বাণিজ্যিই করতো না তারা ভবের বিনিময়েও করতেন। কালা গুহায় অঙ্কিত
শিল্প নির্দেশনা বিভিন্ন বৈধ মতের গায়ের গঠিত ভাস্কর্য শিল্পের উপর গ্রিক
ভাস্কার চরিত্রে সার্থক প্রভাব পরিলক্ষিত হয় এগুলোকে গান্ধার শিল্প বলা
হয়।
এ গ্রিকদের কেউ কেউ আবার সৃষ্টির মূল তত্ত্বকে জানার জন্য চিন্তা ভাবনা করেন।
এই চিন্তা-ভাবনা করতে গিয়ে দর্শনের সবচেয়ে পুরনো শাখা আয়নীয় সম্প্রদায়ের
থেলিস এনাক্সিমেন্ডার এনাক্সিমিনিস প্রমুখ দার্শনিকদের আবির্ভাব
ঘটে।
আইয়নীয় দর্শনের হাত ধরে প্রাচীন পাশ্চাত্য দর্শনের উদ্ভব
আয়নীয় দার্শনিকগণ প্রধানত সৃষ্টির মূল তত্ত্বকে জানার জন্য উৎসুক ছিলেন।
তাদের দার্শনিক চিন্তার মূল উপজীব্য ছিল সৃষ্টির উৎস কোথায় এ প্রশ্নের উত্তর
খুঁজে পাওয়া। আয়নীয় দার্শনিকগণ আকাশ চারি কল্পনা বিশ্বাসী ছিলেন না।
এনাক্সিমেন্ডারকে আমরা দেখি ওই সময়ের জ্ঞাত জগতের একটি নকশা প্রস্তুত করতে যা
বহু দিন ধরে বণিকদের পথ প্রদর্শনের কাজ করছিল।
দেখা যাচ্ছে যে তারা দার্শনিক ব্যবহার বা বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের জন্য জীবন বিমুখ
ছিলেন না বরং জীবন ঘনিষ্ঠ চিন্তা ভাবনা কে বিশ্লেষণ করে দেখতে চেয়েছিলেন। এই
সম্প্রদায়ের আবির্ভাবের একটি শতাব্দীর পূর্বে আমরা উপনিবেশীদের দার্শনিকদের
প্রশ্ন করতে দেখি বিশ্বের মূল উপাদান কি, যে এককে জানলে সবকিছুই জ্ঞাত হওয়া
যায় সেটি কি।
আরো পড়ুন: দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন আবেদন প্রক্রিয়া
এই মূল তথ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন কে অগ্নিকে কেউ বায়ুকে কেউ আকাশকে কেউ
আবার ব্রক্ষ্মকে। আয়নীয় দার্শনিক থেলিসের (৬২৪-৫৪৭ খ্রিষ্টাব্দ) জলই হল আদি
উপাদান। এনাক্সিমেন্ডার (৬১১-৫৪৬) তিনি বলেন বস্তুর মূল উপাদান নির্দিষ্ট কোন
কিছু নাই এর কোন আকার নেই। এই পাচ্ছিনা ইউনিয় দার্শনিকদের মধ্যে একটি
বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়।
এদের কেউ প্রশ্ন করেননি যে বিশ্বকে কে সৃষ্টি করছেন তাদের প্রশ্ন ছিল কিভাবে
বিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় তাদের সমকালীন চার্বাক ও বৃদ্ধি সৃষ্টিকর্তা
বিধাতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা ছিলেন না। আয়নীয় দার্শনিকগণ জীবনকে এত তুচ্ছ মনে
করতেন না যে তার জন্য পৃথক একটা চেতনচালক শক্তির প্রয়োজন হবে। মেঘ গর্জন বহমান
নদী সামুদ্রিক জলোচ্ছে আজ দোলাইতবিজ্ঞান স্পন্দিত পৃথিবী প্রাণীর স্ফোরণকে
প্রমাণ করেন।
এর জন্য তারা কোন স্রষ্টা বা অন্তর্যামী কে জানার প্রয়োজন তারা বোধ করেননি।
বস্তু জ্ঞানী তাদের কাছে যথেষ্ট বলে মনে হয়েছিল। (রাহুল সংস্কৃতায়ন দর্শন দিক
দর্শন প্রথম খন্ড সম্পাদক তারা পদ মুখোপাধ্যায় কলিকাতা প্রকাশ ১১৯৬)। এই
আয়নীয় দার্শনিকদের হাতে পাশ্চাত্য দর্শন বিকশিত হবার যাত্রা শুরু
হয়।
গ্রীক দর্শনের উৎপত্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন মত
গ্রীক দর্শনের উদ্ভব ব্যাবিলন ও মিশরের নয় রাহুল সংস্কৃতায়ংকত দর্শনে পেছনে
ব্যাবিলনীয় সভ্যতার প্রভাবের কথা বলেন। গ্রীক বণিকরা বাণিজ্যের মাধ্যমে অত্যন্ত
প্রাচীন ও সম্মানীয় কৃষ্টির সাথে পরিচিত হয়। তারপর এই সু প্রাচীন সভ্যতা থেকে
গণিত শাস্ত্র জ্যোতিশাস্ত্র প্রকৃতি বিজ্ঞান চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রভৃতি শিক্ষা
গ্রহণ করে মেধাবী হয়।
এভাবে নিমাই এর ফলে হয়েছিল গ্রেক দর্শনে সবচেয়ে পুরনো শাখা আয়নীয়
সম্প্রদায়ের (থেলিস, এনাক্সিমেন্ডার, এনাক্সিমিনিস) আবির্ভাব। এই গ্রেড দর্শনের
উৎপত্তিকে ব্যাবিলনীয় ও মিশরীয় সভ্যতা প্রভাবিত বলে মনে করা হয়। তবে এই মত
পরিত্যাক্ত হয়েছে। তার নেট এ প্রসঙ্গে বলেন গ্রীকদের কে এখানে যাদের কাছে ঋণী
বলে হচ্ছে আসলে তাদের কোন দর্শনই ছিল না।
তাই গ্রিকদের কাছে এদের থেকে গ্রহণ করার মত কিছুই ছিল না। কেউ কেউ বলেন গ্রীকরা
তাদের গণিত মিশর রাজ্য ভর্তি বিজ্ঞান ব্যাবিলন থেকে লাভ করেছে কিন্তু বা নেট
কপোলস্টোন প্রমূখ ওই জাতীয় অভিমত নাকচ করে দেন। বার নেট বলেন গ্রা গণিতের জন্য
মিশরের কাছে ঋণী হলে পিথাগোরাসও তার অনুগামীদের সমতল জ্যামিতির মৌলিক নিয়মগুলো
প্রমাণ করার দরকার হতো না।
আর ব্যাবিলনীয়দের যদি সৌরমন্ডল সম্পর্কে জ্ঞান থাকতো তাহলে গ্রীক পৃথিবীর
যথার্থ আকার ও চন্দ্র সূর্য গ্রহণের ব্যাখ্যার জন্য তৎপরত না। কপলস্টোন বলেন,
মিশরীয়রা যে জ্যামিতির বিকাশ সাধন করে তা বিজ্ঞানসম্মত ছিল নাগরিকরা
বিজ্ঞানসম্মত জ্যামিতির বিকাশ ঘটান। আর ব্যাবিলনীয় জ্যোতি বিদ্যা ছিল মূলত
জ্যোতিষী বিদ্যা বা অস্ট্রলজি। গ্রীকরায় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে জ্যোতি
বিদ্যার চর্চা শুরু করেন।
প্রাচ্যের সৃষ্টিতত্ত্বগুলো গ্রীক দর্শনের উৎস নয়: অনেকে বলেন প্রাচ্য দেশে
সৃষ্টি তত্ত্ব বা কসমোগনি গুলো গ্রিক দর্শনের উৎস। তবে বার্নেট বলেছেন
সৃষ্টিতত্ত্ব গুলো উৎস হিসেবে অতি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গ্রিকদের মধ্যে থেলিসের করবে
অনেক সৃষ্টিতত্ত্ব ছিল যেগুলো মিশরও ব্যাবিলনের সৃষ্টিতত্ত্ব থেকেও প্রাচীন হতে
পারে।
যেসব জাতি সভ্যতা তৈরি করতে পারেননি অনুন্নত তাদের সৃষ্টিতত্ত্ব থাকতে পারে।
এসবের সাথে দর্শনের কোনো সম্পর্ক নাই। যেখানে বিচার বুদ্ধি ভিত্তিক আলোচনা থাকে
না সেখানে দর্শন ও থাকেনা। এ বিচার বুদ্ধি ভিত্তিক গ্রীকদের সৃষ্টি।
ভারতীয় উপমহাদেশের চিন্তাধারার প্রভাব: ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্ম পৌরাণিক
সাহিত্য লোকায়ক দর্শন জৈন দর্শন বৌদ্ধ দর্শন বেদান্ত দর্শন প্রকৃতির কোন কোন
মতবাদের সাথে গ্রিক ধর্ম সাহিত্য ও কোন কোন দার্শনিক মতবাদের যথেষ্ট মিল থাকায়
অনেকে ভারতীয় উপমহাদেশের চিন্তাধারার প্রভাবের কথা বলেন।
এমনকি দেবতাবাদ লোকায়তের জড়বাদ বা উপদানবাদ জৈনদের জীববাদ পরমাণুবাদ ও বৌদ্ধদের
জন্মান্তর বাদ দর্শনে অনেক সামঞ্জস্য রয়েছে। ম্যাক্স মুলার ওয়েবার প্রোমো কে
কথা বলেন। ফরাসি দার্শনিক খুঁজে বলেন ভারতীয় উপমহাদেশের দর্শন অবলম্বন করে
দর্শনে বিকাশ লাভ ঘটে। পিথাগোরাস সম্প্রদায় ও লেটারের দর্শনের জন্মান্তরবাদ
আছে।
বিশেষ করে থেলিস এনাক্সিমেন্ডার এনাক্সিমিনিস এম্পিডোকলেস,হেরাক্লিটাস,
জেনোফেনিস, পারমেনাইডিস, প্লেটো প্রমুখ দার্শনিকদের সাথে ভারতীয় অভিমতের মিল
আছে। এজন্য কেউ কেউ এই কথা বলেন যে ভারতীয় দর্শন থেকে গ্রিক দর্শনের
উৎপত্তি।
তবে দুটি দেশের মধ্যে কোন কোন মতবাদের সাদৃশ্য দেখা বলা যায় না যে এক দেশ অপর
দেশের কাছ থেকে এসব মতবাদ গ্রহণ করেছে। কপোল স্টোন বলের মানুষের বুদ্ধি সদস্য
অভিজ্ঞতাকে সদস্য ভাবে ব্যাখ্যা করার ব্যাপারে যথেষ্ট পরিমাণে সমর্থ সেটা গ্রীক
বা ভারতীয় যার বুদ্ধি হোক না কেন।
গ্রীক দর্শনে উদ্ভব গ্রিসে: ওপরের কারণগুলোর জন্য অনেকে সিদ্ধান্ত নেন যে
দর্শনের উদ্ভবকে গ্রিসে হয়েছিল। গ্রীক দর্শনে শুরু কখন তা জানা যায় এর
প্রারম্ভিক দিকের প্রতি সচেতন দৃষ্টি দিল বোঝা যায় যে এই দার্শনিক চিন্তা মৌলিক
ও এর ওপর অন্য দর্শনের প্রভাব পড়েনি।
গ্রীক দর্শনের প্রারম্ভটা এত সরল যে এই সামান্য দার্শনিক চিন্তার অধিকারী হতে
পারেনা তা ভাবা যায় না। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক দর্শনের শুরু। বস্তু জগতের মূল
তত্ত্বের স্বরূপ কি এ প্রশ্নের আলোচনা কে নিয়ে গ্রিক দর্শনের শুরু হয়। তারপর
ধীরে ধীরে বাহা প্রকৃতি থেকে গ্রিক দর্শনের দৃষ্টি পরে মানুষের উপর।
সত্তা সম্পর্কিত সমস্যা গ্রীক দর্শনে প্রাধান্য লাভ করেন: বার্নেট বলেন
সামগ্রীক ভাবে দর্শনের দিকে তাকালে দেখা যায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্রিক দর্শনে
প্রাধান্য লাভ করেছে সত্তা বা রিয়ালিটি সম্পর্কিত সমস্যা। সত্তা কি এ প্রশ্ন
প্লেটো অ্যারিস্টটল যেমন করেছে তেমনি থেলিস এমন প্রশ্ন করেছেন। থেলিসের উত্তর
যেমনই হোক না কেন তিনি যখন এই প্রশ্ন করেন তখন থেকেই তা দার্শনিক চিন্তার পরিচয়
লাভ করা যায়। আর সে সময়টা ছিল পাশ্চাত্য দর্শনের সূচনা।
গ্রীক দর্শনের ভৌগোলিক পরিসর ও যুগ বিভাগ
তবে এই উৎপত্তি বর্তমান গ্রীসে নয়। প্রাচীনকালে গ্রীকরা তাদের মূল ভূখণ্ড ত্যাগ
করে এগিরেনে দিনগুলোতে এসেছিলি দক্ষিণ ইতালি এশিয়া মাইনরের সমুদ্র উপকূলের
সম্মানিত স্থান গুলো অন্যান্য সমৃদ্ধ উপনিবেশ ও বসবাস করার জন্য
গিয়েছিলেন।
এসব ব্যক্তিদের কেউ কেউ দার্শনিক ছিলেন তাদের দর্শন ও দর্শনের অন্তর্গত ছিল।
গ্রীক দর্শনের প্রথম যুগের দর্শন আসলে বর্তমান গ্রিসের বাইরের গ্রীক উপনিবেশ
গুলোতে বাস করে গ্রীকদের দর্শন চিন্তা। প্রাচীন গ্রীক দর্শনকে যুগ অনুসারে তিনটি
পর্যায়ে ভাগ করা যায়।
গ্রীক দর্শনের প্রাচীন যুগ (৬০০-৪০০ খ্রিস্টপূর্ব): এই সময়টাকে প্রাক
সক্রেটিস বা পিষেক্রেটিক যুগ বলা হয়। এখানে একটু দর্শনের জন্ম হয় এ যুগকে আবার
দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রাক সোফিস্ট বা প্রিসোফিস্টিক যুগ: এই দর্শনে নিস্বর্গবাদী বা
প্রকৃতিবাদী। দার্শনিক গান বাদ্য প্রকৃতি সম্পর্কিত পরস্পর নির্ভরশীলতা দুটি
প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করেন এগুলো হলো: মৌলিক দ্রব্য কি যার দ্বারা সব বস্তু গঠিত
হয়। এই গঠন প্রক্রিয়ার স্বরূপ কি যার দ্বারা মৌলিক বস্তুগুলো ইন্দ্রগ্রাহ্য
বস্তুতে পরিণতি উল্লেখযোগ্য দার্শনিক গণ বলেন থেলিস, পারমেনাইডিস, জেনো
হেরাক্লিটাস প্রমুখ।
সোফিস্ট বা সোফিস্টিক যুগ: সোফিস্টরা গ্রিসের কুটতার্কিক পন্ডিত বলে খ্যাত
ছিলেন। এসব দার্শনিকদের দর্শন প্রাচীন যুগের দর্শন থেকে স্বতন্ত্র। প্রাচীন যুগের
বাহ্য প্রকৃতির আলোচনা ত্যাগ করে এরা মানুষের সমস্যা মানুষের জ্ঞান আচরণ প্রভৃতির
আলোচনা মনোনিবেশ করেন। মানব জীবনের ব্যবহারিক সমস্যার আলোচনায় এরা আগ্রহী ছিলেন
এই যুগের বৈশিষ্ট্য।
- তাত্ত্বিক জ্ঞানের সাথে ব্যবহারিক প্রয়োজনে মিশ্রণ। খুব সম্ভবত ব্যবহারে প্রয়োজনের কথা ভেবে থেলিসের নৌচালনা সংক্রান্ত জ্যোতিবিদ্যার উৎপত্তি।
- দর্শন ও বিজ্ঞানের পরিপূর্ণ সংমিশ্রণ। তখন পর্যন্ত মনন মূলক অভিজ্ঞতামূলক গবেষণার মধ্যে কোন পার্থক্য করা হতো না। তাই যদি বিদ্যা গণিত শাস্ত্র বিজ্ঞান সহ সব প্রাকৃতিক বিজ্ঞান দর্শনের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
- অনেকটা তত্ত্ববিদ্যামুলক বা অন্তলজিক্যাল কারণ বিষয়বস্তুর মূল তত্ত্বের অনুসন্ধানে এর অন্যতম কাজ ছিল।
- মূলত অদ্বৈতবাদী বা মনে স্টিকার নিয়ে যুগে দার্শনিক অনেকটি মাত্র তত্ত্ব বা ঘটনার সাহায্য নেন।
- প্রাচীন পাশ্চাত্য দর্শনের ভুমিকা এ দর্শনের সজীব বস্তুবাদ বা সর্বত্ববাদ বলা যায়।
এনাক্সগোরাস ছাড়া অন্যদের মধ্যে জড়বাদী মনোভাব দেখা যায় এদের জ্বর ও মনের
পার্থক্য করতে দেখা যায় না যা পরবর্তী দার্শনিকদের মধ্যে দেখা যায়।
প্রাচীনকালে গ্রীকরা বহু ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী ছিল তারা মনে প্রভৃতি দেবের কথা
কল্পনা করা হয়। আবার দর্শনের দিক দিয়ে তারা মনে করতেন সমুদ্র পর বদ নদী বৃক্ষ
সূর্য কোন ন কোন দেবতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
সে যেন সমুদ্র দেবতা সূর্য দেবতা প্রবৃত্তি দেব দেবীর কথা কল্পনা করা হয়। আবার
দর্শনের দিক দিয়ে তারা মনে করতেন সবচাইতে প্রাণ আছে এমনকি পাথরেও আছে। তাই
এদের দর্শনের সজীব জড়বাদী দর্শন বলা হয়। এই যুগের দার্শনিকরা প্রানের দ্বারা
উদ্ভোসিত হয় না এমন প্রকৃতির কথা চিন্তা করতে পারতেন না।
জেলার বলেন এটা কেবল প্রেস ক্রিয়েটিকদের ক্ষেত্রে সত্য নয় স্ত্রীকেউরিয়াস
দর্শন অনুগামীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় মনোবিজ্ঞান ছিল পদার্থবিজ্ঞানের ধর্ম
বিজ্ঞানের অঙ্গীভূত। এই ধর্ষণের বিচারবাদী বা ডকমেটিক কারণ জ্ঞানের সম্ভাবনা
শর্তসীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আলোচনা না করে এই যুগে দর্শনে বেকারের স্বীকার করে
নেয় যে মানব মনের জগত সম্পর্কেও সমস্যার সমাধানের ক্ষমতা আছে।
জ্ঞানের সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা না করে দার্শনিক গান জগতের উৎপত্তি সম্পর্কিত
সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এদের দর্শনকে প্রাকৃতিক দর্শন বা ন্যাচারাল
ফিলোসফি বলা যায় কারণ এরা প্রথমে মূল তত্ত্বের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে তারপর
এই তথ্য কিভাবে পরিবর্তিত হয়েছে সেই সাথে ইন্দ্রিয় প্রত্যক্ষ নির্ভরযোগ্যতা
কতখানিও চিন্তার সাথে সম্পর্ক কি সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
জেলারের মতে এই যুগে জ্ঞান সম্পর্কিত মতবাদ অর্থাৎ জ্ঞানতত্ব বা এপিষ্টমোলজি
সূচনা হয়।ঝড়ো মন দেহ আত্মা ইশ্বর জগত এদের মধ্যে প্রভেদ পিথাগোরাসের দর্শন
সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা স্থান পেয়েছে তার অনুগামী রায় প্রথমে নীতিবিদ্যা ও
সমাজবিদাকে দর্শনে আনেন পরে ডেমোক্রিটাস ও সোফিস্ট এরকম আলোচনা গুরুত্ব
পায়।
সোফিস্ট দর্শনের সংশয়বাদ এর সূচনা হয় প্রকৃতি থেকে তারা নজর সরিয়ে মানুষকে
দর্শনের বিষয়বস্তু বানায়। তারা শিক্ষা সম্পর্কে ও মতবাদের সূচনা করেন। কিন্তু
বস্তুগত জ্ঞানের অস্তিত্ব অস্বীকার করার জন্য প্রচলিত নৈতিক বিজ্ঞানের প্রতি
সমর্থন না দেওয়ার জন্য বৃদ্ধের প্রকৃতির মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র নিহিত
হয়েছে এবার হয়েছে তাকে আরও উসকে দিয়ে সক্রেটিস দর্শনের বিরুদ্ধে একটি
শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া শুরু করেন।
সক্রেটিস দর্শনের যুগ বা সক্রেটিস যুগ (৪০০-৩৩২ খ্রি:পূ:): প্রাচীন
পাশ্চাত্য দর্শনের ভুমিকা সোফিস্ট আন্দোলনের এ যুগের সূচনা করে। বাজছে
প্রকৃতির আলোচনা পরিত্যাগ করে সক্রিয় স্বাস্থ্য জ্ঞানের আলোচনায় প্রবেশ করেন।
সোফিস্ট দর্শনে মানুষের আলোচনা স্থান পেয়েছিল সক্রেটিসের দৃষ্টিতে দর্শন
প্রধান আলোচ্য হলো জীবনের যথাযথ আচরণ।
মানব আচরণ প্রকৃতি নির্ণয়ের জন্য সক্রিতিস বস্তুগত জ্ঞানের সন্ধানে নিয়োজিত
হন। এই যুগে বিস্তৃত এরিস্টটলের সময়কাল পর্যন্ত। প্লেটো অ্যারিস্টোটলের যুগ
দর্শনের চরম উৎকর্ষের যুগ। দর্শনের এমন কোন সমস্যা নেই যা এর যুগে আলোচিত
হয়নি। শত জীবনের শেষ সোজা কিছু আজ দর্শনের আওতাভুক্ত বলে বিবেচিত হয় প্রায়
সবকিছু এই যুগের দর্শন আলোচিত হয়েছে।
এরিস্টোটল পরবর্তী দর্শনের যোগ বা পোস্ট অ্যারিস্টটুলিয়ান যুগ (৩৩২-৫২৯
খ্রিষ্টাব্দ) এথেন্স আলেকজান্দ্রিয়া রম ছিল এই দর্শনে কেন্দ্রস্থল। এ যুগে
আলোচনা দুটি ধারা দেখা যায় নৈতিক ধর্মীয়। স্টোরি কো এপি কিউরান দর্শন
চরিত্রের নীতির ওপর সর্বশেষ গুরুত্ব আরোপ করেও তাদের দর্শনের মূল আলোচ্য বিষয়
ছিল মানুষের জীবনে পরম শুভ কি তা জানা।
যেন স্টোয়িক দর্শন এপিকিউরিযান এপিকে উড়িয়া দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা। ষষ্ঠ শতকের
নব প্লেটো নাকি বাঁধনীয় পেট্রোনিজমের আবির্ভাবের সাথে সাথে পাশ্চাত্য দর্শনের
প্রাচীন যুগের সূচনা ঘটে। ৫২৯ সালে সম্রাট জাস্টিনিয়ান এথেন্সে গ্রীক দর্শনে
আলোচনায় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেন। এর ফলে নিউ প্লটনের দর্শনের অবসান ঘটে।
মানুষ দর্শন চর্চা ভুলতে শুরু করে। তখন থেকে ইউরোপে সাতশত বছরব্যাপী অন্ধকার
যুগের সূচনা হয়।
গ্রীক সমাজের প্রথম যুগের বৈশিষ্ট্য দর্শনের প্রভাব
গ্রিক সমাজের প্রথম যুগের বৈশিষ্ট্য দর্শনের প্রভাব ।স্বাধীন ও সুসংবদ্ধ
দার্শনিক চিন্তা শুরু হবার আগে গ্রীকদের মধ্যে কুসংস্কার ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসের
প্রচলন খুবই ব্যাপক ও প্রবল ছিল। গ্রীক দর্শনে প্রথম যুগে গ্রিক দার্শনিকদের
চিন্তায় তাদের পূর্বসূরীদের পৌরাণিক ধর্মীয় প্রভাব সুস্পষ্ট ছিল। গ্রীক
দার্শনিকেরা ছিলেন ইউরোপীয় চিন্তাধারার প্রবর্তক।
স্বাধীন সুসংবদ্ধ দার্শনিক চিন্তা শুরু হওয়ার আগে গ্রীকদের মধ্যে পৌরনীক
কুসংস্কারও ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসের প্রচলন ছিল ব্যাপক। গ্রীক দার্শনিকদের
চিন্তায় তাদের পূর্বসূরীদের ধর্মীয় প্রভাব সুস্পষ্ট ছিল। যুক্তিবাদী গ্রিক
দার্শনিকদের চিন্তায় এমন অনেক ধারণা দেখা যায়। যেগুলো তাদের পূর্ববর্তী
পৌরণিক ধর্মীয় বিশ্বাসের ফল শ্রুতি।
এই প্রবণতা গৃহীত দর্শনের শুরুতে বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। খেলিস যাকে প্রথম
ইউরোপীয় দার্শনিক ও বস্তুবাদী দার্শনিক বলা হয় যিনি প্রথম জগৎ ব্যাখ্যায়
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ চিন্তার ব্যবহার করেন তা চিন্তা তো পৌরাণিক প্রভাব দেখা
যায় যখন তিনি বলেন সব বস্তুতে প্রাণ বাঁচে চেতনা রয়েছে।
গ্রিক দার্শনিকদের যত ব্যাখ্যাকে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিসিদ্ধ বলা গেলেও তাদের
মধ্যে পুরনো কিছু প্রভাব রয়েছে। যা গ্রীক দর্শনের আদি পূর্বে বিশেষভাবে
লক্ষণীয়। তবে পরবর্তী দার্শনিকেরা এ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ছিলেন না। এরিস্টটলের
মত একজন যুক্তিবাদীর মতবাদে এমন কিছু ধারনা লক্ষ্য করা যায় যাদের রীতিমতো
পীড়াদায়ক বলা চলে।
অ্যারিস্টটলের মধ্যে একজন যুক্তিবাদের মতবাদে এমন কিছু ধারণা থাকে যা তিনি
দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে চন্দ্র সূর্য প্রভৃতি। জ্যোতিষ্ক নিষ্পাপ নয়
জ্যান্ত প্রাণে বিশেষ অবশ্য সভ্যতার আদি পর্বে পৌরনের কাহিনী বা রূপক উপমায়
ছিল সার্বিক ও গভীর সত্য প্রকাশের একমাত্র অবলম্বন।
টাইপ প্লেটোর মতে একজন পরিপক্ক দার্শনিককে অভিজ্ঞতা ও বিশ্বাসের অভিব্যক্তির
বাহন হিসেবে পুরনো কে যুক্তিসঙ্গত বলে ব্যবহার করতে দেখা যায়। যাই হোক
দার্শনিক ওপর অনেক চিন্তার মাঝখানে সুনির্দিষ্ট ভিদরেখা টানা প্রায় অসম্ভব আর
তাই যেকোনো আলোচনা পুরানো উপমার ব্যবহার কম বেশি থাকবে।
এটা দোষের কিছু নাই কিন্তু সমস্যা হয় তখনই যখনই এই রূপক বা উপমা ইত্যাদির
প্রভাবে থেকে দাবি করা হয় অতীতের যাবতীয় অপূর্ণতা ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার
প্রভাব থেকে আমরা সম্পূর্ণ মুক্ত। প্রাচীন পাশ্চাত্য দর্শনের ভুমিকা
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত প্রত্যয় ও বিশ্বাস যখন যুক্তির আবরণ লুকিয়ে থেকে
মুক্তির আবেদন সৃষ্টি করতে চায় তখনই বিপদ।
আর এই বিপদ থেকে মুক্ত থাকা সহজ ব্যাপার নয়। তবে আদিগৃক দার্শনিকদের মতে তা এত
বেশি উপস্থিত যে গ্রীকদর্শনকে ভালোভাবে বুঝতে হলে তাতে পুরানো ধর্মের প্রভাব
কতটুকু ছিল তা নিয়ে আলোচনা করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। গ্রীক দর্শনের সাথে গ্রিকদের
বিশ্বাসের সম্পর্ক খুব নিকট ও গ্রীক ধর্মের দুটো প্রধান দিক রয়েছে।
গ্রীক দর্শনের সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহ
শুধু রতিদের যে পরিবেশ দার্শনিক চিন্তা সূত্রপাত আজকের দিনের তুলনায় তা ছিল
নিত্যান্ত অপরিপক্ক
অনগ্রসর। সেদিনের চিন্তায় বিচার বিশ্লেষণ এর চেয়ে কল্পনাও সজ্ঞানের স্থান ছিল
প্রধান। এদিক থেকে সেদিনের স্বাভাবিক সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করা যায় না কোনমতে।
কেননা এ থেকে সূচিত হয়েছে পরবর্তীকালে উন্নত চিন্তা পরিচালিত হয়েছে সুসংঘবদ্ধ
বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক অভিযান সমূহ।
গ্রীক দর্শনের উদ্ভব ঘটে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে গ্রীক দার্শনিকগণ ছিলেন
পার্বত্য উপদ্বীপ অঞ্চলের অধিবাসী। প্রাচীন গ্রীক দর্শনের উদ্যোক্তা ও
প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন থেলিস ছিলেন বস্তুবাদী। মানুষ যখন উৎপাদন বিভক্তির প্রতি
প্রাকৃত ধর্মীয় বিশ্বাস দ্বারা আচ্ছন্ন তখন সেখানে প্রয়োজন ছিল মুক্তচিন্তা
ঠিক তখনই গ্রিকদের চিন্তাবিদগণ সমাজ প্রগতিস পথে সহায়ক ও বাস্তব জীবনের সাথে
সাহায্যপূর্ণ চিন্তাধারার উদ্ভাবন করেন।
বিশ্ব এবং সৃষ্টিকর্তা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল গ্রীক দর্শনের প্রধান
বিষয়বস্তু। মূলত প্রশ্ন কে কেন্দ্র করে গ্রিক দর্শন গড়ে উঠতে থাকে। গ্রীক
দর্শনকে মূলত তিনটি পর্বের বিভক্ত করা যেতে পারে। আদি যুগ মধ্যযুগ অন্তযুগ। এ
ছাড়া কি দর্শনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে কিছু। বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের আবিষ্কার দর্শন ও
বিজ্ঞানের সংমিশন বিশ্ব তাত্ত্বিক।
বৃত্তি সুরু সজীব জোর বাদ অবরোহমূলক চিন্তা সাধনা নিরপেক্ষ চিন্তা বিচার
বিযুক্তিবাদী প্রাকৃতিক পরমাণুবাদি তত্ত্ববিদামূলক ধর্মীয় মনোভাবের বস্তুবাদী।
গ্রেট দার্শনিক গন বস্তুবাদী চিন্তার ধারার অধিকারী ছিলেন এ জগতের আদম সত্তার
সমস্যা সমাধান বিষয়ক আলোচনায় আমরা তা লক্ষ্য করি।
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য গুলোর পর্যালোচনা ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে গ্রেট দর্শনের
চিন্তা গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল সত্যিকারের জ্ঞান লাভ করা। বৃদ্ধাশনিকগণ তাদের
দর্শন আলোচনায় জ্বর রীতি নীতি সমালোচনা নতুন চিন্তাধারার প্রচারের মাধ্যমে এর
পুরনো বিশ্বাস জোড় সংস্কার কে বাদ দিয়ে সক্রিয় চিন্তা রাজ্যে তাদের নিজের
মতবাদ ও মন কে প্রতিষ্ঠিত করেন।
তারা সৃজনশীল মন প্রজ্ঞা স্বাক্ষর রেখেছেন। প্রকৃতপক্ষে প্রাকৃতিক প্রভাব ও
মরণশীলতার জন্য। ব্যতিক্রম ধর্মী গ্রিক চিন্তাবিদদের মানসিকতা জগত জীবন
সম্পর্কে এক উদারবোধ প্রবৃত্তি ও জিজ্ঞাসা প্রবণতার মাধ্যমে প্রভাবান্বিত এদিক
থেকে বিচার বিশ্লেষণ করে দার্শনিক গণ মত প্রকাশ করেন যে গ্রেট দর্শনকে ভিত্তি
করে আধুনিক সভ্যতা সংস্কৃতি দাঁড়িয়ে আছে।
প্রাচীন পাশ্চাত্য দর্শনের ভুমিকা খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অদ্য আয়নীয় বা গ্রিক
দর্শনের সুবর্ণ যুগ। এর কিছু পূর্বে জগত বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস মৌখিক উপদেশ
বিতরণ করে তরুণ সমাজের হৃদয় জয় করেছেন। তার অসমাপ্ত কাজ তার সুযোগ্য শীর্ষ
প্লেটো এবং তসর শিষ্য অ্যারিস্টটল সম্পন্ন করেন। এ যুগে দর্শনকে দুটি ভাগে ভাগ
করা যায় সক্রেটিস বা প্লেটো গুরু শিষ্যে যথার্থ বাদবায় যুক্তিবাদ এবং
এরিস্টটল প্রয়োগবাদ ও বস্তুবাদ।
লেখক এর মন্তব্য
প্রাচীন পাশ্চাত্য দর্শনের ভুমিকা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
মাইলেসীয় দার্শনিক সম্প্রদায়ের চিন্তাধারায় যতখানি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির
পরিচয় পাওয়া যায় মাইলেসীয় পরবর্তী দার্শনিক চিন্তাধারা ততখানি বৈজ্ঞানিক
দৃষ্টিভঙ্গের পরিচয় পাওয়া যায় না।
আর হ্যাঁ আজকে পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত
মানুষদের সাথে একটু শেয়ার করে দিয়ে তাদের উপকৃত করুন। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক
আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentit ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url